মুসাররাত আবির
অনেকের মধ্যে একটি ভুল ধারণা রয়েছে, যে বিদেশ থেকে ডাক্তারি পাস করে বাংলাদেশে এসে প্র্যাকটিস করার সুযোগ কম। দেশের বাইরে থেকে ডাক্তারি পাস করার পর দেশে ও বিদেশে ক্যারিয়ার গঠনের ভালো সুযোগ আছে। কিন্তু কোন কোন দেশে পড়তে যাবেন চিকিৎসাবিদ্যায়? জেনে নিন।
ফিলিপাইন
এখানের সব কোর্সই ইংরেজি ভাষার হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কারিকুলাম অনুসরণ করা হয়। ফিলিপাইনের আরেকটি সুবিধা হলো, এখানে ইউএসএমএলইয়ের পাসের হার অনেক বেশি।
আবেদনের যোগ্যতা
উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করার পরই আবেদন করা যায়। কিন্তু এর আগে প্রি-মেডিকেল কোর্স করতে হবে। বাকি সবকিছু চীনের আবেদনের মতোই।
টিউশন ফি
বছরে সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা। এখানে প্রি-মেডিকেল কোর্স করার কারণে এমবিবিএস করতে অতিরিক্ত সময় লাগে।
চীন
চিকিৎসাবিদ্যা বা ডাক্তারি পড়ার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা চীনকে পছন্দ করেন। এখানকার টিউশন ফি অন্য দেশের তুলনায় কম। তা ছাড়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে পড়াশোনার মানও অনেক ভালো। এখানকার ডিগ্রির চাহিদা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনেসকো, বিএমডিসির কাছে অনেক বেশি। চীনের হাসপাতাল বা ক্লিনিকে কর্মসংস্থানের ভালো সুযোগও রয়েছে।
আবেদনের যোগ্যতা
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস হতে হবে। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। প্রার্থীদের ১৭ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। কিছু কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএস বা টোয়েফল স্কোরের প্রয়োজন হতে পারে।
টিউশন ফি
বছরে সাড়ে ৩ লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা। তবে এখানে আসার আগে মান্দারিন ভাষা শিখতে হবে। মেডিকেলের কোর্সগুলো ইংরেজিতে হলেও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিসের জন্য মান্দারিন ভাষা জানা জরুরি।
রাশিয়া
ইউরোপীয় অন্য দেশগুলোর তুলনায় রাশিয়ার টিউশন ফি বেশ কম। এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্যও উৎসাহ দেওয়া হয়।
আবেদনের যোগ্যতা
চীনের মতো। তবে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।
টিউশন ফি
বছরে সাড়ে ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা। এখানে পড়তে চাইলে রাশিয়ান ভাষা জানতে হবে। রাশিয়ার আবহাওয়া বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বৈরী। বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।
কাজাখস্তান
এখানে চিকিৎসাবিদ্যার পড়াশোনা উন্নত। এখানে কোর্সগুলো ইংরেজি ভাষায় পড়ানো হয়। প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষার্থীসংখ্যা কম থাকায় লেখাপড়ার মান খুব ভালো। এখানে আবেদনের যোগ্যতা রাশিয়ার মতো।
টিউশন ফি
বছরে সাড়ে ৩ থেকে ৬ লাখ টাকা। কাজাখস্তানে ক্লাসে ইংরেজিতে কথা বলতে পারলেও ক্লাসের বাইরে রাশিয়ান বা কাজাখ ভাষায় কথা বলতে হয়। তাই এ দুটি ভাষার যেকোনো একটি জানতে হবে। এখানকার শীতও রাশিয়ার মতো তীব্র।
যা জানতে হবে
দেশের বাইরে এমবিবিএস কোর্সে পড়তে চাইলে বাধ্যতামূলকভাবে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে।
বিএমডিসি অফিস থেকে বিদেশে পড়ার বৈধ সনদ বা এলিজিবিলিটি সার্টিফিকেট নিতে হবে। যে দেশে পড়তে যাচ্ছেন বা যে মেডিকেল কলেজে পড়তে যাচ্ছেন, সেই মেডিকেল কলেজ বিএমডিসির অনুমোদন আছে কি না, সেটা জেনে নিতে হবে। বিস্তারিত তাদের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। কিছু মেডিকেল কলেজে আবেদনের জন্য একটি প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হতে পারে।
যে দেশেই এমবিবিএস পড়তে যান, প্রথমে সেই দেশের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত কি না, জেনে নিন। যেভাবে দেখবেন এ সাইটে গিয়ে Country > MedicalSchoolName বসিয়ে খোঁজ করলে বিস্তারিত চলে আসবে। এখানে স্কুল ডিটেইল এবং প্রোগ্রাম ডিটেইল অংশে খোঁজ করলে প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে যাবেন। তবে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইসিএফএমজি কর্তৃক নিবন্ধিত কি না, সেটা দেখে নিতে হবে।
আপনি যুক্তরাষ্ট্রে প্র্যাকটিস করতে চাইলে অবশ্যই ইউনাইটেড স্টেটস মেডিকেল লাইসেন্সিং এক্সামিনেশন (ইউএসএমএলই) দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে যে কলেজে পড়বেন, তা ডব্লুউএফএমই কর্তৃক অনুমোদিত কি না, সেটা দেখতে হবে। সে জন্য এই লিংকে প্রবেশ করুন বাইরে থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করার পর বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের কোয়ালিফাইং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
উত্তীর্ণ হলে দেশে এক বছরের ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ মিলবে। এরপরেই সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল অথবা ক্লিনিকে চাকরি করা অথবা বিসিএস পরীক্ষায় নিজের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ মিলবে।
সূত্র: বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের ওয়েবসাইট
অনেকের মধ্যে একটি ভুল ধারণা রয়েছে, যে বিদেশ থেকে ডাক্তারি পাস করে বাংলাদেশে এসে প্র্যাকটিস করার সুযোগ কম। দেশের বাইরে থেকে ডাক্তারি পাস করার পর দেশে ও বিদেশে ক্যারিয়ার গঠনের ভালো সুযোগ আছে। কিন্তু কোন কোন দেশে পড়তে যাবেন চিকিৎসাবিদ্যায়? জেনে নিন।
ফিলিপাইন
এখানের সব কোর্সই ইংরেজি ভাষার হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কারিকুলাম অনুসরণ করা হয়। ফিলিপাইনের আরেকটি সুবিধা হলো, এখানে ইউএসএমএলইয়ের পাসের হার অনেক বেশি।
আবেদনের যোগ্যতা
উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করার পরই আবেদন করা যায়। কিন্তু এর আগে প্রি-মেডিকেল কোর্স করতে হবে। বাকি সবকিছু চীনের আবেদনের মতোই।
টিউশন ফি
বছরে সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা। এখানে প্রি-মেডিকেল কোর্স করার কারণে এমবিবিএস করতে অতিরিক্ত সময় লাগে।
চীন
চিকিৎসাবিদ্যা বা ডাক্তারি পড়ার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা চীনকে পছন্দ করেন। এখানকার টিউশন ফি অন্য দেশের তুলনায় কম। তা ছাড়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে পড়াশোনার মানও অনেক ভালো। এখানকার ডিগ্রির চাহিদা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনেসকো, বিএমডিসির কাছে অনেক বেশি। চীনের হাসপাতাল বা ক্লিনিকে কর্মসংস্থানের ভালো সুযোগও রয়েছে।
আবেদনের যোগ্যতা
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস হতে হবে। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। প্রার্থীদের ১৭ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। কিছু কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএস বা টোয়েফল স্কোরের প্রয়োজন হতে পারে।
টিউশন ফি
বছরে সাড়ে ৩ লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা। তবে এখানে আসার আগে মান্দারিন ভাষা শিখতে হবে। মেডিকেলের কোর্সগুলো ইংরেজিতে হলেও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিসের জন্য মান্দারিন ভাষা জানা জরুরি।
রাশিয়া
ইউরোপীয় অন্য দেশগুলোর তুলনায় রাশিয়ার টিউশন ফি বেশ কম। এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্যও উৎসাহ দেওয়া হয়।
আবেদনের যোগ্যতা
চীনের মতো। তবে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।
টিউশন ফি
বছরে সাড়ে ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা। এখানে পড়তে চাইলে রাশিয়ান ভাষা জানতে হবে। রাশিয়ার আবহাওয়া বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বৈরী। বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।
কাজাখস্তান
এখানে চিকিৎসাবিদ্যার পড়াশোনা উন্নত। এখানে কোর্সগুলো ইংরেজি ভাষায় পড়ানো হয়। প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষার্থীসংখ্যা কম থাকায় লেখাপড়ার মান খুব ভালো। এখানে আবেদনের যোগ্যতা রাশিয়ার মতো।
টিউশন ফি
বছরে সাড়ে ৩ থেকে ৬ লাখ টাকা। কাজাখস্তানে ক্লাসে ইংরেজিতে কথা বলতে পারলেও ক্লাসের বাইরে রাশিয়ান বা কাজাখ ভাষায় কথা বলতে হয়। তাই এ দুটি ভাষার যেকোনো একটি জানতে হবে। এখানকার শীতও রাশিয়ার মতো তীব্র।
যা জানতে হবে
দেশের বাইরে এমবিবিএস কোর্সে পড়তে চাইলে বাধ্যতামূলকভাবে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে।
বিএমডিসি অফিস থেকে বিদেশে পড়ার বৈধ সনদ বা এলিজিবিলিটি সার্টিফিকেট নিতে হবে। যে দেশে পড়তে যাচ্ছেন বা যে মেডিকেল কলেজে পড়তে যাচ্ছেন, সেই মেডিকেল কলেজ বিএমডিসির অনুমোদন আছে কি না, সেটা জেনে নিতে হবে। বিস্তারিত তাদের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। কিছু মেডিকেল কলেজে আবেদনের জন্য একটি প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হতে পারে।
যে দেশেই এমবিবিএস পড়তে যান, প্রথমে সেই দেশের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত কি না, জেনে নিন। যেভাবে দেখবেন এ সাইটে গিয়ে Country > MedicalSchoolName বসিয়ে খোঁজ করলে বিস্তারিত চলে আসবে। এখানে স্কুল ডিটেইল এবং প্রোগ্রাম ডিটেইল অংশে খোঁজ করলে প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে যাবেন। তবে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইসিএফএমজি কর্তৃক নিবন্ধিত কি না, সেটা দেখে নিতে হবে।
আপনি যুক্তরাষ্ট্রে প্র্যাকটিস করতে চাইলে অবশ্যই ইউনাইটেড স্টেটস মেডিকেল লাইসেন্সিং এক্সামিনেশন (ইউএসএমএলই) দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে যে কলেজে পড়বেন, তা ডব্লুউএফএমই কর্তৃক অনুমোদিত কি না, সেটা দেখতে হবে। সে জন্য এই লিংকে প্রবেশ করুন বাইরে থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করার পর বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের কোয়ালিফাইং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
উত্তীর্ণ হলে দেশে এক বছরের ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ মিলবে। এরপরেই সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল অথবা ক্লিনিকে চাকরি করা অথবা বিসিএস পরীক্ষায় নিজের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ মিলবে।
সূত্র: বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের ওয়েবসাইট
বিশ্ববিদ্যালয় কেবল উচ্চশিক্ষা অর্জনের জায়গা নয়, এটি জীবনের বৃহত্তর পাঠশালা। পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি এখানে শেখার আছে নেতৃত্বের দক্ষতা, আত্ম-উন্নয়নের কৌশল এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি।
২ দিন আগেইউরোপের দেশ সুইডেন। দেশটির মেরিন জেট পাওয়ার কোম্পানির টেস্ট অ্যান্ড ভ্যালিডেশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন প্রবাসী বাংলাদেশি মুহাম্মদ শাকিরুল্লাহ। সুইডেনে বাংলাদেশিদের ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা...
২ দিন আগেসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) নিয়মিত পরিচালনা পর্ষদ গঠনের প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ রোববার (২৭ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক-১) সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
২ দিন আগেএই তালিকায় সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সারিতে না থাকলেও বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা করে নিয়েছে। প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যৌথভাবে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
২ দিন আগে