সুইজারল্যান্ডের আয়তনের সমান গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অরণ্য হারিয়েছি আমরা গত বছর, উঠে এসেছে নতুন গবেষণায়। অর্থাৎ জলবায়ু সম্মেলন কপ ২৬-এ বিশ্ব নেতাদের বন উজাড় বন্ধে করা অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন ঘটছে না।
২০২২ সালে প্রতি মিনিটে ১১টি ফুটবল মাঠের সমান অরণ্য উজাড় হয়েছে, আর এতে সবার থেকে এগিয়ে ছিল দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। একই সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ায় বন ধ্বংসের গতি অনেকটাই কমে আসা বলছে এর ব্যতিক্রমও ঘটানো সম্ভব। এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
২০২১ সালে কপ ২৬ জলবায়ুসংক্রান্ত মিটিংয়ে ১০০-এর বেশি বিশ্বনেতা গ্লাসগো ডিক্লারেশনে স্বাক্ষর করেন। সেখানে বন ধ্বংস বন্ধে একমত হন। এ জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয় ২০৩০ সাল পর্যন্ত। বৃক্ষ ধ্বংস বন্ধে এর আগের অর্থাৎ ২০১৪ সালের সমাঝোতাটা কাজে না আসায় নতুন এই সিদ্ধান্ত হয়।
তথ্য-উপাত্ত বলছে ২০২১-এর তুলনায় বন উজাড় বেড়েছে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে বন ধ্বংস বন্ধের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের উল্টো চিত্র।
গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচের নতুন এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গ্লাসগোতে করা নতুন অঙ্গীকার রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
ব্রাজিল, কঙ্গো ও ইন্দোনেশিয়ার রেইন ফরেস্ট বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস শোষণ করে। এ ধরনের পুরোনো জঙ্গল সাফ করা বা পোড়া মানে সঞ্চিত কার্বনের বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়া, যা পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
অরণ্যগুলো বহু মানুষের জীবনধারণ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়েছেন নতুন গাছ লাগিয়ে বৃক্ষ উজাড়ের ক্ষতি মোকাবিলা সম্ভব নয়। কারণ বহু বছরে এই জঙ্গলের সৃষ্টি হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের সংগ্রহ করা তথ্যে দেখা যায়, উষ্ণমণ্ডলীয় বনগুলো ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ আদিম অরণ্য হারিয়েছে।
‘প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কি ২০৩০ সালের মধ্যে বন ধ্বংস থামিয়ে দেওয়ার সঠিক পথে আছি? সংক্ষিপ্ত উত্তর হলো ‘না’, বলেন গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচের পরিচালনাকারী ওয়ার্ল্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রড টেইলর।
২০২২ সালে আদিম গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অরণ্য ধ্বংসে সবার ওপরে ছিল ব্রাজিল, আগের বছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি।
ব্রাজিলের অরণ্যের অর্ধেকের বেশি আছে অ্যামাজোনাস স্টেটে। সেখানে গত তিন বছরে বন ধ্বংসের হার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। মোটের ওপর চিত্রটা সুখকর না হলেও এমন দু-একটি উন্নতি আছে যেটা বলে দিচ্ছে বন ধ্বংসের লাগাম টেনে ধরাটা একেবারে অসম্ভব নয়। ইন্দোনেশিয়া গত বছরগুলোতে বন উজাড় কমানোয় সবার ওপরে। এটা সম্ভব হয়েছে দাবানল বন্ধে গুরুত্ব দেওয়ায় ও নতুন পাম বাগান করা বন্ধ করে দিয়ে। তাদের পথেই হাঁটছে প্রতিবেশী মালয়েশিয়া।
এদিকে বলিভিয়া যারা গ্লাসগোর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি, সেখানে ২০২২ সালে বন ধ্বংস বেড়েছে আগের বছরের তুলনায় ৩৩ শতাংশের মতো। গবেষকদের মতে এর মূল কারণ কৃষি জমির সম্প্রসারণ।
তবে বন ধ্বংসের এই হার দ্রুতই কমানো না গেলে আমরা যে বিপদে পড়ব সন্দেহ নেই। যেমন ওয়ার্ল্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রড টেইলর বলেন, আপনি যখন বন হারাবেন, এটা পুনরুদ্ধার করা খুব কঠিন। অনেকটা পুনরুদ্ধার করা যায় না এমন সম্পদের মতো এটা।
সুইজারল্যান্ডের আয়তনের সমান গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অরণ্য হারিয়েছি আমরা গত বছর, উঠে এসেছে নতুন গবেষণায়। অর্থাৎ জলবায়ু সম্মেলন কপ ২৬-এ বিশ্ব নেতাদের বন উজাড় বন্ধে করা অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন ঘটছে না।
২০২২ সালে প্রতি মিনিটে ১১টি ফুটবল মাঠের সমান অরণ্য উজাড় হয়েছে, আর এতে সবার থেকে এগিয়ে ছিল দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। একই সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ায় বন ধ্বংসের গতি অনেকটাই কমে আসা বলছে এর ব্যতিক্রমও ঘটানো সম্ভব। এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
২০২১ সালে কপ ২৬ জলবায়ুসংক্রান্ত মিটিংয়ে ১০০-এর বেশি বিশ্বনেতা গ্লাসগো ডিক্লারেশনে স্বাক্ষর করেন। সেখানে বন ধ্বংস বন্ধে একমত হন। এ জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয় ২০৩০ সাল পর্যন্ত। বৃক্ষ ধ্বংস বন্ধে এর আগের অর্থাৎ ২০১৪ সালের সমাঝোতাটা কাজে না আসায় নতুন এই সিদ্ধান্ত হয়।
তথ্য-উপাত্ত বলছে ২০২১-এর তুলনায় বন উজাড় বেড়েছে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে বন ধ্বংস বন্ধের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের উল্টো চিত্র।
গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচের নতুন এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গ্লাসগোতে করা নতুন অঙ্গীকার রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
ব্রাজিল, কঙ্গো ও ইন্দোনেশিয়ার রেইন ফরেস্ট বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস শোষণ করে। এ ধরনের পুরোনো জঙ্গল সাফ করা বা পোড়া মানে সঞ্চিত কার্বনের বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়া, যা পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
অরণ্যগুলো বহু মানুষের জীবনধারণ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়েছেন নতুন গাছ লাগিয়ে বৃক্ষ উজাড়ের ক্ষতি মোকাবিলা সম্ভব নয়। কারণ বহু বছরে এই জঙ্গলের সৃষ্টি হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের সংগ্রহ করা তথ্যে দেখা যায়, উষ্ণমণ্ডলীয় বনগুলো ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ আদিম অরণ্য হারিয়েছে।
‘প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কি ২০৩০ সালের মধ্যে বন ধ্বংস থামিয়ে দেওয়ার সঠিক পথে আছি? সংক্ষিপ্ত উত্তর হলো ‘না’, বলেন গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচের পরিচালনাকারী ওয়ার্ল্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রড টেইলর।
২০২২ সালে আদিম গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অরণ্য ধ্বংসে সবার ওপরে ছিল ব্রাজিল, আগের বছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি।
ব্রাজিলের অরণ্যের অর্ধেকের বেশি আছে অ্যামাজোনাস স্টেটে। সেখানে গত তিন বছরে বন ধ্বংসের হার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। মোটের ওপর চিত্রটা সুখকর না হলেও এমন দু-একটি উন্নতি আছে যেটা বলে দিচ্ছে বন ধ্বংসের লাগাম টেনে ধরাটা একেবারে অসম্ভব নয়। ইন্দোনেশিয়া গত বছরগুলোতে বন উজাড় কমানোয় সবার ওপরে। এটা সম্ভব হয়েছে দাবানল বন্ধে গুরুত্ব দেওয়ায় ও নতুন পাম বাগান করা বন্ধ করে দিয়ে। তাদের পথেই হাঁটছে প্রতিবেশী মালয়েশিয়া।
এদিকে বলিভিয়া যারা গ্লাসগোর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি, সেখানে ২০২২ সালে বন ধ্বংস বেড়েছে আগের বছরের তুলনায় ৩৩ শতাংশের মতো। গবেষকদের মতে এর মূল কারণ কৃষি জমির সম্প্রসারণ।
তবে বন ধ্বংসের এই হার দ্রুতই কমানো না গেলে আমরা যে বিপদে পড়ব সন্দেহ নেই। যেমন ওয়ার্ল্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রড টেইলর বলেন, আপনি যখন বন হারাবেন, এটা পুনরুদ্ধার করা খুব কঠিন। অনেকটা পুনরুদ্ধার করা যায় না এমন সম্পদের মতো এটা।
আজ ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার, সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ এ অঞ্চলের আকাশ মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ ছাড়া দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে...
৩ ঘণ্টা আগেবায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ১৫ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১১০, যা সংবেদনশীল স্বাস্থ্যের মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ের বাতাসের নির্দেশক। আজ দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৮ম। গতকাল বুধবার ৯৩ বায়ুমান নিয়ে ১৫ম স্থানে ছিল ঢাকা।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা ও আশপাশের এলাকায় আজ ভোর থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে সারাদিনই। সেই সঙ্গে হতে পারে বজ্রপাতও। আজ বুধবার, সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেঢাকার বাতাস সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও গতকালের তুলনায় বেশ অবনতি হয়েছে আজ। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ১৫ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী আজ বুধবার ঢাকার বায়ুমান ৭২, যা সহনীয় পর্যায়ের বাতাসের নির্দেশক। আজ দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৪৯। গতকাল মঙ্গলবার ৬০ বায়ুমান নিয়ে ৪৯তম স্থানে
১ দিন আগে