মীর রাকিব হাসান
বুলবুল আহমেদের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ছিল বেশ ঘনিষ্ঠ। সেই সম্পর্কের শুরু হয় ‘দীপু নাম্বার টু’ সিনেমার কাজ করতে গিয়ে। ১৯৯৫ সালে শুটিং করেছিলাম ‘দিপু নাম্বার টু’ ছবির। মুক্তি পেয়েছিল পরের বছর। আমার ছবির মূল চরিত্র তো শিশুরা। ভাবছিলাম তিনি অভিনয় করতে রাজি হবেন কি না। উনি কিন্তু রাজি হয়ে গেলেন। সেই থেকে তাঁর সঙ্গে আমার কাজের অভিজ্ঞতা শুরু। যতটা দেখেছি, তাঁর অভিনয়ের আকাঙ্ক্ষা ছিল প্রবল। চরিত্রের জোর থাকলে তিনি সংক্ষিপ্ত চরিত্রেও অভিনয় করতে রাজি হতেন সানন্দে। উনি আসলে অভিনয় করতে চাইতেন। ছোট পর্দা–বড় পর্দা ওনার কাছে ম্যাটার করত না।
খুব মেপে অভিনয় করতেন তিনি। মানুষ হিসেবেও অসাধারণ ছিলেন। আমাদের প্রথম কাজ ‘দীপু নাম্বার টু’ ছবির প্রথম লটের শুটিং হয় ঢাকায়। কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই পুরো লটের শুটিং শেষ হয়। কিন্তু চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম ঢাকার বাইরের শুটিংয়ের সময়। আমরা শুটিংয়ে যাব রাঙামাটি আর বান্দরবানে। বুলবুল আহমেদ অসুস্থ হয়ে পড়লেন। চিন্তায় পড়ে গেলাম, উনি যেতে পারবেন কি না। ওনাকে জানালাম শুটিংয়ের কথা। তিনি সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেলেন। বললেন, ‘আমার জন্য কাজ তো বন্ধ করা যাবে না। এই যে বাচ্চারা আছে, ওদের সঙ্গে গল্প করতে করতে আমি সুস্থ হয়ে যাব।’
আমি তো বাচ্চাদের নিয়েই বেশি কাজ করি। বাচ্চাদের নিয়ে শুটিং করতে গেলে যেটা হয়, ওদের চোখে চোখে রাখতে হয় অভিভাবকের মতো। ‘দীপু নাম্বার টু’ ছবির শুটিংয়ে বুলবুল আহমেদই ছিলেন বাচ্চাদের অভিভাবক। সবাইকে চোখে রাখতেন, সবার সঙ্গে এমনভাবে গল্প করতেন, যেন কত দিনের বন্ধুত্ব।
‘দীপু নাম্বার টু’ ছবির পরে তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। আমাদের বোঝাপড়াটাও এত সুন্দর হয়ে ওঠে যে পরবর্তী সময়ে তাঁকে নিয়ে একটি ধারাবাহিক নাটক করি। নাম ‘ভুবনের বাবা’। শিশুতোষ একটি ধারাবাহিক। এটা করেছিলাম একুশে টেলিভিশন যখন প্রথম আসে তখন। সেখানেও তাঁর অভিনয় আমাকে মুগ্ধ করেছে। এরপর টেলিভিশনে আমার আরও কিছু নাটকে তিনি অভিনয় করেছিলেন। তবে তাঁকে নিয়ে আর নতুন কোনো সিনেমা করা হয়ে ওঠেনি।
আমার দেখা বুলবুল আহমেদ চমৎকার একজন মানুষ। সুন্দর মার্জিতভাবে কথা বলতেন। আপাদমস্তক ভদ্রলোক যাঁকে বলা যায়। সিনেমায় যে লাউড অ্যাক্টিংয়ের একটা ধারা ছিল, উনি সেই পথে হাঁটতেন না। এই প্রজন্মের নির্মাতা ও অভিনেতাদের তাঁর কাজগুলো দেখা উচিত। তিনি যেভাবে কথা বলতেন, সংলাপ বলতেন, যেভাবে অভিনয় করতেন সেগুলো শেখা উচিত।
অনুলিখন: মীর রাকিব হাসান
বুলবুল আহমেদের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ছিল বেশ ঘনিষ্ঠ। সেই সম্পর্কের শুরু হয় ‘দীপু নাম্বার টু’ সিনেমার কাজ করতে গিয়ে। ১৯৯৫ সালে শুটিং করেছিলাম ‘দিপু নাম্বার টু’ ছবির। মুক্তি পেয়েছিল পরের বছর। আমার ছবির মূল চরিত্র তো শিশুরা। ভাবছিলাম তিনি অভিনয় করতে রাজি হবেন কি না। উনি কিন্তু রাজি হয়ে গেলেন। সেই থেকে তাঁর সঙ্গে আমার কাজের অভিজ্ঞতা শুরু। যতটা দেখেছি, তাঁর অভিনয়ের আকাঙ্ক্ষা ছিল প্রবল। চরিত্রের জোর থাকলে তিনি সংক্ষিপ্ত চরিত্রেও অভিনয় করতে রাজি হতেন সানন্দে। উনি আসলে অভিনয় করতে চাইতেন। ছোট পর্দা–বড় পর্দা ওনার কাছে ম্যাটার করত না।
খুব মেপে অভিনয় করতেন তিনি। মানুষ হিসেবেও অসাধারণ ছিলেন। আমাদের প্রথম কাজ ‘দীপু নাম্বার টু’ ছবির প্রথম লটের শুটিং হয় ঢাকায়। কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই পুরো লটের শুটিং শেষ হয়। কিন্তু চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম ঢাকার বাইরের শুটিংয়ের সময়। আমরা শুটিংয়ে যাব রাঙামাটি আর বান্দরবানে। বুলবুল আহমেদ অসুস্থ হয়ে পড়লেন। চিন্তায় পড়ে গেলাম, উনি যেতে পারবেন কি না। ওনাকে জানালাম শুটিংয়ের কথা। তিনি সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেলেন। বললেন, ‘আমার জন্য কাজ তো বন্ধ করা যাবে না। এই যে বাচ্চারা আছে, ওদের সঙ্গে গল্প করতে করতে আমি সুস্থ হয়ে যাব।’
আমি তো বাচ্চাদের নিয়েই বেশি কাজ করি। বাচ্চাদের নিয়ে শুটিং করতে গেলে যেটা হয়, ওদের চোখে চোখে রাখতে হয় অভিভাবকের মতো। ‘দীপু নাম্বার টু’ ছবির শুটিংয়ে বুলবুল আহমেদই ছিলেন বাচ্চাদের অভিভাবক। সবাইকে চোখে রাখতেন, সবার সঙ্গে এমনভাবে গল্প করতেন, যেন কত দিনের বন্ধুত্ব।
‘দীপু নাম্বার টু’ ছবির পরে তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। আমাদের বোঝাপড়াটাও এত সুন্দর হয়ে ওঠে যে পরবর্তী সময়ে তাঁকে নিয়ে একটি ধারাবাহিক নাটক করি। নাম ‘ভুবনের বাবা’। শিশুতোষ একটি ধারাবাহিক। এটা করেছিলাম একুশে টেলিভিশন যখন প্রথম আসে তখন। সেখানেও তাঁর অভিনয় আমাকে মুগ্ধ করেছে। এরপর টেলিভিশনে আমার আরও কিছু নাটকে তিনি অভিনয় করেছিলেন। তবে তাঁকে নিয়ে আর নতুন কোনো সিনেমা করা হয়ে ওঠেনি।
আমার দেখা বুলবুল আহমেদ চমৎকার একজন মানুষ। সুন্দর মার্জিতভাবে কথা বলতেন। আপাদমস্তক ভদ্রলোক যাঁকে বলা যায়। সিনেমায় যে লাউড অ্যাক্টিংয়ের একটা ধারা ছিল, উনি সেই পথে হাঁটতেন না। এই প্রজন্মের নির্মাতা ও অভিনেতাদের তাঁর কাজগুলো দেখা উচিত। তিনি যেভাবে কথা বলতেন, সংলাপ বলতেন, যেভাবে অভিনয় করতেন সেগুলো শেখা উচিত।
অনুলিখন: মীর রাকিব হাসান
২০২৩ সালে শোবিজ তারকাদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ (সিসিএল)। নিজেদের মধ্যে কোন্দলের কারণে মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয় আয়োজন। দুই বছর পর আবারও ক্রিকেট টুর্নামেন্টে মাঠে নামছেন তারকারা। চারটি দলের অংশগ্রহণে বসুন্ধরা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৫ মে শুরু হচ্ছে ‘সেলিব্রিটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি’
৩৪ মিনিট আগেআজ পয়লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। ১৯৮১ সাল থেকে মহান মে দিবস পালন করে আসছে নাট্যদল আরণ্যক। প্রতিবছরের মতো এ বছরেও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিনটি আরণ্যক স্মরণ করবে গান, আবৃত্তি, নাটক, আলোচনাসহ নানা আয়োজনে।
৩৯ মিনিট আগেগত বছরের আগস্টে সারা দেশে যখন উত্তাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে, সেই সময় দেশের শোবিজ ইন্ডাস্ট্রিও হয়ে পড়েছিল স্থবির। প্রায় সব মাধ্যমে বন্ধ ছিল শুটিং। অনেকটা সাহস নিয়ে ‘ফ্যাঁকড়া’ নামের ওয়েব সিরিজের শুটিং শুরু করেন আসিফ চৌধুরী। নান বাধা পেরিয়ে শেষ করেন শুটিং। এবার সিরিজটি মুক্তির পালা।
১ ঘণ্টা আগে১৫ বছর আগে বলিউডে একটি অধ্যায় শুরু হয়েছিল। ২০১০ সালের ৩০ এপ্রিল মুক্তি পায় ‘হাউসফুল’। সিনেমাটি এতটাই জনপ্রিয় হয় যে, এর পর একে একে মুক্তি পেয়েছে হাউসফুলের চারটি পর্ব। চারটি পর্ব বিশ্বব্যাপী ৮০০ কোটি রুপির বেশি আয় করেছে। চারটি সিনেমা তৈরি হয়েছে আলাদা গল্পে, তবে প্রতিটিতে কমেডি ছিল কমন।
১ ঘণ্টা আগে