মো. মুজাহিদুল ইসলাম
পড়াশোনার মান, পরিবেশ, গবেষণা ও ফান্ডিংয়ের সুযোগ-সুবিধার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীদের কাছে অত্যন্ত আগ্রহের গন্তব্য। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান দেশটিতে। যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার খুঁটিনাটি নিয়ে থাকছে আজকের আলোচনা।
পুরো পৃথিবীতে আমেরিকান ডিগ্রি অত্যন্ত সমাদৃত এবং ক্যারিয়ারে এটি অন্যদের থেকে এগিয়েই রাখবে। আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এসটিইএম (সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যাথমেটিকস) ক্যাটাগরির সব প্রোগ্রামে আবেদন করা যায়।
আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা
বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে তিনটা জিনিস গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো হলো একাডেমিক ফলাফল, ইংলিশে দক্ষতা, আর জিআরই স্কোর। তবে বর্তমানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে জিআরইর তেমন বাধ্যবাধকতা নেই। বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলরে আবেদনের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফলাফলের প্রয়োজন হয়। সেই সঙ্গে ভালো আইইএলটিএস, টোয়েফল স্কোর এবং ভালো স্যাট স্কোরের দরকার হয়। এখানে মূলত আমি পোস্টগ্র্যাজুয়েট নিয়ে আলোচনা করব। মাস্টার্স (সময়কাল দুই বছর) অথবা পিএইচডি (সময়কাল পাঁচ বছর) প্রোগ্রামে আবেদনের ক্ষেত্রে মাঝারি মানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনার্স বা ব্যাচেলরে সিজিপিএ মোটামুটি ৩-এর মতো হলেই আবেদন করা যায়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় সিজিপিএ ৩-এর কম থাকলেও আবেদন গ্রহণ করে।
আইইএলটিএস ব্যান্ড স্কোর ন্যূনতম ৬ থেকে ৬.৫ আর টোয়েফল স্কোর মোটামুটি ৭৯ হলে ভালো। জিআরই স্কোর ৩০০+ হলে এটা আপনাকে এক ধাপ এগিয়ে রাখবে, যদিও বর্তমানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ন্যূনতম শর্ত পূরণের জন্য জিআরই বাধ্যতামূলক নয়।তবে স্কলারশিপ বা ফান্ডিং ছাড়া আমেরিকায় পড়াশোনার যাবতীয় খরচ বহন করা যেকোনো নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে দুরূহ ব্যাপার। কেননা, এখানে এফ-১ ও এফ-২ ভিসাধারী শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বাইরে কাজ করার অনুমতি পায় না।
প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্কলারশিপ বা ফান্ডিং অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। আর এ ক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়াও একেক বছরে একেক রকম হতে পারে। তবে মোটামুটিভাবে কিছু কমন ফ্যাক্টর থাকে, যেগুলোতে ভালো ফলাফল থাকলে স্কলারশিপ বা ফান্ডিং বাছাই প্রক্রিয়ায় এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা থাকে। মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য অনার্স বা ব্যাচেলরে সিজিপিএ ৩.৫০+ থাকলে ভালো হয়। পিএইচডি প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে ব্যাচেলর বা অনার্সের পাশাপাশি মাস্টার্সের একটা ভালো ফলাফল ৩.৫০+ রাখা উত্তম। আইইএলটিএস ব্যান্ড স্কোর ৭.০+ অথবা টোয়েফলের ক্ষেত্রে ৯৩+ স্কোর কিংবা জিআরইর স্কোর ৩১০ বা এর আশপাশে থাকলে তা আপনাকে অনেকের থেকে এগিয়ে রাখবে। এরপর স্টেটমেন্ট অব পারপাসটা (এসওপি) হতে হবে আদর্শ মানের। এ ক্ষেত্রে এক্সপার্ট যদি কেউ থেকে থাকেন, যিনি ইতিমধ্যে আমেরিকায় অধ্যয়নরত আছেন, তাঁদের থেকে সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু কোনোভাবেই অন্য কারও এসওপি থেকে কপি করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে ধরা পড়লে আবেদন বাতিল হয়ে যাওয়ার শঙ্কা শতভাগ। সুতরাং এসওপি হতে হবে ইউনিক। আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদনের ক্ষেত্রে কমপক্ষে তিনটা লেটার অব রিকমেন্ডেশন (এলওআর) প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, থিসিস, রিসার্চ সুপারভাইজর অথবা অফিসের বস হলে ভালো হয়, যাঁরা আপনার সম্পর্কে ভালো জানেন। এসওপি যেন গতানুগতিক মানের না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। এ জন্য এসব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। এ ছাড়া যদি গবেষণার অভিজ্ঞতা ও রিসার্চ পাবলিকেশন থাকে, তাহলে তা একজন প্রার্থীকে কয়েক ধাপ এগিয়ে রাখবে সবার থেকে।
বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই প্রক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪৩০০+ এবং সবগুলোতে আবেদন করা অসম্ভব। এ জন্য কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পছন্দের বিষয়গুলো আছে এবং এসব জায়গায় আবেদনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম শর্ত পূরণ হচ্ছি কি না এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পর্যাপ্ত ফান্ডিং আছে কি না, সেটা দেখতে হবে। এসবের তথ্য কমবেশি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া থাকে। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শর্টলিস্ট তৈরি করতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া
শর্ট লিস্টেড বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেসব প্রফেসরের বর্তমান ও পূর্ববর্তী গবেষণাসমূহ আবেদনকারীর রিসার্চ ইন্টারেস্টের সঙ্গে মিলে যাবে, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে ই-মেইলের মাধ্যমে। যদি তাঁরা আবেদনকারী ব্যক্তির ই-মেইল, সিভি ও অন্যান্য ডকুমেন্টস দেখে আগ্রহী হন, তাহলে অনলাইনে প্রার্থীকে ইন্টারভিউ বা জুম মিটিং অফার করবে এবং সন্তোষজনক ফলাফলের ভিত্তিতে প্রফেসরের গবেষণা প্রকল্প থেকে ফান্ডিং অফার করবে, যদি প্রার্থীর যোগ্যতা উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ন্যূনতম শর্ত পূরণ করে। তা ছাড়া, কেন্দ্রীয়ভাবেও আবেদন করা যায়। সে ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই কমিটি আবেদনকারী ব্যক্তিদের যোগ্যতার ভিত্তিতে স্কলারশিপের জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত করে ইন্টারভিউ নিবে এবং সন্তোষজনক ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে স্কলারশিপ দেবে বা ফান্ডিং করবে।
স্কলারশিপের প্রকারভেদ
আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মূলত অ্যাসিস্ট্যান্টশিপের ভিত্তিতে ফান্ডিং অফার করে। এটা হতে পারে টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ বা রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ। কিছু ক্ষেত্রে ডিপার্টমেন্টাল ফেলোশিপ থেকেও বৃত্তির ব্যবস্থা করে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স্কলারশিপের আওতায় একজন স্টুডেন্ট মাসিক স্টাইপেন্ডের পাশাপাশি, টিউশন ফি, হেলথ ইনস্যুরেন্স ইত্যাদি সুবিধা পেয়ে থাকে।
আবেদন করার সময়
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বছরের দুটি সেশনে আবেদন করা যায়: ফল সেশন (আগস্ট-ডিসেম্বর) এবং স্প্রিং সেশন (জানুয়ারি-মে)। ফল সেশনে আবেদনের সময়কাল থাকে মূলত অক্টোবর-ফেব্রুয়ারি এবং স্প্রিং সেশনের জন্য জুলাই-সেপ্টেম্বর। তবে প্রধান ইনটেক হলো ফল সেশন। এ ক্ষেত্রে স্কলারশিপ বা ফান্ডিংয়ের সম্ভাবনাও বেশি থাকে সাধারণত।
আবেদন ফি
একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন ফি একেক রকম। তবে অ্যাপ্লিকেশন ফি সাধারণত ৩৫ ডলার থেকে ১২৫ ডলারের ভেতর হয়ে থাকে।
মো. মুজাহিদুল ইসলাম, রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট, লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র।
গ্রন্থনা: এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
পড়াশোনার মান, পরিবেশ, গবেষণা ও ফান্ডিংয়ের সুযোগ-সুবিধার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীদের কাছে অত্যন্ত আগ্রহের গন্তব্য। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান দেশটিতে। যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার খুঁটিনাটি নিয়ে থাকছে আজকের আলোচনা।
পুরো পৃথিবীতে আমেরিকান ডিগ্রি অত্যন্ত সমাদৃত এবং ক্যারিয়ারে এটি অন্যদের থেকে এগিয়েই রাখবে। আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এসটিইএম (সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যাথমেটিকস) ক্যাটাগরির সব প্রোগ্রামে আবেদন করা যায়।
আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা
বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে তিনটা জিনিস গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো হলো একাডেমিক ফলাফল, ইংলিশে দক্ষতা, আর জিআরই স্কোর। তবে বর্তমানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে জিআরইর তেমন বাধ্যবাধকতা নেই। বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলরে আবেদনের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফলাফলের প্রয়োজন হয়। সেই সঙ্গে ভালো আইইএলটিএস, টোয়েফল স্কোর এবং ভালো স্যাট স্কোরের দরকার হয়। এখানে মূলত আমি পোস্টগ্র্যাজুয়েট নিয়ে আলোচনা করব। মাস্টার্স (সময়কাল দুই বছর) অথবা পিএইচডি (সময়কাল পাঁচ বছর) প্রোগ্রামে আবেদনের ক্ষেত্রে মাঝারি মানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনার্স বা ব্যাচেলরে সিজিপিএ মোটামুটি ৩-এর মতো হলেই আবেদন করা যায়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় সিজিপিএ ৩-এর কম থাকলেও আবেদন গ্রহণ করে।
আইইএলটিএস ব্যান্ড স্কোর ন্যূনতম ৬ থেকে ৬.৫ আর টোয়েফল স্কোর মোটামুটি ৭৯ হলে ভালো। জিআরই স্কোর ৩০০+ হলে এটা আপনাকে এক ধাপ এগিয়ে রাখবে, যদিও বর্তমানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ন্যূনতম শর্ত পূরণের জন্য জিআরই বাধ্যতামূলক নয়।তবে স্কলারশিপ বা ফান্ডিং ছাড়া আমেরিকায় পড়াশোনার যাবতীয় খরচ বহন করা যেকোনো নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে দুরূহ ব্যাপার। কেননা, এখানে এফ-১ ও এফ-২ ভিসাধারী শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বাইরে কাজ করার অনুমতি পায় না।
প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্কলারশিপ বা ফান্ডিং অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। আর এ ক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়াও একেক বছরে একেক রকম হতে পারে। তবে মোটামুটিভাবে কিছু কমন ফ্যাক্টর থাকে, যেগুলোতে ভালো ফলাফল থাকলে স্কলারশিপ বা ফান্ডিং বাছাই প্রক্রিয়ায় এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা থাকে। মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য অনার্স বা ব্যাচেলরে সিজিপিএ ৩.৫০+ থাকলে ভালো হয়। পিএইচডি প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে ব্যাচেলর বা অনার্সের পাশাপাশি মাস্টার্সের একটা ভালো ফলাফল ৩.৫০+ রাখা উত্তম। আইইএলটিএস ব্যান্ড স্কোর ৭.০+ অথবা টোয়েফলের ক্ষেত্রে ৯৩+ স্কোর কিংবা জিআরইর স্কোর ৩১০ বা এর আশপাশে থাকলে তা আপনাকে অনেকের থেকে এগিয়ে রাখবে। এরপর স্টেটমেন্ট অব পারপাসটা (এসওপি) হতে হবে আদর্শ মানের। এ ক্ষেত্রে এক্সপার্ট যদি কেউ থেকে থাকেন, যিনি ইতিমধ্যে আমেরিকায় অধ্যয়নরত আছেন, তাঁদের থেকে সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু কোনোভাবেই অন্য কারও এসওপি থেকে কপি করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে ধরা পড়লে আবেদন বাতিল হয়ে যাওয়ার শঙ্কা শতভাগ। সুতরাং এসওপি হতে হবে ইউনিক। আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদনের ক্ষেত্রে কমপক্ষে তিনটা লেটার অব রিকমেন্ডেশন (এলওআর) প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, থিসিস, রিসার্চ সুপারভাইজর অথবা অফিসের বস হলে ভালো হয়, যাঁরা আপনার সম্পর্কে ভালো জানেন। এসওপি যেন গতানুগতিক মানের না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। এ জন্য এসব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। এ ছাড়া যদি গবেষণার অভিজ্ঞতা ও রিসার্চ পাবলিকেশন থাকে, তাহলে তা একজন প্রার্থীকে কয়েক ধাপ এগিয়ে রাখবে সবার থেকে।
বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই প্রক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪৩০০+ এবং সবগুলোতে আবেদন করা অসম্ভব। এ জন্য কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পছন্দের বিষয়গুলো আছে এবং এসব জায়গায় আবেদনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম শর্ত পূরণ হচ্ছি কি না এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পর্যাপ্ত ফান্ডিং আছে কি না, সেটা দেখতে হবে। এসবের তথ্য কমবেশি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া থাকে। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শর্টলিস্ট তৈরি করতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া
শর্ট লিস্টেড বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেসব প্রফেসরের বর্তমান ও পূর্ববর্তী গবেষণাসমূহ আবেদনকারীর রিসার্চ ইন্টারেস্টের সঙ্গে মিলে যাবে, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে ই-মেইলের মাধ্যমে। যদি তাঁরা আবেদনকারী ব্যক্তির ই-মেইল, সিভি ও অন্যান্য ডকুমেন্টস দেখে আগ্রহী হন, তাহলে অনলাইনে প্রার্থীকে ইন্টারভিউ বা জুম মিটিং অফার করবে এবং সন্তোষজনক ফলাফলের ভিত্তিতে প্রফেসরের গবেষণা প্রকল্প থেকে ফান্ডিং অফার করবে, যদি প্রার্থীর যোগ্যতা উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ন্যূনতম শর্ত পূরণ করে। তা ছাড়া, কেন্দ্রীয়ভাবেও আবেদন করা যায়। সে ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই কমিটি আবেদনকারী ব্যক্তিদের যোগ্যতার ভিত্তিতে স্কলারশিপের জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত করে ইন্টারভিউ নিবে এবং সন্তোষজনক ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে স্কলারশিপ দেবে বা ফান্ডিং করবে।
স্কলারশিপের প্রকারভেদ
আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মূলত অ্যাসিস্ট্যান্টশিপের ভিত্তিতে ফান্ডিং অফার করে। এটা হতে পারে টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ বা রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ। কিছু ক্ষেত্রে ডিপার্টমেন্টাল ফেলোশিপ থেকেও বৃত্তির ব্যবস্থা করে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স্কলারশিপের আওতায় একজন স্টুডেন্ট মাসিক স্টাইপেন্ডের পাশাপাশি, টিউশন ফি, হেলথ ইনস্যুরেন্স ইত্যাদি সুবিধা পেয়ে থাকে।
আবেদন করার সময়
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বছরের দুটি সেশনে আবেদন করা যায়: ফল সেশন (আগস্ট-ডিসেম্বর) এবং স্প্রিং সেশন (জানুয়ারি-মে)। ফল সেশনে আবেদনের সময়কাল থাকে মূলত অক্টোবর-ফেব্রুয়ারি এবং স্প্রিং সেশনের জন্য জুলাই-সেপ্টেম্বর। তবে প্রধান ইনটেক হলো ফল সেশন। এ ক্ষেত্রে স্কলারশিপ বা ফান্ডিংয়ের সম্ভাবনাও বেশি থাকে সাধারণত।
আবেদন ফি
একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন ফি একেক রকম। তবে অ্যাপ্লিকেশন ফি সাধারণত ৩৫ ডলার থেকে ১২৫ ডলারের ভেতর হয়ে থাকে।
মো. মুজাহিদুল ইসলাম, রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট, লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র।
গ্রন্থনা: এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ময়মনসিংহ আঞ্চলিক কেন্দ্রের হল পরিবর্তন করা হয়েছে। পূর্বনির্ধারিত আনন্দ মোহন কলেজের পরিবর্তে লিখিত পরীক্ষা প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেগণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
৫ ঘণ্টা আগেড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন টেক সেন্টার চালু হয়েছে। এই সেন্টারের নাম ডিএমএ-ডিআইইউ টেক সেন্টার (ডেটাসফট ম্যানুফেকচারিং অ্যান্ড এসেম্বলিং—ডিআইইউ টেক সেন্টার)। শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি বিষয়ে ব্যবহারিক দক্ষতা বাড়ানো
৬ ঘণ্টা আগেঅধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসুম ইকবাল বেসরকারি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়টির চ্যান্সেলর মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের অনুমোদনক্রমে গত ৩১ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ৭ আগস্ট তিনি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়
৬ ঘণ্টা আগে