নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার পরিবেশে সন্তুষ্ট নয় ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। আর মোটামুটি সন্তুষ্ট ৫৮ দশমিক ১ শতাংশ এবং পুরোপুরি সন্তুষ্ট মাত্র ৮ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। আজ শুক্রবার তরুণদের সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের ‘বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির কারণ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
অনলাইনে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়। গত ১৫ থেকে ৩০ মে দেশের ৮৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৫৭০ জন শিক্ষার্থী এ জরিপে অংশ নেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়—পড়াশোনার পরিবেশ নিয়ে অসন্তুষ্ট হওয়া পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন।
জরিপের ফল বলছে, ৩১ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। আর ২৯ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্যারিয়ার হিসেবে সরকারি চাকরি করতে চান, ৯ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ব্যবসা বা উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। এ ছাড়া মাত্র ৭ দশমিক ১ শতাংশ শিক্ষার্থী বেসরকারি চাকরি করতে চান। এ ছাড়া বাকি শিক্ষার্থীরা এখনো কোনোরূপ ক্যারিয়ার ভাবনা ঠিক করেনি, যা মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ২২ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়—বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছেন ৩১ দশমিক ১ শতাংশ শিক্ষার্থী। যার মাঝে বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ, র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ, যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হননি ৬৮ দশমিক ৯ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বুলিং, র্যাগিং ও যৌন হয়রানির তিক্ততা যখন কোনো শিক্ষার্থীকে গ্রাস করে, তখন সে নিজেকে যাবতীয় সবকিছু থেকে গুটিয়ে নেয় এবং ধীরে ধীরে বিষণ্নতার দিকে ধাবিত হয়।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন বলে জরিপে উঠে এসেছে। বলা হয়েছে, বিভিন্ন সময়ে নিজেকে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করার কারণে হতাশায় ভুগছেন ১৬ দশমিক ২ শতাংশ শিক্ষার্থী। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা নিয়ে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ, হল বা আবাসিক পরিবেশ নিয়ে ৯ শতাংশ, সহপাঠী বা শিক্ষকের মাধ্যমে বুলিংয়ের কারণে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী হতাশাগ্রস্ত। আর এ সবগুলো কারণের জন্য ১ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী এবং ৩ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অন্যান্য কারণে হতাশায় ভুগছেন।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশার উপসর্গ অনুভব করার হার বেশি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তথ্য বলছে, ৮৩ দশমিক ৪ শতাংশ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিষণ্নতার উপসর্গগুলোর মুখোমুখি হয়েছেন। বাকি ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ জানিয়েছেন তাদের মাঝে হতাশার উপসর্গ দেখা যায়নি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশার চিত্র তুলনামূলক কম। ৭৯ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন তারা হতাশার উপসর্গগুলো অনুভব করেছেন। অন্যদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬১ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তারা এই ধরনের উপসর্গের মধ্য দিয়ে গেছেন।
শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সমাধানে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া, মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করা, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের সম্মান ও আস্থার সম্পর্ক উন্নয়নসহ আঁচল ফাউন্ডেশনের থেকে ৮টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার পরিবেশে সন্তুষ্ট নয় ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। আর মোটামুটি সন্তুষ্ট ৫৮ দশমিক ১ শতাংশ এবং পুরোপুরি সন্তুষ্ট মাত্র ৮ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। আজ শুক্রবার তরুণদের সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের ‘বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির কারণ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
অনলাইনে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়। গত ১৫ থেকে ৩০ মে দেশের ৮৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৫৭০ জন শিক্ষার্থী এ জরিপে অংশ নেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়—পড়াশোনার পরিবেশ নিয়ে অসন্তুষ্ট হওয়া পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন।
জরিপের ফল বলছে, ৩১ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। আর ২৯ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্যারিয়ার হিসেবে সরকারি চাকরি করতে চান, ৯ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ব্যবসা বা উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। এ ছাড়া মাত্র ৭ দশমিক ১ শতাংশ শিক্ষার্থী বেসরকারি চাকরি করতে চান। এ ছাড়া বাকি শিক্ষার্থীরা এখনো কোনোরূপ ক্যারিয়ার ভাবনা ঠিক করেনি, যা মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ২২ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়—বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছেন ৩১ দশমিক ১ শতাংশ শিক্ষার্থী। যার মাঝে বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ, র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ, যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হননি ৬৮ দশমিক ৯ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বুলিং, র্যাগিং ও যৌন হয়রানির তিক্ততা যখন কোনো শিক্ষার্থীকে গ্রাস করে, তখন সে নিজেকে যাবতীয় সবকিছু থেকে গুটিয়ে নেয় এবং ধীরে ধীরে বিষণ্নতার দিকে ধাবিত হয়।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন বলে জরিপে উঠে এসেছে। বলা হয়েছে, বিভিন্ন সময়ে নিজেকে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করার কারণে হতাশায় ভুগছেন ১৬ দশমিক ২ শতাংশ শিক্ষার্থী। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা নিয়ে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ, হল বা আবাসিক পরিবেশ নিয়ে ৯ শতাংশ, সহপাঠী বা শিক্ষকের মাধ্যমে বুলিংয়ের কারণে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী হতাশাগ্রস্ত। আর এ সবগুলো কারণের জন্য ১ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী এবং ৩ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অন্যান্য কারণে হতাশায় ভুগছেন।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশার উপসর্গ অনুভব করার হার বেশি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তথ্য বলছে, ৮৩ দশমিক ৪ শতাংশ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিষণ্নতার উপসর্গগুলোর মুখোমুখি হয়েছেন। বাকি ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ জানিয়েছেন তাদের মাঝে হতাশার উপসর্গ দেখা যায়নি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশার চিত্র তুলনামূলক কম। ৭৯ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন তারা হতাশার উপসর্গগুলো অনুভব করেছেন। অন্যদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬১ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তারা এই ধরনের উপসর্গের মধ্য দিয়ে গেছেন।
শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সমাধানে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া, মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করা, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের সম্মান ও আস্থার সম্পর্ক উন্নয়নসহ আঁচল ফাউন্ডেশনের থেকে ৮টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
থাইল্যান্ডে চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি-২০২৫-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
৪ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগ প্রযুক্তি ও জ্ঞানের যুগ। একাডেমিক ডিগ্রি যতটা গুরুত্বপূর্ণ, বাস্তব জীবনে টিকে থাকতে ততটাই প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক দক্ষতা। বিশেষ করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন এখন সময়ের চাহিদা। এ পরিস্থিতিতে চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা যেমন বাড়ছে, তেমনি উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগও তৈরি হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয় কেবল উচ্চশিক্ষা অর্জনের জায়গা নয়, এটি জীবনের বৃহত্তর পাঠশালা। পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি এখানে শেখার আছে নেতৃত্বের দক্ষতা, আত্ম-উন্নয়নের কৌশল এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি।
২ দিন আগেইউরোপের দেশ সুইডেন। দেশটির মেরিন জেট পাওয়ার কোম্পানির টেস্ট অ্যান্ড ভ্যালিডেশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন প্রবাসী বাংলাদেশি মুহাম্মদ শাকিরুল্লাহ। সুইডেনে বাংলাদেশিদের ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা...
২ দিন আগে