নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকৃতি রক্ষায় পান্থকুঞ্জ পার্কে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন পরিবেশকর্মীরা। আজ বুধবার ঈদের তৃতীয় দিনেও রাজধানীর কারওয়ান বাজারসংলগ্ন এই পার্কে ১১০তম দিনের মতো নিজেদের অবস্থান জারি রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা বলছেন, প্রকৃতি বিধ্বংসী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প থেকে পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল জলাশয় রক্ষায় কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
পান্থকুঞ্জ পার্কে অবস্থান কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছে ‘বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন’। সংগঠনটির সমন্বয়ক আমিরুল রাজিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদের সময় ২৪ ঘণ্টা আমরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে গেছি। আমাদের কয়েকজন পরিবেশকর্মীর ঈদ বলে কিছু ছিল না। এর আগে তীব্র শীত গেল, এখন তাপপ্রবাহ যাচ্ছে। এসবের মধ্যেও আমরা অহিংস আন্দোলন চালিয়ে নিচ্ছি। কিন্তু এত দিনেও সরকারের টনক নড়েনি।’
আমিরুল রাজিব আরও বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পরে আমাদের যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা সরকারের কাছ থেকে পাইনি। এত দিন ধরে আন্দোলন করছি, সরকারের উচিত ছিল একটা পর্যালোচনার মধ্যে যাওয়া। উল্টো সরকার আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার ও অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।’
গত ২৩ মার্চ আন্দোলনের শততম দিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশকর্মীরা জানান, পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিলে চলমান নির্মাণকাজের কোনো পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ সড়ক প্রকল্পের কারণে হাতিরঝিল ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোর পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবহনব্যবস্থাও ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। তা ছাড়া ঢাকাকে বাইপাস না করে, বরং ঢাকার একেবারে মধ্য দিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলের সুযোগ করে দিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে জালের মতো নতুন নতুন র্যাম্প যুক্ত করে রাজধানীতে যানজট বাড়ানোর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই প্রকল্প।
বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক নাঈম উল হাসান বলেন, ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের মূল প্রকল্পটি ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য একনেকে অনুমোদন পেলেও অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির কারণে তিন বছরের এই প্রকল্প এক যুগ পার হলেও সম্পন্ন করা যায়নি। পরিবেশ ধ্বংসের পাশাপাশি এই প্রকল্প নাগরিক অধিকার হরণ করেছে, অন্যায্য চুক্তির মাধ্যমে দেশীয় বিনিয়োগ ও অর্থ খাতকে পাশ কাটিয়ে বিদেশি মুনাফাকে প্রাধান্য দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় অর্থ, শ্রম ও পরিকল্পনা অপচয়ের প্রকৃত উদাহরণ এই এক্সপ্রেসওয়ে।
বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল ধ্বংস করে প্রকৃতিবিধ্বংসী ও জনবিরোধী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের এফডিসি থেকে পলাশী পর্যন্ত সংযোগ সড়ক বাতিলের দাবিতে ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ সাল থেকে তারা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে। এ পর্যন্ত ৩০টিরও বেশি সমাবেশ হয়েছে এবং ৫০টির বেশি সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ১০ হাজার মানুষ গণস্বাক্ষর দিয়ে আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন।
প্রকৃতি রক্ষায় পান্থকুঞ্জ পার্কে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন পরিবেশকর্মীরা। আজ বুধবার ঈদের তৃতীয় দিনেও রাজধানীর কারওয়ান বাজারসংলগ্ন এই পার্কে ১১০তম দিনের মতো নিজেদের অবস্থান জারি রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা বলছেন, প্রকৃতি বিধ্বংসী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প থেকে পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল জলাশয় রক্ষায় কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
পান্থকুঞ্জ পার্কে অবস্থান কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছে ‘বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন’। সংগঠনটির সমন্বয়ক আমিরুল রাজিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদের সময় ২৪ ঘণ্টা আমরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে গেছি। আমাদের কয়েকজন পরিবেশকর্মীর ঈদ বলে কিছু ছিল না। এর আগে তীব্র শীত গেল, এখন তাপপ্রবাহ যাচ্ছে। এসবের মধ্যেও আমরা অহিংস আন্দোলন চালিয়ে নিচ্ছি। কিন্তু এত দিনেও সরকারের টনক নড়েনি।’
আমিরুল রাজিব আরও বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পরে আমাদের যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা সরকারের কাছ থেকে পাইনি। এত দিন ধরে আন্দোলন করছি, সরকারের উচিত ছিল একটা পর্যালোচনার মধ্যে যাওয়া। উল্টো সরকার আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার ও অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।’
গত ২৩ মার্চ আন্দোলনের শততম দিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশকর্মীরা জানান, পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিলে চলমান নির্মাণকাজের কোনো পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ সড়ক প্রকল্পের কারণে হাতিরঝিল ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোর পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবহনব্যবস্থাও ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। তা ছাড়া ঢাকাকে বাইপাস না করে, বরং ঢাকার একেবারে মধ্য দিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলের সুযোগ করে দিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে জালের মতো নতুন নতুন র্যাম্প যুক্ত করে রাজধানীতে যানজট বাড়ানোর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই প্রকল্প।
বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক নাঈম উল হাসান বলেন, ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের মূল প্রকল্পটি ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য একনেকে অনুমোদন পেলেও অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির কারণে তিন বছরের এই প্রকল্প এক যুগ পার হলেও সম্পন্ন করা যায়নি। পরিবেশ ধ্বংসের পাশাপাশি এই প্রকল্প নাগরিক অধিকার হরণ করেছে, অন্যায্য চুক্তির মাধ্যমে দেশীয় বিনিয়োগ ও অর্থ খাতকে পাশ কাটিয়ে বিদেশি মুনাফাকে প্রাধান্য দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় অর্থ, শ্রম ও পরিকল্পনা অপচয়ের প্রকৃত উদাহরণ এই এক্সপ্রেসওয়ে।
বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল ধ্বংস করে প্রকৃতিবিধ্বংসী ও জনবিরোধী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের এফডিসি থেকে পলাশী পর্যন্ত সংযোগ সড়ক বাতিলের দাবিতে ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ সাল থেকে তারা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে। এ পর্যন্ত ৩০টিরও বেশি সমাবেশ হয়েছে এবং ৫০টির বেশি সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ১০ হাজার মানুষ গণস্বাক্ষর দিয়ে আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন।
বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স—একিউআইয়ের আজ সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান ১৭১, যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আজ দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ২য়। গতকাল সোমবার একই সময়ের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ছিল ১৩১, অবস্থান ছিল ৭ম।
৯ ঘণ্টা আগেআজ দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল এই এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ দশমিক ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১০ মিলিমিটার।
১ দিন আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ-এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
১ দিন আগেদই দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে কম-বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় সারা দেশের তাপমাত্রা আজ কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ সোমবার, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকালের বুলেটিন অনুযায়ী, আজ আট বিভাগেই অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে
২ দিন আগে