মায়ের স্বপ্ন ছিল লন্ডন ও প্যারিস ঘুরে দেখবেন। সেই ইচ্ছে জানিয়েছিলেন সন্তানকে। মায়ের শারীরিক সমস্যার কারণে তা আর হয়ে ওঠে না। কিন্তু সন্তানের মনে বারবার নাড়া দিচ্ছিল মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে না পারার হতাশা। বলিউডের বিখ্যাত সুরকার ও মিউজিশিয়ান প্রীতম সেই হতাশাকে দূরে রেখে বোঝালেন, ইচ্ছে থাকলেই উপায় বের করা সম্ভব। মাকে লন্ডন ও প্যারিস দেখাতে করলেন অসাধ্য সাধন। হুইলচেয়ারে করে ঘোরালেন দুই শহর।
মা অনুরাধা চক্রবর্তীর ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স ট্যুরের কিছু ছবি দিয়ে ভিডিও বানিয়েছেন প্রীতম। সঙ্গে ছিল তাঁর পুরো পরিবার। আর ভিডিওর সঙ্গে দিলেন মন ছুঁয়ে যাওয়া এক দীর্ঘ বার্তা।
প্রীতম লিখেছেন, ‘কয়েক বছর আগে মা তাঁর জীবনে অন্তত একবার লন্ডন ও প্যারিস দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু বাবার অ্যালজাইমার্স ধরা পড়ে। আর এই পুরো সময়টা বাবার পাশে ছিলেন মা, তাঁর যত্ন নিচ্ছিলেন। এমনকি সেই সময়ে তাঁর অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হাঁটুর অস্ত্রোপচার করাতেও রাজি হননি তিনি।’
‘এরপর বাবা চলে যান আমাদের ছেড়ে। তারপর করোনা আসে। জীবন আরও স্থবির হয়ে পড়েছিল। বয়সের জন্য মায়ের আর হাঁটুর অস্ত্রোপচার করাও সম্ভব ছিল না। হুইলচেয়ারেই আটকে পড়েছিলেন। কিন্তু তা-ও আমরা তাঁকে নিয়ে ছুটিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।’ আরও লেখেন প্রীতম।
প্রীতম জানান, তাঁরা খুব চিন্তায় ছিলেন মা অনুরাধার স্বাস্থ্য নিয়ে। কিন্তু মায়ের মুখের আনন্দ দেখে মন ভরেছিল আনন্দে। প্রীতম লিখেছেন, ‘মা খুব রোমাঞ্চিত ছিলেন, যদিও আমি তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে কিছুটা ভয়ে এবং চিন্তায় ছিলাম। তবে তাঁর চোখেমুখে যে আনন্দ ছিল, তা অমূল্য। ভালো ব্যাপার হচ্ছে, বাচ্চারা তাদের ঠাম্মুকে ঘোরানোর সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছিল নিজেদের কাঁধে। এটি এমন একটি ছুটি, যা সারা জীবন আমার মনে থেকে যাবে।’
সবশেষ প্রীতম লিখেছেন, ‘আমি শুধু আপনাদের সকলের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই যে দয়া করে এখনই আপনার পিতামাতার ইচ্ছা পূরণ করুন। যতক্ষণ তাঁরা আপনাদের সঙ্গে আছেন। ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করবেন না। বরং এই মুহূর্তে নিজেদের উপভোগ করুন।’
প্রীতমের এই পোস্ট মন ছুঁয়ে গেছে নেটিজেনদের। একজন মন্তব্যে লিখেছেন, ‘সব মা যেন আপনার মতো সন্তান পায়। এত মিষ্টি নাতি-নাতনি পায়। সুন্দর পোস্ট।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘সমাজের অনেক কিছু শেখার আছে এ রকম পোস্ট থেকে। বাবা-মার বৃদ্ধ বয়সের লাঠি সন্তানই। তাঁদের বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবেন না কেউ দয়া করে।’
মায়ের স্বপ্ন ছিল লন্ডন ও প্যারিস ঘুরে দেখবেন। সেই ইচ্ছে জানিয়েছিলেন সন্তানকে। মায়ের শারীরিক সমস্যার কারণে তা আর হয়ে ওঠে না। কিন্তু সন্তানের মনে বারবার নাড়া দিচ্ছিল মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে না পারার হতাশা। বলিউডের বিখ্যাত সুরকার ও মিউজিশিয়ান প্রীতম সেই হতাশাকে দূরে রেখে বোঝালেন, ইচ্ছে থাকলেই উপায় বের করা সম্ভব। মাকে লন্ডন ও প্যারিস দেখাতে করলেন অসাধ্য সাধন। হুইলচেয়ারে করে ঘোরালেন দুই শহর।
মা অনুরাধা চক্রবর্তীর ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স ট্যুরের কিছু ছবি দিয়ে ভিডিও বানিয়েছেন প্রীতম। সঙ্গে ছিল তাঁর পুরো পরিবার। আর ভিডিওর সঙ্গে দিলেন মন ছুঁয়ে যাওয়া এক দীর্ঘ বার্তা।
প্রীতম লিখেছেন, ‘কয়েক বছর আগে মা তাঁর জীবনে অন্তত একবার লন্ডন ও প্যারিস দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু বাবার অ্যালজাইমার্স ধরা পড়ে। আর এই পুরো সময়টা বাবার পাশে ছিলেন মা, তাঁর যত্ন নিচ্ছিলেন। এমনকি সেই সময়ে তাঁর অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হাঁটুর অস্ত্রোপচার করাতেও রাজি হননি তিনি।’
‘এরপর বাবা চলে যান আমাদের ছেড়ে। তারপর করোনা আসে। জীবন আরও স্থবির হয়ে পড়েছিল। বয়সের জন্য মায়ের আর হাঁটুর অস্ত্রোপচার করাও সম্ভব ছিল না। হুইলচেয়ারেই আটকে পড়েছিলেন। কিন্তু তা-ও আমরা তাঁকে নিয়ে ছুটিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।’ আরও লেখেন প্রীতম।
প্রীতম জানান, তাঁরা খুব চিন্তায় ছিলেন মা অনুরাধার স্বাস্থ্য নিয়ে। কিন্তু মায়ের মুখের আনন্দ দেখে মন ভরেছিল আনন্দে। প্রীতম লিখেছেন, ‘মা খুব রোমাঞ্চিত ছিলেন, যদিও আমি তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে কিছুটা ভয়ে এবং চিন্তায় ছিলাম। তবে তাঁর চোখেমুখে যে আনন্দ ছিল, তা অমূল্য। ভালো ব্যাপার হচ্ছে, বাচ্চারা তাদের ঠাম্মুকে ঘোরানোর সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছিল নিজেদের কাঁধে। এটি এমন একটি ছুটি, যা সারা জীবন আমার মনে থেকে যাবে।’
সবশেষ প্রীতম লিখেছেন, ‘আমি শুধু আপনাদের সকলের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই যে দয়া করে এখনই আপনার পিতামাতার ইচ্ছা পূরণ করুন। যতক্ষণ তাঁরা আপনাদের সঙ্গে আছেন। ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করবেন না। বরং এই মুহূর্তে নিজেদের উপভোগ করুন।’
প্রীতমের এই পোস্ট মন ছুঁয়ে গেছে নেটিজেনদের। একজন মন্তব্যে লিখেছেন, ‘সব মা যেন আপনার মতো সন্তান পায়। এত মিষ্টি নাতি-নাতনি পায়। সুন্দর পোস্ট।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘সমাজের অনেক কিছু শেখার আছে এ রকম পোস্ট থেকে। বাবা-মার বৃদ্ধ বয়সের লাঠি সন্তানই। তাঁদের বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবেন না কেউ দয়া করে।’
কলেজের প্রথম দিনে সবচেয়ে দুষ্টু ছাত্র সাদের (ইয়াশ রোহান) সঙ্গে দেখা হয় হৃদির। সাদ যতটা চঞ্চল ও দুষ্টু, হৃদি ঠিক ততটাই মিষ্টি ও গম্ভীর। ধীরে ধীরে হৃদিকে ভালোবেসে ফেলে সাদ।
৫ ঘণ্টা আগেবিদেশে ব্যস্ত সময় পার করছে দেশের ব্যান্ডগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় ৭ আগস্ট ম্যানচেস্টারে ইউকে ম্যানেজমেন্ট কলেজে ‘সামারফেস্ট ২০২৫’-এ অংশ নেয় চিরকুট। পৃথিবীর নানা দেশের শিক্ষার্থী ছাড়াও চিরকুটের টানে এই আয়োজনে ছুটে এসেছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।
৫ ঘণ্টা আগেনয়া মানুষ মূলত নদীর চরে বসবাসরত মানুষের গল্প। নতুন মানুষ চরে এলে তাদের কী রকম সংকট বা সমস্যার মুখে পড়তে হয়, তা নিয়েই সিনেমার গল্প।
৯ ঘণ্টা আগেপাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ানের ষষ্ঠ সিনেমায় ফিরতে পারেন জনি ডেপ। প্রযোজক জেরি ব্রুকহেইমার জানিয়েছেন, পাইরেটস সিরিজের নতুন সিনেমা নিয়ে এরই মধ্যে জনি ডেপের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। সব ঠিক থাকলে জ্যাক স্প্যারো হয়ে আবারও ফিরতে পারেন তিনি।
১০ ঘণ্টা আগে