
প্রতিবছর টয়লেট পেপার তৈরির জন্য বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ লাখ গাছ কাটা হয়। এর ফলে বন ধ্বংস, জীববৈচিত্র্য হুমকিতে পড়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তবে এর পরিবর্তে কি নিজে টয়লেট পেপার উৎপাদন করা সম্ভব? কেনিয়ার পূর্বাঞ্চলের মেরু শহরের বেঞ্জামিন মুতেম্বেই এই প্রশ্নের একটি চমৎকার উত্তর খুঁজে পেয়েছেন।
মুতেম্বেই প্রায় ১৯৮৫ সাল থেকে চাষ করছেন প্লেকতানতুস বার্বাতোস নামক একটি উদ্ভিদ। তাঁর দাদার কাছ থেকে এই উদ্ভিদ সম্পর্কে জেনে তিনি এটিকে টয়লেট পেপার হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘পাতাগুলো খুব নরম এবং মিষ্টি গন্ধযুক্ত।’
প্লেকতানতুস বার্বাতোস প্রায় দুই মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এর পাতা টয়লেট পেপারের মতোই আকারে বড়, নরম এবং লেবুর গন্ধযুক্ত। এটি উষ্ণ, আর্দ্র পরিবেশে দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে সহজলভ্য।
মুতেম্বেইয়ের পরিবার প্রতিদিন এই গাছের পাতা ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ির সবাই এটি ব্যবহার করে। শুধু তখনই টয়লেট পেপার কিনি, যখন গাছের সমস্ত পাতা শেষ হয়ে যায়।’
কেনিয়ায় টয়লেট পেপারের দাম বেড়ে যাওয়ায় মুতেম্বেইয়ের মতো অনেকেই এই উদ্ভিদকে বিকল্প হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। মাত্র ৫০ কেনিয়ান শিলিং (প্রায় ০.৩৭ ডলার) দিয়ে একটি কাটিং কিনে ১-২ মাসের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ গাছ পাওয়া যায়।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
কেনিয়ার ন্যাশনাল মিউজিয়ামের উদ্ভিদবিদ মার্টিন ওদিয়াম্বো বলেন, প্লেকতানতুস বার্বাতোস অনেক দিন ধরে আফ্রিকার গ্রামীণ এলাকায় টয়লেট পেপার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ‘এটি খুব সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং পরিবেশবান্ধব সমাধান হতে পারে।’ বলেন তিনি।
কেনিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ওদিয়াম্বোর লেকচারে যোগ দিতে আসেন, যেখানে তিনি প্লেকতানতুস বার্বাতোস উদ্ভিদের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া, তার পরিচালিত বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে মানুষ এই উদ্ভিদের কাটিং এবং চারা সংগ্রহ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমার ক্লাসে এখন ৬০০-রও বেশি অংশগ্রহণকারী রয়েছে। মানুষ এই উদ্ভিদ ব্যবহারের পদ্ধতি শিখতে বেশ আগ্রহী। তারা প্রায়ই কাটিং এবং চারা নিয়ে নিজেদের এলাকায় নিয়ে যেতে চান।’

কেনিয়ার বাইরেও এই উদ্ভিদের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছেন অনেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পরিবেশবিদ রবিন গ্রিনফিল্ড পাঁচ বছর ধরে এই উদ্ভিদ ব্যবহার করছেন। তিনি নিজে ১০০টিরও বেশি গাছ চাষ করেন এবং বিনা মূল্যে বা স্বেচ্ছা অনুদানের মাধ্যমে এর কাটিং বিতরণ করেন।
গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘অনেকেই এটি ব্যবহারকে দারিদ্র্যের সঙ্গে যুক্ত করেন। তবে মনে রাখতে হবে, শিল্পজাত টয়লেট পেপারও গাছ থেকেই তৈরি হয়।’
তবে এই উদ্ভিদকে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় করতে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। ইউরোপের মতো অঞ্চলে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা এ ধরনের উপাদান গ্রহণের জন্য প্রস্তুত নয়।

গ্রিনফিল্ড এ বিষয়ে কম্পোস্ট টয়লেট ব্যবহারের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘পাতাগুলো মাটিতে মিশে সার তৈরি করে, যা আবার খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি ’‘ক্লোজড-লুপ সিস্টেম’ এবং পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর।
এই উদ্ভিদের চাষও সবার জন্য সহজ নয়। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি আক্রমণাত্মক প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় এর চাষ নিষিদ্ধ। মিজৌরি বোটানিক্যাল গার্ডেনের বিজ্ঞানী ওয়েন্ডি অ্যাপলকুইস্ট বলেন, নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে এটি চাষ করলে পরিবেশগত ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

কেনিয়ার বাইরেও এই উদ্ভিদের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছেন অনেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পরিবেশবিদ রবিন গ্রিনফিল্ড গত পাঁচ বছর ধরে এই উদ্ভিদ ব্যবহার করছেন। তিনি নিজে ১০০টিরও বেশি গাছ চাষ করেন এবং বিনা মূল্যে বা স্বেচ্ছা অনুদানের মাধ্যমে এর কাটিং বিতরণ করেন।
গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘অনেকেই এটি ব্যবহারকে দারিদ্র্যের সঙ্গে যুক্ত করেন। তবে মনে রাখতে হবে, শিল্পজাত টয়লেট পেপারও গাছ থেকেই তৈরি হয়।’
তবে এই উদ্ভিদকে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় করতে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। ইউরোপের মতো অঞ্চলে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা এ ধরনের উপাদান গ্রহণের জন্য প্রস্তুত নয়।

গ্রিনফিল্ড এ বিষয়ে কম্পোস্ট টয়লেট ব্যবহারের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, পাতাগুলো মাটিতে মিশে সার তৈরি করে, যা আবার খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি ’‘ক্লোজড-লুপ সিস্টেম’ এবং পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর।
এই উদ্ভিদের চাষও সবার জন্য সহজ নয়। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি আক্রমণাত্মক প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় এর চাষ নিষিদ্ধ। মিজৌরি বোটানিক্যাল গার্ডেনের বিজ্ঞানী ওয়েন্ডি অ্যাপলকুইস্ট বলেন, নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে এটি চাষ করলে পরিবেশগত ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

তবুও, প্লেকতানতুস বার্বাতোসের ব্যবহারকে আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে দিতে জনসাধারণের মানসিকতায় পরিবর্তন প্রয়োজন। তবে কেনিয়ার ন্যাশনাল মিউজিয়ামের ওদিয়াম্বো আশাবাদী।
তিনি বলেন, ‘অনেকেই এ পাতা ব্যবহারকে পিছিয়ে যাওয়া হিসেবে ভাবতে পারেন, কিন্তু এর উপকারিতা জানলে এটি আগামী দিনের সবুজ বিকল্প হয়ে উঠতে পারে।’
পরিবেশবান্ধব টয়লেট পেপারের দিকে এই পদক্ষেপ হয়তো বিশ্বকে দেখিয়ে দেবে, প্রকৃতিই সমস্যার সমাধানে সবচেয়ে বড় উৎস।

প্রতিবছর টয়লেট পেপার তৈরির জন্য বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ লাখ গাছ কাটা হয়। এর ফলে বন ধ্বংস, জীববৈচিত্র্য হুমকিতে পড়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তবে এর পরিবর্তে কি নিজে টয়লেট পেপার উৎপাদন করা সম্ভব? কেনিয়ার পূর্বাঞ্চলের মেরু শহরের বেঞ্জামিন মুতেম্বেই এই প্রশ্নের একটি চমৎকার উত্তর খুঁজে পেয়েছেন।
মুতেম্বেই প্রায় ১৯৮৫ সাল থেকে চাষ করছেন প্লেকতানতুস বার্বাতোস নামক একটি উদ্ভিদ। তাঁর দাদার কাছ থেকে এই উদ্ভিদ সম্পর্কে জেনে তিনি এটিকে টয়লেট পেপার হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘পাতাগুলো খুব নরম এবং মিষ্টি গন্ধযুক্ত।’
প্লেকতানতুস বার্বাতোস প্রায় দুই মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এর পাতা টয়লেট পেপারের মতোই আকারে বড়, নরম এবং লেবুর গন্ধযুক্ত। এটি উষ্ণ, আর্দ্র পরিবেশে দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে সহজলভ্য।
মুতেম্বেইয়ের পরিবার প্রতিদিন এই গাছের পাতা ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ির সবাই এটি ব্যবহার করে। শুধু তখনই টয়লেট পেপার কিনি, যখন গাছের সমস্ত পাতা শেষ হয়ে যায়।’
কেনিয়ায় টয়লেট পেপারের দাম বেড়ে যাওয়ায় মুতেম্বেইয়ের মতো অনেকেই এই উদ্ভিদকে বিকল্প হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। মাত্র ৫০ কেনিয়ান শিলিং (প্রায় ০.৩৭ ডলার) দিয়ে একটি কাটিং কিনে ১-২ মাসের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ গাছ পাওয়া যায়।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
কেনিয়ার ন্যাশনাল মিউজিয়ামের উদ্ভিদবিদ মার্টিন ওদিয়াম্বো বলেন, প্লেকতানতুস বার্বাতোস অনেক দিন ধরে আফ্রিকার গ্রামীণ এলাকায় টয়লেট পেপার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ‘এটি খুব সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং পরিবেশবান্ধব সমাধান হতে পারে।’ বলেন তিনি।
কেনিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ওদিয়াম্বোর লেকচারে যোগ দিতে আসেন, যেখানে তিনি প্লেকতানতুস বার্বাতোস উদ্ভিদের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া, তার পরিচালিত বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে মানুষ এই উদ্ভিদের কাটিং এবং চারা সংগ্রহ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমার ক্লাসে এখন ৬০০-রও বেশি অংশগ্রহণকারী রয়েছে। মানুষ এই উদ্ভিদ ব্যবহারের পদ্ধতি শিখতে বেশ আগ্রহী। তারা প্রায়ই কাটিং এবং চারা নিয়ে নিজেদের এলাকায় নিয়ে যেতে চান।’

কেনিয়ার বাইরেও এই উদ্ভিদের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছেন অনেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পরিবেশবিদ রবিন গ্রিনফিল্ড পাঁচ বছর ধরে এই উদ্ভিদ ব্যবহার করছেন। তিনি নিজে ১০০টিরও বেশি গাছ চাষ করেন এবং বিনা মূল্যে বা স্বেচ্ছা অনুদানের মাধ্যমে এর কাটিং বিতরণ করেন।
গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘অনেকেই এটি ব্যবহারকে দারিদ্র্যের সঙ্গে যুক্ত করেন। তবে মনে রাখতে হবে, শিল্পজাত টয়লেট পেপারও গাছ থেকেই তৈরি হয়।’
তবে এই উদ্ভিদকে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় করতে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। ইউরোপের মতো অঞ্চলে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা এ ধরনের উপাদান গ্রহণের জন্য প্রস্তুত নয়।

গ্রিনফিল্ড এ বিষয়ে কম্পোস্ট টয়লেট ব্যবহারের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘পাতাগুলো মাটিতে মিশে সার তৈরি করে, যা আবার খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি ’‘ক্লোজড-লুপ সিস্টেম’ এবং পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর।
এই উদ্ভিদের চাষও সবার জন্য সহজ নয়। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি আক্রমণাত্মক প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় এর চাষ নিষিদ্ধ। মিজৌরি বোটানিক্যাল গার্ডেনের বিজ্ঞানী ওয়েন্ডি অ্যাপলকুইস্ট বলেন, নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে এটি চাষ করলে পরিবেশগত ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

কেনিয়ার বাইরেও এই উদ্ভিদের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছেন অনেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পরিবেশবিদ রবিন গ্রিনফিল্ড গত পাঁচ বছর ধরে এই উদ্ভিদ ব্যবহার করছেন। তিনি নিজে ১০০টিরও বেশি গাছ চাষ করেন এবং বিনা মূল্যে বা স্বেচ্ছা অনুদানের মাধ্যমে এর কাটিং বিতরণ করেন।
গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘অনেকেই এটি ব্যবহারকে দারিদ্র্যের সঙ্গে যুক্ত করেন। তবে মনে রাখতে হবে, শিল্পজাত টয়লেট পেপারও গাছ থেকেই তৈরি হয়।’
তবে এই উদ্ভিদকে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় করতে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। ইউরোপের মতো অঞ্চলে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা এ ধরনের উপাদান গ্রহণের জন্য প্রস্তুত নয়।

গ্রিনফিল্ড এ বিষয়ে কম্পোস্ট টয়লেট ব্যবহারের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, পাতাগুলো মাটিতে মিশে সার তৈরি করে, যা আবার খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি ’‘ক্লোজড-লুপ সিস্টেম’ এবং পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর।
এই উদ্ভিদের চাষও সবার জন্য সহজ নয়। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি আক্রমণাত্মক প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় এর চাষ নিষিদ্ধ। মিজৌরি বোটানিক্যাল গার্ডেনের বিজ্ঞানী ওয়েন্ডি অ্যাপলকুইস্ট বলেন, নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে এটি চাষ করলে পরিবেশগত ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

তবুও, প্লেকতানতুস বার্বাতোসের ব্যবহারকে আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে দিতে জনসাধারণের মানসিকতায় পরিবর্তন প্রয়োজন। তবে কেনিয়ার ন্যাশনাল মিউজিয়ামের ওদিয়াম্বো আশাবাদী।
তিনি বলেন, ‘অনেকেই এ পাতা ব্যবহারকে পিছিয়ে যাওয়া হিসেবে ভাবতে পারেন, কিন্তু এর উপকারিতা জানলে এটি আগামী দিনের সবুজ বিকল্প হয়ে উঠতে পারে।’
পরিবেশবান্ধব টয়লেট পেপারের দিকে এই পদক্ষেপ হয়তো বিশ্বকে দেখিয়ে দেবে, প্রকৃতিই সমস্যার সমাধানে সবচেয়ে বড় উৎস।

প্রতিবছর টয়লেট পেপার তৈরির জন্য বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ লাখ গাছ কাটা হয়। এর ফলে বন ধ্বংস, জীববৈচিত্র্য হুমকিতে পড়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তবে এর পরিবর্তে কি নিজে টয়লেট পেপার উৎপাদন করা সম্ভব? কেনিয়ার পূর্বাঞ্চলের মেরু শহরের বেঞ্জামিন মুতেম্বেই এই প্রশ্নের একটি চমৎকার উত্তর খুঁজে পেয়েছেন।
মুতেম্বেই প্রায় ১৯৮৫ সাল থেকে চাষ করছেন প্লেকতানতুস বার্বাতোস নামক একটি উদ্ভিদ। তাঁর দাদার কাছ থেকে এই উদ্ভিদ সম্পর্কে জেনে তিনি এটিকে টয়লেট পেপার হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘পাতাগুলো খুব নরম এবং মিষ্টি গন্ধযুক্ত।’
প্লেকতানতুস বার্বাতোস প্রায় দুই মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এর পাতা টয়লেট পেপারের মতোই আকারে বড়, নরম এবং লেবুর গন্ধযুক্ত। এটি উষ্ণ, আর্দ্র পরিবেশে দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে সহজলভ্য।
মুতেম্বেইয়ের পরিবার প্রতিদিন এই গাছের পাতা ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ির সবাই এটি ব্যবহার করে। শুধু তখনই টয়লেট পেপার কিনি, যখন গাছের সমস্ত পাতা শেষ হয়ে যায়।’
কেনিয়ায় টয়লেট পেপারের দাম বেড়ে যাওয়ায় মুতেম্বেইয়ের মতো অনেকেই এই উদ্ভিদকে বিকল্প হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। মাত্র ৫০ কেনিয়ান শিলিং (প্রায় ০.৩৭ ডলার) দিয়ে একটি কাটিং কিনে ১-২ মাসের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ গাছ পাওয়া যায়।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
কেনিয়ার ন্যাশনাল মিউজিয়ামের উদ্ভিদবিদ মার্টিন ওদিয়াম্বো বলেন, প্লেকতানতুস বার্বাতোস অনেক দিন ধরে আফ্রিকার গ্রামীণ এলাকায় টয়লেট পেপার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ‘এটি খুব সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং পরিবেশবান্ধব সমাধান হতে পারে।’ বলেন তিনি।
কেনিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ওদিয়াম্বোর লেকচারে যোগ দিতে আসেন, যেখানে তিনি প্লেকতানতুস বার্বাতোস উদ্ভিদের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া, তার পরিচালিত বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে মানুষ এই উদ্ভিদের কাটিং এবং চারা সংগ্রহ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমার ক্লাসে এখন ৬০০-রও বেশি অংশগ্রহণকারী রয়েছে। মানুষ এই উদ্ভিদ ব্যবহারের পদ্ধতি শিখতে বেশ আগ্রহী। তারা প্রায়ই কাটিং এবং চারা নিয়ে নিজেদের এলাকায় নিয়ে যেতে চান।’

কেনিয়ার বাইরেও এই উদ্ভিদের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছেন অনেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পরিবেশবিদ রবিন গ্রিনফিল্ড পাঁচ বছর ধরে এই উদ্ভিদ ব্যবহার করছেন। তিনি নিজে ১০০টিরও বেশি গাছ চাষ করেন এবং বিনা মূল্যে বা স্বেচ্ছা অনুদানের মাধ্যমে এর কাটিং বিতরণ করেন।
গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘অনেকেই এটি ব্যবহারকে দারিদ্র্যের সঙ্গে যুক্ত করেন। তবে মনে রাখতে হবে, শিল্পজাত টয়লেট পেপারও গাছ থেকেই তৈরি হয়।’
তবে এই উদ্ভিদকে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় করতে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। ইউরোপের মতো অঞ্চলে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা এ ধরনের উপাদান গ্রহণের জন্য প্রস্তুত নয়।

গ্রিনফিল্ড এ বিষয়ে কম্পোস্ট টয়লেট ব্যবহারের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘পাতাগুলো মাটিতে মিশে সার তৈরি করে, যা আবার খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি ’‘ক্লোজড-লুপ সিস্টেম’ এবং পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর।
এই উদ্ভিদের চাষও সবার জন্য সহজ নয়। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি আক্রমণাত্মক প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় এর চাষ নিষিদ্ধ। মিজৌরি বোটানিক্যাল গার্ডেনের বিজ্ঞানী ওয়েন্ডি অ্যাপলকুইস্ট বলেন, নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে এটি চাষ করলে পরিবেশগত ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

কেনিয়ার বাইরেও এই উদ্ভিদের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছেন অনেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পরিবেশবিদ রবিন গ্রিনফিল্ড গত পাঁচ বছর ধরে এই উদ্ভিদ ব্যবহার করছেন। তিনি নিজে ১০০টিরও বেশি গাছ চাষ করেন এবং বিনা মূল্যে বা স্বেচ্ছা অনুদানের মাধ্যমে এর কাটিং বিতরণ করেন।
গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘অনেকেই এটি ব্যবহারকে দারিদ্র্যের সঙ্গে যুক্ত করেন। তবে মনে রাখতে হবে, শিল্পজাত টয়লেট পেপারও গাছ থেকেই তৈরি হয়।’
তবে এই উদ্ভিদকে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় করতে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। ইউরোপের মতো অঞ্চলে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা এ ধরনের উপাদান গ্রহণের জন্য প্রস্তুত নয়।

গ্রিনফিল্ড এ বিষয়ে কম্পোস্ট টয়লেট ব্যবহারের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, পাতাগুলো মাটিতে মিশে সার তৈরি করে, যা আবার খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি ’‘ক্লোজড-লুপ সিস্টেম’ এবং পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর।
এই উদ্ভিদের চাষও সবার জন্য সহজ নয়। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি আক্রমণাত্মক প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় এর চাষ নিষিদ্ধ। মিজৌরি বোটানিক্যাল গার্ডেনের বিজ্ঞানী ওয়েন্ডি অ্যাপলকুইস্ট বলেন, নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে এটি চাষ করলে পরিবেশগত ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

তবুও, প্লেকতানতুস বার্বাতোসের ব্যবহারকে আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে দিতে জনসাধারণের মানসিকতায় পরিবর্তন প্রয়োজন। তবে কেনিয়ার ন্যাশনাল মিউজিয়ামের ওদিয়াম্বো আশাবাদী।
তিনি বলেন, ‘অনেকেই এ পাতা ব্যবহারকে পিছিয়ে যাওয়া হিসেবে ভাবতে পারেন, কিন্তু এর উপকারিতা জানলে এটি আগামী দিনের সবুজ বিকল্প হয়ে উঠতে পারে।’
পরিবেশবান্ধব টয়লেট পেপারের দিকে এই পদক্ষেপ হয়তো বিশ্বকে দেখিয়ে দেবে, প্রকৃতিই সমস্যার সমাধানে সবচেয়ে বড় উৎস।

প্রতিবছর টয়লেট পেপার তৈরির জন্য বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ লাখ গাছ কাটা হয়। এর ফলে বন ধ্বংস, জীববৈচিত্র্য হুমকিতে পড়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তবে এর পরিবর্তে কি নিজে টয়লেট পেপার উৎপাদন করা সম্ভব? কেনিয়ার পূর্বাঞ্চলের মেরু শহরের বেঞ্জামিন মুতেম্বেই এই প্রশ্নের একটি চমৎকার উত্তর খুঁজে পেয়েছেন।
মুতেম্বেই প্রায় ১৯৮৫ সাল থেকে চাষ করছেন প্লেকতানতুস বার্বাতোস নামক একটি উদ্ভিদ। তাঁর দাদার কাছ থেকে এই উদ্ভিদ সম্পর্কে জেনে তিনি এটিকে টয়লেট পেপার হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘পাতাগুলো খুব নরম এবং মিষ্টি গন্ধযুক্ত।’
প্লেকতানতুস বার্বাতোস প্রায় দুই মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এর পাতা টয়লেট পেপারের মতোই আকারে বড়, নরম এবং লেবুর গন্ধযুক্ত। এটি উষ্ণ, আর্দ্র পরিবেশে দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে সহজলভ্য।
মুতেম্বেইয়ের পরিবার প্রতিদিন এই গাছের পাতা ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ির সবাই এটি ব্যবহার করে। শুধু তখনই টয়লেট পেপার কিনি, যখন গাছের সমস্ত পাতা শেষ হয়ে যায়।’
কেনিয়ায় টয়লেট পেপারের দাম বেড়ে যাওয়ায় মুতেম্বেইয়ের মতো অনেকেই এই উদ্ভিদকে বিকল্প হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। মাত্র ৫০ কেনিয়ান শিলিং (প্রায় ০.৩৭ ডলার) দিয়ে একটি কাটিং কিনে ১-২ মাসের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ গাছ পাওয়া যায়।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
কেনিয়ার ন্যাশনাল মিউজিয়ামের উদ্ভিদবিদ মার্টিন ওদিয়াম্বো বলেন, প্লেকতানতুস বার্বাতোস অনেক দিন ধরে আফ্রিকার গ্রামীণ এলাকায় টয়লেট পেপার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ‘এটি খুব সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং পরিবেশবান্ধব সমাধান হতে পারে।’ বলেন তিনি।
কেনিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ওদিয়াম্বোর লেকচারে যোগ দিতে আসেন, যেখানে তিনি প্লেকতানতুস বার্বাতোস উদ্ভিদের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া, তার পরিচালিত বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে মানুষ এই উদ্ভিদের কাটিং এবং চারা সংগ্রহ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমার ক্লাসে এখন ৬০০-রও বেশি অংশগ্রহণকারী রয়েছে। মানুষ এই উদ্ভিদ ব্যবহারের পদ্ধতি শিখতে বেশ আগ্রহী। তারা প্রায়ই কাটিং এবং চারা নিয়ে নিজেদের এলাকায় নিয়ে যেতে চান।’

কেনিয়ার বাইরেও এই উদ্ভিদের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছেন অনেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পরিবেশবিদ রবিন গ্রিনফিল্ড পাঁচ বছর ধরে এই উদ্ভিদ ব্যবহার করছেন। তিনি নিজে ১০০টিরও বেশি গাছ চাষ করেন এবং বিনা মূল্যে বা স্বেচ্ছা অনুদানের মাধ্যমে এর কাটিং বিতরণ করেন।
গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘অনেকেই এটি ব্যবহারকে দারিদ্র্যের সঙ্গে যুক্ত করেন। তবে মনে রাখতে হবে, শিল্পজাত টয়লেট পেপারও গাছ থেকেই তৈরি হয়।’
তবে এই উদ্ভিদকে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় করতে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। ইউরোপের মতো অঞ্চলে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা এ ধরনের উপাদান গ্রহণের জন্য প্রস্তুত নয়।

গ্রিনফিল্ড এ বিষয়ে কম্পোস্ট টয়লেট ব্যবহারের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘পাতাগুলো মাটিতে মিশে সার তৈরি করে, যা আবার খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি ’‘ক্লোজড-লুপ সিস্টেম’ এবং পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর।
এই উদ্ভিদের চাষও সবার জন্য সহজ নয়। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি আক্রমণাত্মক প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় এর চাষ নিষিদ্ধ। মিজৌরি বোটানিক্যাল গার্ডেনের বিজ্ঞানী ওয়েন্ডি অ্যাপলকুইস্ট বলেন, নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে এটি চাষ করলে পরিবেশগত ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

কেনিয়ার বাইরেও এই উদ্ভিদের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছেন অনেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পরিবেশবিদ রবিন গ্রিনফিল্ড গত পাঁচ বছর ধরে এই উদ্ভিদ ব্যবহার করছেন। তিনি নিজে ১০০টিরও বেশি গাছ চাষ করেন এবং বিনা মূল্যে বা স্বেচ্ছা অনুদানের মাধ্যমে এর কাটিং বিতরণ করেন।
গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘অনেকেই এটি ব্যবহারকে দারিদ্র্যের সঙ্গে যুক্ত করেন। তবে মনে রাখতে হবে, শিল্পজাত টয়লেট পেপারও গাছ থেকেই তৈরি হয়।’
তবে এই উদ্ভিদকে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় করতে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। ইউরোপের মতো অঞ্চলে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা এ ধরনের উপাদান গ্রহণের জন্য প্রস্তুত নয়।

গ্রিনফিল্ড এ বিষয়ে কম্পোস্ট টয়লেট ব্যবহারের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, পাতাগুলো মাটিতে মিশে সার তৈরি করে, যা আবার খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি ’‘ক্লোজড-লুপ সিস্টেম’ এবং পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর।
এই উদ্ভিদের চাষও সবার জন্য সহজ নয়। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি আক্রমণাত্মক প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় এর চাষ নিষিদ্ধ। মিজৌরি বোটানিক্যাল গার্ডেনের বিজ্ঞানী ওয়েন্ডি অ্যাপলকুইস্ট বলেন, নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে এটি চাষ করলে পরিবেশগত ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

তবুও, প্লেকতানতুস বার্বাতোসের ব্যবহারকে আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে দিতে জনসাধারণের মানসিকতায় পরিবর্তন প্রয়োজন। তবে কেনিয়ার ন্যাশনাল মিউজিয়ামের ওদিয়াম্বো আশাবাদী।
তিনি বলেন, ‘অনেকেই এ পাতা ব্যবহারকে পিছিয়ে যাওয়া হিসেবে ভাবতে পারেন, কিন্তু এর উপকারিতা জানলে এটি আগামী দিনের সবুজ বিকল্প হয়ে উঠতে পারে।’
পরিবেশবান্ধব টয়লেট পেপারের দিকে এই পদক্ষেপ হয়তো বিশ্বকে দেখিয়ে দেবে, প্রকৃতিই সমস্যার সমাধানে সবচেয়ে বড় উৎস।

উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
৬ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৯টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতে তাপমাত্রা আর কমতে পারে। এর মধ্যে দিনের বেলা তাপমাত্রা সামান্য কমলেও রাতের বেলা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৯টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতে তাপমাত্রা আর কমতে পারে। এর মধ্যে দিনের বেলা তাপমাত্রা সামান্য কমলেও রাতের বেলা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

প্রতিবছর টয়লেট পেপার তৈরির জন্য বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ লাখ গাছ কাটা হয়। এর ফলে বন ধ্বংস, জীববৈচিত্র্য হুমকিতে পড়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তবে এর পরিবর্তে কি নিজে টয়লেট পেপার উৎপাদন করা সম্ভব? কেনিয়ার পূর্বাঞ্চলের মেরু শহরের বেঞ্জামিন মুতেম্বেই এই প্রশ্নের একটি চমৎকার উত্তর খুঁজে
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
৬ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
রাজধানী শহর ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। আজ বায়ুদূষণে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শহরটির বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২৬২। যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৪৯০, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৯৪), ভারতের কলকাতা (১৯৯) ও বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারাজেভো (১৭৭)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো— আইসিডিডিআরবি ৩০৬, দক্ষিণ পল্লবী ২৭৪, ইস্টার্ন হাউজিং ২৭১, বেচারাম দেউড়ি ২৬৩, বেজ এজওয়াটার আউটডোর ২৬২, কল্যাণপুর ২৫৫, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ২৩৫ ও গোড়ান ২৩২।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
রাজধানী শহর ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। আজ বায়ুদূষণে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শহরটির বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২৬২। যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৪৯০, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৯৪), ভারতের কলকাতা (১৯৯) ও বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারাজেভো (১৭৭)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো— আইসিডিডিআরবি ৩০৬, দক্ষিণ পল্লবী ২৭৪, ইস্টার্ন হাউজিং ২৭১, বেচারাম দেউড়ি ২৬৩, বেজ এজওয়াটার আউটডোর ২৬২, কল্যাণপুর ২৫৫, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ২৩৫ ও গোড়ান ২৩২।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

প্রতিবছর টয়লেট পেপার তৈরির জন্য বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ লাখ গাছ কাটা হয়। এর ফলে বন ধ্বংস, জীববৈচিত্র্য হুমকিতে পড়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তবে এর পরিবর্তে কি নিজে টয়লেট পেপার উৎপাদন করা সম্ভব? কেনিয়ার পূর্বাঞ্চলের মেরু শহরের বেঞ্জামিন মুতেম্বেই এই প্রশ্নের একটি চমৎকার উত্তর খুঁজে
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সারা দেশের প্রায় সব অঞ্চলে শীতের অনুভূতি বাড়ছে। আজ সোমবার সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী ও পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সারা দেশে আজকের আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এদিকে সোমবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকাল ৬টায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৭৯ শতাংশ। আজ সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ১১ মিনিটে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সারা দেশের সম্ভাব্য পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

সারা দেশের প্রায় সব অঞ্চলে শীতের অনুভূতি বাড়ছে। আজ সোমবার সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী ও পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সারা দেশে আজকের আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এদিকে সোমবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকাল ৬টায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৭৯ শতাংশ। আজ সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ১১ মিনিটে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সারা দেশের সম্ভাব্য পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

প্রতিবছর টয়লেট পেপার তৈরির জন্য বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ লাখ গাছ কাটা হয়। এর ফলে বন ধ্বংস, জীববৈচিত্র্য হুমকিতে পড়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তবে এর পরিবর্তে কি নিজে টয়লেট পেপার উৎপাদন করা সম্ভব? কেনিয়ার পূর্বাঞ্চলের মেরু শহরের বেঞ্জামিন মুতেম্বেই এই প্রশ্নের একটি চমৎকার উত্তর খুঁজে
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
৬ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
অবশ্য শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ রোববার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২১৩। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ চতুর্থ স্থানে আছে ঢাকা।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৬৮৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৫৪), কুয়েতের কুয়েত সিটি (২৮৬), ভারতের কলকাতা (১৯৬), পাকিস্তানের করাচি (১৬১) এবং ইরাকের বাগদাদ (১৫৬)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো ইস্টার্ন হাউজিং ২২৬, দক্ষিণ পল্লবী ২২৭, কল্যাণপুর ২১৩, বেজ এজওয়াটার ২২৭, আইসিডিডিআরবি ২৫০, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ১৯৬, গোরান ১৯৪ এবং বেচারাম দেউড়ি ২২৯।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
অবশ্য শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ রোববার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২১৩। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ চতুর্থ স্থানে আছে ঢাকা।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৬৮৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৫৪), কুয়েতের কুয়েত সিটি (২৮৬), ভারতের কলকাতা (১৯৬), পাকিস্তানের করাচি (১৬১) এবং ইরাকের বাগদাদ (১৫৬)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো ইস্টার্ন হাউজিং ২২৬, দক্ষিণ পল্লবী ২২৭, কল্যাণপুর ২১৩, বেজ এজওয়াটার ২২৭, আইসিডিডিআরবি ২৫০, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ১৯৬, গোরান ১৯৪ এবং বেচারাম দেউড়ি ২২৯।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

প্রতিবছর টয়লেট পেপার তৈরির জন্য বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ লাখ গাছ কাটা হয়। এর ফলে বন ধ্বংস, জীববৈচিত্র্য হুমকিতে পড়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তবে এর পরিবর্তে কি নিজে টয়লেট পেপার উৎপাদন করা সম্ভব? কেনিয়ার পূর্বাঞ্চলের মেরু শহরের বেঞ্জামিন মুতেম্বেই এই প্রশ্নের একটি চমৎকার উত্তর খুঁজে
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
৬ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে