Ajker Patrika

চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না প্রদর্শক সমিতি, হল বন্ধের হুঁশিয়ারি

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ জুন ২০২৫, ২১: ১৪
সংবাদ সম্মেলনে প্রদর্শক সমিতির নেতারা; ছবি: সংগৃহীত
সংবাদ সম্মেলনে প্রদর্শক সমিতির নেতারা; ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি টিকিট বিক্রির অর্থ পুনর্বণ্টনের দাবি জানিয়ে তিনটি প্রস্তাব দিয়ে প্রযোজকদের পক্ষে স্টার সিনেপ্লেক্সকে চিঠি দেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওস লিমিটেডের এমডি শাহরিয়ার শাকিল। গত ২২ মে স্টার সিনেপ্লেক্সের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রযোজকেরা জানান, এখন থেকে সিনেমা প্রদর্শনীর ন্যায্য অংশ পাবেন তাঁরা। তবে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি বলছে, সিনেপ্লেক্সের ওপর জোর করে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছেন কয়েকজন প্রযোজক। নতুন নিয়ম করতে হলে ব্যক্তিগতভাবে নয়, চলচ্চিত্র সংগঠনগুলো মিলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অন্যথায় ঈদের আগে হল বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সমিতির নেতারা।

প্রযোজকদের দাবি নিয়ে গত রোববার রাজধানীর পল্টনে সংবাদ সম্মেলন করে প্রদর্শক সমিতি। সেখানে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল বলেন, ‘দর্শকেরা এখন ঈদের সময় হলমুখী থাকেন। সেই সুযোগে কিছু প্রযোজক শেয়ার মানি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। হলগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। সিনেপ্লেক্সসহ দেশের ২০টি হলের মালিক লিখিতভাবে প্রদর্শক সমিতিতে বিষয়টি জানিয়েছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আলোচনায় বসেছিলাম। স্পস্ট করে বলতে চাই, প্রযোজকদের চাপিয়ে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত হলের মালিকেরা মেনে নেবেন না। বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব। বাংলাদেশের সব সিনেমা হল বন্ধ করার সিদ্ধান্তও আসতে পারে।’

আওলাদ হোসেন আরও বলেন, ‘প্রযোজকদের কোনো দাবি থাকলে প্রযোজক সমিতির মাধ্যমে প্রদর্শক সমিতি ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোকে জানাতে পারতেন। সব সংগঠন মিলে আলোচনা করলে সমস্যার সমাধান সম্ভব। কিন্তু রাতের অন্ধকারে চিঠি দিয়ে, গোপনে বৈঠক করে সিনেপ্লেক্সকে কুক্ষিগত করবেন, এটা আমরা মেনে নেব না। এখনো প্রযোজকদের অনুরোধ করছি, এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে আমাদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করব। ঈদের সময় সব হল বন্ধ হয়ে গেলে এর দায়দায়িত্ব প্রযোজকদেরকেই নিতে হবে।’

প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস বলেন, ‘নতুন প্রযোজক, যাঁদের দু-একটা সিনেমা ভালো যাওয়ায় গরম হয়ে পড়েছেন। এখন তাঁরা উৎপাত শুরু করেছেন। বিভিন্ন সিনেপ্লেক্সে গিয়ে বলছেন, শেয়ার বাড়িয়ে দিতে হবে; নইলে সিনেমা দেব না। এটা ভীষণ অন্যায়। প্রযোজকদের একটা সমিতি আছে। সেই সমিতির মাধ্যমে তাঁরা প্রস্তাব পাঠাতে পারতেন। ৫০ বছরের ইতিহাসে কখনো কোনো প্রযোজক আলাদা করে হলের মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে প্রচলিত নিয়ম ভাঙেননি। যা হয়েছে সংগঠনগুলোর আলোচনার মাধ্যমে।’

সিনিয়র সহসভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন বলেন, ‘প্রদর্শক সমিতির নীতি হচ্ছে, নিজে বাঁচো, অন্যকে বাঁচার সুযোগ করে দাও। এ কারণেই চলচ্চিত্রের করুণ সময়েও গত ঈদে সিনেমাগুলো ভালো ব্যবসা করেছে। সেই ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এবার ঈদে যেসব সিনেমা আসছে, সেগুলো অনিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রদর্শনের চেষ্টা চলছে। এমনটি করা থেকে প্রযোজকদের বিরত থাকার অনুরোধ করছি। অন্তত এ ঈদটা পার হোক আগের নিয়মে। এরপর সম্মিলিতভাবে প্রয়োজনে নতুন নিয়ম প্রণয়ন করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দিলারা জামানকে নিয়ে ৭ পর্বের ধারাবাহিক

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘দাদীর ভাগ’ ধারাবাহিকের শুটিংয়ে দিলারা জামান ও মুন। ছবি: সংগৃহীত
‘দাদীর ভাগ’ ধারাবাহিকের শুটিংয়ে দিলারা জামান ও মুন। ছবি: সংগৃহীত

অভিনেত্রী দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হলো ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘দাদীর ভাগ’। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র দাদিকে ঘিরে এগিয়েছে গল্প। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন জামিল হোসেন, মুনমুন আহমেদ মুন, নরেশ ভূঁইয়া, রেশমা আহমেদ, মম শিউলী, আমিন আজাদ, সূচনা প্রমুখ। অভিনেতা জামিল হোসেনের গল্প ভাবনায় নাটকটি রচনা করেছেন বিদ্যুৎ রায়, পরিচালনায় মাহফুজ ইসলাম। প্রকাশ করা হবে জামিল’স জু নামের ইউটিউব চ্যানেলে।

ধারাবাহিকটির দুটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুনমুন আহমেদ মুন ও জামিল হোসেন। চলতি বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার’খ্যাত অভিনেতা জামিল হোসেন ও অভিনেত্রী মুনমুন আহমেদ মুন। স্ত্রী মুনমুনের সঙ্গে একসঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন জামিল। সেখান থেকেই দুজনের পরিচয়। আর সেই পরিচয় একটা সময় গড়ায় ভালো লাগায়।

মুনের বেড়ে ওঠা ঢাকায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন মালয়েশিয়াতে। বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে পরিচিতি পেয়েছেন মুনমুন। সাবলীল অভিনয় তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে নাটকেও। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে একটি স্বপ্ন পূরণ হলো তাঁর। অভিনেত্রী দিলারা জামানের ভক্ত তিনি। তাঁর ব্যক্তিত্ব আর অভিনয় মুগ্ধ করে মুনকে। তাই স্বপ্ন দেখতেন দিলারা জামানের সঙ্গে অভিনয়ের। দাদীর ভাগ ধারাবাহিকে মুন অভিনয় করলেন দিলারা জামানের নাতনির চরিত্রে। তাঁর সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আর নিজের স্বপ্ন পূরণের কথা বলতে গিয়ে মুনমুন আহমেদ মুন বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় দিলারা জামান বাংলাদেশের নাটক-সিনেমার গর্ব।

জামিল হোসেন
জামিল হোসেন

মাশাআল্লাহ এখনো কী সুন্দর তিনি। কী সুন্দর গুছিয়ে কথা বলেন, আন্তরিকতায় পূর্ণ তাঁর ব্যবহার। ভীষণ ইচ্ছে ছিল তাঁর সঙ্গে অভিনয় করার। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, তাও আবার আমি তাঁর নাতনির চরিত্রেই অভিনয় করেছি। কী যে আদরে, মায়ায় তিনি আগলে রাখেন সব সময়, সেটা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি। এত বড় মাপের শিল্পী, অথচ কী সাধারণ জীবনযাপন। আমি তাঁর বিনয়, হাসি আর অভিনয়ে মুগ্ধ। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে ধন্য, গর্বিত এবং ভীষণ উচ্ছ্বসিত। এটা আমার জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি।’

দিলারা জামান বলেন, ‘দাদীর ভাগ নাটকটার গল্প খুব সুন্দর। মৃত্যুর আগে দাদা সব সম্পত্তি দাদিকে লিখে দেয়। সেই সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়েই গল্প। কাজটা করে ভীষণ ভালো লেগেছে। সবাই এত আন্তরিক ছিল যে আমাকে কোনো রকম কষ্ট পেতে দেয়নি। মুনমুন খুব লক্ষ্মী আর মিষ্টি হাসির এক মেয়ে। দোয়া করি ও যেন অনেক বড় শিল্পী হতে পারে, অভিনয়কে ঘিরে তার স্বপ্ন পূরণ হোক।’

উল্লেখ্য, দীপ্ত টিভির ‘বকুলপুর’ ধারাবাহিকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে দিলারা জামানের অভিনয়। অন্যদিকে মুনমুন আহমেদ মুন অনেক দিন পর অভিনয় করেছেন সাগর জাহান পরিচালিত ধারাবাহিকে। আরটিভির প্রচার চলতি ধারাবাহিকটির নাম ‘বিদেশ ফেরত’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কনসার্টের জন্য প্রস্তুত আজম খানের ব্যান্ড ‘উচ্চারণ’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ত্রিপক্ষীয় চুক্তির পর আজম খানের পরিবার, ব্যান্ড ও এজেন্সির সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
ত্রিপক্ষীয় চুক্তির পর আজম খানের পরিবার, ব্যান্ড ও এজেন্সির সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

গত জুনেই জানা গিয়েছিল আবার শুরু হচ্ছে আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম। আজম খানের মেয়ে অরণী খান জানিয়েছিলেন, নতুন উদ্যমে ফিরছে ব্যান্ডটি। এবার জানা গেল, দেশ-বিদেশে কনসার্টের জন্য প্রস্তুত উচ্চারণ। ৮ নভেম্বর উচ্চারণ ব্যান্ডের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে আজম খানের পরিবার, ব্যান্ড সদস্য ও একটি এজেন্সির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়।

চুক্তি অনুযায়ী, আজম খানের নাম, ছবি ও সৃষ্টির সব কপিরাইট এবং মালিকানা থাকবে তাঁর পরিবারের। উচ্চারণ ব্যান্ড তাঁর গান পরিবেশন ও প্রচারে সক্রিয় থাকবে; আর কুল এক্সপোজার পরিচালনা করবে সমস্ত প্রচার, রয়্যালটি ব্যবস্থাপনা, কনসার্ট এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম।

আজম খানের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর কন্যা অরণী খান, উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা এবং কুল এক্সপোজারের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিইও এরশাদুল হক টিঙ্কু চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।

উচ্চারণ ব্যান্ডের প্রধান দুলাল জোহা বলেন, ‘এই চুক্তি আজম খানের সংগীত ঐতিহ্যকে নতুনভাবে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। আমরা তাঁর গানগুলো দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ছড়িয়ে দিতে চাই।’

মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে তিন বন্ধু নীলু, সাদেক ও মনসুরকে নিয়ে আজম খান গড়ে তুলেছিলেন ব্যান্ড উচ্চারণ। ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা ব্যান্ডটি ওই বছর বিটিভিতে গায় ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ এবং ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’। এই দুটি গান জনপ্রিয় করে তোলে আজম খান ও উচ্চারণ ব্যান্ডকে। এরপর উচ্চারণকে সঙ্গে নিয়ে আরও বহু গান উপহার দিয়েছেন আজম খান। ২০১১ সালের ৫ জুন আজম খানের মৃত্যুর পর থেমে যায় ব্যান্ডের কার্যক্রম। গত ২২ জুন আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গুরু রিলোডেড’ নামের অনুষ্ঠানে ১৪ বছর পর মঞ্চে পারফর্ম করে উচ্চারণ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মিলনের নতুন গান ‘ট্রেডমিল’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
মিলনের নতুন গান ‘ট্রেডমিল’

‘চলো সবাই, জীবনের আহ্বানে সামনে এগিয়ে যাই’, গ্রামীণফোনের প্রমোশনাল গান ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’-এর মতো গান দিয়ে শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন মিলন মাহমুদ। সম্প্রতি তিনি গাইলেন নতুন গান ‘ট্রেডমিল’। ৬ নভেম্বর মিলন মাহমুদ ও সমীর এক্সপ্রেস নামের দুটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হলো গানটি। ‘ট্রেডমিলে ছুটে চলা তোমার বাদামী দেহ, দৃষ্টিতে সংগীতের জাদুর মোহ...’ এমন কথায় গানটি লিখেছেন ড. কাজী সালেহীন, সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন এস কে সমীর।

সংগীত পরিচালক সমীর জানিয়েছেন, গানের সঙ্গে সমন্বয় রেখে একটি চমৎকার ভিডিও নির্মাণ করা হয়েছে। মিউজিক ভিডিওটি পরিচালনা করেছেন সৌমিত্র ঘোষ ইমন। এতে মডেল হয়েছেন সাদ্দাম শিহাব ও ডিম্পল আহমেদ।

কণ্ঠশিল্পী মিলন মাহমুদ বলেছেন, ‘এটা একটা ভিন্নমাত্রার গান। গানের কথায় একটি দৃশ্যের অবতারণা করা হয়েছে। তরুণ শ্রোতাদের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে গানটি। ট্রেডমিল গানটি আমার কাছে অনেক আবেগের এবং আলাদা এক অনুভূতির। রোমান্টিক ঘরানার গানটিতে ফুটে উঠেছে এক জোড়া তরুণ-তরুণীর মনের অনুভূতি।’

সুরকার এস কে সমীর বলেন, ‘গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে আধুনিক জীবনের ছন্দ, প্রেম আর যান্ত্রিক জীবনের রোমান্টিক একটি গল্প বলার চেষ্টা হয়েছে গানে। রক মিউজিকের মিশেলে সুর করার চেষ্টা করেছি গানটিতে, যেখানে জীবনের গতি ও ভালোবাসা মিশে গেছে এক সুরেলা বন্ধনে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিজয়ের শেষ সিনেমার মুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটল

বিনোদন ডেস্ক
‘জন নায়াগান’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘জন নায়াগান’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

অনিশ্চয়তার কালো মেঘ জমেছিল ‘জন নায়াগান’ সিনেমার ভাগ্যে। গুঞ্জন ছিল, সিনেমাটির মুক্তি স্থগিত হয়ে যেতে পারে। এ সিনেমা দিয়েই অভিনয় ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন তামিল সুপারস্টার থালাপতি বিজয়। পুরোপুরি মন দেবেন রাজনীতিতে। জন নায়াগান তাই শুধু বিজয়ের জন্য নয়, তামিল ইন্ডাস্ট্রিরও অন্যতম আলোচিত কাজ হতে চলেছে। কিন্তু সেপ্টেম্বরের এক দুর্ঘটনা সব হিসাব এলোমেলো করে দেয়।

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে একের পর এক সমাবেশের আয়োজন করছিল বিজয়ের রাজনৈতিক দল তামিলাগা ভেটরি কাজাগাম। প্রতিটি সমাবেশে সমর্থকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছিল। তবে গত ২৭ সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর কারুরেতে আয়োজিত নির্বাচনী সমাবেশে ঘটে হঠাৎ দুর্ঘটনা। অতিরিক্ত ভিড় ও গরমে সৃষ্টি হয় বিশৃঙ্খলা। আর তা থেকে ঘটে পদদলনের ঘটনা। ৩৯ জনের বেশি মানুষ মারা যায়। আহত হয় ১৫০ জনের বেশি। এ ঘটনার পর অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়ে বিজয়ের ক্যারিয়ার।

স্বাভাবিকভাবেই তাই জন নায়াগান সিনেমার মুক্তির আলোচনা পেছনে পড়ে যায়। বিশাল আয়োজনে তৈরি সিনেমাটি গত অক্টোবরে মুক্তির কথা থাকলেও কোনো প্রচার-প্রচারণা চোখে পড়ছিল না। ফলে নানা ধরনের গুঞ্জন ছড়ায়। জন নায়াগান আদৌ মুক্তি পাবে কি না, এ অনিশ্চয়তা দেখা দেয় সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে। অবশেষে সব গুঞ্জন উড়িয়ে সুখবর সামনে আনল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কেভিএন প্রোডাকশনস। ৮ নভেম্বর প্রকাশ পেল টাইটেল ট্র্যাক ‘থালাপতি কাছেরি’। সঙ্গে জানানো হলো মুক্তির তারিখও। আগামী ৯ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে মুক্তি পাবে জন নায়াগান।

রাজনীতির জন্য অভিনয়কে বিদায় জানাচ্ছেন। ক্যারিয়ারের শেষ সিনেমায় তাই একজন রাজনৈতিক নেতার ভূমিকায় হাজির হচ্ছেন বিজয়। এ সিনেমার জন্য শুরু থেকেই একটু বেশি সিরিয়াস ছিলেন তিনি। ভারতীয় সিনেমায় এখন হাজার কোটির জোয়ার চলছে। তবে এখন পর্যন্ত বিজয়ের কোনো সিনেমা এ মাইলফলকে পৌঁছাতে পারেনি। তাঁর সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমা ‘লিও’ আয় করেছিল ৬২০ কোটি রুপি। শেষ সিনেমায় তাই নতুন রেকর্ড গড়ার লক্ষ্য থালাপতি বিজয়ের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত