জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা তাহসানের আবারও বিয়ের খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। ফেসবুকে ভক্ত-সমালোচকেরা তাহসান-রোজা-মিথিলার বিভিন্ন ছবি শেয়ার করে করছেন নানা মন্তব্য। নানা মন্তব্যের মধ্যে রয়েছে ‘হার’-‘জিত’ ধরনের আলাপও।
এরই মধ্যে এসব নিয়ে গতকাল রোববার নিজের ফেসবুক আইডিতে দীর্ঘ এক পোস্ট দিয়েছেন নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিন। তিনি মনে করেন, ‘পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষের জেতা কোনো চ্যালেঞ্জ নয়। নারীর জন্যই এ চ্যালেঞ্জ। দুই নারীই তিন শর্তের চ্যালেঞ্জে জিতেছে।’
স্ট্যাটাসে তসলিমা লিখেছেন, ‘ফেসবুক ছেয়ে গেছে “তাহসান জিতেছে তাহসান জিতেছে” রবে। কেন তাহসান জিতেছে, বুঝে পেলাম না। সে একটা মেয়েকে বিয়ে করেছে বা করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে জেতাজেতির কী হলো! হেটারোসেক্সুয়ালদের বিপরীত লিঙ্গে আকর্ষণ থাকে, তারা জীবনের কোনো একসময় পছন্দসই কাউকে পেলে তার সঙ্গে প্রেম করে, লিভ ইন করে বা তাকে বিয়ে করে। এ তো স্বাভাবিক। জিতল কেন তাহলে তাহসান?’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আসলে যারা জিতেছে জিতেছে বলে চেঁচাচ্ছে, তারা চেঁচাচ্ছে কারণ তারা মনে করেছে তাহসান এক বাচ্চার বাবা হয়েও, ডিভোর্সি হয়েও একটা “কচি সুন্দরী ভার্জিন মেয়ে” পেয়েছে। মর্ত্যে বসে যত খুশি এবং যেভাবে খুশি নারী ভোগ করার পর স্বর্গে গিয়ে সঙ্গমের জন্য ভার্জিন হুর পেয়ে যাওয়াকে মুসলমানরা “জিতে যাওয়া”ই মনে করে। কিন্তু রোজা আহমেদ রক্ত-মাংসের মানুষ, হুর নয়, খুব সম্ভবত ভার্জিনও নয়। রাজকন্যার জীবন তার ছিল না, খুব স্ট্রাগল করেছে জীবনে। দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন সংগ্রাম করে একটি মেয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে। কঠিন সংগ্রামের দিনগুলোয় নিজের লক্ষ্যে স্থির ছিল বলে, নিজের স্বপ্ন যে করেই হোক পূরণ করতে চেয়েছিল বলে নারীবিদ্বেষী সমাজ রোজাকে কম নিন্দে করেনি, কম অপমান করেনি, কম অপদস্থ করেনি। মিথিলার বিরুদ্ধেও কম কুৎসা রটায়নি এই সমাজ।’
নির্বাসিত এ লেখক লিখেছেন, ‘তাহসান জিতেছে, এই নিয়ে সবাই উল্লাস করছে। নারীবিদ্বেষী সমাজে সব পুরুষই জেতে। সর্বক্ষণ জেতে। তাদের হার নেই। হারতে হয় শুধু নারীকেই। কিন্তু আমি কি মনে করি মিথিলা বা রোজা হেরেছে? না। তারা একটুও হারেনি। তারা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের প্রথা ভেঙে নিজের যোগ্যতায় স্বনির্ভরতা ও স্বাধীনতা অর্জন করেছে౼নারীবিদ্বেষী সমাজে নারীর জিতে যাওয়ার প্রথম শর্তই এটি। তারা ভ্রুক্ষেপ করছে না কুৎসা বা নিন্দে, এ জিতে যাওয়ার দ্বিতীয় শর্ত। ভালো না লাগলে তারা তাদের সঙ্গীকে, সে প্রেমিক হোক, সে স্বামী হোক; ত্যাগ করতে পারছে, তারা বাধ্য নয় তাদের সঙ্গে এক ছাদের তলায় বাস করতে౼জিতে যাওয়ার এটি তৃতীয় শর্ত।’
তসলিমা নাসরিন লেখেন, ‘স্বামীর আচার-ব্যবহার যদি পছন্দ না হয় রোজার, তার স্বনির্ভরতাই তাকে সাহস জোগাবে স্বামীকে ত্যাগ করার, মাথা উঁচু করে একা বাঁচার। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষের জেতা কোনো চ্যালেঞ্জ নয়। নারীর জন্যই এ চ্যালেঞ্জ। দুই নারীই তিন শর্তের চ্যালেঞ্জে জিতেছে। চ্যালেঞ্জহীন জয়ের চেয়ে চ্যালেঞ্জের জয় ঢের বেশি গৌরবময়। জয়তু নারী।’
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা তাহসানের আবারও বিয়ের খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। ফেসবুকে ভক্ত-সমালোচকেরা তাহসান-রোজা-মিথিলার বিভিন্ন ছবি শেয়ার করে করছেন নানা মন্তব্য। নানা মন্তব্যের মধ্যে রয়েছে ‘হার’-‘জিত’ ধরনের আলাপও।
এরই মধ্যে এসব নিয়ে গতকাল রোববার নিজের ফেসবুক আইডিতে দীর্ঘ এক পোস্ট দিয়েছেন নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিন। তিনি মনে করেন, ‘পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষের জেতা কোনো চ্যালেঞ্জ নয়। নারীর জন্যই এ চ্যালেঞ্জ। দুই নারীই তিন শর্তের চ্যালেঞ্জে জিতেছে।’
স্ট্যাটাসে তসলিমা লিখেছেন, ‘ফেসবুক ছেয়ে গেছে “তাহসান জিতেছে তাহসান জিতেছে” রবে। কেন তাহসান জিতেছে, বুঝে পেলাম না। সে একটা মেয়েকে বিয়ে করেছে বা করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে জেতাজেতির কী হলো! হেটারোসেক্সুয়ালদের বিপরীত লিঙ্গে আকর্ষণ থাকে, তারা জীবনের কোনো একসময় পছন্দসই কাউকে পেলে তার সঙ্গে প্রেম করে, লিভ ইন করে বা তাকে বিয়ে করে। এ তো স্বাভাবিক। জিতল কেন তাহলে তাহসান?’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আসলে যারা জিতেছে জিতেছে বলে চেঁচাচ্ছে, তারা চেঁচাচ্ছে কারণ তারা মনে করেছে তাহসান এক বাচ্চার বাবা হয়েও, ডিভোর্সি হয়েও একটা “কচি সুন্দরী ভার্জিন মেয়ে” পেয়েছে। মর্ত্যে বসে যত খুশি এবং যেভাবে খুশি নারী ভোগ করার পর স্বর্গে গিয়ে সঙ্গমের জন্য ভার্জিন হুর পেয়ে যাওয়াকে মুসলমানরা “জিতে যাওয়া”ই মনে করে। কিন্তু রোজা আহমেদ রক্ত-মাংসের মানুষ, হুর নয়, খুব সম্ভবত ভার্জিনও নয়। রাজকন্যার জীবন তার ছিল না, খুব স্ট্রাগল করেছে জীবনে। দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন সংগ্রাম করে একটি মেয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে। কঠিন সংগ্রামের দিনগুলোয় নিজের লক্ষ্যে স্থির ছিল বলে, নিজের স্বপ্ন যে করেই হোক পূরণ করতে চেয়েছিল বলে নারীবিদ্বেষী সমাজ রোজাকে কম নিন্দে করেনি, কম অপমান করেনি, কম অপদস্থ করেনি। মিথিলার বিরুদ্ধেও কম কুৎসা রটায়নি এই সমাজ।’
নির্বাসিত এ লেখক লিখেছেন, ‘তাহসান জিতেছে, এই নিয়ে সবাই উল্লাস করছে। নারীবিদ্বেষী সমাজে সব পুরুষই জেতে। সর্বক্ষণ জেতে। তাদের হার নেই। হারতে হয় শুধু নারীকেই। কিন্তু আমি কি মনে করি মিথিলা বা রোজা হেরেছে? না। তারা একটুও হারেনি। তারা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের প্রথা ভেঙে নিজের যোগ্যতায় স্বনির্ভরতা ও স্বাধীনতা অর্জন করেছে౼নারীবিদ্বেষী সমাজে নারীর জিতে যাওয়ার প্রথম শর্তই এটি। তারা ভ্রুক্ষেপ করছে না কুৎসা বা নিন্দে, এ জিতে যাওয়ার দ্বিতীয় শর্ত। ভালো না লাগলে তারা তাদের সঙ্গীকে, সে প্রেমিক হোক, সে স্বামী হোক; ত্যাগ করতে পারছে, তারা বাধ্য নয় তাদের সঙ্গে এক ছাদের তলায় বাস করতে౼জিতে যাওয়ার এটি তৃতীয় শর্ত।’
তসলিমা নাসরিন লেখেন, ‘স্বামীর আচার-ব্যবহার যদি পছন্দ না হয় রোজার, তার স্বনির্ভরতাই তাকে সাহস জোগাবে স্বামীকে ত্যাগ করার, মাথা উঁচু করে একা বাঁচার। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষের জেতা কোনো চ্যালেঞ্জ নয়। নারীর জন্যই এ চ্যালেঞ্জ। দুই নারীই তিন শর্তের চ্যালেঞ্জে জিতেছে। চ্যালেঞ্জহীন জয়ের চেয়ে চ্যালেঞ্জের জয় ঢের বেশি গৌরবময়। জয়তু নারী।’
২০১৩ সালে একটি মালয়ালম সিনেমা প্রত্যেককে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। বুঝিয়ে দিয়েছিল, থ্রিলার গল্প কাকে বলে! মোহনলাল অভিনীত ‘দৃশ্যম’ নামের সিনেমাটি পরবর্তী সময়ে কন্নড়, তেলুগু, তামিল, হিন্দি, মান্দারিনসহ নানা ভাষায় নানা নামে রিমেক হয়েছে। হিন্দি রিমেকে মূল চরিত্রে অভিনয় করেন অজয় দেবগন।
৩ মিনিট আগেবর্ষা মৌসুমে দেশে ব্যস্ততা কম থাকে শিল্পীদের। এই মৌসুমের বিকল্প হিসেবে শিল্পীরা ব্যস্ত হচ্ছেন বিদেশের কনসার্টে। চলতি মাসেই ইউরোপের পাঁচটি দেশে সংগীত পরিবেশন করতে ঢাকা ছেড়েছেন বেশ কয়েকজন সংগীতশিল্পী। এ ছাড়া কানাডায় গান শোনাবেন সংগীতশিল্পী মিলা ও ব্যান্ড অ্যাশেজ।
১ দিন আগেগজলশিল্পী মেজবাহ আহমেদের বিরুদ্ধে অকথ্য ভাষা ব্যবহার ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন সংগীতশিল্পী পার্থ মজুমদার। গতকাল বিকেলে ফেসবুকে পার্থ মজুমদার জানান, মেসেঞ্জারে ফোন করে মেজবাহ আহমেদ তাঁর সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছেন, এমনকি থাপড়ানোর হুমকি দিয়েছেন।
১ দিন আগে‘চ্যালেঞ্জ’ সিনেমা দিয়ে প্রথমবার একসঙ্গে কাজ করেন টালিগঞ্জের দেব ও শুভশ্রী। বক্স অফিসে হিট হয় সিনেমাটি, দর্শক পছন্দ করে নতুন এই জুটির কেমেস্ট্রি। এরপর জুটি বেঁধে একের পর এক অভিনয় করেন ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘রোমিও’, ‘খোকাবাবু’র মতো ব্যবসাসফল সিনেমায়। অভিনয়ের সূত্র ধরে একে অপরের কাছে এসেছিলেন তাঁরা।
১ দিন আগে