সৈয়দ জাহিদ হাসান
প্রত্যন্ত গ্রামের মাটির গন্ধ আর কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠা এক নারী—হোমাইরা জাহান সনম। সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার বড়ই গ্রামের সেই মেয়েটি আজ বাংলাদেশের গর্ব। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের কৃষি গবেষণায় বিশেষ ভূমিকা রেখে তিনি দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। হোমাইরা প্রথম বাংলাদেশি নারী, যিনি আন্তর্জাতিক কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এশিয়া-প্যাসিফিক অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউশনসে (এপিএএআরআই) টেকনিক্যাল অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছেন।
শৈশবের সংগ্রাম
সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত হাওরাঞ্চলে কাটানো হোমাইরার শৈশব ছিল সংগ্রামমুখর। বড়ই গ্রাম থেকে স্কুলে যেতে প্রতিদিন ৩ কিলোমিটার পথ হেঁটে পাড়ি দিতে হতো। গ্রামের মেয়েদের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ ছিল সীমিত, কিন্তু হোমাইরার অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর স্বপ্ন তাঁকে থামিয়ে রাখতে পারেনি।
উচ্চশিক্ষার পথে এগিয়ে যাওয়া
প্রচলিত ধ্যানধারণার বাইরে গিয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন হোমাইরা। কৃষিতে স্নাতক ও কীটতত্ত্বে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি। ছোটবেলায় সেনা কর্মকর্তা হওয়ার স্বপ্ন থাকলেও সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারণে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি তাঁর। তবে নতুন স্বপ্নের পথে এগিয়ে যান তিনি—কৃষি গবেষণা।
কর্মজীবনের সূচনা
স্নাতকোত্তর শেষ করে হোমাইরা পারিবারিক দায়িত্ব সামলাতে সামান্য বিরতি নেন। এরপর সেন্টার ফর অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড বায়োসায়েন্সেস ইন্টারন্যাশনালে বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। মাত্র এক বছরের মধ্যে কর্মদক্ষতা ও নিষ্ঠার প্রমাণ দিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নিজের জায়গা করে নেন হোমাইরা।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যাত্রা
২০২৪ সালে হোমাইরা এপিএএআরআইয়ে টেকনিক্যাল অফিসার হিসেবে যোগ দেন। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কৃষি গবেষণা ও উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন তিনি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনা এবং কৃষি বাণিজ্যে স্যানিটারি ও ফাইটোস্যানিটারি মান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তাঁর কাজ প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে।
ভবিষ্যৎ স্বপ্ন
হোমাইরার লক্ষ্য, কৃষিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং প্রযুক্তিনির্ভর টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলা। নিজের অভিজ্ঞতা ও গবেষণাকে কাজে লাগিয়ে তিনি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কৃষি খাতকে সমৃদ্ধ করতে চান।
হোমাইরা জাহান প্রমাণ করেছেন, দৃঢ়সংকল্প ও কঠোর পরিশ্রমের চেষ্টা করলে এর মধ্য দিয়ে মানুষ অনন্য উচ্চতায় নিজেকে নিয়ে যেতে পারে। তাঁর পথচলা বাংলাদেশের নারীদের জন্য এক উজ্জ্বল অনুপ্রেরণা।
প্রত্যন্ত গ্রামের মাটির গন্ধ আর কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠা এক নারী—হোমাইরা জাহান সনম। সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার বড়ই গ্রামের সেই মেয়েটি আজ বাংলাদেশের গর্ব। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের কৃষি গবেষণায় বিশেষ ভূমিকা রেখে তিনি দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। হোমাইরা প্রথম বাংলাদেশি নারী, যিনি আন্তর্জাতিক কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এশিয়া-প্যাসিফিক অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউশনসে (এপিএএআরআই) টেকনিক্যাল অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছেন।
শৈশবের সংগ্রাম
সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত হাওরাঞ্চলে কাটানো হোমাইরার শৈশব ছিল সংগ্রামমুখর। বড়ই গ্রাম থেকে স্কুলে যেতে প্রতিদিন ৩ কিলোমিটার পথ হেঁটে পাড়ি দিতে হতো। গ্রামের মেয়েদের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ ছিল সীমিত, কিন্তু হোমাইরার অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর স্বপ্ন তাঁকে থামিয়ে রাখতে পারেনি।
উচ্চশিক্ষার পথে এগিয়ে যাওয়া
প্রচলিত ধ্যানধারণার বাইরে গিয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন হোমাইরা। কৃষিতে স্নাতক ও কীটতত্ত্বে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি। ছোটবেলায় সেনা কর্মকর্তা হওয়ার স্বপ্ন থাকলেও সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারণে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি তাঁর। তবে নতুন স্বপ্নের পথে এগিয়ে যান তিনি—কৃষি গবেষণা।
কর্মজীবনের সূচনা
স্নাতকোত্তর শেষ করে হোমাইরা পারিবারিক দায়িত্ব সামলাতে সামান্য বিরতি নেন। এরপর সেন্টার ফর অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড বায়োসায়েন্সেস ইন্টারন্যাশনালে বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। মাত্র এক বছরের মধ্যে কর্মদক্ষতা ও নিষ্ঠার প্রমাণ দিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নিজের জায়গা করে নেন হোমাইরা।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যাত্রা
২০২৪ সালে হোমাইরা এপিএএআরআইয়ে টেকনিক্যাল অফিসার হিসেবে যোগ দেন। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কৃষি গবেষণা ও উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন তিনি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনা এবং কৃষি বাণিজ্যে স্যানিটারি ও ফাইটোস্যানিটারি মান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তাঁর কাজ প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে।
ভবিষ্যৎ স্বপ্ন
হোমাইরার লক্ষ্য, কৃষিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং প্রযুক্তিনির্ভর টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলা। নিজের অভিজ্ঞতা ও গবেষণাকে কাজে লাগিয়ে তিনি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কৃষি খাতকে সমৃদ্ধ করতে চান।
হোমাইরা জাহান প্রমাণ করেছেন, দৃঢ়সংকল্প ও কঠোর পরিশ্রমের চেষ্টা করলে এর মধ্য দিয়ে মানুষ অনন্য উচ্চতায় নিজেকে নিয়ে যেতে পারে। তাঁর পথচলা বাংলাদেশের নারীদের জন্য এক উজ্জ্বল অনুপ্রেরণা।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত স্নাতক পর্যায়ের বেসরকারি কলেজগুলোর গভর্নিং বডির সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য হতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বাধ্যতামূলক। তবে চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার ও আইনজীবীদের জন্য তা শিথিল করা হয়েছে। ফলে এমবিবিএস চিকিৎসক, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও আইনজীবীরা
৫ ঘণ্টা আগেথাইল্যান্ডে চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি-২০২৫-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগ প্রযুক্তি ও জ্ঞানের যুগ। একাডেমিক ডিগ্রি যতটা গুরুত্বপূর্ণ, বাস্তব জীবনে টিকে থাকতে ততটাই প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক দক্ষতা। বিশেষ করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন এখন সময়ের চাহিদা। এ পরিস্থিতিতে চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা যেমন বাড়ছে, তেমনি উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগও তৈরি হচ্ছে।
১৬ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয় কেবল উচ্চশিক্ষা অর্জনের জায়গা নয়, এটি জীবনের বৃহত্তর পাঠশালা। পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি এখানে শেখার আছে নেতৃত্বের দক্ষতা, আত্ম-উন্নয়নের কৌশল এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি।
৩ দিন আগে