বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারির পর খানখানাবাদ, বাহারছাড়া, সরল, গন্ডামারা, ছনুয়াসহ ৫ ইউনিয়নের প্রায় দেড় লাখ মানুষের আতঙ্কে দিন কাটছে। ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলীয় এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকেরা ঘূর্ণিঝড়ের আগাম মাইকিংসহ প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে বাঁশখালীতে ১১০টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৮৫ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার মতো উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ শনিবার সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজার ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল হিসেবে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ দিকে গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী উপকূলীয় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও পানীয় মজুত রাখা হয়েছে।
বাঁশখালী উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি অফিসের রেডিও অপারেটর মিঠু কুমার দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলার পুকুরিয়া, খানখানাবাদ, বাহারছড়া, কাথারিয়া, সরল, শীলকূপ, গন্ডামারা, শেখেরখীল, পুঁইছড়ি, ছনুয়া ইউনিয়নকে উপকূলীয় অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই ১০ ইউনিয়নে ৭১টি ইউনিটে ১ হাজার ৪২০ জন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন। সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক যে কোনো আহুত পরিস্থিতির ঝুঁকি এড়াতে প্রস্তুত রয়েছেন। স্থানীয় লোকজনকে সতর্ক করতে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে মাইকিং করা অব্যাহত রাখা হয়েছে।’
বাঁশখালীর সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক সমন্বয়কারী কল্যাণ বড়ুয়া মুক্তা জানান, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) বাঁশখালীর উপকূলীয় ১০টি ইউনিয়নে সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকেরা প্রস্তুত রয়েছেন। ইতিমধ্যে উপকূলীয় এলাকায় তাঁরা মাইকিংসহ নানান সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
গন্ডামার ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ওসমান গনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুক্রবার রাত থেকে আমার এলাকার লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপির নির্দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার ও পানি মজুত করা হয়েছে।’
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার আগাম প্রস্তুতিতে উপকূলের মানুষের জান-মাল রক্ষায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সিপিপিসহ বিভিন্ন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকেরা ঘূর্ণিঝড় প্রচারণায় কাজ করে যাচ্ছেন। ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি এড়াতে কন্ট্রোল রুম ও মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সরকারিভাবে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি মজুত রাখা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারির পর খানখানাবাদ, বাহারছাড়া, সরল, গন্ডামারা, ছনুয়াসহ ৫ ইউনিয়নের প্রায় দেড় লাখ মানুষের আতঙ্কে দিন কাটছে। ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলীয় এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকেরা ঘূর্ণিঝড়ের আগাম মাইকিংসহ প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে বাঁশখালীতে ১১০টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৮৫ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার মতো উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ শনিবার সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজার ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল হিসেবে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ দিকে গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী উপকূলীয় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও পানীয় মজুত রাখা হয়েছে।
বাঁশখালী উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি অফিসের রেডিও অপারেটর মিঠু কুমার দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলার পুকুরিয়া, খানখানাবাদ, বাহারছড়া, কাথারিয়া, সরল, শীলকূপ, গন্ডামারা, শেখেরখীল, পুঁইছড়ি, ছনুয়া ইউনিয়নকে উপকূলীয় অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই ১০ ইউনিয়নে ৭১টি ইউনিটে ১ হাজার ৪২০ জন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন। সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক যে কোনো আহুত পরিস্থিতির ঝুঁকি এড়াতে প্রস্তুত রয়েছেন। স্থানীয় লোকজনকে সতর্ক করতে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে মাইকিং করা অব্যাহত রাখা হয়েছে।’
বাঁশখালীর সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক সমন্বয়কারী কল্যাণ বড়ুয়া মুক্তা জানান, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) বাঁশখালীর উপকূলীয় ১০টি ইউনিয়নে সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকেরা প্রস্তুত রয়েছেন। ইতিমধ্যে উপকূলীয় এলাকায় তাঁরা মাইকিংসহ নানান সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
গন্ডামার ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ওসমান গনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুক্রবার রাত থেকে আমার এলাকার লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপির নির্দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার ও পানি মজুত করা হয়েছে।’
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার আগাম প্রস্তুতিতে উপকূলের মানুষের জান-মাল রক্ষায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সিপিপিসহ বিভিন্ন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকেরা ঘূর্ণিঝড় প্রচারণায় কাজ করে যাচ্ছেন। ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি এড়াতে কন্ট্রোল রুম ও মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সরকারিভাবে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি মজুত রাখা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
আজ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হালকা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ শনিবার, সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১৯ ঘণ্টা আগেবেশ কিছুদিন সহনীয় পর্যায়ে থাকার পর আবারও বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েছে ঢাকায়। বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৫ শহরের মধ্যে আজ ১০ নম্বরে রয়েছে ঢাকা। আজ বায়ুদূষণ ও বাতাসের গুণমান সূচক নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান সূচক ১১২।
১৯ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মুহুরী, গোমতী, সোমেশ্বরী ও তিস্তা নদীর পানি বাড়ার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
১ দিন আগেআজ সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি, নোয়াখালি, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
২ দিন আগে