
কবরী আপা একজন কিংবদন্তি। তাঁকে আমরা এত তাড়াতাড়ি হারাব আশা করিনি। তাঁর চলে যাওয়াটা খুব দুঃখজনক টোটাল ইন্ডাস্ট্রির জন্য। শিল্পী হিসেবে, মানুষ হিসেবে তিনি অতুলনীয়। আমার প্রথম মুক্তি পাওয়া ছবি ‘আমার জন্মভূমি’। ১৯৭৩ সালের কথা সেটা। ছবিটি পরিচালনা করেন শ্রদ্ধেয় আলমগীর কুমকুম। এর আগে ১৯৭২ সালের ২৪ জুন এ ছবিতে অভিনয়ের জন্য আমি প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়াই। ছবিতে কবরী আপা ছিলেন রাজ্জাক ভাইয়ের নায়িকা। কিন্তু প্রথম ছবিতেই সহশিল্পী হিসেবে তাঁকে পেয়েছিলাম।
এরপর আলমগীর কুমকুমের ‘মমতা’ ছবির কাজ শুরু করি ১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি। তখনো আমার প্রথম ছবি ‘আমার জন্মভূমি’ মুক্তি পায়নি। ‘মমতা’য় অভিনেত্রী কবরীকে পেয়েছিলাম আমার নায়িকা হিসেবে। ছবির শুটিং হয়েছিল চট্টগ্রামে। আগ্রাবাদ হোটেলে উঠেছিলাম আমরা। আমার সঙ্গে ছিলেন চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান। একদিন হোটেলের ক্লাবে একটা পার্টি ছিল। পার্টিতে যাওয়ার জন্য আমি ও মাহফুজ রেডি হয়েছি। কবরী আপার সঙ্গে দেখা। তিনি জানতে চাইলেন পার্টিতে যাব কি না। বললাম, ‘হ্যাঁ, রেডি হয়ে এলাম তো।’ তিনি ভ্রু কুঁচকে বললেন, ‘এভাবে? এভাবে যাওয়া যাবে না। যান দুটো শার্ট কিনে নিয়ে আসেন। আর বিলের কথা জিজ্ঞেস করলে আমার রুম নাম্বার বলে দিবেন।’ এই হচ্ছেন কবরী আপা। বড় বোনের মতো সম্মান করতাম তাঁকে।

‘আমার জন্মভূমি’ ছবির একটি ঘটনা শেয়ার করি। তখন তো আমি ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন। সবে কাজ শুরু করেছি। ‘আমার জন্মভূমি’র আউটডোর শুটিং ছিল কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে। সেখানে ইউনিটের জন্য দুটোমাত্র রুম পাওয়া গিয়েছিল। আমাদের কয়েকজনের থাকার জায়গা হয়নি। একটা বড় বারান্দা ছিল, সেখানে খড় বিছিয়ে বিছানা বানিয়ে ঘুমানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। প্রথম রাত ওভাবেই ঘুমিয়েছি। পরের রাতেও একইভাবে ঘুমাতে গেছি, কবরী আপা দেখেই আমাদের জন্য বিছানা–বালিশ–চাদর কেনার ব্যবস্থা করলেন। এভাবে শুটিংয়ের প্রত্যেকেরই খোঁজখবর নিতেন তিনি। ঢাকার বাইরে কোথাও শুটিংয়ে গেলে তিনি সবাইকে আগলে রাখার চেষ্টা করতেন। কে কখন কী করছে, কে কী খেল, কে কোথায় ঘুমাল–সবই তদারকি করতেন।
কবরী আপার সঙ্গে আমার দীর্ঘ ৫০ বছরের স্মৃতি। কত অসাধারণ মানুষ ছিলেন তিনি! আমরা তিনজনের একটা গ্রুপ ছিলাম। কবরী, আমি ও চিত্রগ্রাহক মাহফুজ। কত আড্ডা দিয়েছি আমরা একসঙ্গে! বেশির ভাগ সময় আড্ডা হতো উনার বাসাতেই। তারপর আমরা গাড়ি নিয়ে বের হতাম। তিনি আমাদের ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে খাওয়াতে নিয়ে যেতেন। তখন আমাদের কাছে পয়সা ছিল না। এফোর্ট করতে পারতাম না। কবরী আপাই বিল দিতেন।
ব্যস্ততার কারণেই জীবনের শেষদিকে তাঁর সঙ্গে আমার কম দেখা হতো। তবে যখনই দেখা হতো বা কথা হতো, তিনি সেই চিরাচরিত হাসি দিয়ে আন্তরিকতা নিয়েই কথা বলতেন। খোঁজখবর নিতেন। কবরী আপার একটা বড় গুণ ছিল তিনি মানুষকে আপন করে নিতে জানতেন। আপন করে রাখতে জানতেন। প্রতিটি মানুষের জীবনেই কোনো কোনো কষ্ট থাকে, বেদনা থাকে। নিশ্চয়ই কবরী আপার মাঝেও ছিল। কিন্তু ওসব তিনি লুকিয়ে রাখতেন হাসির আড়ালে। বুঝতেই দিতেন না।
একনজরে কবরী
জন্ম: ১৯ জুলাই ১৯৫০, চট্টগ্রাম
আসল নাম: মিনা পাল
প্রথম ছবি: ‘সুতরাং’ (১৯৬৪)
টিভিতে প্রথম: ধারাবাহিক ‘সংশপ্তক’ (১৯৭০)
প্রথম পরিচালনা: স্বল্পদৈর্ঘ্য ‘একাত্তরের মিছিল’ ও পূর্ণদৈর্ঘ্য ‘আয়না’ (২০০৬)
প্রথম প্রযোজনা: ‘শীত বসন্ত’ (১৯৬৯), প্রতিষ্ঠানের নাম কবরী প্রোডাকশন
সন্তান: পাঁচ ছেলে
পুরস্কার: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দুইবার। প্রথমবার ‘সারেং বৌ’–তে (১৯৭৮)
সেরা অভিনেত্রী ও
আজীবন সম্মাননা। বাচসাস পুরস্কার ছয়বার ও মেরিল–প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার।
মৃত্যু: ১৭ এপ্রিল ২০২১, ঢাকা।

কবরী আপা একজন কিংবদন্তি। তাঁকে আমরা এত তাড়াতাড়ি হারাব আশা করিনি। তাঁর চলে যাওয়াটা খুব দুঃখজনক টোটাল ইন্ডাস্ট্রির জন্য। শিল্পী হিসেবে, মানুষ হিসেবে তিনি অতুলনীয়। আমার প্রথম মুক্তি পাওয়া ছবি ‘আমার জন্মভূমি’। ১৯৭৩ সালের কথা সেটা। ছবিটি পরিচালনা করেন শ্রদ্ধেয় আলমগীর কুমকুম। এর আগে ১৯৭২ সালের ২৪ জুন এ ছবিতে অভিনয়ের জন্য আমি প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়াই। ছবিতে কবরী আপা ছিলেন রাজ্জাক ভাইয়ের নায়িকা। কিন্তু প্রথম ছবিতেই সহশিল্পী হিসেবে তাঁকে পেয়েছিলাম।
এরপর আলমগীর কুমকুমের ‘মমতা’ ছবির কাজ শুরু করি ১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি। তখনো আমার প্রথম ছবি ‘আমার জন্মভূমি’ মুক্তি পায়নি। ‘মমতা’য় অভিনেত্রী কবরীকে পেয়েছিলাম আমার নায়িকা হিসেবে। ছবির শুটিং হয়েছিল চট্টগ্রামে। আগ্রাবাদ হোটেলে উঠেছিলাম আমরা। আমার সঙ্গে ছিলেন চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান। একদিন হোটেলের ক্লাবে একটা পার্টি ছিল। পার্টিতে যাওয়ার জন্য আমি ও মাহফুজ রেডি হয়েছি। কবরী আপার সঙ্গে দেখা। তিনি জানতে চাইলেন পার্টিতে যাব কি না। বললাম, ‘হ্যাঁ, রেডি হয়ে এলাম তো।’ তিনি ভ্রু কুঁচকে বললেন, ‘এভাবে? এভাবে যাওয়া যাবে না। যান দুটো শার্ট কিনে নিয়ে আসেন। আর বিলের কথা জিজ্ঞেস করলে আমার রুম নাম্বার বলে দিবেন।’ এই হচ্ছেন কবরী আপা। বড় বোনের মতো সম্মান করতাম তাঁকে।

‘আমার জন্মভূমি’ ছবির একটি ঘটনা শেয়ার করি। তখন তো আমি ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন। সবে কাজ শুরু করেছি। ‘আমার জন্মভূমি’র আউটডোর শুটিং ছিল কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে। সেখানে ইউনিটের জন্য দুটোমাত্র রুম পাওয়া গিয়েছিল। আমাদের কয়েকজনের থাকার জায়গা হয়নি। একটা বড় বারান্দা ছিল, সেখানে খড় বিছিয়ে বিছানা বানিয়ে ঘুমানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। প্রথম রাত ওভাবেই ঘুমিয়েছি। পরের রাতেও একইভাবে ঘুমাতে গেছি, কবরী আপা দেখেই আমাদের জন্য বিছানা–বালিশ–চাদর কেনার ব্যবস্থা করলেন। এভাবে শুটিংয়ের প্রত্যেকেরই খোঁজখবর নিতেন তিনি। ঢাকার বাইরে কোথাও শুটিংয়ে গেলে তিনি সবাইকে আগলে রাখার চেষ্টা করতেন। কে কখন কী করছে, কে কী খেল, কে কোথায় ঘুমাল–সবই তদারকি করতেন।
কবরী আপার সঙ্গে আমার দীর্ঘ ৫০ বছরের স্মৃতি। কত অসাধারণ মানুষ ছিলেন তিনি! আমরা তিনজনের একটা গ্রুপ ছিলাম। কবরী, আমি ও চিত্রগ্রাহক মাহফুজ। কত আড্ডা দিয়েছি আমরা একসঙ্গে! বেশির ভাগ সময় আড্ডা হতো উনার বাসাতেই। তারপর আমরা গাড়ি নিয়ে বের হতাম। তিনি আমাদের ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে খাওয়াতে নিয়ে যেতেন। তখন আমাদের কাছে পয়সা ছিল না। এফোর্ট করতে পারতাম না। কবরী আপাই বিল দিতেন।
ব্যস্ততার কারণেই জীবনের শেষদিকে তাঁর সঙ্গে আমার কম দেখা হতো। তবে যখনই দেখা হতো বা কথা হতো, তিনি সেই চিরাচরিত হাসি দিয়ে আন্তরিকতা নিয়েই কথা বলতেন। খোঁজখবর নিতেন। কবরী আপার একটা বড় গুণ ছিল তিনি মানুষকে আপন করে নিতে জানতেন। আপন করে রাখতে জানতেন। প্রতিটি মানুষের জীবনেই কোনো কোনো কষ্ট থাকে, বেদনা থাকে। নিশ্চয়ই কবরী আপার মাঝেও ছিল। কিন্তু ওসব তিনি লুকিয়ে রাখতেন হাসির আড়ালে। বুঝতেই দিতেন না।
একনজরে কবরী
জন্ম: ১৯ জুলাই ১৯৫০, চট্টগ্রাম
আসল নাম: মিনা পাল
প্রথম ছবি: ‘সুতরাং’ (১৯৬৪)
টিভিতে প্রথম: ধারাবাহিক ‘সংশপ্তক’ (১৯৭০)
প্রথম পরিচালনা: স্বল্পদৈর্ঘ্য ‘একাত্তরের মিছিল’ ও পূর্ণদৈর্ঘ্য ‘আয়না’ (২০০৬)
প্রথম প্রযোজনা: ‘শীত বসন্ত’ (১৯৬৯), প্রতিষ্ঠানের নাম কবরী প্রোডাকশন
সন্তান: পাঁচ ছেলে
পুরস্কার: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দুইবার। প্রথমবার ‘সারেং বৌ’–তে (১৯৭৮)
সেরা অভিনেত্রী ও
আজীবন সম্মাননা। বাচসাস পুরস্কার ছয়বার ও মেরিল–প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার।
মৃত্যু: ১৭ এপ্রিল ২০২১, ঢাকা।

কবরী আপা একজন কিংবদন্তি। তাঁকে আমরা এত তাড়াতাড়ি হারাব আশা করিনি। তাঁর চলে যাওয়াটা খুব দুঃখজনক টোটাল ইন্ডাস্ট্রির জন্য। শিল্পী হিসেবে, মানুষ হিসেবে তিনি অতুলনীয়। আমার প্রথম মুক্তি পাওয়া ছবি ‘আমার জন্মভূমি’। ১৯৭৩ সালের কথা সেটা। ছবিটি পরিচালনা করেন শ্রদ্ধেয় আলমগীর কুমকুম। এর আগে ১৯৭২ সালের ২৪ জুন এ ছবিতে অভিনয়ের জন্য আমি প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়াই। ছবিতে কবরী আপা ছিলেন রাজ্জাক ভাইয়ের নায়িকা। কিন্তু প্রথম ছবিতেই সহশিল্পী হিসেবে তাঁকে পেয়েছিলাম।
এরপর আলমগীর কুমকুমের ‘মমতা’ ছবির কাজ শুরু করি ১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি। তখনো আমার প্রথম ছবি ‘আমার জন্মভূমি’ মুক্তি পায়নি। ‘মমতা’য় অভিনেত্রী কবরীকে পেয়েছিলাম আমার নায়িকা হিসেবে। ছবির শুটিং হয়েছিল চট্টগ্রামে। আগ্রাবাদ হোটেলে উঠেছিলাম আমরা। আমার সঙ্গে ছিলেন চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান। একদিন হোটেলের ক্লাবে একটা পার্টি ছিল। পার্টিতে যাওয়ার জন্য আমি ও মাহফুজ রেডি হয়েছি। কবরী আপার সঙ্গে দেখা। তিনি জানতে চাইলেন পার্টিতে যাব কি না। বললাম, ‘হ্যাঁ, রেডি হয়ে এলাম তো।’ তিনি ভ্রু কুঁচকে বললেন, ‘এভাবে? এভাবে যাওয়া যাবে না। যান দুটো শার্ট কিনে নিয়ে আসেন। আর বিলের কথা জিজ্ঞেস করলে আমার রুম নাম্বার বলে দিবেন।’ এই হচ্ছেন কবরী আপা। বড় বোনের মতো সম্মান করতাম তাঁকে।

‘আমার জন্মভূমি’ ছবির একটি ঘটনা শেয়ার করি। তখন তো আমি ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন। সবে কাজ শুরু করেছি। ‘আমার জন্মভূমি’র আউটডোর শুটিং ছিল কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে। সেখানে ইউনিটের জন্য দুটোমাত্র রুম পাওয়া গিয়েছিল। আমাদের কয়েকজনের থাকার জায়গা হয়নি। একটা বড় বারান্দা ছিল, সেখানে খড় বিছিয়ে বিছানা বানিয়ে ঘুমানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। প্রথম রাত ওভাবেই ঘুমিয়েছি। পরের রাতেও একইভাবে ঘুমাতে গেছি, কবরী আপা দেখেই আমাদের জন্য বিছানা–বালিশ–চাদর কেনার ব্যবস্থা করলেন। এভাবে শুটিংয়ের প্রত্যেকেরই খোঁজখবর নিতেন তিনি। ঢাকার বাইরে কোথাও শুটিংয়ে গেলে তিনি সবাইকে আগলে রাখার চেষ্টা করতেন। কে কখন কী করছে, কে কী খেল, কে কোথায় ঘুমাল–সবই তদারকি করতেন।
কবরী আপার সঙ্গে আমার দীর্ঘ ৫০ বছরের স্মৃতি। কত অসাধারণ মানুষ ছিলেন তিনি! আমরা তিনজনের একটা গ্রুপ ছিলাম। কবরী, আমি ও চিত্রগ্রাহক মাহফুজ। কত আড্ডা দিয়েছি আমরা একসঙ্গে! বেশির ভাগ সময় আড্ডা হতো উনার বাসাতেই। তারপর আমরা গাড়ি নিয়ে বের হতাম। তিনি আমাদের ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে খাওয়াতে নিয়ে যেতেন। তখন আমাদের কাছে পয়সা ছিল না। এফোর্ট করতে পারতাম না। কবরী আপাই বিল দিতেন।
ব্যস্ততার কারণেই জীবনের শেষদিকে তাঁর সঙ্গে আমার কম দেখা হতো। তবে যখনই দেখা হতো বা কথা হতো, তিনি সেই চিরাচরিত হাসি দিয়ে আন্তরিকতা নিয়েই কথা বলতেন। খোঁজখবর নিতেন। কবরী আপার একটা বড় গুণ ছিল তিনি মানুষকে আপন করে নিতে জানতেন। আপন করে রাখতে জানতেন। প্রতিটি মানুষের জীবনেই কোনো কোনো কষ্ট থাকে, বেদনা থাকে। নিশ্চয়ই কবরী আপার মাঝেও ছিল। কিন্তু ওসব তিনি লুকিয়ে রাখতেন হাসির আড়ালে। বুঝতেই দিতেন না।
একনজরে কবরী
জন্ম: ১৯ জুলাই ১৯৫০, চট্টগ্রাম
আসল নাম: মিনা পাল
প্রথম ছবি: ‘সুতরাং’ (১৯৬৪)
টিভিতে প্রথম: ধারাবাহিক ‘সংশপ্তক’ (১৯৭০)
প্রথম পরিচালনা: স্বল্পদৈর্ঘ্য ‘একাত্তরের মিছিল’ ও পূর্ণদৈর্ঘ্য ‘আয়না’ (২০০৬)
প্রথম প্রযোজনা: ‘শীত বসন্ত’ (১৯৬৯), প্রতিষ্ঠানের নাম কবরী প্রোডাকশন
সন্তান: পাঁচ ছেলে
পুরস্কার: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দুইবার। প্রথমবার ‘সারেং বৌ’–তে (১৯৭৮)
সেরা অভিনেত্রী ও
আজীবন সম্মাননা। বাচসাস পুরস্কার ছয়বার ও মেরিল–প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার।
মৃত্যু: ১৭ এপ্রিল ২০২১, ঢাকা।

কবরী আপা একজন কিংবদন্তি। তাঁকে আমরা এত তাড়াতাড়ি হারাব আশা করিনি। তাঁর চলে যাওয়াটা খুব দুঃখজনক টোটাল ইন্ডাস্ট্রির জন্য। শিল্পী হিসেবে, মানুষ হিসেবে তিনি অতুলনীয়। আমার প্রথম মুক্তি পাওয়া ছবি ‘আমার জন্মভূমি’। ১৯৭৩ সালের কথা সেটা। ছবিটি পরিচালনা করেন শ্রদ্ধেয় আলমগীর কুমকুম। এর আগে ১৯৭২ সালের ২৪ জুন এ ছবিতে অভিনয়ের জন্য আমি প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়াই। ছবিতে কবরী আপা ছিলেন রাজ্জাক ভাইয়ের নায়িকা। কিন্তু প্রথম ছবিতেই সহশিল্পী হিসেবে তাঁকে পেয়েছিলাম।
এরপর আলমগীর কুমকুমের ‘মমতা’ ছবির কাজ শুরু করি ১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি। তখনো আমার প্রথম ছবি ‘আমার জন্মভূমি’ মুক্তি পায়নি। ‘মমতা’য় অভিনেত্রী কবরীকে পেয়েছিলাম আমার নায়িকা হিসেবে। ছবির শুটিং হয়েছিল চট্টগ্রামে। আগ্রাবাদ হোটেলে উঠেছিলাম আমরা। আমার সঙ্গে ছিলেন চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান। একদিন হোটেলের ক্লাবে একটা পার্টি ছিল। পার্টিতে যাওয়ার জন্য আমি ও মাহফুজ রেডি হয়েছি। কবরী আপার সঙ্গে দেখা। তিনি জানতে চাইলেন পার্টিতে যাব কি না। বললাম, ‘হ্যাঁ, রেডি হয়ে এলাম তো।’ তিনি ভ্রু কুঁচকে বললেন, ‘এভাবে? এভাবে যাওয়া যাবে না। যান দুটো শার্ট কিনে নিয়ে আসেন। আর বিলের কথা জিজ্ঞেস করলে আমার রুম নাম্বার বলে দিবেন।’ এই হচ্ছেন কবরী আপা। বড় বোনের মতো সম্মান করতাম তাঁকে।

‘আমার জন্মভূমি’ ছবির একটি ঘটনা শেয়ার করি। তখন তো আমি ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন। সবে কাজ শুরু করেছি। ‘আমার জন্মভূমি’র আউটডোর শুটিং ছিল কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে। সেখানে ইউনিটের জন্য দুটোমাত্র রুম পাওয়া গিয়েছিল। আমাদের কয়েকজনের থাকার জায়গা হয়নি। একটা বড় বারান্দা ছিল, সেখানে খড় বিছিয়ে বিছানা বানিয়ে ঘুমানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। প্রথম রাত ওভাবেই ঘুমিয়েছি। পরের রাতেও একইভাবে ঘুমাতে গেছি, কবরী আপা দেখেই আমাদের জন্য বিছানা–বালিশ–চাদর কেনার ব্যবস্থা করলেন। এভাবে শুটিংয়ের প্রত্যেকেরই খোঁজখবর নিতেন তিনি। ঢাকার বাইরে কোথাও শুটিংয়ে গেলে তিনি সবাইকে আগলে রাখার চেষ্টা করতেন। কে কখন কী করছে, কে কী খেল, কে কোথায় ঘুমাল–সবই তদারকি করতেন।
কবরী আপার সঙ্গে আমার দীর্ঘ ৫০ বছরের স্মৃতি। কত অসাধারণ মানুষ ছিলেন তিনি! আমরা তিনজনের একটা গ্রুপ ছিলাম। কবরী, আমি ও চিত্রগ্রাহক মাহফুজ। কত আড্ডা দিয়েছি আমরা একসঙ্গে! বেশির ভাগ সময় আড্ডা হতো উনার বাসাতেই। তারপর আমরা গাড়ি নিয়ে বের হতাম। তিনি আমাদের ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে খাওয়াতে নিয়ে যেতেন। তখন আমাদের কাছে পয়সা ছিল না। এফোর্ট করতে পারতাম না। কবরী আপাই বিল দিতেন।
ব্যস্ততার কারণেই জীবনের শেষদিকে তাঁর সঙ্গে আমার কম দেখা হতো। তবে যখনই দেখা হতো বা কথা হতো, তিনি সেই চিরাচরিত হাসি দিয়ে আন্তরিকতা নিয়েই কথা বলতেন। খোঁজখবর নিতেন। কবরী আপার একটা বড় গুণ ছিল তিনি মানুষকে আপন করে নিতে জানতেন। আপন করে রাখতে জানতেন। প্রতিটি মানুষের জীবনেই কোনো কোনো কষ্ট থাকে, বেদনা থাকে। নিশ্চয়ই কবরী আপার মাঝেও ছিল। কিন্তু ওসব তিনি লুকিয়ে রাখতেন হাসির আড়ালে। বুঝতেই দিতেন না।
একনজরে কবরী
জন্ম: ১৯ জুলাই ১৯৫০, চট্টগ্রাম
আসল নাম: মিনা পাল
প্রথম ছবি: ‘সুতরাং’ (১৯৬৪)
টিভিতে প্রথম: ধারাবাহিক ‘সংশপ্তক’ (১৯৭০)
প্রথম পরিচালনা: স্বল্পদৈর্ঘ্য ‘একাত্তরের মিছিল’ ও পূর্ণদৈর্ঘ্য ‘আয়না’ (২০০৬)
প্রথম প্রযোজনা: ‘শীত বসন্ত’ (১৯৬৯), প্রতিষ্ঠানের নাম কবরী প্রোডাকশন
সন্তান: পাঁচ ছেলে
পুরস্কার: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দুইবার। প্রথমবার ‘সারেং বৌ’–তে (১৯৭৮)
সেরা অভিনেত্রী ও
আজীবন সম্মাননা। বাচসাস পুরস্কার ছয়বার ও মেরিল–প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার।
মৃত্যু: ১৭ এপ্রিল ২০২১, ঢাকা।

ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’। চলতি মাসেই করাচিতে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি, আগামী জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতা করবে ঢাকা উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে।
৮ ঘণ্টা আগে
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
১৬ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
১৯ ঘণ্টা আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
১৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেক, ঢাকা

ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে সিনেমাটি। অন্যদিকে, করাচির ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায়।
২০২৬ সালের ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৪তম আসর। উৎসবে থাকবে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নির্মাতাদের চলচ্চিত্র। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে নয়া মানুষ।

অন্যদিকে, আর্টস কাউন্সিল অব পাকিস্তানের (এসিপি) আয়োজনে ৩১ অক্টোবর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত করাচিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যাল। ৩৮ দিনব্যাপী এই উৎসবে থাকছে বিশ্বের নানা প্রান্তের শিল্প, সংগীত, নাটক ও নৃত্যের সমন্বয়। শতাধিক দেশের শিল্পীরা এই উৎসবে অংশ নেবেন। উৎসবের অংশ হিসেবে প্রতি সপ্তাহে থাকছে দুই ঘণ্টার একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী পর্ব। এরই অংশ হিসেবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায় প্রদর্শিত হবে ‘নয়া মানুষ’।
এর আগে ভারতের কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও কানাডার টরন্টো মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছে নয়া মানুষ।
নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, ‘আমরা একটা সহজ-সরল গল্প সাধারণভাবে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছি। আমাদের এই প্রচেষ্টাকে সবাই উৎসাহিত করছে। দেশ ও বিদেশে আমার প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে, যা আমার পরবর্তী চলচ্চিত্র নির্মাণের উৎসাহ বাড়িয়ে দিচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, সুপার সাইক্লোন ‘সিত্রাং’ চলাকালে চাঁদপুরের একটি চরে শুটিং হয় নয়া মানুষের। সিনেমায় গান গেয়েছেন শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, বেলাল খান, অনিমেষ রয়, মাশা ইসলাম ও খাইরুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী, মুশফিক লিটু ও শোভন রয়।
আ মা ম হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন মাসুম রেজা। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশিস খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, মাহিন রহমান, নাজমুল হোসেন, স্মরণ সাহা, সানজানা মেহরান ও শিশুশিল্পী ঊষশী।

ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে সিনেমাটি। অন্যদিকে, করাচির ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায়।
২০২৬ সালের ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৪তম আসর। উৎসবে থাকবে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নির্মাতাদের চলচ্চিত্র। এতে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে নয়া মানুষ।

অন্যদিকে, আর্টস কাউন্সিল অব পাকিস্তানের (এসিপি) আয়োজনে ৩১ অক্টোবর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত করাচিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওয়ার্ল্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যাল। ৩৮ দিনব্যাপী এই উৎসবে থাকছে বিশ্বের নানা প্রান্তের শিল্প, সংগীত, নাটক ও নৃত্যের সমন্বয়। শতাধিক দেশের শিল্পীরা এই উৎসবে অংশ নেবেন। উৎসবের অংশ হিসেবে প্রতি সপ্তাহে থাকছে দুই ঘণ্টার একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী পর্ব। এরই অংশ হিসেবে ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায় প্রদর্শিত হবে ‘নয়া মানুষ’।
এর আগে ভারতের কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও কানাডার টরন্টো মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছে নয়া মানুষ।
নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, ‘আমরা একটা সহজ-সরল গল্প সাধারণভাবে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছি। আমাদের এই প্রচেষ্টাকে সবাই উৎসাহিত করছে। দেশ ও বিদেশে আমার প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে, যা আমার পরবর্তী চলচ্চিত্র নির্মাণের উৎসাহ বাড়িয়ে দিচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, সুপার সাইক্লোন ‘সিত্রাং’ চলাকালে চাঁদপুরের একটি চরে শুটিং হয় নয়া মানুষের। সিনেমায় গান গেয়েছেন শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, বেলাল খান, অনিমেষ রয়, মাশা ইসলাম ও খাইরুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী, মুশফিক লিটু ও শোভন রয়।
আ মা ম হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন মাসুম রেজা। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশিস খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, মাহিন রহমান, নাজমুল হোসেন, স্মরণ সাহা, সানজানা মেহরান ও শিশুশিল্পী ঊষশী।

কবরী আপা একজন কিংবদন্তি। তাঁকে আমরা এত তাড়াতাড়ি হারাব আশা করিনি। তাঁর চলে যাওয়াটা খুব দুঃখজনক টোটাল ইন্ডাস্ট্রির জন্য। শিল্পী হিসেবে, মানুষ হিসেবে তিনি অতুলনীয়। আমার প্রথম মুক্তি পাওয়া ছবি ‘আমার জন্মভূমি’।
১৯ জুলাই ২০২১
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
১৬ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
১৯ ঘণ্টা আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
১৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

অভিনেত্রী কবরী পরিচালিত শেষ সিনেমা ‘এই তুমি সেই তুমি’। তবে সিনেমাটি শেষ করতে পারেননি তিনি। কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান। কবরীর মৃত্যুর পর সিনেমাটির নির্মাণ শেষ করেন তাঁর ছেলে শাকের চিশতী।
২০২৩ সালে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা। তবে দেশে মুক্তির আগে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনীর চেষ্টা করছেন শাকের চিশতী। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে জমা দিয়েছেন সিনেমাটি। এরপর দেশের হলে মুক্তির পরিকল্পনা করবেন।
শাকের চিশতী গণমাধ্যমে জানান, সিনেমাটি শেষ করা ছিল তাঁর জন্য চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ‘আম্মুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই আমার জন্য ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। একটু সময় নিয়ে কাজ শেষ করেছি। দেশের বাইরে কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে সিনেমাটি জমা দিয়েছি। ওই উৎসবগুলোতে প্রদর্শনী হলে দেশে সিনেমাটি মুক্তি পাবে।’
তবে ঠিক কবে নাগাদ দেশের হলে মুক্তি পাবে সিনেমাটি, তা জানাননি শাকের চিশতী। তিনি জানান, সবকিছু নির্ভর করছে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর ওপর।
পরিচালনার পাশাপাশি এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছিলেন কবরী। দুটি সময়কে তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। বর্তমান সময়ের গল্পের পাশাপাশি উঠে আসবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ের গল্প। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিশাত নাওয়ার সালওয়া ও রায়হান রিয়াদ।

অভিনেত্রী কবরী পরিচালিত শেষ সিনেমা ‘এই তুমি সেই তুমি’। তবে সিনেমাটি শেষ করতে পারেননি তিনি। কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান। কবরীর মৃত্যুর পর সিনেমাটির নির্মাণ শেষ করেন তাঁর ছেলে শাকের চিশতী।
২০২৩ সালে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা। তবে দেশে মুক্তির আগে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনীর চেষ্টা করছেন শাকের চিশতী। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে জমা দিয়েছেন সিনেমাটি। এরপর দেশের হলে মুক্তির পরিকল্পনা করবেন।
শাকের চিশতী গণমাধ্যমে জানান, সিনেমাটি শেষ করা ছিল তাঁর জন্য চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ‘আম্মুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই আমার জন্য ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। একটু সময় নিয়ে কাজ শেষ করেছি। দেশের বাইরে কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে সিনেমাটি জমা দিয়েছি। ওই উৎসবগুলোতে প্রদর্শনী হলে দেশে সিনেমাটি মুক্তি পাবে।’
তবে ঠিক কবে নাগাদ দেশের হলে মুক্তি পাবে সিনেমাটি, তা জানাননি শাকের চিশতী। তিনি জানান, সবকিছু নির্ভর করছে এই তুমি সেই তুমি সিনেমার আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর ওপর।
পরিচালনার পাশাপাশি এই তুমি সেই তুমি সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছিলেন কবরী। দুটি সময়কে তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। বর্তমান সময়ের গল্পের পাশাপাশি উঠে আসবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ের গল্প। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিশাত নাওয়ার সালওয়া ও রায়হান রিয়াদ।

কবরী আপা একজন কিংবদন্তি। তাঁকে আমরা এত তাড়াতাড়ি হারাব আশা করিনি। তাঁর চলে যাওয়াটা খুব দুঃখজনক টোটাল ইন্ডাস্ট্রির জন্য। শিল্পী হিসেবে, মানুষ হিসেবে তিনি অতুলনীয়। আমার প্রথম মুক্তি পাওয়া ছবি ‘আমার জন্মভূমি’।
১৯ জুলাই ২০২১
ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’। চলতি মাসেই করাচিতে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি, আগামী জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতা করবে ঢাকা উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে।
৮ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
১৯ ঘণ্টা আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
১৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন, মুনমুন আহমেদ মুন, নরেশ ভূঁইয়া, রেশমা আহমেদ, মম শিউলী, আমিন আজাদ, সূচনা প্রমুখ। অভিনেতা জামিল হোসেনের গল্প ভাবনায় নাটকটি রচনা করেছেন বিদ্যুৎ রায়, পরিচালনায় মাহফুজ ইসলাম। প্রকাশ করা হবে জামিল’স জু নামের ইউটিউব চ্যানেলে।
ধারাবাহিকটির দুটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুনমুন আহমেদ মুন ও জামিল হোসেন। চলতি বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার’খ্যাত অভিনেতা জামিল হোসেন ও অভিনেত্রী মুনমুন আহমেদ মুন। স্ত্রী মুনমুনের সঙ্গে একসঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন জামিল। সেখান থেকেই দুজনের পরিচয়। আর সেই পরিচয় একটা সময় গড়ায় ভালো লাগায়।
মুনের বেড়ে ওঠা ঢাকায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন মালয়েশিয়াতে। বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে পরিচিতি পেয়েছেন মুনমুন। সাবলীল অভিনয় তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে নাটকেও। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে একটি স্বপ্ন পূরণ হলো তাঁর। অভিনেত্রী দিলারা জামানের ভক্ত তিনি। তাঁর ব্যক্তিত্ব আর অভিনয় মুগ্ধ করে মুনকে। তাই স্বপ্ন দেখতেন দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে মুন অভিনয় করলেন দিলারা জামানের নাতনির চরিত্রে। তাঁর সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আর নিজের স্বপ্ন পূরণের কথা বলতে গিয়ে মুনমুন আহমেদ মুন বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় দিলারা জামান বাংলাদেশের নাটক-সিনেমার গর্ব।

মাশাআল্লাহ এখনো কী সুন্দর তিনি। কী সুন্দর গুছিয়ে কথা বলেন, আন্তরিকতায় পূর্ণ তাঁর ব্যবহার। ভীষণ ইচ্ছে ছিল তাঁর সঙ্গে অভিনয় করার। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, তাও আবার আমি তাঁর নাতনির চরিত্রেই অভিনয় করেছি। কী যে আদরে, মায়ায় তিনি আগলে রাখেন সব সময়, সেটা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি। এত বড় মাপের শিল্পী, অথচ কী সাধারণ জীবনযাপন। আমি তাঁর বিনয়, হাসি আর অভিনয়ে মুগ্ধ। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে ধন্য, গর্বিত এবং ভীষণ উচ্ছ্বসিত। এটা আমার জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি।’
দিলারা জামান বলেন, ‘দাদীর ভাগ নাটকটার গল্প খুব সুন্দর। মৃত্যুর আগে দাদা সব সম্পত্তি দাদিকে লিখে দেয়। সেই সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়েই গল্প। কাজটা করে ভীষণ ভালো লেগেছে। সবাই এত আন্তরিক ছিল যে আমাকে কোনো রকম কষ্ট পেতে দেয়নি। মুনমুন খুব লক্ষ্মী আর মিষ্টি হাসির এক মেয়ে। দোয়া করি ও যেন অনেক বড় শিল্পী হতে পারে, অভিনয়কে ঘিরে তার স্বপ্ন পূরণ হোক।’
উল্লেখ্য, দীপ্ত টিভির ‘বকুলপুর’ ধারাবাহিকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে দিলারা জামানের অভিনয়। অন্যদিকে মুনমুন আহমেদ মুন অনেক দিন পর অভিনয় করেছেন সাগর জাহান পরিচালিত ধারাবাহিকে। আরটিভির প্রচার চলতি ধারাবাহিকটির নাম ‘বিদেশ ফেরত’।

অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন, মুনমুন আহমেদ মুন, নরেশ ভূঁইয়া, রেশমা আহমেদ, মম শিউলী, আমিন আজাদ, সূচনা প্রমুখ। অভিনেতা জামিল হোসেনের গল্প ভাবনায় নাটকটি রচনা করেছেন বিদ্যুৎ রায়, পরিচালনায় মাহফুজ ইসলাম। প্রকাশ করা হবে জামিল’স জু নামের ইউটিউব চ্যানেলে।
ধারাবাহিকটির দুটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুনমুন আহমেদ মুন ও জামিল হোসেন। চলতি বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার’খ্যাত অভিনেতা জামিল হোসেন ও অভিনেত্রী মুনমুন আহমেদ মুন। স্ত্রী মুনমুনের সঙ্গে একসঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন জামিল। সেখান থেকেই দুজনের পরিচয়। আর সেই পরিচয় একটা সময় গড়ায় ভালো লাগায়।
মুনের বেড়ে ওঠা ঢাকায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন মালয়েশিয়াতে। বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে পরিচিতি পেয়েছেন মুনমুন। সাবলীল অভিনয় তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে নাটকেও। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে একটি স্বপ্ন পূরণ হলো তাঁর। অভিনেত্রী দিলারা জামানের ভক্ত তিনি। তাঁর ব্যক্তিত্ব আর অভিনয় মুগ্ধ করে মুনকে। তাই স্বপ্ন দেখতেন দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে মুন অভিনয় করলেন দিলারা জামানের নাতনির চরিত্রে। তাঁর সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আর নিজের স্বপ্ন পূরণের কথা বলতে গিয়ে মুনমুন আহমেদ মুন বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় দিলারা জামান বাংলাদেশের নাটক-সিনেমার গর্ব।

মাশাআল্লাহ এখনো কী সুন্দর তিনি। কী সুন্দর গুছিয়ে কথা বলেন, আন্তরিকতায় পূর্ণ তাঁর ব্যবহার। ভীষণ ইচ্ছে ছিল তাঁর সঙ্গে অভিনয় করার। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, তাও আবার আমি তাঁর নাতনির চরিত্রেই অভিনয় করেছি। কী যে আদরে, মায়ায় তিনি আগলে রাখেন সব সময়, সেটা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি। এত বড় মাপের শিল্পী, অথচ কী সাধারণ জীবনযাপন। আমি তাঁর বিনয়, হাসি আর অভিনয়ে মুগ্ধ। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে ধন্য, গর্বিত এবং ভীষণ উচ্ছ্বসিত। এটা আমার জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি।’
দিলারা জামান বলেন, ‘দাদীর ভাগ নাটকটার গল্প খুব সুন্দর। মৃত্যুর আগে দাদা সব সম্পত্তি দাদিকে লিখে দেয়। সেই সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়েই গল্প। কাজটা করে ভীষণ ভালো লেগেছে। সবাই এত আন্তরিক ছিল যে আমাকে কোনো রকম কষ্ট পেতে দেয়নি। মুনমুন খুব লক্ষ্মী আর মিষ্টি হাসির এক মেয়ে। দোয়া করি ও যেন অনেক বড় শিল্পী হতে পারে, অভিনয়কে ঘিরে তার স্বপ্ন পূরণ হোক।’
উল্লেখ্য, দীপ্ত টিভির ‘বকুলপুর’ ধারাবাহিকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে দিলারা জামানের অভিনয়। অন্যদিকে মুনমুন আহমেদ মুন অনেক দিন পর অভিনয় করেছেন সাগর জাহান পরিচালিত ধারাবাহিকে। আরটিভির প্রচার চলতি ধারাবাহিকটির নাম ‘বিদেশ ফেরত’।

কবরী আপা একজন কিংবদন্তি। তাঁকে আমরা এত তাড়াতাড়ি হারাব আশা করিনি। তাঁর চলে যাওয়াটা খুব দুঃখজনক টোটাল ইন্ডাস্ট্রির জন্য। শিল্পী হিসেবে, মানুষ হিসেবে তিনি অতুলনীয়। আমার প্রথম মুক্তি পাওয়া ছবি ‘আমার জন্মভূমি’।
১৯ জুলাই ২০২১
ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’। চলতি মাসেই করাচিতে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি, আগামী জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতা করবে ঢাকা উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে।
৮ ঘণ্টা আগে
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
১৬ ঘণ্টা আগে
গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ।
১৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ। ৮ নভেম্বর উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে আজম খানের পরিবার, ব্যান্ড সদস্য ও একটি এজেন্সির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, আজম খানের নাম, ছবি ও সৃষ্টির সব কপিরাইট এবং মালিকানা থাকবে তাঁর পরিবারের। উচ্চারণ ব্যান্ড তাঁর গান পরিবেশন ও প্রচারে সক্রিয় থাকবে; আর কুল এক্সপোজার পরিচালনা করবে সমস্ত প্রচার, রয়্যালটি ব্যবস্থাপনা, কনসার্ট এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম।
আজম খানের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর কন্যা অরণী খান, উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা এবং কুল এক্সপোজারের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিইও এরশাদুল হক টিঙ্কু চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা বলেন, ‘এই চুক্তি আজম খানের সংগীত ঐতিহ্যকে নতুনভাবে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। আমরা তাঁর গানগুলো দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ছড়িয়ে দিতে চাই।’
মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে তিন বন্ধু নীলু, সাদেক ও মনসুরকে নিয়ে আজম খান গড়ে তুলেছিলেন ব্যান্ড উচ্চারণ। ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা ব্যান্ডটি ওই বছর বিটিভিতে গায় ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ এবং ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’। এই দুটি গান জনপ্রিয় করে তোলে আজম খান ও উচ্চারণ ব্যান্ডকে। এরপর উচ্চারণকে সঙ্গে নিয়ে আরও বহু গান উপহার দিয়েছেন আজম খান। ২০১১ সালের ৫ জুন আজম খানের মৃত্যুর পর থেমে যায় ব্যান্ডের কার্যক্রম। গত ২২ জুন আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গুরু রিলোডেড’ নামের অনুষ্ঠানে ১৪ বছর পর মঞ্চে পারফর্ম করে উচ্চারণ।

গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ। ৮ নভেম্বর উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে আজম খানের পরিবার, ব্যান্ড সদস্য ও একটি এজেন্সির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, আজম খানের নাম, ছবি ও সৃষ্টির সব কপিরাইট এবং মালিকানা থাকবে তাঁর পরিবারের। উচ্চারণ ব্যান্ড তাঁর গান পরিবেশন ও প্রচারে সক্রিয় থাকবে; আর কুল এক্সপোজার পরিচালনা করবে সমস্ত প্রচার, রয়্যালটি ব্যবস্থাপনা, কনসার্ট এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম।
আজম খানের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর কন্যা অরণী খান, উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা এবং কুল এক্সপোজারের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিইও এরশাদুল হক টিঙ্কু চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা বলেন, ‘এই চুক্তি আজম খানের সংগীত ঐতিহ্যকে নতুনভাবে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। আমরা তাঁর গানগুলো দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ছড়িয়ে দিতে চাই।’
মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে তিন বন্ধু নীলু, সাদেক ও মনসুরকে নিয়ে আজম খান গড়ে তুলেছিলেন ব্যান্ড উচ্চারণ। ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা ব্যান্ডটি ওই বছর বিটিভিতে গায় ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ এবং ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’। এই দুটি গান জনপ্রিয় করে তোলে আজম খান ও উচ্চারণ ব্যান্ডকে। এরপর উচ্চারণকে সঙ্গে নিয়ে আরও বহু গান উপহার দিয়েছেন আজম খান। ২০১১ সালের ৫ জুন আজম খানের মৃত্যুর পর থেমে যায় ব্যান্ডের কার্যক্রম। গত ২২ জুন আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গুরু রিলোডেড’ নামের অনুষ্ঠানে ১৪ বছর পর মঞ্চে পারফর্ম করে উচ্চারণ।

কবরী আপা একজন কিংবদন্তি। তাঁকে আমরা এত তাড়াতাড়ি হারাব আশা করিনি। তাঁর চলে যাওয়াটা খুব দুঃখজনক টোটাল ইন্ডাস্ট্রির জন্য। শিল্পী হিসেবে, মানুষ হিসেবে তিনি অতুলনীয়। আমার প্রথম মুক্তি পাওয়া ছবি ‘আমার জন্মভূমি’।
১৯ জুলাই ২০২১
ঢাকা ও করাচির দুটি উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’। চলতি মাসেই করাচিতে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি, আগামী জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতা করবে ঢাকা উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে।
৮ ঘণ্টা আগে
‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বাকি থাকতে ২০২১ সালে মারা যান অভিনেত্রী কবরী। ২০২৩ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ করেছেন কবরীর ছেলে শাকের চিশতী। এবার মুক্তির পালা।
১৬ ঘণ্টা আগে
অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন...
১৯ ঘণ্টা আগে