এ টি এম মোজাফফর হোসেন
১৪। ফাঁদ (ট্র্যাপ)
গ। কথায় সহসাই দিক (তথা ঘটনা) পরিবর্তন—রেকর্ডিংয়ে বক্তা একটি বিষয়ে বলছে। কিছু প্রশ্নের সঙ্গে মিলেও যাবে। তবু সেটি উত্তর নয়। কারণ, কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অন্য কিছু নিয়ে বলা শুরু করল, যা আগের বিষয় থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এটি একধরনের ফাঁদ। এখানে সর্বশেষ যে কথাটি বলবে, সেটি সত্য, সেটিই টিকবে। আগেরগুলো পরিবর্তিত হয়েছে বিধায় সেগুলো আর টিকবে না।
উদাহরণ: আমি জাদুঘরটি আগামী শনিবার দেখতে যাব। ওহ! না। শনিবার তো আমার একটা জরুরি কাজ আছে। আমি বুধবারে যেতে পারব আশা করি।
প্রশ্ন: বক্তা কবে জাদুঘর দেখতে যাবে?
উত্তর: (শনিবার) বুধবার
টিপস: এখানে বক্তা প্রথমে এক কথা বলবে, পরে সেটি আবার পরিবর্তন করে ফেলবে। এটি কোনো সংখ্যা, দিন, তারিখ, ঘটনা ইত্যাদি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে রেকর্ডিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে নোট টেকিং করে যেতে হবে। যদি কথা পরিবর্তিত হয়, তবে আগেরটা কেটে দিয়ে নতুনটা লিখতে হবে। এমন করে যতবারই পরিবর্তন করুক, শেষেরটিই হবে সঠিক উত্তর।
ঘ। সঠিক তথ্য-উপাত্ত, ঘটনা সম্পর্কে জানা—লিসনিংয়ে রেকর্ডিং শোনার সময় ঘটনার বর্ণনায় সব তথ্য-উপাত্ত যেমন ঘটনার সময়, দিন, তারিখ, স্থান ইত্যাদি (উত্তর না হলেও) খেয়াল করতে হবে এবং তা লিসনিং বুকে লিখে রাখতে হবে। যদি কিছু মিস হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে পরে প্রশ্নের উত্তরে কাজে লাগতে পারে। রেকর্ডিংয়ের মধ্যে উত্তর থাকে, তবে পুরো কথোপকথন নয়। সুতরাং জানতে হবে, বুঝতে হবে কোথায় উত্তরগুলো থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঙ। সকল শর্ত পূরণ—কোনো পরিস্থিতিতে ছোট-বড় অনেক শর্ত দেওয়া থাকতে পারে। সব শর্তের দিকেই লক্ষ রাখতে হবে।
রেকর্ডিং: ১ম বর্ষের সব ছাত্রই শিক্ষাসফরে যেতে পারবে, তবে বিদেশি ছাত্র ব্যতীত।
প্রশ্ন: ১ম বর্ষের সব ছাত্রই
শিক্ষাসফরে যেতে পারবে।
উত্তর: সত্য/মিথ্যা (কারণ বিদেশি ছাত্ররা যেতে পারবে না)
১৫। বাক্যের শব্দগুলো আলাদা করা এবং বুঝতে পারার দক্ষতা—অনেক সময় কিছু বাক্য বোঝা যায় না, বিশেষ করে যখন বক্তা খুব দ্রুত কথা বলে যায়। অনেক সময় বাক্যও বড় হয়।
টিপস: সে ক্ষেত্রে কার্যকরী উপায় হলো, ওই বাক্যগুলোর প্রতিটি শব্দ আলাদা করে শুনে বুঝতে পারার দক্ষতা অর্জন করা। প্রয়োজন হলে একই রেকর্ডিং রিওয়াইন্ড করে বারবার শুনুন। দেখবেন, একটু অনুশীলনে পারছেন আপনিই।
১৬। শুনুন আর লিখে যান—ধরুন, আপনি পরীক্ষাকেন্দ্রে। প্রশ্নপত্র আপনার সামনে। এমনকি রেকর্ডিং শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে আপনি জানেন প্রশ্নগুলো কী (উত্তরের জন্য কী জানতে হবে)। এখন শুধু শুনুন আর লিখে যান। ক্ষণপরেই আপনি ভুলে যাবেন একটু আগে কী শুনেছেন। তাই লিখে রাখুন সব।
১৭। সংক্ষিপ্ত লিখতে শিখুন (শর্টহ্যান্ড)
লিসনিংয়ের প্রশ্নপত্রে আপনি যা খুশি লিখতে পারেন। সুতরাং রেকর্ডিং শোনার সঙ্গে সঙ্গে লিখতে থাকুন। সব তথ্য-উপাত্ত লিখে রাখা ভালো। তবে বাস্তবে তা সম্ভব নাও হতে পারে। তাই শর্টহ্যান্ডে লেখা শিখুন। শর্টহ্যান্ডে লেখার পদ্ধতি নিজে নিজেই বের করে নিন। চেষ্টা করে দেখুন।
উদাহরণ: ১ম বক্তা: আমি থমাস বব। আমি উদ্ভাবনী ব্যবসা নিয়ে কাজ করছি।
২য় বক্তা: আমি জন স্মিথ। আমি কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি।
৩য় বক্তা: আমি জন ডগলাস। আমি পিস থেরাপি নিয়ে কাজ করছি।
শর্টহ্যান্ড হতে পারে: বব—ব্যবসা
স্মিথ—কেমি ইঞ্জি ডগ—পিস থেরাপি
চলবে... (পর্ব-১.৬ আগামী সংখ্যায়)
এ টি এম মোজাফফর হোসেন, সেলটা ও মোস্তাকিম শুভ, সেলটা
১৪। ফাঁদ (ট্র্যাপ)
গ। কথায় সহসাই দিক (তথা ঘটনা) পরিবর্তন—রেকর্ডিংয়ে বক্তা একটি বিষয়ে বলছে। কিছু প্রশ্নের সঙ্গে মিলেও যাবে। তবু সেটি উত্তর নয়। কারণ, কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অন্য কিছু নিয়ে বলা শুরু করল, যা আগের বিষয় থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এটি একধরনের ফাঁদ। এখানে সর্বশেষ যে কথাটি বলবে, সেটি সত্য, সেটিই টিকবে। আগেরগুলো পরিবর্তিত হয়েছে বিধায় সেগুলো আর টিকবে না।
উদাহরণ: আমি জাদুঘরটি আগামী শনিবার দেখতে যাব। ওহ! না। শনিবার তো আমার একটা জরুরি কাজ আছে। আমি বুধবারে যেতে পারব আশা করি।
প্রশ্ন: বক্তা কবে জাদুঘর দেখতে যাবে?
উত্তর: (শনিবার) বুধবার
টিপস: এখানে বক্তা প্রথমে এক কথা বলবে, পরে সেটি আবার পরিবর্তন করে ফেলবে। এটি কোনো সংখ্যা, দিন, তারিখ, ঘটনা ইত্যাদি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে রেকর্ডিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে নোট টেকিং করে যেতে হবে। যদি কথা পরিবর্তিত হয়, তবে আগেরটা কেটে দিয়ে নতুনটা লিখতে হবে। এমন করে যতবারই পরিবর্তন করুক, শেষেরটিই হবে সঠিক উত্তর।
ঘ। সঠিক তথ্য-উপাত্ত, ঘটনা সম্পর্কে জানা—লিসনিংয়ে রেকর্ডিং শোনার সময় ঘটনার বর্ণনায় সব তথ্য-উপাত্ত যেমন ঘটনার সময়, দিন, তারিখ, স্থান ইত্যাদি (উত্তর না হলেও) খেয়াল করতে হবে এবং তা লিসনিং বুকে লিখে রাখতে হবে। যদি কিছু মিস হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে পরে প্রশ্নের উত্তরে কাজে লাগতে পারে। রেকর্ডিংয়ের মধ্যে উত্তর থাকে, তবে পুরো কথোপকথন নয়। সুতরাং জানতে হবে, বুঝতে হবে কোথায় উত্তরগুলো থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঙ। সকল শর্ত পূরণ—কোনো পরিস্থিতিতে ছোট-বড় অনেক শর্ত দেওয়া থাকতে পারে। সব শর্তের দিকেই লক্ষ রাখতে হবে।
রেকর্ডিং: ১ম বর্ষের সব ছাত্রই শিক্ষাসফরে যেতে পারবে, তবে বিদেশি ছাত্র ব্যতীত।
প্রশ্ন: ১ম বর্ষের সব ছাত্রই
শিক্ষাসফরে যেতে পারবে।
উত্তর: সত্য/মিথ্যা (কারণ বিদেশি ছাত্ররা যেতে পারবে না)
১৫। বাক্যের শব্দগুলো আলাদা করা এবং বুঝতে পারার দক্ষতা—অনেক সময় কিছু বাক্য বোঝা যায় না, বিশেষ করে যখন বক্তা খুব দ্রুত কথা বলে যায়। অনেক সময় বাক্যও বড় হয়।
টিপস: সে ক্ষেত্রে কার্যকরী উপায় হলো, ওই বাক্যগুলোর প্রতিটি শব্দ আলাদা করে শুনে বুঝতে পারার দক্ষতা অর্জন করা। প্রয়োজন হলে একই রেকর্ডিং রিওয়াইন্ড করে বারবার শুনুন। দেখবেন, একটু অনুশীলনে পারছেন আপনিই।
১৬। শুনুন আর লিখে যান—ধরুন, আপনি পরীক্ষাকেন্দ্রে। প্রশ্নপত্র আপনার সামনে। এমনকি রেকর্ডিং শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে আপনি জানেন প্রশ্নগুলো কী (উত্তরের জন্য কী জানতে হবে)। এখন শুধু শুনুন আর লিখে যান। ক্ষণপরেই আপনি ভুলে যাবেন একটু আগে কী শুনেছেন। তাই লিখে রাখুন সব।
১৭। সংক্ষিপ্ত লিখতে শিখুন (শর্টহ্যান্ড)
লিসনিংয়ের প্রশ্নপত্রে আপনি যা খুশি লিখতে পারেন। সুতরাং রেকর্ডিং শোনার সঙ্গে সঙ্গে লিখতে থাকুন। সব তথ্য-উপাত্ত লিখে রাখা ভালো। তবে বাস্তবে তা সম্ভব নাও হতে পারে। তাই শর্টহ্যান্ডে লেখা শিখুন। শর্টহ্যান্ডে লেখার পদ্ধতি নিজে নিজেই বের করে নিন। চেষ্টা করে দেখুন।
উদাহরণ: ১ম বক্তা: আমি থমাস বব। আমি উদ্ভাবনী ব্যবসা নিয়ে কাজ করছি।
২য় বক্তা: আমি জন স্মিথ। আমি কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি।
৩য় বক্তা: আমি জন ডগলাস। আমি পিস থেরাপি নিয়ে কাজ করছি।
শর্টহ্যান্ড হতে পারে: বব—ব্যবসা
স্মিথ—কেমি ইঞ্জি ডগ—পিস থেরাপি
চলবে... (পর্ব-১.৬ আগামী সংখ্যায়)
এ টি এম মোজাফফর হোসেন, সেলটা ও মোস্তাকিম শুভ, সেলটা
বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। সাবার আগে ৩০ নম্বরের ব্যাকরণের কথা আসে। এখানে মোট ৬টি প্রশ্ন। প্রতিটি প্রশ্নের মান ৫। সব প্রশ্নে একটি বর্ণনামূলক এবং এর অথবায় একটি করে নির্ণয়মূলক প্রশ্ন থাকে। আমার মনে হয়, নির্ণয়মূলক প্রশ্নের উত্তর করা ভালো।
৮ ঘণ্টা আগেউন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, তুলনামূলক কম খরচ, সহজ ভিসাপ্রক্রিয়া এবং পড়াশোনার পর কাজের সুযোগ—সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আদর্শ গন্তব্য নিউজিল্যান্ড। এখানে পড়াশোনার পর হাইকোর্টের প্র্যাকটিসিং ব্যারিস্টার হিসেবে নিযুক্ত ও সলিসিটর মাসুদ আলমের...
১০ ঘণ্টা আগেস্বপ্ন, সাধনা আর বন্ধুত্বে ভর করে উচ্চশিক্ষার নতুন অধ্যায়ে পা রেখেছেন যমজ বোন নুসরাত বিনতে জামান ও ইসরাত বিনতে জামান। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় নুসরাত সুযোগ পেয়েছেন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে।
১০ ঘণ্টা আগেআধুনিক যুগের তরুণ উদ্ভাবকেরা যখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে বিশ্বমঞ্চে দেশের নাম উজ্জ্বল করছেন, তখন তা নিঃসন্দেহে এক অনন্য গর্বের বিষয়। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা জিনিয়াস অলিম্পিয়াডে ব্রোঞ্জ জয় করে সেই গর্বে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন বাংলাদেশের দুই প্রতিভাবান শিক্ষার্থী।
১০ ঘণ্টা আগে