Ajker Patrika

ইনশা আল্লাহ বলার তাৎপর্য

মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২২, ১৫: ২৪
ইনশা আল্লাহ  বলার তাৎপর্য

সৃষ্টিজগতের সবকিছুই মহান আল্লাহর নিয়ন্ত্রণাধীন। তাই ভবিষ্যতের সব কাজে তাঁর ইচ্ছার ওপর নির্ভর করাই স্রষ্টার প্রতি সৃষ্টির শিষ্টাচার। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া তোমরা অন্য কোনো ইচ্ছা পোষণ করতে পারো না। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা দাহর: ৩০) কাজেই ভবিষ্যতে কোনো কাজ করার বা হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করার সময় ‘ইনশা আল্লাহ’ তথা ‘যদি আল্লাহ চান’ বলা উত্তম।

ইনশা আল্লাহ না বললে আল্লাহ রাগান্বিত হন। একবার ইহুদিরা মহানবী (সা.)-এর কাছে কয়েকটি বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আগামীকাল উত্তর দেব।’ এ সময় ইনশা আল্লাহ বলতে ভুলে যান। ফলে বেশ কয়েক দিন অহি স্থগিত থাকে। এতে মহানবী (সা.) খুবই চিন্তিত হন। পরে আল্লাহ অহি পাঠান এবং তাঁকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ বলা ছাড়া কখনো তুমি কোনো বিষয়ে বলবে না যে ‘আমি তা আগামীকাল করব’।’ (সুরা কাহফ: ২৩-২৪)

ইনশা আল্লাহ বলা নবীগণের সুন্নত। মুসা (আ.) খিজির (আ.)-কে বলেছিলেন, ‘ইনশা আল্লাহ, আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন।’ (সুরা কাহফ: ৬৯) ইসমাইল (আ.) ইবরাহিম (আ.)-কে বলেছিলেন, ‘ইনশা আল্লাহ, আপনি আমাকে অন্যতম ধৈর্যশীল হিসেবে পাবেন।’ (সুরা সাফফাত: ১০২) এক সাহাবি মহানবী (সা.)-কে নিজের বাড়িতে গিয়ে নামাজ পড়ার আবদার করলে তিনি বলেন, ‘ঠিক আছে, ইনশা আল্লাহ।’ (বুখারি ও মুসলিম)

ইনশা আল্লাহর বরকতে অনেক সময় কল্পিত বিষয়টি বাস্তবতার মুখ দেখে। সুরা বাকারায় বর্ণিত বনি ইসরাইলের গাভি জবাইয়ের ঘটনা তাঁর বাস্তব প্রমাণ। ইনশা আল্লাহ বলার পরই তারা গাভি খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছিল।

মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অপারেশন সিঁদুরে নিহত প্রায় দেড় শ সেনার তালিকা প্রকাশ করে মুছে ফেলল পাকিস্তানি টিভি

এনবিআর কর্মকর্তার কাণ্ড: কৃত্রিম অঙ্গের ঘোষণা দিয়ে ৪৫০ টন গয়না আমদানি

ঢাবিতে পাঁচ প্যানেলে ভোটের যুদ্ধ

দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এনসিপির মাহিন সরকারকে বহিষ্কার

তারা বড় হলে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে লজ্জিত হবে: সেনাপ্রধান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত