Ajker Patrika

প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ নেই, সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্রংলি মনিটরিং হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১৫: ২৮
প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ নেই, সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্রংলি মনিটরিং হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে গুজব রটাতে পারে। গুজব রটালে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্রংলি মনিটরিং হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

আজ সকালে রাজধানীর বাড্ডা উচ্চবিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্রংলি মনিটরিং হচ্ছে। কেউ গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ 

পরীক্ষায় ভুল প্রশ্ন বিতরণ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘গতবার যে কয়েকটি স্থানে ভুল হয়েছে, তাদের সেই ভুলের কড়া মাশুল দিতে হয়েছে। অতএব আশা করি, কেন্দ্রগুলোতে যাঁরা দায়িত্বে থাকেন, ভুল যেন কোনোভাবে না হয় সেদিকে খুবই সচেতন থাকবেন।’ 

বাড্ডা উচ্চবিদ্যালয় অপরিষ্কার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দেখলাম বাচ্চারা সময়মতো এসেছে, যে কক্ষগুলোতে তাদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেগুলো অনেক ভালো। বাচ্চাদের মধ্যে একটা স্বতঃস্ফূর্ততা আছে। তবে স্কুলের ভেতরটা অপরিষ্কার। পরীক্ষার জন্য স্কুলটা তারা পরিষ্কার করতে পারত।’ 

নতুন কারিকুলাম সংশোধনী চার মাস পর দেওয়া হলো। এত দেরিতে দেওয়ার কারণে শিক্ষার্থীর ওপর কোনো প্রভাব পড়বে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘না, একেবারে দেরি হয়নি। সংশোধনী কিন্তু সারা বইজুড়ে এমনটা নয়। কোনো কোনো বিশেষ বিশেষ বিষয় ছিল, আমার সেই বিষয়গুলোকে বলেছি একটু পরে পড়াতে। আর অন্যগুলো কিন্তু পোড়ানো চলছিলই। এবার যেহেতু পড়ার ধরন একটু ভিন্ন, কাজেই কোনো অসুবিধা হবে না।’ 

আগামী বছর পরীক্ষার ধরন কেমন হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয় নিয়ে আমরা শিগগির বসব। কারণ আগের বছর যারা পরীক্ষা দেবে তারা পূর্ণ প্রস্তুতির সময় পেয়েছে কি না এবং আমরা যেহেতু সময়টা আরও এগিয়ে আনার চেষ্টা করব, সে জন্য নানা বিষয় আছে। শিক্ষকদের ফিডব্যাক নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমাদের নিজেদের মতো একটা সিদ্ধান্ত নিলাম, সেটা তো ঠিক হবে না।’ 

করোনার কারণে লন্ডভন্ড হওয়া শিক্ষাসূচি ধীরে ধীরে ঠিক করা হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত বছর পরীক্ষাটা আরও এগিয়ে আনা যেত। কিন্তু বন্যার কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়। এবার গত বছরের থেকে অনেক এগিয়ে আনা হয়েছে। আগামী বছর চেষ্টা করব স্বাভাবিকের যত কাছাকাছি যেতে পারি। 

বোর্ড থেকে আগে পাঠালেও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরীক্ষার আগের দিন এডমিট কার্ড দেয়, বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থীর বেতন কিছুটা বকেয়া থাকে। প্রতিষ্ঠানগুলো এডমিট কার্ডকে বেতন উদ্ধারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, যেটা একেবারেই ঠিক নয়। এটার জন্য তো জিম্মি করা ঠিক নয়। তবে খবর পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’ 

প্রতিষ্ঠানের ভুলের কারণে অনেক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা অনিশ্চিত হওয়া প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষার্থীও যদি শেষ দিন পর্যন্ত এডমিট কার্ডের অপেক্ষা করে, তাহলে সেটা ঠিক নয়। পাঁচ-সাত দিন আগে অভিভাবকদের বোর্ডের সঙ্গে একটু যোগাযোগ করা উচিত। তাদের সচেতন হওয়া উচিত। অভিভাবকেরা যদি জানান প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে অবহেলা আছে, তাহলে আমরা নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেব।’ 

আগস্টের মাঝামাঝি এইচএসসি পরীক্ষা হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আশা করছি আগস্টের মাঝামাঝি পরীক্ষা হবে। তবে এখনো পরীক্ষার দিন ঠিক হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

পিটুনিতে নিহত সেই শামীম মোল্লাকে বহিষ্কার করল জাবি প্রশাসন, সমালোচনার ঝড়

চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিতের আবেদন, শুনানি রোববার

মধুপুরে বিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষককে জুতাপেটা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত