Ajker Patrika

শিশুকে কখন খতনা করানো উচিত

মুফতি খালিদ কাসেমি
আপডেট : ১৪ জুন ২০২৩, ১৬: ৪৫
শিশুকে কখন খতনা করানো উচিত

পুরুষ মানুষের বিশেষ অঙ্গের অতিরিক্ত চামড়া কেটে ফেলাকে খতনা বলা হয়। আমাদের দেশে এটি মুসলমানি নামেও পরিচিত। পুরুষের জন্য খতনা করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। হজরত ইবরাহিম (আ.) সর্বপ্রথম নিজ হাতে নিজের খতনা করেছিলেন। হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ইবরাহিম (আ.) ৮০ বছর বয়সে উপনীত হওয়ার পর কাদুম নামের জায়গায় নিজেই নিজের খতনা করেন।’ (বুখারি)

আরবদের মধ্যে ইবরাহিম (আ.)-এর এই সুন্নতের প্রচলন ছিল। মহানবী (সা.)-এর আগমনের পর তিনিও এই সুন্নত বহাল রাখেন। এটিকে ইসলামের অন্যতম নিদর্শন আখ্যায়িত করেন। খতনা করা স্বভাবজাত বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত আখ্যা দেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) বলেন, ‘মানুষের স্বভাবজাত অভ্যাস পাঁচটি অথবা বলেছেন, পাঁচটি কাজ মানুষের স্বভাবজাত—খতনা করা, ক্ষুর দিয়ে নাভির নিচের লোম পরিষ্কার করা, নখ কাটা, বগলের লোম উপড়ে ফেলা এবং গোঁফ ছোট করা।’ (মুসলিম)

শারীরিকভাবে খতনার কষ্ট সহ্য করার উপযুক্ত হওয়ার পরই সুবিধাজনক সময়ে সন্তানের খতনা করা অভিভাবকের দায়িত্ব। খতনার নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই। তবে ফেকাহবিদেরা বলেন, শিশুর শারীরিক উপযুক্ততা ও তার সাবালক হওয়ার আগেই বা এর কাছাকাছি সময়ে যেমন—সাত-দশ বছর বা অনূর্ধ্ব বারো বছরের মধ্যে খতনা করে নেওয়া উত্তম। আর কোনো কারণে সাবালক হওয়ার আগে খতনা না করলে অথবা প্রাপ্তবয়স্ক কেউ ইসলাম গ্রহণ করলে তার জন্যও খতনা করা আবশ্যক। ইবনে শিহাব যুহরি (রহ.) বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি যখন ইসলাম গ্রহণ করত, তখন বড় হলেও তাকে খতনা করার আদেশ করা হতো।’ (আল-আদাবুল মুফরাদ) 

লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিজের প্রস্রাব পান করে ‘আশিকি’ অভিনেত্রী অনু আগারওয়াল বললেন, ‘আহা অমৃত’

মে. জে. ফজলুরের সেভেন সিস্টার্স দখলের মন্তব্য সমর্থন করে না সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা-ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত