মুসাররাত আবির
মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস—বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী এবং প্রযুক্তি দুনিয়ার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। জীবনে অসংখ্য মানুষের ইন্টারভিউ নিয়েছেন তিনি, কিন্তু কখনো ভেবেছেন, তিনি যদি নিজেই কোনো চাকরির ইন্টারভিউ বোর্ডে হাজির হতেন, তাহলে কেমন হতো?
একটি প্রীতি ইন্টারভিউতে এনবিএ তারকা স্টিফেন ক্যারির সঙ্গে কথোপকথনে বিল গেটস মজা করে বলেছিলেন, যদি তিনি মাইক্রোসফটে জুনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আবেদন করতেন, তাহলে কীভাবে উত্তর দিতেন সাধারণত জিজ্ঞাসিত তিনটি ক্লাসিক প্রশ্নের। তাঁর সেই উত্তরগুলো থেকেই পাওয়া যায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ—যা যেকোনো চাকরির ইন্টারভিউয়েই কাজে লাগতে পারে।
১. কেন আপনাকে নিয়োগ দেব?
এই প্রশ্নে নিয়োগদাতা জানতে চান প্রার্থীর দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস এবং দলের সঙ্গে কাজ করার ক্ষমতা।
বিল গেটস বলেছিলেন ‘আমি সফটওয়্যার প্রোগ্রাম লিখি। আমার কোড দেখে তা সহজেই বোঝা যাবে। আগের তুলনায় আমি এখন অনেক ভালো কাজ করছি এবং ভবিষ্যৎ নিয়েও আশাবাদী। আমি দলগতভাবে কাজ করতে পারি—কারও কোডে ভুল থাকলে তা ধরিয়ে দিতে পারি, তবে সব সময় দলের সেরা ফলাফলটাই সামনে আনতে চাই। সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করা আমার খুব পছন্দ এবং আমি এই পেশাতেই যুক্ত থাকতে চাই।’ এই উত্তরে গেটস তাঁর আত্মবিশ্বাস, দক্ষতা ও দলের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তুলে ধরেছেন।
২. আপনার দুর্বলতা ও শক্তির দিকগুলো কী?
এই প্রশ্নে বোঝা যায় প্রার্থী নিজের সীমাবদ্ধতা কতটা চেনেন এবং তা মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ নেন।
বিল গেটসের সোজাসাপ্টা জবাব ছিল
‘মার্কেটিং বিষয়ে আমার খুব একটা ধারণা নেই, তাই সেলসের কাজ আমার জন্য নয়। তবে আমি ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাস জানি এবং কীভাবে উন্নত পণ্য তৈরি করা যায় তা বুঝি। আমি এমন একটি দলের অংশ হতে চাই, যারা ক্রেতা ও বাজার সম্পর্কে জানে। আমি হয়তো তাদের সমান নই, কিন্তু আনন্দের সঙ্গে তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারব।’
এই উত্তরে গেটস দুর্বলতা স্বীকার করে বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি ও দলগত চেতনার পরিচয় দিয়েছেন।
৩. আপনি কত বেতন চান?
এই প্রশ্নের উত্তরে প্রার্থী কতটা নমনীয় এবং শেখার আগ্রহ রাখেন, সেটিও পরোক্ষভাবে উঠে আসে।
বিল গেটস বলেছিলেন-
‘আমি আশাবাদী যে আপনারা ভালো বেতনই অফার করবেন। আমি ঝুঁকি নিতে পারি এবং এমন একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে চাই যার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। অনেক কোম্পানি এই পদের জন্য বেশি অর্থ দেয়, কিন্তু আমি শুধু বেতন নয়, নিজের দক্ষতার বিকাশকেও গুরুত্ব দিই।’
তাঁর মতে, শেখার আগ্রহ থাকলে এবং বেতন নিয়ে বেশি চাপ না থাকলে, ভালো প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়াটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। অনেক সময় এই ঝুঁকি নেওয়ার সাহসই মানুষকে ভবিষ্যতের নেতৃত্বে নিয়ে যায়।
বিল গেটসের দেওয়া প্রতিটি উত্তর কৌশলী, বাস্তবভিত্তিক এবং আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। তাঁর ইন্টারভিউ দৃষ্টিভঙ্গি হতে পারে যেকোনো চাকরিপ্রার্থীর জন্য আদর্শ দিকনির্দেশনা।
সূত্র: ফোর্বস
অনুবাদ: মুসাররাত আবির
আরও খবর পড়ুন:
মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস—বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী এবং প্রযুক্তি দুনিয়ার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। জীবনে অসংখ্য মানুষের ইন্টারভিউ নিয়েছেন তিনি, কিন্তু কখনো ভেবেছেন, তিনি যদি নিজেই কোনো চাকরির ইন্টারভিউ বোর্ডে হাজির হতেন, তাহলে কেমন হতো?
একটি প্রীতি ইন্টারভিউতে এনবিএ তারকা স্টিফেন ক্যারির সঙ্গে কথোপকথনে বিল গেটস মজা করে বলেছিলেন, যদি তিনি মাইক্রোসফটে জুনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আবেদন করতেন, তাহলে কীভাবে উত্তর দিতেন সাধারণত জিজ্ঞাসিত তিনটি ক্লাসিক প্রশ্নের। তাঁর সেই উত্তরগুলো থেকেই পাওয়া যায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ—যা যেকোনো চাকরির ইন্টারভিউয়েই কাজে লাগতে পারে।
১. কেন আপনাকে নিয়োগ দেব?
এই প্রশ্নে নিয়োগদাতা জানতে চান প্রার্থীর দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস এবং দলের সঙ্গে কাজ করার ক্ষমতা।
বিল গেটস বলেছিলেন ‘আমি সফটওয়্যার প্রোগ্রাম লিখি। আমার কোড দেখে তা সহজেই বোঝা যাবে। আগের তুলনায় আমি এখন অনেক ভালো কাজ করছি এবং ভবিষ্যৎ নিয়েও আশাবাদী। আমি দলগতভাবে কাজ করতে পারি—কারও কোডে ভুল থাকলে তা ধরিয়ে দিতে পারি, তবে সব সময় দলের সেরা ফলাফলটাই সামনে আনতে চাই। সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করা আমার খুব পছন্দ এবং আমি এই পেশাতেই যুক্ত থাকতে চাই।’ এই উত্তরে গেটস তাঁর আত্মবিশ্বাস, দক্ষতা ও দলের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তুলে ধরেছেন।
২. আপনার দুর্বলতা ও শক্তির দিকগুলো কী?
এই প্রশ্নে বোঝা যায় প্রার্থী নিজের সীমাবদ্ধতা কতটা চেনেন এবং তা মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ নেন।
বিল গেটসের সোজাসাপ্টা জবাব ছিল
‘মার্কেটিং বিষয়ে আমার খুব একটা ধারণা নেই, তাই সেলসের কাজ আমার জন্য নয়। তবে আমি ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাস জানি এবং কীভাবে উন্নত পণ্য তৈরি করা যায় তা বুঝি। আমি এমন একটি দলের অংশ হতে চাই, যারা ক্রেতা ও বাজার সম্পর্কে জানে। আমি হয়তো তাদের সমান নই, কিন্তু আনন্দের সঙ্গে তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারব।’
এই উত্তরে গেটস দুর্বলতা স্বীকার করে বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি ও দলগত চেতনার পরিচয় দিয়েছেন।
৩. আপনি কত বেতন চান?
এই প্রশ্নের উত্তরে প্রার্থী কতটা নমনীয় এবং শেখার আগ্রহ রাখেন, সেটিও পরোক্ষভাবে উঠে আসে।
বিল গেটস বলেছিলেন-
‘আমি আশাবাদী যে আপনারা ভালো বেতনই অফার করবেন। আমি ঝুঁকি নিতে পারি এবং এমন একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে চাই যার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। অনেক কোম্পানি এই পদের জন্য বেশি অর্থ দেয়, কিন্তু আমি শুধু বেতন নয়, নিজের দক্ষতার বিকাশকেও গুরুত্ব দিই।’
তাঁর মতে, শেখার আগ্রহ থাকলে এবং বেতন নিয়ে বেশি চাপ না থাকলে, ভালো প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়াটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। অনেক সময় এই ঝুঁকি নেওয়ার সাহসই মানুষকে ভবিষ্যতের নেতৃত্বে নিয়ে যায়।
বিল গেটসের দেওয়া প্রতিটি উত্তর কৌশলী, বাস্তবভিত্তিক এবং আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। তাঁর ইন্টারভিউ দৃষ্টিভঙ্গি হতে পারে যেকোনো চাকরিপ্রার্থীর জন্য আদর্শ দিকনির্দেশনা।
সূত্র: ফোর্বস
অনুবাদ: মুসাররাত আবির
আরও খবর পড়ুন:
প্রাথমিকের পর মাদ্রাসার ইবতেদায়ি পর্যায় এবং অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষে এ পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হতে পারে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, মোট ছয়টি বিষয়ে পাঁচটি পত্রে এবারের বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজিত হবে।
১ ঘণ্টা আগেপাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ওপর ‘দমন-পীড়নের’ ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২ জন শিক্ষক। তারা অবিলম্বে শিক্ষকদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেপার্বত্য চট্টগ্রামের (সিএইচটি) শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষা ও ই-লার্নিংয়ের সুযোগ দিতে আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই অঞ্চলের ১০০টি বিদ্যালয়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সংযোগ চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এই উদ্যোগকে শিক্ষাক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা
১৩ ঘণ্টা আগেদেশের বিশেষায়িত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস- ২০২৫’ পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গত ৫ আগস্ট ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়
১ দিন আগে