Ajker Patrika

রসে টইটম্বুর আর মচমচে ব্রিটিশ আমলের জিলাপি

রাজশাহী প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ৫৩
রসে টইটম্বুর আর মচমচে ব্রিটিশ আমলের জিলাপি

ভেতরটা রসে টইটম্বুর। আর বাইরের অংশটি মচমচে। স্বাদ যেন অমৃত! ব্রিটিশ আমল থেকেই এমন জিলাপি বিক্রি করে রাজশাহীর একটি দোকান। রোজায় ইফতারের জন্য দোকানটির জিলাপির চাহিদা বেড়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দোকানটির নাম ‘শামীম সুইটস’। রাজশাহী মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেববাজার বড় মসজিদের পাশের এই দোকানে এখন দুপুরের পর থেকেই জিলাপি কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ।

এখানে এক থেকে দেড় কেজি ওজনের একেকটি জিলাপি রোজাদারদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ। পুরোটা না কিনলেও ভেঙে ভেঙে কিনে নিয়ে যান তাঁরা। সম্প্রতি দোকানটিতে গিয়ে দেখা যায়, কারিগর মো. জয়নাল জিলাপি ভাজতে ব্যস্ত।

বলছেন, প্রায় ১৫ বছর ধরে এখানে কাজ করছেন তিনি। আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে বলে এখানকার জিলাপির চাহিদা বেশি। একশ্রেণির ক্রেতার ইফতার হয় না এখানকার জিলাপি ছাড়া। বছরের পর বছর একই স্বাদের জিলাপি হয় এখানে। দোকানের বয়স কত তা বলতে পারলেন না এখনকার মালিকদের অন্যতম আলমগীর কবীর। বললেন, এটা ব্রিটিশ আমলের দোকান। কয়েকবার মালিকানা বদল হয়েছে। তাঁর দাদা আজগর শাহ শেষবার দোকানটি কিনেছিলেন প্রায় ৭০ বছর আগে। তখন তিনি তাঁর ছোট ছেলে শামীমের নামে দোকানের নামকরণ করেন। আজগর শাহের পর তাঁর ছেলে মনসুর আলী, মনজুর আলী, আবদুস সেলিম, মো. মনির ও মো. শামীম দোকানটি চালিয়েছেন। এখন তাঁদের ছেলেরা চালাচ্ছেন। আলমগীর জানালেন, অন্য দোকানের চেয়ে এখানে জিলাপির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেশি। এখন তাঁরা বিক্রি করছেন ১৬০ টাকা কেজিতে। বছরের অন্য সময় ৫০ থেকে ৬০ কেজি জিলাপি বিক্রি হয় প্রতিদিন। রমজানের প্রতিদিন বিক্রি হয় ৮০ থেকে ৯০ কেজি। আলাদা স্বাদ ও বৈশিষ্ট্য আছে বলে এ জিলাপির কদর বেশি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষার্থীদের ‘কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে’ সপরিবারে পালিয়েছেন বিএসবির বাশার

পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে ‘প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের’ নির্দেশ

কাশ্মীরে বিধ্বস্ত বিমানের অংশবিশেষ ফরাসি কোম্পানির তৈরি, হতে পারে রাফাল

সীমান্তে সাদা পতাকা উড়িয়ে আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত: পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী

পাকিস্তানে হামলায় ‘লোইটারিং মিউনিশনস’ ব্যবহারের দাবি ভারতের, এটি কীভাবে কাজ করে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত