মো. আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর
সবুজ-শ্যামল প্রকৃতির বুকে, সীমান্তঘেঁষা উত্তরবঙ্গের দিনাজপুরে গড়ে উঠেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। শহর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে ১৩৫ একর জায়গাজুড়ে ছায়াঘেরা শান্ত এক পরিবেশে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়। ৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়টি ২৪ বছরে পদার্পণ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে এবারের প্রতিপাদ্য, ‘মেধাভিত্তিক বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে হাবিপ্রবির ভূমিকা এবং ক্রমবিকাশ’।
একটি ইতিহাস, একটি যাত্রা
১৯৭৯ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে কৃষি সম্প্রসারণ প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (এইটিআই) হিসেবে যাত্রা শুরু করে এই প্রতিষ্ঠান। পরে ১৯৮৮ সালের ১১ নভেম্বর উত্তরবঙ্গের কৃষকনেতা হাজী মোহাম্মদ দানেশের নামানুসারে এটি কৃষি কলেজে রূপান্তরিত হয়। ২০০২ সালের ৮ এপ্রিল এটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়।
শিক্ষা ও অনুষদ
প্রথমে কৃষি অনুষদ দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও এখন হাবিপ্রবিতে রয়েছে ৯টি অনুষদ ও ৪৫টি বিভাগ। প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থীর এই বিদ্যাপীঠে কাজ করছেন ৩৮৮ শিক্ষক। বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যাও ১৩০ জন। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার চর্চায় ক্যাম্পাসে রয়েছে প্রায় ৩০টি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
নেতৃত্বে যাঁরা
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন মৃত্তিকাবিজ্ঞানী ড. মোশাররফ হোসেন মিঞা। বর্তমানে দায়িত্বে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অষ্টম উপাচার্য অধ্যাপক
ড. মো. এনামউল্যা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
ভৌত অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা
হাবিপ্রবির ক্যাম্পাসে রয়েছে মেয়েদের চারটি হলসহ নয়টি আবাসিক হল, আধুনিক গবেষণাগার, লাইব্রেরি, সেমিনার রুম, ক্যাফেটেরিয়া, ক্রীড়া সুবিধা, অডিটরিয়াম, মেডিকেল সেন্টার, ডাক্তার ও অ্যাম্বুলেন্স। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে স্কুল, মসজিদ, শহীদ মিনার, শিশুপার্ক, ব্যাংক, পোস্ট অফিস ও সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট সুবিধা। গবেষণা ও প্রশিক্ষণের জন্য রয়েছে ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (আইআরটি)। যাতায়াতের জন্য রয়েছে নিজস্ব বাস সার্ভিস।
গবেষণা ও প্রকাশনা
সীমিত সুবিধা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষণা প্রকাশনা সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার। এগুলোর মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৫০০টি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, যা ৪০-৫০ হাজারবার সাইট করা হয়েছে। ‘জার্নাল অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ নামে একটি জার্নাল প্রতিবছর দুবার প্রকাশিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আয়োজন
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে থাকবে হাজী মোহাম্মদ দানেশের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কেক কাটা, র্যালি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও আলোকসজ্জা। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের প্রাণের স্পন্দন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দুই যুগে পদার্পণ করছে। অবহেলিত উত্তরবঙ্গের শিল্প, বিজ্ঞান, আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি অর্থনীতির উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়েই হাবিপ্রবি প্রতিষ্ঠা লাভ করলেও দীর্ঘ সময়েও বিশ্ববিদ্যালয়টি বিগত সরকারের দলীয় সংকীর্ণতার কারণে কোনো অগ্রগতি সাধিত হয়নি। সময়ের ব্যবধানে অনেক
নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে ভৌত অবকাঠামোসহ বিভিন্ন বিষয়ে পিছিয়ে পড়েছে। বর্তমানে এখানে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প নেই। শিক্ষার্থীর তুলনায় শিক্ষকের সংখ্যা নিতান্তই অপ্রতুল। জুলাই-পরবর্তী নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে শিক্ষার্থীবান্ধব একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে রাতারাতি কোনো পরিবর্তন সম্ভব না হলেও স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন পরিকল্পনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে নানামুখী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
সবুজ-শ্যামল প্রকৃতির বুকে, সীমান্তঘেঁষা উত্তরবঙ্গের দিনাজপুরে গড়ে উঠেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। শহর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে ১৩৫ একর জায়গাজুড়ে ছায়াঘেরা শান্ত এক পরিবেশে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়। ৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়টি ২৪ বছরে পদার্পণ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে এবারের প্রতিপাদ্য, ‘মেধাভিত্তিক বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে হাবিপ্রবির ভূমিকা এবং ক্রমবিকাশ’।
একটি ইতিহাস, একটি যাত্রা
১৯৭৯ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে কৃষি সম্প্রসারণ প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (এইটিআই) হিসেবে যাত্রা শুরু করে এই প্রতিষ্ঠান। পরে ১৯৮৮ সালের ১১ নভেম্বর উত্তরবঙ্গের কৃষকনেতা হাজী মোহাম্মদ দানেশের নামানুসারে এটি কৃষি কলেজে রূপান্তরিত হয়। ২০০২ সালের ৮ এপ্রিল এটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়।
শিক্ষা ও অনুষদ
প্রথমে কৃষি অনুষদ দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও এখন হাবিপ্রবিতে রয়েছে ৯টি অনুষদ ও ৪৫টি বিভাগ। প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থীর এই বিদ্যাপীঠে কাজ করছেন ৩৮৮ শিক্ষক। বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যাও ১৩০ জন। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার চর্চায় ক্যাম্পাসে রয়েছে প্রায় ৩০টি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
নেতৃত্বে যাঁরা
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন মৃত্তিকাবিজ্ঞানী ড. মোশাররফ হোসেন মিঞা। বর্তমানে দায়িত্বে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অষ্টম উপাচার্য অধ্যাপক
ড. মো. এনামউল্যা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
ভৌত অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা
হাবিপ্রবির ক্যাম্পাসে রয়েছে মেয়েদের চারটি হলসহ নয়টি আবাসিক হল, আধুনিক গবেষণাগার, লাইব্রেরি, সেমিনার রুম, ক্যাফেটেরিয়া, ক্রীড়া সুবিধা, অডিটরিয়াম, মেডিকেল সেন্টার, ডাক্তার ও অ্যাম্বুলেন্স। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে স্কুল, মসজিদ, শহীদ মিনার, শিশুপার্ক, ব্যাংক, পোস্ট অফিস ও সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট সুবিধা। গবেষণা ও প্রশিক্ষণের জন্য রয়েছে ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (আইআরটি)। যাতায়াতের জন্য রয়েছে নিজস্ব বাস সার্ভিস।
গবেষণা ও প্রকাশনা
সীমিত সুবিধা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষণা প্রকাশনা সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার। এগুলোর মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৫০০টি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, যা ৪০-৫০ হাজারবার সাইট করা হয়েছে। ‘জার্নাল অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ নামে একটি জার্নাল প্রতিবছর দুবার প্রকাশিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আয়োজন
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে থাকবে হাজী মোহাম্মদ দানেশের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কেক কাটা, র্যালি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও আলোকসজ্জা। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের প্রাণের স্পন্দন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দুই যুগে পদার্পণ করছে। অবহেলিত উত্তরবঙ্গের শিল্প, বিজ্ঞান, আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি অর্থনীতির উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়েই হাবিপ্রবি প্রতিষ্ঠা লাভ করলেও দীর্ঘ সময়েও বিশ্ববিদ্যালয়টি বিগত সরকারের দলীয় সংকীর্ণতার কারণে কোনো অগ্রগতি সাধিত হয়নি। সময়ের ব্যবধানে অনেক
নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে ভৌত অবকাঠামোসহ বিভিন্ন বিষয়ে পিছিয়ে পড়েছে। বর্তমানে এখানে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প নেই। শিক্ষার্থীর তুলনায় শিক্ষকের সংখ্যা নিতান্তই অপ্রতুল। জুলাই-পরবর্তী নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে শিক্ষার্থীবান্ধব একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে রাতারাতি কোনো পরিবর্তন সম্ভব না হলেও স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন পরিকল্পনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে নানামুখী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
থাইল্যান্ডে চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি-২০২৫-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
৩ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগ প্রযুক্তি ও জ্ঞানের যুগ। একাডেমিক ডিগ্রি যতটা গুরুত্বপূর্ণ, বাস্তব জীবনে টিকে থাকতে ততটাই প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক দক্ষতা। বিশেষ করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন এখন সময়ের চাহিদা। এ পরিস্থিতিতে চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা যেমন বাড়ছে, তেমনি উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগও তৈরি হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয় কেবল উচ্চশিক্ষা অর্জনের জায়গা নয়, এটি জীবনের বৃহত্তর পাঠশালা। পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি এখানে শেখার আছে নেতৃত্বের দক্ষতা, আত্ম-উন্নয়নের কৌশল এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি।
২ দিন আগেইউরোপের দেশ সুইডেন। দেশটির মেরিন জেট পাওয়ার কোম্পানির টেস্ট অ্যান্ড ভ্যালিডেশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন প্রবাসী বাংলাদেশি মুহাম্মদ শাকিরুল্লাহ। সুইডেনে বাংলাদেশিদের ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা...
২ দিন আগে