সম্পাদকীয়
সত্যেন্দ্রনাথ বসু ভারতের বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ ছিলেন। জীবনব্যাপী তিনি বিজ্ঞানসাধনায় নিরলস ভূমিকা পালন করেছেন। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন তিনি।
ছাত্রজীবনে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার পরও তাঁর চাকরি জোটেনি। তাই তিনি টিউশনি শুরু করেন। তাঁর এই বেকারদশার অবসান ঘটে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে। তিনি তাঁকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবপ্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান কলেজে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করেন। এরপর ১৯২১ সালে নবপ্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে রিডার হিসেবে যোগ দেন।
১৯২৪ সালে আইনস্টাইনের সহযোগিতায় প্রকাশিত হয় তাঁর বিশ্ববিখ্যাত প্রবন্ধটি, যা ‘বসু-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান’ বলে পরিচিত। তিনি ১৯৪৪ সালে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৪৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। ১৯৫৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরের পর তাঁকে ‘ইমেরিটাস অধ্যাপক’ হিসেবে আবার নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৫৮ সালে লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন সত্যেন্দ্রনাথ বসু। ১৯৫৯ সালে ভারত সরকার তাঁকে জাতীয় অধ্যাপক পদে নিযুক্ত করে। ১৯৫২ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
বিজ্ঞানের পাশাপাশি সংগীত এবং সাহিত্যেও সত্যেন্দ্রনাথ বসুর আকর্ষণ ছিল। তিনি অবসর সময়ে মনের আনন্দে এসরাজ বাজাতেন।বাংলা ভাষায় যে বিজ্ঞানচর্চা সম্ভব, এটা তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৪৮ সালে ‘বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ’ গঠিত হয়।
এখান থেকে নিয়মিত ‘জ্ঞান ও বিজ্ঞান’ নামের সাময়িকী প্রকাশিত হতো, যা এখনো প্রকাশিত হয়ে থাকে। মাতৃভাষা বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার বিষয়ে তাঁর বিখ্যাত উক্তি, ‘যাঁরা বলেন মাতৃভাষায় বিজ্ঞানচর্চা সম্ভব নয়, তাঁরা হয় বাংলা জানেন না অথবা বিজ্ঞান বোঝেন না।’
বিখ্যাত এই বিজ্ঞানী ১৯৭৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
সত্যেন্দ্রনাথ বসু ভারতের বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ ছিলেন। জীবনব্যাপী তিনি বিজ্ঞানসাধনায় নিরলস ভূমিকা পালন করেছেন। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন তিনি।
ছাত্রজীবনে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার পরও তাঁর চাকরি জোটেনি। তাই তিনি টিউশনি শুরু করেন। তাঁর এই বেকারদশার অবসান ঘটে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে। তিনি তাঁকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবপ্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান কলেজে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করেন। এরপর ১৯২১ সালে নবপ্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে রিডার হিসেবে যোগ দেন।
১৯২৪ সালে আইনস্টাইনের সহযোগিতায় প্রকাশিত হয় তাঁর বিশ্ববিখ্যাত প্রবন্ধটি, যা ‘বসু-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান’ বলে পরিচিত। তিনি ১৯৪৪ সালে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৪৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। ১৯৫৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরের পর তাঁকে ‘ইমেরিটাস অধ্যাপক’ হিসেবে আবার নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৫৮ সালে লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন সত্যেন্দ্রনাথ বসু। ১৯৫৯ সালে ভারত সরকার তাঁকে জাতীয় অধ্যাপক পদে নিযুক্ত করে। ১৯৫২ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
বিজ্ঞানের পাশাপাশি সংগীত এবং সাহিত্যেও সত্যেন্দ্রনাথ বসুর আকর্ষণ ছিল। তিনি অবসর সময়ে মনের আনন্দে এসরাজ বাজাতেন।বাংলা ভাষায় যে বিজ্ঞানচর্চা সম্ভব, এটা তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৪৮ সালে ‘বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ’ গঠিত হয়।
এখান থেকে নিয়মিত ‘জ্ঞান ও বিজ্ঞান’ নামের সাময়িকী প্রকাশিত হতো, যা এখনো প্রকাশিত হয়ে থাকে। মাতৃভাষা বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার বিষয়ে তাঁর বিখ্যাত উক্তি, ‘যাঁরা বলেন মাতৃভাষায় বিজ্ঞানচর্চা সম্ভব নয়, তাঁরা হয় বাংলা জানেন না অথবা বিজ্ঞান বোঝেন না।’
বিখ্যাত এই বিজ্ঞানী ১৯৭৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৩ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৩ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৩ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫