Ajker Patrika

সরকারি অনুদান পাচ্ছে ১২ পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ২০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২৪-২৫ অর্থ বছরে অনুদান পাচ্ছে মোট ২০টি সিনেমা। ছবি: সংগৃহীত
২০২৪-২৫ অর্থ বছরে অনুদান পাচ্ছে মোট ২০টি সিনেমা। ছবি: সংগৃহীত

২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং ২০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এসব চলচ্চিত্রকে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এবার প্রতিটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ৭৫ লাখ টাকা আর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ২০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। প্রতিবার প্রযোজকের নামের সঙ্গে পরিচালকের নাম উল্লেখ করা হলেও এবার প্রজ্ঞাপনে নেই পরিচালকদের নাম।

পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে সাধারণ শাখায় ৮টি, শিশুতোষ শাখায় ১টি, প্রামাণ্যচিত্র শাখায় ১টি, রাজনৈতিক ইতিহাস তথা আবহমান বাংলার সকল রাজনৈতিক অভ্যুত্থান, আন্দোলন ও বিপ্লব যা এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের নিয়ামক সংক্রান্ত শাখায় ১টি এবং সাংস্কৃতিক ইতিহাস তথা বাংলার ঐতিহ্য, মিথ ও ফোকলোর সংক্রান্ত শাখায় ১টি চলচ্চিত্র পাচ্ছে সরকারি অনুদান।

অনুদানের জন্য নির্বাচিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো—রবিনহুডের আশ্চর্য অভিযান (জগন্ময় পাল), মায়ের ডাক (লাবিব নাজমুছ ছাকিব), জুলাই (মাহমুদুল ইসলাম), রূহের কাফেলা (হাসান আহম্মেদ সানি), পরোটার স্বাদ (সিংখানু মারমা), খোঁয়ারি (সালেহ আহমেদ সোবহান), জীবন অপেরা (আলভী আহমেদ), জলযুদ্ধ (গোলাম সোহরাব দোদুল), কবির মুখ: দ্য টাইম কিপার (মুশফিকুর রহমান), কফিনের ডানা (আনুশেহ আনাদিল), নওয়াব ফুজুন্নেসা (সাহিবা মাহবুব) এবং জুঁই (সুজন মাহমুদ)।

অনুদানের জন্য নির্বাচিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো— ‘মন্দ-ভালো’ (মাহবুব আলম), ‘ফেলানী’ (সাব্বির), ‘ঝুঁকির মাত্রা’ (তাফজিরা রহমান সামিয়া), ‘জীবনের গান’ (জাহিদ হাসান), ‘হু হ্যাজ মেইড আস ফ্লাই’ (শ্রী অভীক চন্দ্র তালুকদার), ‘ভরা বাদর’ (মোহাম্মদ সাইদুল আলম খান), ‘১২৩০’ (সালমান নূর), ‘বৃন্দারাণীর আঙুল’ (শুভাশিস সিনহা), ‘একটি সিনেমার জন্য’ (সাদমান শাহরিয়ার), ‘দাফন’ (সাইদুল ইসলাম), ‘সাঁতার’ (ইফতেখার জাহান নয়ন), ‘মাংস কম’ (নোশিন নাওয়ার), ‘গগন’ (সুমন আনোয়ার), ‘অতিথি’ (মো. আবিদ মল্লিক), ‘বোবা’ (সালজার রহামান), ‘অদ্বৈত’ (সাদিয়া খালিদ), ‘আশার আলো’ (মো. আরিফুর রহমান), ‘গর্জনপুরের বাঘা’ (মো. মনিরুজ্জামান), ‘হোয়ার দ্য ওয়াটার স্লিপস’ (তাছলিমা নাসরিন নূপুর) এবং ‘অপসময়’ (মো. নাসরুল্লাহ মানসুর)।

অনুদানের নীতিমালা অনুযায়ী, অনুদানের প্রথম কিস্তির চেক পাওয়ার পর কাহিনিচিত্রের ক্ষেত্রে অনধিক ১৮ মাস এবং প্রামাণ্যচিত্রের ক্ষেত্রে অনধিক ২৪ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে। তবে বিশেষ অবস্থার ক্ষেত্রে এ সময় ছয় মাস করে সর্বোচ্চ দুই বার বাড়ানো যাবে।

অনুদান পাওয়া সিনেমাগুলো দেশের কমপক্ষে ৫টি সিনেমা হলে মুক্তি কিংবা কমপক্ষে ১০টি জেলা তথ্য কমপ্লেক্স/ শিল্পকলা একাডেমি/ পাবলিক অডিটোরিয়াম/ ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রদর্শন করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত