অর্চি হক, ঢাকা
‘মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে’—বহুল প্রচলিত এই প্রবাদ এবার খাটেনি। মাঘ তীব্র শীতের মাস হলেও উত্তরাঞ্চল ছাড়া দেশের বেশির ভাগ এলাকায় শীত তেমন অনুভূত হয়নি। রাজধানী ঢাকায় তো গরম ভাব কাটাতে ফ্যান-এসি চালিয়েছেন কেউ কেউ। এই ব্যতিক্রমী মাঘ মাস বিদায় নিচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, জেট উইন্ড বা ঊর্ধ্ব আকাশের হিমেল হাওয়া এবার নিচে নামতে না পারায় এবং আর্দ্রতা বেশি থাকায় এবার মাঘের শীত ‘হুল’ ফোটাতে পারেনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেছেন, ২০০২ সালের পর এবারই শীতের তীব্রতা ছিল সবচেয়ে কম। মাঘেও শীতের দাপট নেই। এবার ছিল উষ্ণ শীতকাল। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, শীতকালের সঙ্গে জেট উইন্ড বা ঊর্ধ্ব আকাশের হিমেল হাওয়া জড়িত। জেট উইন্ড ভূপৃষ্ঠের ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার ফুট ওপরে থাকে। শীতে তা নিচে নেমে আসে।
এ বছর এই জেট উইন্ড নিচে নামতে পারেনি। পশ্চিমা লঘুচাপও এই অঞ্চলে আসতে পারেনি। পুরো অঞ্চলে আর্দ্রতা বেশি থাকায় তাপমাত্রা কমেনি।
বজলুর রশীদ বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপ এলে বৃষ্টি হয়ে আর্দ্রতা কেটে যেত। সে ক্ষেত্রে হিমেল হাওয়া নিচের দিকে নামতে পারত। পুরো জানুয়ারিতে এক বা দুই মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থা সর্বশেষ ২০০২ সালে ছিল।
জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে মাঘ শুরু হয়। শেষ হয় মধ্য ফেব্রুয়ারিতে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে স্বাভাবিক সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছরের জানুয়ারির গড় তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা স্বাভাবিকের চেয়ে খানিকটা বেশি। গত বছরের জানুয়ারিতে গড় তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘আমাদের দেশের হিসাবে এবার মাঘ উষ্ণ মাস। কারণ, এ বছর মাঘে কোনো তীব্র বা অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হয়নি। সেই বিবেচনায় ১৯৪৮ সালের পর থেকে এ বছর মাঘ উষ্ণতম।’
টানা তিন দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ দশমিক ১ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তাকে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ ও ২০২২ সালে মাঘে তিনটি করে, ২০২৩ সালে একটি এবং ২০২৪ সালে চারটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হয়েছিল। কিন্তু এ বছর এখনো একটিও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আসেনি। এতে মাঘে শীতের প্রকোপ অনুভূত হয়নি। এ ছাড়া দিনের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর কম হলে শীত বেড়ে যায়। কিন্তু এই মাঘে তেমন হয়েছে খুব কম।
আবহাওয়াবিদেরা জানান, মাঘে শীত কমে যাওয়া জলবায়ু পরিবর্তনের ইঙ্গিত। এর ফলে কৃষি, জনস্বাস্থ্যসহ নানা দিকে সংকটের শঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ নাইমা বাতেন বলেন, সারা পৃথিবীতেই তাপমাত্রা বাড়ছে। সে কারণে শীতের তীব্রতা কম অনুভূত হচ্ছে। তবে এ বছর কম শীত অনুভূত হয়েছে বলে আগামী বছর আরও কমবে, এটা বলা যাবে না।
‘মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে’—বহুল প্রচলিত এই প্রবাদ এবার খাটেনি। মাঘ তীব্র শীতের মাস হলেও উত্তরাঞ্চল ছাড়া দেশের বেশির ভাগ এলাকায় শীত তেমন অনুভূত হয়নি। রাজধানী ঢাকায় তো গরম ভাব কাটাতে ফ্যান-এসি চালিয়েছেন কেউ কেউ। এই ব্যতিক্রমী মাঘ মাস বিদায় নিচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, জেট উইন্ড বা ঊর্ধ্ব আকাশের হিমেল হাওয়া এবার নিচে নামতে না পারায় এবং আর্দ্রতা বেশি থাকায় এবার মাঘের শীত ‘হুল’ ফোটাতে পারেনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেছেন, ২০০২ সালের পর এবারই শীতের তীব্রতা ছিল সবচেয়ে কম। মাঘেও শীতের দাপট নেই। এবার ছিল উষ্ণ শীতকাল। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, শীতকালের সঙ্গে জেট উইন্ড বা ঊর্ধ্ব আকাশের হিমেল হাওয়া জড়িত। জেট উইন্ড ভূপৃষ্ঠের ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার ফুট ওপরে থাকে। শীতে তা নিচে নেমে আসে।
এ বছর এই জেট উইন্ড নিচে নামতে পারেনি। পশ্চিমা লঘুচাপও এই অঞ্চলে আসতে পারেনি। পুরো অঞ্চলে আর্দ্রতা বেশি থাকায় তাপমাত্রা কমেনি।
বজলুর রশীদ বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপ এলে বৃষ্টি হয়ে আর্দ্রতা কেটে যেত। সে ক্ষেত্রে হিমেল হাওয়া নিচের দিকে নামতে পারত। পুরো জানুয়ারিতে এক বা দুই মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থা সর্বশেষ ২০০২ সালে ছিল।
জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে মাঘ শুরু হয়। শেষ হয় মধ্য ফেব্রুয়ারিতে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে স্বাভাবিক সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছরের জানুয়ারির গড় তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা স্বাভাবিকের চেয়ে খানিকটা বেশি। গত বছরের জানুয়ারিতে গড় তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘আমাদের দেশের হিসাবে এবার মাঘ উষ্ণ মাস। কারণ, এ বছর মাঘে কোনো তীব্র বা অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হয়নি। সেই বিবেচনায় ১৯৪৮ সালের পর থেকে এ বছর মাঘ উষ্ণতম।’
টানা তিন দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ দশমিক ১ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তাকে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ ও ২০২২ সালে মাঘে তিনটি করে, ২০২৩ সালে একটি এবং ২০২৪ সালে চারটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হয়েছিল। কিন্তু এ বছর এখনো একটিও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আসেনি। এতে মাঘে শীতের প্রকোপ অনুভূত হয়নি। এ ছাড়া দিনের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর কম হলে শীত বেড়ে যায়। কিন্তু এই মাঘে তেমন হয়েছে খুব কম।
আবহাওয়াবিদেরা জানান, মাঘে শীত কমে যাওয়া জলবায়ু পরিবর্তনের ইঙ্গিত। এর ফলে কৃষি, জনস্বাস্থ্যসহ নানা দিকে সংকটের শঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ নাইমা বাতেন বলেন, সারা পৃথিবীতেই তাপমাত্রা বাড়ছে। সে কারণে শীতের তীব্রতা কম অনুভূত হচ্ছে। তবে এ বছর কম শীত অনুভূত হয়েছে বলে আগামী বছর আরও কমবে, এটা বলা যাবে না।
আজ ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার, সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ এ অঞ্চলের আকাশ মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ ছাড়া দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে...
২০ ঘণ্টা আগেবায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ১৫ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১১০, যা সংবেদনশীল স্বাস্থ্যের মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ের বাতাসের নির্দেশক। আজ দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৮ম। গতকাল বুধবার ৯৩ বায়ুমান নিয়ে ১৫ম স্থানে ছিল ঢাকা।
২০ ঘণ্টা আগেঢাকা ও আশপাশের এলাকায় আজ ভোর থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে সারাদিনই। সেই সঙ্গে হতে পারে বজ্রপাতও। আজ বুধবার, সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ দিন আগেঢাকার বাতাস সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও গতকালের তুলনায় বেশ অবনতি হয়েছে আজ। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ১৫ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী আজ বুধবার ঢাকার বায়ুমান ৭২, যা সহনীয় পর্যায়ের বাতাসের নির্দেশক। আজ দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৪৯। গতকাল মঙ্গলবার ৬০ বায়ুমান নিয়ে ৪৯তম স্থানে
২ দিন আগে