Ajker Patrika

ক্যাম্পাস ঘিরে জীবন যাঁদের

রায়হান আবিদ
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭: ৪৮
ক্যাম্পাস ঘিরে জীবন যাঁদের

প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়তে আসেন হাজারো শিক্ষার্থী। আবার প্রতিবছর হাজারো শিক্ষার্থী লেখাপড়া শেষে চলে যান ক্যাম্পাস ছেড়ে। তবে ক্যাম্পাসের সড়কে, চায়ের দোকানে, হলে কিংবা অনুষদের ভবনে রেখে যান কয়েক বছরের স্মৃতি। সেই সঙ্গে রেখে যান কিছু পরিচিত মুখ—তাঁদের জীবনযাপন ও জীবিকা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তেমনি কিছু পরিচিত মুখের কথা লিখেছেন রায়হান আবিদ

ব্রহ্মপুত্রে নৌকা চালান পঁচিশ বছর
রতন মিয়া। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে প্রবহমান ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা চালান ২৫ বছর ধরে। এই নদের পাড়ে দাঁড়ালে মনের ক্লান্তি বিলীন হয়ে যায় তাঁর। রতন মিয়া বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে নৌকা চালাই পচ্চিশ বছর। শিক্ষার্থীরা সময় কাটাইতে নদের ওপারে গিয়ে আড্ডা জমায়। অনেকে আবার জন্মদিন উদ্‌যাপন করতে যায়। এত বছর অনেক ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। অনেক বছর পর তারা ঘুরতে আইলে স্মরণ করে, আমার নৌকায় আগে তারা কত ঘোরাঘুরি করছিল।’ 

মিলন মিলন ভাইয়ের খাবার হোটেল
১৯৮২ সাল। সে সময় ক্যাম্পাসের মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের সামনে গড়ে উঠেছিল একটি রেস্তোরাঁ। তার মালিক ছিলেন মিলনের বাবা। তবে ছোট থেকে রেস্তোরাঁর সঙ্গে যুক্ত থাকায় সবার কাছে মিলন ‘ভাই’ হিসেবে পরিচিত। পরবর্তী সময়ে রেস্তোরাঁটির জায়গা বদল হয়। চলে যায় আবদুল জব্বার মোড়ে। প্রায় ৩০ বছর ধরে সেখানে রেস্তোরাঁ চালাচ্ছেন মিলন। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী—সবাই ভাই বলেই ডাকে আমাকে। অনেক সাবেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে এলে দেখা করতে আসেন। স্মরণ করিয়ে দেন কত স্মৃতি রেখে গেছেন আমার দোকানে। তাঁদের সঙ্গে কিছু স্মৃতি নিজেই ভুলে গিয়েছি। অনেক বছরের পুরোনো কথাটাও মনে হয় যেন গতকাল কেউ বলেছে।’  

সুব্রতসুব্রত দাদার ফটোকপির দোকান
২০০৮ সাল থেকে ক্যাম্পাসের কে আর মার্কেটে ক্লাসের লেকচার শিট ফটোকপির ব্যবসা শুরু করেন সুব্রত। ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক অনেকের কাছেই তিনি পরিচিত মুখ। প্রায় ১৫ বছরে সুব্রত সবার কাছে দাদা হিসেবে পরিচিত হয়ে গেছেন। তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে কে আর মার্কেটে ফটোকপির দোকান দিলাম। পাস করে চাকরি নিয়ে চলে গিয়েছে বহু আগে, তাঁরা মাঝেমধ্যেই ক্যাম্পাসে এলে ফোন দেন। ক্যাম্পাস ঘুরে আমার দোকানে আসেন, আড্ডা দেন, খোঁজখবর নেন, অনেক কথাবার্তা বলেন।’ 

জীবনসোহরাওয়ার্দী হলের জীবন দাদা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের অফিস পরিচারক পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন জীবন। ১৯৯৬ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করতে করতে তিনি এখন সবার দাদা। সাবেক ছাত্রদের কথা স্মরণে তিনি বলেন, ‘আমাগো হলের অনেক ছাত্র প্রশাসনের বড় বড় জায়গায় আছে। এসপি, ডিসি, ডিআইজি, সচিব, ব্যাংকার, কৃষি কর্মকর্তা, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, বড় অফিসারও আছে। মাঝেমধ্যে হলে এলে আমারে খুঁজে, ফুন দিয়া অনেকেই খোঁজখবর নেয়। মাঝখানে অসুস্থ ছিলাম বেশ কিছুদিন। তখন হলের অনেক ছোট ভাই যোগাযোগ করছে। আমার শরীর-স্বাস্থ্যের, ভালো-মন্দের খোঁজ নিছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতে পোশাকের অর্ডার স্থগিত করছে মার্কিন ক্রেতারা, বাংলাদেশ-ভিয়েতনামে কারখানা স্থানান্তরের পরামর্শ

মোবাইল-টাকা ছিনতাইয়ের পর দুই তরুণীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

১১ বছর বয়সেই যৌন সম্পর্ক, ১৩-তে ছয় নারীর শয্যাসঙ্গী হন এই ব্রিটিশ রাজপুত্র

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্রক্রয় চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর ‘দমন-পীড়নে’ ২০২ শিক্ষকের উদ্বেগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত