নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে উত্থান ঘটে হুগলির ডন খ্যাত হুব্বা শ্যামল নামে এক গ্যাংস্টারের। হুগলি জেলার অপরাধজগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন এই শ্যামল। তাঁর জীবন এবার বড় পর্দায় আনছেন পশ্চিমবঙ্গের পরিচালক ব্রাত্য বসু। আজ শুক্রবার ঢাকা ও পশ্চিমবঙ্গে একযোগে মুক্তি পাচ্ছে মোশাররফ করিম অভিনীত টালিউড সিনেমা ‘হুব্বা’। এই সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় বাংলাদেশি অভিনেতা মোশাররফ করিম।
সিনেমাটির মুক্তি সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন দেয়াল, বিলবোর্ড, গাড়ি থেকে ট্রাম—সবখানেই দেখা যাচ্ছে হুব্বার পোস্টার। এমনকি কলকাতার মেট্রোরেলও সেজেছে হুব্বার পোস্টার ও ব্যানারে। তবে সারা কলকাতা ছেয়ে গেলেও হুব্বার পাড়ায় ঢুকতে পারেনি এই সিনেমার পোস্টার। এই সিনেমার কোনো পোস্টার হুব্বা শ্যামলের পাড়া ধর্মডাঙার কোনো অঞ্চলে দেখা যায়নি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল জানিয়েছে, এর কারণ হয়তো একটাই। হুব্বা শ্যামল মরে গিয়েও যেন বেঁচে রয়েছেন! তাঁর ত্রাসের অভিঘাত এখনো এতটাই গভীর যে শ্যামল দাসের নাম বলতে গিয়েও অঞ্চলের মানুষ আশপাশ দেখে কথা বলেন। যেন তাঁদের মনে হয় পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন হুব্বা!
হুব্বার পাড়ারই একজনের সঙ্গে কথা হয় সংবাদমাধ্যমটির। তিনি বলেন, ‘দেখুন, হুব্বা চলে গেছে, অনেকেই হয়তো বেঁচে গেছে। কিন্তু মনে রাখবেন, এসব মানুষ মরে গেলেও তাদের দলগুলো সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মতো। জ্বালামুখ নেভে না, ঘুমিয়ে থাকে। আমার তো মনে হয় ওর দলের শাগরেদরাও তাই। আবার কোনো সময়ে হয়তো জীবন্ত হয়ে উঠবে। ভরসা কী বলুন!’
বলার সময় রমেশও আশপাশে দেখে কথা বলছিলেন। যেন তাঁরও আতঙ্ক, দূরে দাঁড়িয়ে হয়তো হুব্বার কোনো শাগরেদ শুনছে। কোনো ‘অপরাধী’ সমাজবিরোধী মরে গিয়েও তার অস্তিত্ব এমনভাবে বেঁচে থাকতে পারে, সেটি ওই পাড়ায় না গেলে বোঝাই যেত না।
যে চায়ের দোকানে হুব্বা প্রতিদিন সন্ধ্যায় চা খেতে আসতেন, সেই বুড়ি এখনো দোকানের মালিক। তাঁর নাতিরা দোকানে বসলেও তিনি পাশেই মাথা নিচু করে বসে থাকেন। শীতের সকালে সর্বাঙ্গ ঢাকা অবস্থায় কোনোক্রমে মাফলার থেকে মুখটা বের করে তিনি দ্য ওয়ালের প্রতিবেদককে বলেন, ‘হুব্বা অপরাধী হতে পারে, তার সাজা সে ভগবানের কাছ থেকে পেয়েছে। কিন্তু ওর মনটা ভালো ছিল। আমাদের পাড়ার বহু মেয়ের ওর জন্য বিয়ে হয়েছে।’
দোকানেই বসে চা খাচ্ছিলেন ষাটোর্ধ্ব সুরজ শর্মা। তিনিও বলেন, ‘হুব্বাকে আমি বহুবার দেখেছি, ওর সঙ্গে হয়তো কথা হয়নি। কিন্তু এটা শুনেছি বহু কন্যাদায়গ্রস্ত বাবাকে টাকা দিয়ে তিনি সাহায্য করেছিলেন।’
হুব্বার পড়াশোনা বেশি দূরে নয়। তাঁর বাবা দিনমজুরি করতেন। ধর্মডাঙায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। আশির দশকের গোড়ায় হুব্বার কাজ চলে যায়। অপরাধে তখনই হাতেখড়ি শ্যামল দাসের। শুরুতে ছিঁচকে চুরি আর ছিনতাই। তারপর ডাকাতি। আগপিছ না ভেবে অপরাধে জড়িয়ে পড়তেন শ্যামল, তাই তাঁর নাম হয়ে যায় হুব্বা। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে হুব্বা নামেই এলাকায় আতঙ্ক হয়ে ওঠেন শ্যামল।
বন্ধ কারখানার মাল লুট করা ছিল তাঁর কাজ। কাজের জন্য দলও তৈরি করে ফেলেছিলেন। তারপর সেই সব কারখানা ফাঁকা হয়ে গেলে প্রোমোটারি এবং জমির দালালি শুরু করেছিলেন। হুব্বার ‘মাস্তানি’ হুগলির সীমান্ত ছাড়িয়ে পাশের জেলায়ও ছড়িয়ে পড়েছিল। কয়েক শ ছেলে ছিল তাঁর দলে। মাস মাইনে দিয়ে তাদের রাখতেন হুব্বা।
তবে দ্য ওয়াল জানিয়েছে, শুধু তাদের কাছে নয়, দিন আনা-দিন খাওয়া, অভাবী মানুষের কাছে সে ছিল ভগবান। কিন্তু ধনী, বিত্তশালীদের কাছে ত্রাস। কোন্নগরে একটা কথা চালু রয়েছে, একটা সময়ে এই শহরের একটা ইটও পোঁতা যেত না যদি না হুব্বা অনুমতি দিতেন! প্রোমোটারদের থেকে টাকা দাবি করতেন। যাঁরা ভালো কথায় দিতেন না, তাঁদের হুমকি দিয়ে ছুরি দেখিয়ে টাকা আদায় করা হতো।
২০১১ সালে খুন হয়ে যান হুব্বা। চার দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন শ্যামল। চার দিন পর বৈদ্যবাটি খালে তাঁর পচাগলা দেহ পাওয়া যায়। গলার নলি কাটা, নাভির ওপর থেকে শ্যামলের পেট লম্বালম্বি ভাবে চেরা। যাকে হুব্বাই নাম দিয়েছিল ‘পইতে কাট’।
উল্লেখ্য, ‘হুব্বা’ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে প্রযোজক ফিরদৌসল হাসানের প্রযোজনা সংস্থা ‘ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন’। মোশাররফ করিম ছাড়াও এতে পুলিশের ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তকে। এ ছাড়াও আছেন—পৌলমী বসু, শ্রাবণী দাস, সৌমিক হালদার প্রমুখ।
নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে উত্থান ঘটে হুগলির ডন খ্যাত হুব্বা শ্যামল নামে এক গ্যাংস্টারের। হুগলি জেলার অপরাধজগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন এই শ্যামল। তাঁর জীবন এবার বড় পর্দায় আনছেন পশ্চিমবঙ্গের পরিচালক ব্রাত্য বসু। আজ শুক্রবার ঢাকা ও পশ্চিমবঙ্গে একযোগে মুক্তি পাচ্ছে মোশাররফ করিম অভিনীত টালিউড সিনেমা ‘হুব্বা’। এই সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় বাংলাদেশি অভিনেতা মোশাররফ করিম।
সিনেমাটির মুক্তি সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন দেয়াল, বিলবোর্ড, গাড়ি থেকে ট্রাম—সবখানেই দেখা যাচ্ছে হুব্বার পোস্টার। এমনকি কলকাতার মেট্রোরেলও সেজেছে হুব্বার পোস্টার ও ব্যানারে। তবে সারা কলকাতা ছেয়ে গেলেও হুব্বার পাড়ায় ঢুকতে পারেনি এই সিনেমার পোস্টার। এই সিনেমার কোনো পোস্টার হুব্বা শ্যামলের পাড়া ধর্মডাঙার কোনো অঞ্চলে দেখা যায়নি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল জানিয়েছে, এর কারণ হয়তো একটাই। হুব্বা শ্যামল মরে গিয়েও যেন বেঁচে রয়েছেন! তাঁর ত্রাসের অভিঘাত এখনো এতটাই গভীর যে শ্যামল দাসের নাম বলতে গিয়েও অঞ্চলের মানুষ আশপাশ দেখে কথা বলেন। যেন তাঁদের মনে হয় পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন হুব্বা!
হুব্বার পাড়ারই একজনের সঙ্গে কথা হয় সংবাদমাধ্যমটির। তিনি বলেন, ‘দেখুন, হুব্বা চলে গেছে, অনেকেই হয়তো বেঁচে গেছে। কিন্তু মনে রাখবেন, এসব মানুষ মরে গেলেও তাদের দলগুলো সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মতো। জ্বালামুখ নেভে না, ঘুমিয়ে থাকে। আমার তো মনে হয় ওর দলের শাগরেদরাও তাই। আবার কোনো সময়ে হয়তো জীবন্ত হয়ে উঠবে। ভরসা কী বলুন!’
বলার সময় রমেশও আশপাশে দেখে কথা বলছিলেন। যেন তাঁরও আতঙ্ক, দূরে দাঁড়িয়ে হয়তো হুব্বার কোনো শাগরেদ শুনছে। কোনো ‘অপরাধী’ সমাজবিরোধী মরে গিয়েও তার অস্তিত্ব এমনভাবে বেঁচে থাকতে পারে, সেটি ওই পাড়ায় না গেলে বোঝাই যেত না।
যে চায়ের দোকানে হুব্বা প্রতিদিন সন্ধ্যায় চা খেতে আসতেন, সেই বুড়ি এখনো দোকানের মালিক। তাঁর নাতিরা দোকানে বসলেও তিনি পাশেই মাথা নিচু করে বসে থাকেন। শীতের সকালে সর্বাঙ্গ ঢাকা অবস্থায় কোনোক্রমে মাফলার থেকে মুখটা বের করে তিনি দ্য ওয়ালের প্রতিবেদককে বলেন, ‘হুব্বা অপরাধী হতে পারে, তার সাজা সে ভগবানের কাছ থেকে পেয়েছে। কিন্তু ওর মনটা ভালো ছিল। আমাদের পাড়ার বহু মেয়ের ওর জন্য বিয়ে হয়েছে।’
দোকানেই বসে চা খাচ্ছিলেন ষাটোর্ধ্ব সুরজ শর্মা। তিনিও বলেন, ‘হুব্বাকে আমি বহুবার দেখেছি, ওর সঙ্গে হয়তো কথা হয়নি। কিন্তু এটা শুনেছি বহু কন্যাদায়গ্রস্ত বাবাকে টাকা দিয়ে তিনি সাহায্য করেছিলেন।’
হুব্বার পড়াশোনা বেশি দূরে নয়। তাঁর বাবা দিনমজুরি করতেন। ধর্মডাঙায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। আশির দশকের গোড়ায় হুব্বার কাজ চলে যায়। অপরাধে তখনই হাতেখড়ি শ্যামল দাসের। শুরুতে ছিঁচকে চুরি আর ছিনতাই। তারপর ডাকাতি। আগপিছ না ভেবে অপরাধে জড়িয়ে পড়তেন শ্যামল, তাই তাঁর নাম হয়ে যায় হুব্বা। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে হুব্বা নামেই এলাকায় আতঙ্ক হয়ে ওঠেন শ্যামল।
বন্ধ কারখানার মাল লুট করা ছিল তাঁর কাজ। কাজের জন্য দলও তৈরি করে ফেলেছিলেন। তারপর সেই সব কারখানা ফাঁকা হয়ে গেলে প্রোমোটারি এবং জমির দালালি শুরু করেছিলেন। হুব্বার ‘মাস্তানি’ হুগলির সীমান্ত ছাড়িয়ে পাশের জেলায়ও ছড়িয়ে পড়েছিল। কয়েক শ ছেলে ছিল তাঁর দলে। মাস মাইনে দিয়ে তাদের রাখতেন হুব্বা।
তবে দ্য ওয়াল জানিয়েছে, শুধু তাদের কাছে নয়, দিন আনা-দিন খাওয়া, অভাবী মানুষের কাছে সে ছিল ভগবান। কিন্তু ধনী, বিত্তশালীদের কাছে ত্রাস। কোন্নগরে একটা কথা চালু রয়েছে, একটা সময়ে এই শহরের একটা ইটও পোঁতা যেত না যদি না হুব্বা অনুমতি দিতেন! প্রোমোটারদের থেকে টাকা দাবি করতেন। যাঁরা ভালো কথায় দিতেন না, তাঁদের হুমকি দিয়ে ছুরি দেখিয়ে টাকা আদায় করা হতো।
২০১১ সালে খুন হয়ে যান হুব্বা। চার দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন শ্যামল। চার দিন পর বৈদ্যবাটি খালে তাঁর পচাগলা দেহ পাওয়া যায়। গলার নলি কাটা, নাভির ওপর থেকে শ্যামলের পেট লম্বালম্বি ভাবে চেরা। যাকে হুব্বাই নাম দিয়েছিল ‘পইতে কাট’।
উল্লেখ্য, ‘হুব্বা’ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে প্রযোজক ফিরদৌসল হাসানের প্রযোজনা সংস্থা ‘ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন’। মোশাররফ করিম ছাড়াও এতে পুলিশের ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তকে। এ ছাড়াও আছেন—পৌলমী বসু, শ্রাবণী দাস, সৌমিক হালদার প্রমুখ।
ঈদে মুক্তি পাওয়া আফরান নিশো অভিনীত ‘দাগি’ সিনেমায় জেফার রহমানের গাওয়া ‘নিয়ে যাবে কি’ শিরোনামের গানটি ইতিমধ্যেই শ্রোতাদের মন ছুঁয়েছে। অনলাইনেও গানটি নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে। ‘নিয়ে যাবে কি আমায় দূরে কল্পনায়, তোমার আর আমার গল্পে কি আবার হবে নতুন সূচনা’ এমন কথায় গানটি লিখেছেন বাঁধন, সুর করেছেন জেফার
৭ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসে নতুন উদ্যোগের কথা জানালেন অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী উম্মে হাবিবা। রাজধানীর নিকেতনে শুরু করেছেন নিজের নৃত্য প্রতিষ্ঠান। টিম কালারস ড্যান্স ক্লাস নামের এই প্রতিষ্ঠানে ভরতনাট্যম, সেমি-ক্লাসিক্যাল, কনটেম্পরারি ও বলিউড নৃত্যশৈলীতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
৭ ঘণ্টা আগেমহান মে দিবসে শিশুশিল্পীদের নিয়ে দুরন্ত টিভি প্রচার করবে বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান ‘নোঙর তোলো তোলো’। অনুষ্ঠানটিতে এম আর ওয়াসেকের নৃত্য পরিচালনায় গণসংগীতের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছে নন্দনকলা কেন্দ্রের নৃত্যশিল্পী পুষ্পিতা, অর্পিতা, ইমি, পিউ, ইরা, অর্জন, মাহমুদা, শ্রেষ্ঠা, লাবিবা, সিলভা, সাদিয়া, সিজান, সিফা
৭ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ খরা কাটিয়ে ২০২৩ সালে পরপর তিন সিনেমা দিয়ে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটে শাহরুখ খানের। ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ ও ‘ডানকি’ দিয়ে সে বছর বক্স অফিসে নয়া রেকর্ড গড়েন বলিউড বাদশা। এরপর কিছুটা বিরতি। গত বছর কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি শাহরুখের, এ বছরটাও ফাঁকা যাবে। নতুন সিনেমা নিয়ে তিনি প্রেক্ষাগৃহে ফিরবেন ২০২৬ সালে।
৭ ঘণ্টা আগে