সম্পাদকীয়
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেই চলছে তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে অস্থির হয়ে পড়ছে জনজীবন। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসরবরাহের যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আর রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, ঢাকা শহরে কম হলেও গত কয়েক দিন গ্রামাঞ্চলে দীর্ঘ সময় ধরে লোডশেডিং হচ্ছে।
ইফতার ও সাহ্রির সময়ও অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ থাকছে না। একবার গেলে টানা দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ আসছে না। প্রচণ্ড গরমে বারবার বিদ্যুৎ-বিভ্রাটে জনজীবনে দেখা দিয়েছে চরম অস্বস্তি। বিঘ্নিত হচ্ছে সেচসহ স্বাভাবিক কার্যক্রম।
আজকের পত্রিকায় শুক্রবার ‘গ্রীষ্মের আগেই লোডশেডিং, রাজধানীর বাইরে ব্যাপক’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, গ্রীষ্ম না এলেও চৈত্রের শেষে বেড়েছে গরম। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে তীব্র লোডশেডিং। রাজধানী ঢাকায় লোডশেডিংয়ের পরিমাণ কম হলেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর পরিমাণ ব্যাপক। উপজেলা পর্যায়ে কোথাও কোথাও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। মধ্যরাতেও লোডশেডিং হচ্ছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্র বলছে, দেশে ও দেশের বাইরে দেড় শতাধিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনক্ষমতা ২৬ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। তবে সন্ধ্যায় পিক আওয়ারে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ৫০০ থেকে ১৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ১৩ থেকে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে লোডশেডিং করে ঘাটতি পূরণ করা হচ্ছে। সাগরে সামিট গ্রুপের ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল সংস্কার শেষ হলে সেখান থেকে শিগগির গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে। ফলে দুই-তিন দিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতির উন্নতি হবে, নাকি লোডশেডিং আরও বাড়বে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা যাচ্ছে উদ্বেগ। দেশজুড়ে এখন মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। তখন কি ভোগান্তি আরও বাড়বে না?
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে দিনে অন্তত ২৩২ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ হচ্ছে ১০০ কোটি ঘনফুট। পেট্রোবাংলার কাছে গ্রীষ্মের জন্য অন্তত ১৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস চেয়েছে পিডিবি। তেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা ৬ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। খরচ বেশি বলে এগুলো কম চালানো হয়। তবে গরমে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় চালানো হচ্ছে এসব কেন্দ্রও। এতে খরচ বেড়ে গেছে। আবার রয়েছে জ্বালানি-সংকটও।
এই যে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বাড়িয়ে রাজধানীর জন্য বেশি সরবরাহ, এই কৌশলটি কতটুকু সমর্থনযোগ্য? এই বৈষম্যের কারণ কী? যাঁরা গ্রামে থাকেন, তাঁদের গরম লাগে না? একই দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে এই দ্বিমুখী নীতি কেন—এই প্রশ্নের জবাব কে দেবে?
বিদ্যুৎক্ষেত্রে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ যেমন আছে, তেমনি সরকারের পরিকল্পনায়ও গলদ আছে বলে মনে করা হয়। এই সব সংকট সমাধানের জন্য বাস্তবমুখী উদ্যোগ নেওয়াটাই এখন জরুরি।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেই চলছে তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে অস্থির হয়ে পড়ছে জনজীবন। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসরবরাহের যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আর রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, ঢাকা শহরে কম হলেও গত কয়েক দিন গ্রামাঞ্চলে দীর্ঘ সময় ধরে লোডশেডিং হচ্ছে।
ইফতার ও সাহ্রির সময়ও অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ থাকছে না। একবার গেলে টানা দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ আসছে না। প্রচণ্ড গরমে বারবার বিদ্যুৎ-বিভ্রাটে জনজীবনে দেখা দিয়েছে চরম অস্বস্তি। বিঘ্নিত হচ্ছে সেচসহ স্বাভাবিক কার্যক্রম।
আজকের পত্রিকায় শুক্রবার ‘গ্রীষ্মের আগেই লোডশেডিং, রাজধানীর বাইরে ব্যাপক’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, গ্রীষ্ম না এলেও চৈত্রের শেষে বেড়েছে গরম। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে তীব্র লোডশেডিং। রাজধানী ঢাকায় লোডশেডিংয়ের পরিমাণ কম হলেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর পরিমাণ ব্যাপক। উপজেলা পর্যায়ে কোথাও কোথাও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। মধ্যরাতেও লোডশেডিং হচ্ছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্র বলছে, দেশে ও দেশের বাইরে দেড় শতাধিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনক্ষমতা ২৬ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। তবে সন্ধ্যায় পিক আওয়ারে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ৫০০ থেকে ১৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ১৩ থেকে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে লোডশেডিং করে ঘাটতি পূরণ করা হচ্ছে। সাগরে সামিট গ্রুপের ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল সংস্কার শেষ হলে সেখান থেকে শিগগির গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে। ফলে দুই-তিন দিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতির উন্নতি হবে, নাকি লোডশেডিং আরও বাড়বে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা যাচ্ছে উদ্বেগ। দেশজুড়ে এখন মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। তখন কি ভোগান্তি আরও বাড়বে না?
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে দিনে অন্তত ২৩২ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ হচ্ছে ১০০ কোটি ঘনফুট। পেট্রোবাংলার কাছে গ্রীষ্মের জন্য অন্তত ১৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস চেয়েছে পিডিবি। তেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা ৬ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। খরচ বেশি বলে এগুলো কম চালানো হয়। তবে গরমে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় চালানো হচ্ছে এসব কেন্দ্রও। এতে খরচ বেড়ে গেছে। আবার রয়েছে জ্বালানি-সংকটও।
এই যে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বাড়িয়ে রাজধানীর জন্য বেশি সরবরাহ, এই কৌশলটি কতটুকু সমর্থনযোগ্য? এই বৈষম্যের কারণ কী? যাঁরা গ্রামে থাকেন, তাঁদের গরম লাগে না? একই দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে এই দ্বিমুখী নীতি কেন—এই প্রশ্নের জবাব কে দেবে?
বিদ্যুৎক্ষেত্রে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ যেমন আছে, তেমনি সরকারের পরিকল্পনায়ও গলদ আছে বলে মনে করা হয়। এই সব সংকট সমাধানের জন্য বাস্তবমুখী উদ্যোগ নেওয়াটাই এখন জরুরি।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫