আজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুনায়েদ আকতার। ১২ বছর বয়সী এক বালক। তার শরীরে বিষাক্ত সিসা এমনভাবে মিশে গেছে যে, তার শারীরিক বৃদ্ধি থমকে গেছে। দেখলে মনে হয়, তার প্রকৃত বয়সের চেয়ে সে যেন আরও কয়েক বছরের ছোট। জুনায়েদ দক্ষিণ এশিয়ার সেই সাড়ে তিন কোটি শিশুর একজন, যারা বিপজ্জনকভাবে উচ্চ মাত্রার সিসা দূষণের শিকার। আশঙ্কার বিষয় হলো, এই সংখ্যাটি দক্ষিণ এশিয়ার মোট শিশুর প্রায় ৬০ শতাংশ।
জুনায়েদের শারীরিক বৃদ্ধি থমকে যাওয়ার কারণ বহুবিধ। তবে, তার মা এই অসুস্থতার জন্য দায়ী করেন সম্প্রতি বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি কারখানাকে। কারখানাটিতে পুরোনো গাড়ির ব্যাটারি তাড়াহুড়ো করে ভাঙত এবং ভাঙা লেড ব্যাটারির বিভিন্ন অংশকে নানাভাবে পুনর্ব্যবহার করত। এই কারখানাটি জুনায়েদের ছোট্ট গ্রামের বাতাস ও মাটি বিষাক্ত করে তুলেছিল।
জুনায়েদের মা বিথি আকতার এএফপিকে বলেন, ‘রাতে (ব্যাটারির পরিত্যক্ত অংশ পোড়ানো) শুরু হতো, আর পুরো এলাকা ধোঁয়ায় ভরে যেত। শ্বাস নিলে একটা বিশেষ গন্ধ পাওয়া যেত। এর ফলে, এলাকার গাছে মৌসুমি ফলও আর ধরত না। একদিন, আমার খালাতো বোনের বাড়িতে দুটো মরা গরুও খুঁজে পেয়েছিলাম—এই দূষণের কারণে।’
পরীক্ষায় দেখা গেছে, জুনায়েদের রক্তে সিসার মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত সীমার দ্বিগুণেরও বেশি। এই বিষয়টি শিশুদের মধ্যে মারাত্মক এবং সম্ভবত অপরিবর্তনীয় মানসিক দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে। বিথি বলেন, ‘ক্লাস টু থেকেই সে আর আমাদের কথা শুনতে চাইত না, স্কুলে যেতে চাইত না।’ বিথি যখন কথা বলছিলেন, ঠিক সে সময়টিতে জুনায়েদ তাঁর পাশে বসে তাদের বাড়ির উঠোনের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল। বিথি জানান, ছোট বেলায় জুনায়েদ ‘সব সময়ই কান্না করত।’
বাংলাদেশে সিসা দূষণ নতুন কোনো ঘটনা নয় এবং এর কারণও অনেক। এর মধ্যে রয়েছে—সরকারি নিষেধাজ্ঞার পরও রঙে এই ভারী ধাতুর ব্যাপক ও অব্যাহত ব্যবহার। এমনকি হলুদের গুঁড়োতেও এটি ব্যবহার করা হয় কথিত ‘রং ও গুণগত মান বাড়ানোর’ জন্য।
অনেক ক্ষেত্রেই এর জন্য দায়ী করা হয় অনানুষ্ঠানিক ব্যাটারি রিসাইক্লিং বা পুনর্ব্যবহার কারখানাগুলোকে। দেশজুড়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অন্যান্য যানে ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে এসব কারখানা দেশজুড়ে গজিয়ে উঠেছে।
বিপজ্জনক মাত্রার সিসার সংস্পর্শে আসা শিশুদের বুদ্ধি ও অবধারণগত (কগনিটিভ) কার্যকারিতা হ্রাস, রক্তাল্পতা, বামনত্ব এবং আজীবন স্নায়বিক রোগের ঝুঁকিতে থাকে। জুনায়েদদের গ্রামের কারখানাটি স্থানীয়দের অব্যাহত অভিযোগের পর বন্ধ হয়ে যায়।
পরিবেশবাদী সংস্থা পিউর আর্থ মনে করে, দেশে এ ধরনের আরও ২৬৫টি কারখানা থাকতে পারে। সংস্থাটির মিতালি দাস এএফপিকে বলেন, ‘তারা পুরোনো ব্যাটারি ভেঙে সিসা বের করে এবং তা গলিয়ে নতুন ব্যাটারি তৈরি করে। তারা এই প্রক্রিয়ার পুরোটাই সম্পন্ন করে খোলা আকাশের নিচে। এই কার্যক্রমের সময় নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়া ও অ্যাসিড মিশ্রিত পানি বাতাস ও মাটি ও পানি দূষিত করে।’
রাজধানী ঢাকা থেকে কয়েক ঘণ্টার পথ ফুলবাড়িয়া। গ্রামটি রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তরে অবস্থিত। গ্রামটিতে চীনা মালিকানাধীন আরেকটি ব্যাটারি রিসাইক্লিং কারখানার কার্যক্রম পুরোদমে চলছে। একপাশে সবুজ ধানখেত। অন্যদিকে, একটি পাইপ দিয়ে ঘোলাটে পানি মৃতপ্রায় জমির পাশে একটি লবণাক্ত পুকুরে গিয়ে পড়ছে। এই জমিটি পুরু কমলা কাদায় ঢাকা।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ৩৪ বছর বয়সী প্রকৌশলী রাকিব হাসান এএফপিকে বলেন, ‘ছোটবেলায় যখন বাবা মাঠে থাকত, তখন আমি তাঁর জন্য খাবার নিয়ে যেতাম। চারপাশটা ছিল মনোরম, সবুজ, পানি ছিল স্বচ্ছ। কিন্তু এখন দেখুন, এটা কেমন দেখাচ্ছে। এটা মৃত, চিরদিনের জন্য মরে গেছে। তারা আমাদের গ্রামটাকে মেরে ফেলেছে।’
রাকিব হাসান কারখানার দূষণের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, যার ফলে বিচারক সেটিকে অবৈধ ঘোষণা করেন এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধের নির্দেশ দেন। তবে পরে সুপ্রিম কোর্ট সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন। রাকিব হাসান বলেন, ‘কারখানাটি স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে কিনে ফেলেছে। আমাদের দেশ গরিব, অনেক মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত।’
কোম্পানি বা ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাস কেউই কারখানার কার্যক্রমের বিষয়ে এএফপির মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি। বাংলাদেশের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানও এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি কারণ বিষয়টি এখনো আদালতে বিচারাধীন।
তবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বৈদ্যুতিক ব্যাটারির অবৈধ উৎপাদন ও পুনর্ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করি। তবে এই প্রচেষ্টাগুলো প্রায়শই এই ঘটনার ব্যাপ্তির তুলনায় অপ্রতুল।’
বাংলাদেশে অনানুষ্ঠানিক ব্যাটারি পুনর্ব্যবহার একটি ক্রমবর্ধমান ব্যবসা। এর প্রধান কারণ হলো—ব্যাটারিচালিত রিকশার ব্যাপক প্রসারণ। বড় শহর ও গ্রামীণ জনপদে আগে জনপ্রিয় এই রিকশাগুলো প্যাডেলচালিত ছিল। বাংলাদেশের রাস্তায় ৪০ লাখের বেশি রিকশা চলাচল করে এবং কর্তৃপক্ষের অনুমান, সেগুলোতে বৈদ্যুতিক মোটর ও ব্যাটারি লাগানোর বাজার প্রায় ৮৭০ মিলিয়ন ডলারের বা ১০ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকার।
এই বিষয়ে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের মায়া ভ্যানডেনান্ট বলেন, ‘পুরোপুরি বিদ্যুৎ পরিচালিত যানের দিকে যাওয়ার এটাই খারাপ দিক।’ ইউনিসেফ কঠোর নিয়মকানুন ও কর প্রণোদনার মাধ্যমে এই শিল্পকে পরিচ্ছন্ন করার কৌশল নিয়ে কাজ করছে।
মায়া ভ্যানডেনান্ট বলেন, ‘অধিকাংশ মানুষই এর বিপদ সম্পর্কে অবগত নয়।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, জনস্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব জাতীয় অর্থনীতির ৬ দশমিক ৯ শতাংশ ক্ষতি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সতর্ক করে বলেন, দেশ এই সমস্যার ব্যাপকতা উপেক্ষা করতে পারে না। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা কিছু না করি। আগামী দুই বছরে (সিসা বিষক্রিয়ায়) আক্রান্তের সংখ্যা তিন থেকে চারগুণ বাড়বে।’

জুনায়েদ আকতার। ১২ বছর বয়সী এক বালক। তার শরীরে বিষাক্ত সিসা এমনভাবে মিশে গেছে যে, তার শারীরিক বৃদ্ধি থমকে গেছে। দেখলে মনে হয়, তার প্রকৃত বয়সের চেয়ে সে যেন আরও কয়েক বছরের ছোট। জুনায়েদ দক্ষিণ এশিয়ার সেই সাড়ে তিন কোটি শিশুর একজন, যারা বিপজ্জনকভাবে উচ্চ মাত্রার সিসা দূষণের শিকার। আশঙ্কার বিষয় হলো, এই সংখ্যাটি দক্ষিণ এশিয়ার মোট শিশুর প্রায় ৬০ শতাংশ।
জুনায়েদের শারীরিক বৃদ্ধি থমকে যাওয়ার কারণ বহুবিধ। তবে, তার মা এই অসুস্থতার জন্য দায়ী করেন সম্প্রতি বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি কারখানাকে। কারখানাটিতে পুরোনো গাড়ির ব্যাটারি তাড়াহুড়ো করে ভাঙত এবং ভাঙা লেড ব্যাটারির বিভিন্ন অংশকে নানাভাবে পুনর্ব্যবহার করত। এই কারখানাটি জুনায়েদের ছোট্ট গ্রামের বাতাস ও মাটি বিষাক্ত করে তুলেছিল।
জুনায়েদের মা বিথি আকতার এএফপিকে বলেন, ‘রাতে (ব্যাটারির পরিত্যক্ত অংশ পোড়ানো) শুরু হতো, আর পুরো এলাকা ধোঁয়ায় ভরে যেত। শ্বাস নিলে একটা বিশেষ গন্ধ পাওয়া যেত। এর ফলে, এলাকার গাছে মৌসুমি ফলও আর ধরত না। একদিন, আমার খালাতো বোনের বাড়িতে দুটো মরা গরুও খুঁজে পেয়েছিলাম—এই দূষণের কারণে।’
পরীক্ষায় দেখা গেছে, জুনায়েদের রক্তে সিসার মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত সীমার দ্বিগুণেরও বেশি। এই বিষয়টি শিশুদের মধ্যে মারাত্মক এবং সম্ভবত অপরিবর্তনীয় মানসিক দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে। বিথি বলেন, ‘ক্লাস টু থেকেই সে আর আমাদের কথা শুনতে চাইত না, স্কুলে যেতে চাইত না।’ বিথি যখন কথা বলছিলেন, ঠিক সে সময়টিতে জুনায়েদ তাঁর পাশে বসে তাদের বাড়ির উঠোনের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল। বিথি জানান, ছোট বেলায় জুনায়েদ ‘সব সময়ই কান্না করত।’
বাংলাদেশে সিসা দূষণ নতুন কোনো ঘটনা নয় এবং এর কারণও অনেক। এর মধ্যে রয়েছে—সরকারি নিষেধাজ্ঞার পরও রঙে এই ভারী ধাতুর ব্যাপক ও অব্যাহত ব্যবহার। এমনকি হলুদের গুঁড়োতেও এটি ব্যবহার করা হয় কথিত ‘রং ও গুণগত মান বাড়ানোর’ জন্য।
অনেক ক্ষেত্রেই এর জন্য দায়ী করা হয় অনানুষ্ঠানিক ব্যাটারি রিসাইক্লিং বা পুনর্ব্যবহার কারখানাগুলোকে। দেশজুড়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অন্যান্য যানে ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে এসব কারখানা দেশজুড়ে গজিয়ে উঠেছে।
বিপজ্জনক মাত্রার সিসার সংস্পর্শে আসা শিশুদের বুদ্ধি ও অবধারণগত (কগনিটিভ) কার্যকারিতা হ্রাস, রক্তাল্পতা, বামনত্ব এবং আজীবন স্নায়বিক রোগের ঝুঁকিতে থাকে। জুনায়েদদের গ্রামের কারখানাটি স্থানীয়দের অব্যাহত অভিযোগের পর বন্ধ হয়ে যায়।
পরিবেশবাদী সংস্থা পিউর আর্থ মনে করে, দেশে এ ধরনের আরও ২৬৫টি কারখানা থাকতে পারে। সংস্থাটির মিতালি দাস এএফপিকে বলেন, ‘তারা পুরোনো ব্যাটারি ভেঙে সিসা বের করে এবং তা গলিয়ে নতুন ব্যাটারি তৈরি করে। তারা এই প্রক্রিয়ার পুরোটাই সম্পন্ন করে খোলা আকাশের নিচে। এই কার্যক্রমের সময় নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়া ও অ্যাসিড মিশ্রিত পানি বাতাস ও মাটি ও পানি দূষিত করে।’
রাজধানী ঢাকা থেকে কয়েক ঘণ্টার পথ ফুলবাড়িয়া। গ্রামটি রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তরে অবস্থিত। গ্রামটিতে চীনা মালিকানাধীন আরেকটি ব্যাটারি রিসাইক্লিং কারখানার কার্যক্রম পুরোদমে চলছে। একপাশে সবুজ ধানখেত। অন্যদিকে, একটি পাইপ দিয়ে ঘোলাটে পানি মৃতপ্রায় জমির পাশে একটি লবণাক্ত পুকুরে গিয়ে পড়ছে। এই জমিটি পুরু কমলা কাদায় ঢাকা।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ৩৪ বছর বয়সী প্রকৌশলী রাকিব হাসান এএফপিকে বলেন, ‘ছোটবেলায় যখন বাবা মাঠে থাকত, তখন আমি তাঁর জন্য খাবার নিয়ে যেতাম। চারপাশটা ছিল মনোরম, সবুজ, পানি ছিল স্বচ্ছ। কিন্তু এখন দেখুন, এটা কেমন দেখাচ্ছে। এটা মৃত, চিরদিনের জন্য মরে গেছে। তারা আমাদের গ্রামটাকে মেরে ফেলেছে।’
রাকিব হাসান কারখানার দূষণের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, যার ফলে বিচারক সেটিকে অবৈধ ঘোষণা করেন এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধের নির্দেশ দেন। তবে পরে সুপ্রিম কোর্ট সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন। রাকিব হাসান বলেন, ‘কারখানাটি স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে কিনে ফেলেছে। আমাদের দেশ গরিব, অনেক মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত।’
কোম্পানি বা ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাস কেউই কারখানার কার্যক্রমের বিষয়ে এএফপির মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি। বাংলাদেশের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানও এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি কারণ বিষয়টি এখনো আদালতে বিচারাধীন।
তবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বৈদ্যুতিক ব্যাটারির অবৈধ উৎপাদন ও পুনর্ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করি। তবে এই প্রচেষ্টাগুলো প্রায়শই এই ঘটনার ব্যাপ্তির তুলনায় অপ্রতুল।’
বাংলাদেশে অনানুষ্ঠানিক ব্যাটারি পুনর্ব্যবহার একটি ক্রমবর্ধমান ব্যবসা। এর প্রধান কারণ হলো—ব্যাটারিচালিত রিকশার ব্যাপক প্রসারণ। বড় শহর ও গ্রামীণ জনপদে আগে জনপ্রিয় এই রিকশাগুলো প্যাডেলচালিত ছিল। বাংলাদেশের রাস্তায় ৪০ লাখের বেশি রিকশা চলাচল করে এবং কর্তৃপক্ষের অনুমান, সেগুলোতে বৈদ্যুতিক মোটর ও ব্যাটারি লাগানোর বাজার প্রায় ৮৭০ মিলিয়ন ডলারের বা ১০ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকার।
এই বিষয়ে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের মায়া ভ্যানডেনান্ট বলেন, ‘পুরোপুরি বিদ্যুৎ পরিচালিত যানের দিকে যাওয়ার এটাই খারাপ দিক।’ ইউনিসেফ কঠোর নিয়মকানুন ও কর প্রণোদনার মাধ্যমে এই শিল্পকে পরিচ্ছন্ন করার কৌশল নিয়ে কাজ করছে।
মায়া ভ্যানডেনান্ট বলেন, ‘অধিকাংশ মানুষই এর বিপদ সম্পর্কে অবগত নয়।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, জনস্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব জাতীয় অর্থনীতির ৬ দশমিক ৯ শতাংশ ক্ষতি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সতর্ক করে বলেন, দেশ এই সমস্যার ব্যাপকতা উপেক্ষা করতে পারে না। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা কিছু না করি। আগামী দুই বছরে (সিসা বিষক্রিয়ায়) আক্রান্তের সংখ্যা তিন থেকে চারগুণ বাড়বে।’

উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৭ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
১০ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৯টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতে তাপমাত্রা আর কমতে পারে। এর মধ্যে দিনের বেলা তাপমাত্রা সামান্য কমলেও রাতের বেলা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৯টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতে তাপমাত্রা আর কমতে পারে। এর মধ্যে দিনের বেলা তাপমাত্রা সামান্য কমলেও রাতের বেলা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

জুনায়েদ আকতার। ১২ বছর বয়সী এক বালক। তার শরীরে বিষাক্ত সিসা এমনভাবে মিশে গেছে যে, তার শারীরিক বৃদ্ধি থমকে গেছে। দেখলে মনে হয়, তার প্রকৃত বয়সের চেয়ে সে যেন আরও কয়েক বছরের ছোট। জুনায়েদ দক্ষিণ এশিয়ার সেই সাড়ে তিন কোটি শিশুর একজন, যারা বিপজ্জনকভাবে উচ্চ মাত্রার সিসা দূষণের শিকার। আশঙ্কার বিষয় হলো
০১ এপ্রিল ২০২৫
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
১০ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
রাজধানী শহর ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। আজ বায়ুদূষণে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শহরটির বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২৬২। যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৪৯০, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৯৪), ভারতের কলকাতা (১৯৯) ও বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারাজেভো (১৭৭)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো— আইসিডিডিআরবি ৩০৬, দক্ষিণ পল্লবী ২৭৪, ইস্টার্ন হাউজিং ২৭১, বেচারাম দেউড়ি ২৬৩, বেজ এজওয়াটার আউটডোর ২৬২, কল্যাণপুর ২৫৫, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ২৩৫ ও গোড়ান ২৩২।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
রাজধানী শহর ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। আজ বায়ুদূষণে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শহরটির বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২৬২। যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৪৯০, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৯৪), ভারতের কলকাতা (১৯৯) ও বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারাজেভো (১৭৭)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো— আইসিডিডিআরবি ৩০৬, দক্ষিণ পল্লবী ২৭৪, ইস্টার্ন হাউজিং ২৭১, বেচারাম দেউড়ি ২৬৩, বেজ এজওয়াটার আউটডোর ২৬২, কল্যাণপুর ২৫৫, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ২৩৫ ও গোড়ান ২৩২।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

জুনায়েদ আকতার। ১২ বছর বয়সী এক বালক। তার শরীরে বিষাক্ত সিসা এমনভাবে মিশে গেছে যে, তার শারীরিক বৃদ্ধি থমকে গেছে। দেখলে মনে হয়, তার প্রকৃত বয়সের চেয়ে সে যেন আরও কয়েক বছরের ছোট। জুনায়েদ দক্ষিণ এশিয়ার সেই সাড়ে তিন কোটি শিশুর একজন, যারা বিপজ্জনকভাবে উচ্চ মাত্রার সিসা দূষণের শিকার। আশঙ্কার বিষয় হলো
০১ এপ্রিল ২০২৫
উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৭ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সারা দেশের প্রায় সব অঞ্চলে শীতের অনুভূতি বাড়ছে। আজ সোমবার সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী ও পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সারা দেশে আজকের আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এদিকে সোমবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকাল ৬টায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৭৯ শতাংশ। আজ সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ১১ মিনিটে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সারা দেশের সম্ভাব্য পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

সারা দেশের প্রায় সব অঞ্চলে শীতের অনুভূতি বাড়ছে। আজ সোমবার সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী ও পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সারা দেশে আজকের আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এদিকে সোমবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকাল ৬টায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৭৯ শতাংশ। আজ সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ১১ মিনিটে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সারা দেশের সম্ভাব্য পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

জুনায়েদ আকতার। ১২ বছর বয়সী এক বালক। তার শরীরে বিষাক্ত সিসা এমনভাবে মিশে গেছে যে, তার শারীরিক বৃদ্ধি থমকে গেছে। দেখলে মনে হয়, তার প্রকৃত বয়সের চেয়ে সে যেন আরও কয়েক বছরের ছোট। জুনায়েদ দক্ষিণ এশিয়ার সেই সাড়ে তিন কোটি শিশুর একজন, যারা বিপজ্জনকভাবে উচ্চ মাত্রার সিসা দূষণের শিকার। আশঙ্কার বিষয় হলো
০১ এপ্রিল ২০২৫
উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৭ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
১০ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
অবশ্য শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ রোববার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২১৩। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ চতুর্থ স্থানে আছে ঢাকা।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৬৮৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৫৪), কুয়েতের কুয়েত সিটি (২৮৬), ভারতের কলকাতা (১৯৬), পাকিস্তানের করাচি (১৬১) এবং ইরাকের বাগদাদ (১৫৬)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো ইস্টার্ন হাউজিং ২২৬, দক্ষিণ পল্লবী ২২৭, কল্যাণপুর ২১৩, বেজ এজওয়াটার ২২৭, আইসিডিডিআরবি ২৫০, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ১৯৬, গোরান ১৯৪ এবং বেচারাম দেউড়ি ২২৯।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
অবশ্য শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ রোববার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২১৩। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ চতুর্থ স্থানে আছে ঢাকা।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৬৮৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৫৪), কুয়েতের কুয়েত সিটি (২৮৬), ভারতের কলকাতা (১৯৬), পাকিস্তানের করাচি (১৬১) এবং ইরাকের বাগদাদ (১৫৬)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো ইস্টার্ন হাউজিং ২২৬, দক্ষিণ পল্লবী ২২৭, কল্যাণপুর ২১৩, বেজ এজওয়াটার ২২৭, আইসিডিডিআরবি ২৫০, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ১৯৬, গোরান ১৯৪ এবং বেচারাম দেউড়ি ২২৯।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

জুনায়েদ আকতার। ১২ বছর বয়সী এক বালক। তার শরীরে বিষাক্ত সিসা এমনভাবে মিশে গেছে যে, তার শারীরিক বৃদ্ধি থমকে গেছে। দেখলে মনে হয়, তার প্রকৃত বয়সের চেয়ে সে যেন আরও কয়েক বছরের ছোট। জুনায়েদ দক্ষিণ এশিয়ার সেই সাড়ে তিন কোটি শিশুর একজন, যারা বিপজ্জনকভাবে উচ্চ মাত্রার সিসা দূষণের শিকার। আশঙ্কার বিষয় হলো
০১ এপ্রিল ২০২৫
উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৭ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
১০ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে