ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা
নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অভাবে হত্যা, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, ইভ টিজিং, সুদ-ঘুষ, দুর্নীতির মতো ভয়াবহ অপরাধগুলো সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। নৈতিক অবক্ষয় থেকে সামাজিক বিপর্যয় তৈরি হয়। তরুণ প্রজন্ম নেশা, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে ধর্মের প্রকৃত অনুশীলন অন্তরে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলার মাধ্যমে সুপ্ত মানবিক আচরণগুলো সক্রিয় করে তোলে। ফলে মানুষ আরও মানবিক হয়ে ওঠে।
ইমান
ইসলামি মূল্যবোধের প্রথম বিষয়ই হলো ইমান, যার সম্পর্ক বিশ্বাসের সঙ্গে। ইমান হলো—আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস করা। তিনিই সবকিছুর মালিক, স্রষ্টা ও জগৎসমূহের প্রতিপালক। মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ রাসুল। কোরআন সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব। অগণিত ফেরেশতা আল্লাহর নির্দেশে পৃথিবীর ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত আছেন। সবকিছুই আল্লাহর ইচ্ছায় বাস্তবায়িত হয়। ভাগ্যের ভালো-মন্দ আল্লাহর পক্ষ থেকেই হয়ে থাকে। মৃত্যুর পর রয়েছে পরকালীন জীবন—আখিরাত। সেখানে রয়েছে পুনরুত্থান, হিসাব-নিকাশ এবং প্রতিদান। পুনরুত্থানের পর সবাইকে মহান আল্লাহর সামনে উপস্থিত হতে হবে। অত্যন্ত নিখুঁতভাবে জীবনের প্রতি পদক্ষেপের হিসাব হবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘কিয়ামতের দিন আমি স্থাপন করব ন্যায়বিচারের মানদণ্ড। সুতরাং কারও প্রতি কোনো অবিচার করা হবে না এবং কর্ম যদি তিল পরিমাণ ওজনেরও হয়, তবুও তা আমি উপস্থিত করব; হিসাব গ্রহণকারীরূপে আমিই যথেষ্ট।’ (সুরা আম্বিয়া: ৪৭)
বাস্তবজীবনে পরকালে বিশ্বাসী ইমানদার মানুষ সততা, নিষ্ঠা, ন্যায়পরায়ণতা ও আমানতদারির সঙ্গে সংযত জীবন যাপন করে। ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার চাওয়া-পাওয়ার চেয়ে চিরস্থায়ী পরকালের বিষয়কে প্রাধান্য দেয়। সহজে অন্যকে নিজের চেয়ে অগ্রাধিকার দিতে পারে। এভাবেই বিকশিত হয় মানবিক গুণাবলি। আসলে পরকালের বিশ্বাস মানবজীবনের গতিই পাল্টে দেয় এবং সব ধরনের গর্হিত আচরণ থেকে অত্যন্ত কার্যকরভাবে বিরত রাখে। এ বিশ্বাসের মাধ্যমেই মূলত মুসলমানেরা অন্যান্য জাতির তুলনায় একটি অনন্যবৈশিষ্ট্যপূর্ণ আসনে উত্তীর্ণ হয়। পরকাল-চিন্তায় উৎসাহিত করে আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ, আল্লাহকে ভয় করো, প্রত্যেকেই ভেবে দেখুক আগামীকালের জন্য সে কী অগ্রিম পাঠিয়েছে। আর আল্লাহকে ভয় করো, তোমরা যা করো আল্লাহ সে সম্পর্কে অবহিত।’ (সুরা হাশর: ১৮)
ইবাদত
জীবনে ধর্মের অনুশীলন খুবই প্রয়োজন। শুধু ধন-সম্পদ ও সামাজিক মর্যাদা মানুষের আত্মার প্রশান্তি, সুন্দর জীবন ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারে না; বরং এগুলো ক্রমান্বয়ে মানুষকে বিলাসী করে তোলে। একসময় বিলাসিতা অতিবিলাসিতায় পৌঁছে যায়। ফলে অনেকের মানবিকতা হারিয়ে যায়। তখনই ধন-সম্পদ ও পদের অপব্যবহার হয়। কিন্তু একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত মানুষকে সংযত করে। নৈতিকতা ও মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলে। অন্যায়-অবিচার করার প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করে। এ জন্য আল্লাহ বলেন, ‘প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদের মোহাচ্ছন্ন রাখে। যতক্ষণ না তোমরা কবরে উপনীত হও। এটা সংগত নয়, তোমরা শিগগিরই তা জানতে পারবে।’ (সুরা তাকাসুর: ১-৩)
নামাজ
ইসলামের অন্যতম প্রধান ইবাদত হলো নামাজ। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। নিয়মিত নামাজ আদায় মানুষকে পরিচ্ছন্ন করে। নিজের মানবিকতা বিসর্জন দিয়ে ধন-সম্পদ ও পদের অপব্যবহার, অন্যায়, অবিচার, পাপাচার থেকে বাধা দেয়। মনের প্রশান্তি নিশ্চিত করে। এমন না হলে প্রকৃত নামাজি হওয়া যায় না। আল্লাহ বলেন, ‘এবং নামাজ কায়েম করো। নামাজ অবশ্যই বিরত রাখে অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে। আর আল্লাহর স্মরণই তো সর্বশ্রেষ্ঠ।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
রোজা
রমজান মাসজুড়ে রোজা রাখা ফরজ। রমজান ধৈর্য ও সহানুভূতির মাস। গরিব-দুঃখী ও অসহায় মানুষেরা বিভিন্ন সময় ক্ষুধা ও তৃষ্ণার কষ্ট সহ্য করে। রোজার মাধ্যমে রোজাদার তা উপলব্ধির সুযোগ পান। অন্যের দুঃখ-কষ্ট বোঝার অনুভূতি সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে রোজা মানুষের যৌন প্রবৃত্তি নিবৃত্ত করে সংযত হতে শেখায়। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের বলেছেন, ‘হে যুবসম্প্রদায়, তোমাদের মধ্যে যে সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে। কারণ, বিয়ে দৃষ্টি অবনমিত করে এবং লজ্জাস্থান হেফাজত করে। আর যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন রোজা পালন করে। কারণ রোজা যৌন প্রবৃত্তি নিবৃত্ত করে।’ (বুখারি: ২৬৮৫; মুসলিম: ৩৪৬৬)
জাকাত
জাকাত ইসলামের মৌলিক আর্থিক ইবাদত। জাকাত সম্পদ ও মনের পরিশুদ্ধি নিশ্চিত করে। জাকাত দেওয়ার মাধ্যমে সম্পদ জমানোর লোভ ত্যাগ করা হয়, আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ পায় এবং সম্পদকে একান্তই নিজের মনে করার প্রবণতা দূর হয়। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো ও জাকাত আদায় করো, তোমরা নিজের জন্য আগে যে সৎ কাজ পাঠাবে, তা আল্লাহর কাছে পাবে। তোমরা যা কিছু করো, আল্লাহ তা দেখেন।’ (সুরা বাকারা: ১১০) ধনীর সম্পদে গরিবের অধিকার রয়েছে। এ জন্য জাকাতদাতাদের নিজ দায়িত্বে জাকাতের সম্পদ জাকাত গ্রহীতাদের কাছে পৌঁছে দিতে হয়। আল্লাহ বলেন, ‘এবং তাদের ধন-সম্পদে রয়েছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের অধিকার।’ (সুরা যারিয়াত: ১৯)
হজ
হজের মাধ্যমে বিশ্বভ্রাতৃত্ব গড়ে ওঠে। সবাই এক আল্লাহর বান্দা হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পায়। প্রকাশ পায় যে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ নেই। সাদা-কালো, আরব-অনারব সবাই সমান। এর চেয়ে বড় মানবিকতার অনুভূতি আর কী হতে পারে!
এভাবে সব ইবাদত মানুষের পরকালীন জীবনকে সাফল্যমণ্ডিত করার পাশাপাশি পার্থিব জীবনকেও মানবিকতায় ভরে তোলে। নতুন প্রজন্মের মধ্যে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ জাগ্রত করতে পরিবারে ধর্মচর্চার পরিবেশ বজায় রাখা একান্ত জরুরি। এতে পরিবারের সদস্যদের জন্য ধর্মীয় বিধিনিষেধ পালন করা সহজ হয়। সন্তানেরাও দীনি আবহে বেড়ে ওঠায় তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ, আনুগত্য, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ তৈরি হয়। এভাবে পারিবারিক অবকাঠামো গড়ে তোলার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় ইসলাম ও নৈতিকতাকে গুরুত্ব দিলে এবং ধর্মচর্চা আবশ্যক করা হলে সর্বদাই নৈতিকতা ও মূল্যবোধ জাগ্রত থাকবে। ফলে মানবতাবোধসম্পন্ন একটি আলোকিত সমাজ গঠিত হবে।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অভাবে হত্যা, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, ইভ টিজিং, সুদ-ঘুষ, দুর্নীতির মতো ভয়াবহ অপরাধগুলো সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। নৈতিক অবক্ষয় থেকে সামাজিক বিপর্যয় তৈরি হয়। তরুণ প্রজন্ম নেশা, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে ধর্মের প্রকৃত অনুশীলন অন্তরে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলার মাধ্যমে সুপ্ত মানবিক আচরণগুলো সক্রিয় করে তোলে। ফলে মানুষ আরও মানবিক হয়ে ওঠে।
ইমান
ইসলামি মূল্যবোধের প্রথম বিষয়ই হলো ইমান, যার সম্পর্ক বিশ্বাসের সঙ্গে। ইমান হলো—আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস করা। তিনিই সবকিছুর মালিক, স্রষ্টা ও জগৎসমূহের প্রতিপালক। মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ রাসুল। কোরআন সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব। অগণিত ফেরেশতা আল্লাহর নির্দেশে পৃথিবীর ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত আছেন। সবকিছুই আল্লাহর ইচ্ছায় বাস্তবায়িত হয়। ভাগ্যের ভালো-মন্দ আল্লাহর পক্ষ থেকেই হয়ে থাকে। মৃত্যুর পর রয়েছে পরকালীন জীবন—আখিরাত। সেখানে রয়েছে পুনরুত্থান, হিসাব-নিকাশ এবং প্রতিদান। পুনরুত্থানের পর সবাইকে মহান আল্লাহর সামনে উপস্থিত হতে হবে। অত্যন্ত নিখুঁতভাবে জীবনের প্রতি পদক্ষেপের হিসাব হবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘কিয়ামতের দিন আমি স্থাপন করব ন্যায়বিচারের মানদণ্ড। সুতরাং কারও প্রতি কোনো অবিচার করা হবে না এবং কর্ম যদি তিল পরিমাণ ওজনেরও হয়, তবুও তা আমি উপস্থিত করব; হিসাব গ্রহণকারীরূপে আমিই যথেষ্ট।’ (সুরা আম্বিয়া: ৪৭)
বাস্তবজীবনে পরকালে বিশ্বাসী ইমানদার মানুষ সততা, নিষ্ঠা, ন্যায়পরায়ণতা ও আমানতদারির সঙ্গে সংযত জীবন যাপন করে। ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার চাওয়া-পাওয়ার চেয়ে চিরস্থায়ী পরকালের বিষয়কে প্রাধান্য দেয়। সহজে অন্যকে নিজের চেয়ে অগ্রাধিকার দিতে পারে। এভাবেই বিকশিত হয় মানবিক গুণাবলি। আসলে পরকালের বিশ্বাস মানবজীবনের গতিই পাল্টে দেয় এবং সব ধরনের গর্হিত আচরণ থেকে অত্যন্ত কার্যকরভাবে বিরত রাখে। এ বিশ্বাসের মাধ্যমেই মূলত মুসলমানেরা অন্যান্য জাতির তুলনায় একটি অনন্যবৈশিষ্ট্যপূর্ণ আসনে উত্তীর্ণ হয়। পরকাল-চিন্তায় উৎসাহিত করে আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ, আল্লাহকে ভয় করো, প্রত্যেকেই ভেবে দেখুক আগামীকালের জন্য সে কী অগ্রিম পাঠিয়েছে। আর আল্লাহকে ভয় করো, তোমরা যা করো আল্লাহ সে সম্পর্কে অবহিত।’ (সুরা হাশর: ১৮)
ইবাদত
জীবনে ধর্মের অনুশীলন খুবই প্রয়োজন। শুধু ধন-সম্পদ ও সামাজিক মর্যাদা মানুষের আত্মার প্রশান্তি, সুন্দর জীবন ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারে না; বরং এগুলো ক্রমান্বয়ে মানুষকে বিলাসী করে তোলে। একসময় বিলাসিতা অতিবিলাসিতায় পৌঁছে যায়। ফলে অনেকের মানবিকতা হারিয়ে যায়। তখনই ধন-সম্পদ ও পদের অপব্যবহার হয়। কিন্তু একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত মানুষকে সংযত করে। নৈতিকতা ও মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলে। অন্যায়-অবিচার করার প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করে। এ জন্য আল্লাহ বলেন, ‘প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদের মোহাচ্ছন্ন রাখে। যতক্ষণ না তোমরা কবরে উপনীত হও। এটা সংগত নয়, তোমরা শিগগিরই তা জানতে পারবে।’ (সুরা তাকাসুর: ১-৩)
নামাজ
ইসলামের অন্যতম প্রধান ইবাদত হলো নামাজ। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। নিয়মিত নামাজ আদায় মানুষকে পরিচ্ছন্ন করে। নিজের মানবিকতা বিসর্জন দিয়ে ধন-সম্পদ ও পদের অপব্যবহার, অন্যায়, অবিচার, পাপাচার থেকে বাধা দেয়। মনের প্রশান্তি নিশ্চিত করে। এমন না হলে প্রকৃত নামাজি হওয়া যায় না। আল্লাহ বলেন, ‘এবং নামাজ কায়েম করো। নামাজ অবশ্যই বিরত রাখে অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে। আর আল্লাহর স্মরণই তো সর্বশ্রেষ্ঠ।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
রোজা
রমজান মাসজুড়ে রোজা রাখা ফরজ। রমজান ধৈর্য ও সহানুভূতির মাস। গরিব-দুঃখী ও অসহায় মানুষেরা বিভিন্ন সময় ক্ষুধা ও তৃষ্ণার কষ্ট সহ্য করে। রোজার মাধ্যমে রোজাদার তা উপলব্ধির সুযোগ পান। অন্যের দুঃখ-কষ্ট বোঝার অনুভূতি সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে রোজা মানুষের যৌন প্রবৃত্তি নিবৃত্ত করে সংযত হতে শেখায়। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের বলেছেন, ‘হে যুবসম্প্রদায়, তোমাদের মধ্যে যে সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে। কারণ, বিয়ে দৃষ্টি অবনমিত করে এবং লজ্জাস্থান হেফাজত করে। আর যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন রোজা পালন করে। কারণ রোজা যৌন প্রবৃত্তি নিবৃত্ত করে।’ (বুখারি: ২৬৮৫; মুসলিম: ৩৪৬৬)
জাকাত
জাকাত ইসলামের মৌলিক আর্থিক ইবাদত। জাকাত সম্পদ ও মনের পরিশুদ্ধি নিশ্চিত করে। জাকাত দেওয়ার মাধ্যমে সম্পদ জমানোর লোভ ত্যাগ করা হয়, আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ পায় এবং সম্পদকে একান্তই নিজের মনে করার প্রবণতা দূর হয়। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো ও জাকাত আদায় করো, তোমরা নিজের জন্য আগে যে সৎ কাজ পাঠাবে, তা আল্লাহর কাছে পাবে। তোমরা যা কিছু করো, আল্লাহ তা দেখেন।’ (সুরা বাকারা: ১১০) ধনীর সম্পদে গরিবের অধিকার রয়েছে। এ জন্য জাকাতদাতাদের নিজ দায়িত্বে জাকাতের সম্পদ জাকাত গ্রহীতাদের কাছে পৌঁছে দিতে হয়। আল্লাহ বলেন, ‘এবং তাদের ধন-সম্পদে রয়েছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের অধিকার।’ (সুরা যারিয়াত: ১৯)
হজ
হজের মাধ্যমে বিশ্বভ্রাতৃত্ব গড়ে ওঠে। সবাই এক আল্লাহর বান্দা হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পায়। প্রকাশ পায় যে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ নেই। সাদা-কালো, আরব-অনারব সবাই সমান। এর চেয়ে বড় মানবিকতার অনুভূতি আর কী হতে পারে!
এভাবে সব ইবাদত মানুষের পরকালীন জীবনকে সাফল্যমণ্ডিত করার পাশাপাশি পার্থিব জীবনকেও মানবিকতায় ভরে তোলে। নতুন প্রজন্মের মধ্যে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ জাগ্রত করতে পরিবারে ধর্মচর্চার পরিবেশ বজায় রাখা একান্ত জরুরি। এতে পরিবারের সদস্যদের জন্য ধর্মীয় বিধিনিষেধ পালন করা সহজ হয়। সন্তানেরাও দীনি আবহে বেড়ে ওঠায় তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ, আনুগত্য, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ তৈরি হয়। এভাবে পারিবারিক অবকাঠামো গড়ে তোলার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় ইসলাম ও নৈতিকতাকে গুরুত্ব দিলে এবং ধর্মচর্চা আবশ্যক করা হলে সর্বদাই নৈতিকতা ও মূল্যবোধ জাগ্রত থাকবে। ফলে মানবতাবোধসম্পন্ন একটি আলোকিত সমাজ গঠিত হবে।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১৪ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫