লুৎফা বেগম
মোবাইল ফোন
মানবকল্যাণে বিজ্ঞানের অবদানের ব্যাপকতার মধ্যে একটি নতুন ও বিস্ময়কর সংযোজন হলো মোবাইল ফোন। দিন দিন অবিশ্বাস্য, দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে এর প্রয়োগের ক্ষেত্র ও প্রয়োজনীয়তা। যোগাযোগের ক্ষেত্রে এ যন্ত্রের প্রভাব এতটাই বেশি, এটাকে বাদ দিয়ে আধুনিক জীবন যেন অচল, নিস্তব্ধ। বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের বিস্ময়কর অগ্রগতি হয়েছে। দেশের প্রায় দুই কোটি মানুষ মোবাইল ফোন নিয়মিত এবং স্বল্পসংখ্যক অনিয়মিতভাবে ব্যবহার করছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে ছয়টি মোবাইল ফোন কোম্পানি—গ্রামীণ, বাংলালিংক, এয়ারটেল, সিটিসেল ও টেলিটক পুরো বিশ্বকে হাতের মুঠোয় বন্দী করেছে। তারবিহীন ও সহজে বহন করা যায় বলে এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। অফিস-আদালত, ব্যবসায়-বাণিজ্য ও নানা কর্মযজ্ঞে তো বটেই; ভ্রমণ-বিলাস, রেস্তোরাঁ, খাবার টেবিল, যানবাহন, এমনকি পাহাড়-পর্বত, বন-বনানী সর্বত্র এর সহজ পরিবহন ও ব্যবহার বিশ্বের যোগাযোগব্যবস্থাকে সহজ করে দিয়েছে। তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে মোবাইলের বিকল্প এখনো আবিষ্কৃত হয়নি।
সমাজের সর্বোচ্চ স্তর থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন স্তরের মানুষের ক্ষেত্রে এই ফোনের ব্যবহারে কোনো ভেদাভেদ নেই; আর একই সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে মোবাইল কোম্পানিগুলোও বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করছে। তবে এই ফোনের ব্যবহার শুধু প্রয়োজনীয় কথা, এসএমএস, প্রিয়জনের সাফল্যে অভিনন্দন প্রেরণ, নিজের দুঃসংবাদ কিংবা সুসংবাদ, বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান, উৎসবে আমন্ত্রণ-নিমন্ত্রণেই সীমাবদ্ধ নয়, এর ব্যাপক অপব্যবহারও লক্ষণীয়।
যে মোবাইল ফোন খেলাধুলা, স্বাস্থ্যসেবা, সংবাদ প্রদান, গান-বাজনা, সিনেমাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কর্মকাণ্ডে সহায়তা দিচ্ছে, সেই ফোনই আবার অপব্যবহারে মানুষের ক্ষতির কারণ হচ্ছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, সন্ত্রাস প্রভৃতি অসামাজিক কার্যকলাপে এই ফোন সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই মাধ্যমে সহজেই সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের নাশকতামূলক কার্যক্রম সংঘটিত হয়।
মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অগ্রিম সংবাদ পেয়ে দুষ্কৃতকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টি এড়িয়ে পালিয়ে যায়। এর মাধ্যমে তারা হুমকি প্রদান করে মানুষের মনে ভীতির জন্ম দেয়। এই ফোনের অপব্যবহার শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার অনেক ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। শুধু তা-ই নয়, প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে এটি মানবদেহের ক্ষতিও সাধন করে।
এর রেডিয়েশন মানুষের দেহে উচ্চ রক্তচাপ থেকে শুরু করে ব্রেন টিউমারের মতো কঠিন রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে। বর্তমানে এই যন্ত্রের ওপর নির্ভর করেই আমাদের নিত্য পথচলা। যে যন্ত্র নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় সঙ্গী, সেই যন্ত্রের অপব্যবহার থেকে বিরত থাকলে আমরা ব্যক্তিগত সুস্থতা লাভ করব। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা থেকেও আমরা মুক্ত হতে পারব।
লেখক: লুৎফা বেগম, সাবেক সিনিয়র শিক্ষক, বিএএফ শাহীন কলেজ, কুর্মিটোলা, ঢাকা
মোবাইল ফোন
মানবকল্যাণে বিজ্ঞানের অবদানের ব্যাপকতার মধ্যে একটি নতুন ও বিস্ময়কর সংযোজন হলো মোবাইল ফোন। দিন দিন অবিশ্বাস্য, দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে এর প্রয়োগের ক্ষেত্র ও প্রয়োজনীয়তা। যোগাযোগের ক্ষেত্রে এ যন্ত্রের প্রভাব এতটাই বেশি, এটাকে বাদ দিয়ে আধুনিক জীবন যেন অচল, নিস্তব্ধ। বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের বিস্ময়কর অগ্রগতি হয়েছে। দেশের প্রায় দুই কোটি মানুষ মোবাইল ফোন নিয়মিত এবং স্বল্পসংখ্যক অনিয়মিতভাবে ব্যবহার করছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে ছয়টি মোবাইল ফোন কোম্পানি—গ্রামীণ, বাংলালিংক, এয়ারটেল, সিটিসেল ও টেলিটক পুরো বিশ্বকে হাতের মুঠোয় বন্দী করেছে। তারবিহীন ও সহজে বহন করা যায় বলে এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। অফিস-আদালত, ব্যবসায়-বাণিজ্য ও নানা কর্মযজ্ঞে তো বটেই; ভ্রমণ-বিলাস, রেস্তোরাঁ, খাবার টেবিল, যানবাহন, এমনকি পাহাড়-পর্বত, বন-বনানী সর্বত্র এর সহজ পরিবহন ও ব্যবহার বিশ্বের যোগাযোগব্যবস্থাকে সহজ করে দিয়েছে। তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে মোবাইলের বিকল্প এখনো আবিষ্কৃত হয়নি।
সমাজের সর্বোচ্চ স্তর থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন স্তরের মানুষের ক্ষেত্রে এই ফোনের ব্যবহারে কোনো ভেদাভেদ নেই; আর একই সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে মোবাইল কোম্পানিগুলোও বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করছে। তবে এই ফোনের ব্যবহার শুধু প্রয়োজনীয় কথা, এসএমএস, প্রিয়জনের সাফল্যে অভিনন্দন প্রেরণ, নিজের দুঃসংবাদ কিংবা সুসংবাদ, বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান, উৎসবে আমন্ত্রণ-নিমন্ত্রণেই সীমাবদ্ধ নয়, এর ব্যাপক অপব্যবহারও লক্ষণীয়।
যে মোবাইল ফোন খেলাধুলা, স্বাস্থ্যসেবা, সংবাদ প্রদান, গান-বাজনা, সিনেমাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কর্মকাণ্ডে সহায়তা দিচ্ছে, সেই ফোনই আবার অপব্যবহারে মানুষের ক্ষতির কারণ হচ্ছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, সন্ত্রাস প্রভৃতি অসামাজিক কার্যকলাপে এই ফোন সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই মাধ্যমে সহজেই সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের নাশকতামূলক কার্যক্রম সংঘটিত হয়।
মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অগ্রিম সংবাদ পেয়ে দুষ্কৃতকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টি এড়িয়ে পালিয়ে যায়। এর মাধ্যমে তারা হুমকি প্রদান করে মানুষের মনে ভীতির জন্ম দেয়। এই ফোনের অপব্যবহার শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার অনেক ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। শুধু তা-ই নয়, প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে এটি মানবদেহের ক্ষতিও সাধন করে।
এর রেডিয়েশন মানুষের দেহে উচ্চ রক্তচাপ থেকে শুরু করে ব্রেন টিউমারের মতো কঠিন রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে। বর্তমানে এই যন্ত্রের ওপর নির্ভর করেই আমাদের নিত্য পথচলা। যে যন্ত্র নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় সঙ্গী, সেই যন্ত্রের অপব্যবহার থেকে বিরত থাকলে আমরা ব্যক্তিগত সুস্থতা লাভ করব। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা থেকেও আমরা মুক্ত হতে পারব।
লেখক: লুৎফা বেগম, সাবেক সিনিয়র শিক্ষক, বিএএফ শাহীন কলেজ, কুর্মিটোলা, ঢাকা
আন্তর্জাতিক বায়োটেকনোলজি সম্মেলন ২০২৫-এ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) বায়োকেমিস্ট্রি ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের (বিএমডি) শিক্ষার্থীরা অসাধারণ গবেষণা উপস্থাপন করে সেরা তিনটি পুরস্কার অর্জন করেছেন। ২০ ও ২১ জুন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এ সম্মেলনে অংশ নিয়ে তাঁরা দেশের হয়ে গর্বের উদাহরণ সৃষ্টি...
৬ ঘণ্টা আগেসরকারি কর্মচারীদের মতো বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরও ‘বিশেষ সুবিধা’ বাড়ছে। এ সুবিধার আওতায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বাড়বে কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ টাকা।
১১ ঘণ্টা আগে২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষার্থী ছাড়া অন্যদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আজ সোমবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১২ ঘণ্টা আগেগবেষণার জগতে পা রাখার পর প্রায় সবার স্বপ্ন থাকে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গবেষণা প্রবন্ধ (রিসার্চ পেপার) প্রকাশ করার। তবে শুধু প্রবন্ধ প্রকাশ নয়, অনেকের লক্ষ্য থাকে কিউওয়ান র্যাংকের জার্নালে নিজের গবেষণাকাজ ছাপানো—যা একাডেমিক ও প্রফেশনাল জীবনে অসাধারণ একটি অর্জন।
২১ ঘণ্টা আগে