বিশ্ববিদ্যালয় জীবন
মুসাররাত আবির
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন মানেই নতুন নতুন অভিজ্ঞতা। তবে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী যে জিনিসটার জন্য সবচেয়ে বেশি মুখিয়ে থাকেন, তা হলো একটা ভালো ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ক্লাবিং বেশ পরিচিত একটা সংস্কৃতি। কিছু শিক্ষার্থী ক্লাবে অংশ নিয়ে নিজেদের দক্ষতা বিকাশ করেন, নতুন বন্ধুবান্ধব তৈরি করেন এবং পেশাদার জগতে পা রাখার সুযোগ পান। আবার কিছু শিক্ষার্থী একাডেমিক এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে সামঞ্জস্য ধরে রাখতে পারেন না।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাবগুলো কি শিক্ষার্থীদের জন্য আসলেই লাভজনক, নাকি এটি তাঁদের পড়াশোনা, মানসিক স্বাস্থ্য এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে? এ বিষয়ে জানাচ্ছেন গো জায়ানের ব্র্যান্ড মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ মো. মেহেদি হাসিব এবং টাইগার মিডিয়ার হেড অব মিডিয়া বায়িং রাইয়ান ইহাব শামস।
ক্লাবিং কেন করব?
মেহেদি ও রাইয়ান দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম থেকে ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তাঁদের অভিজ্ঞতা ছিল ভিন্ন ভিন্ন। রাইয়ান দ্বিতীয় বর্ষে এসে ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেন, ‘ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তটা সে সময়ে হুট করে নেওয়া হয়েছিল। তবে পাঁচ বছর পর আজ বুঝতে পারি, সেটি আমার জন্য ভালো সিদ্ধান্ত ছিল।’
তাঁর মতে, ক্লাবের সদস্যরা যখন নতুন শিক্ষার্থীদের ক্লাবে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান, তখন সবাই বলে কীভাবে তাঁদের ক্লাব অন্য ক্লাবগুলো থেকে আলাদা, কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে কেউ কখনো এ প্রশ্নটি তোলেন না, কেন ক্লাবিং করবেন?
রাইয়ান মনে করেন, নেটওয়ার্কিং হলো ক্লাবিংয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধা। ধরা যাক, আপনি প্রথম বর্ষে পড়ছেন। এ সময়ে সিনিয়ররা আপনার সঙ্গে কেন পরিচিত হতে আসবেন? ক্লাসে তো অনেকেই আছেন। তখন ক্লাবই আপনাকে সিনিয়র এবং অ্যালামনাইদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ দেয়।
মেহেদির কথায়ও শোনা গেল একই সুর। তাঁর মতে, ‘স্কুল-কলেজে আমি ক্লাবিংয়ের সুযোগ পাইনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দেখলাম ব্যবসায় অনুষদের জন্য আলাদা কোনো ক্লাব নেই। তাই আমরা কয়েকজন সহপাঠী এবং সিনিয়রদের নিয়ে তৈরি করলাম ‘অস্ট ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ক্লাব’। এই ক্লাবের মাধ্যমে আমি অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পেরেছি, যা অন্যথায় সম্ভব হতো না।’
কর্মজীবনের প্রস্তুতি
ক্লাবে থাকাকালে মেহেদিকে অনেক ইভেন্টে কাজ করতে হয়েছে। এসব কাজ করতে গিয়ে তিনি এমন সব দক্ষতা অর্জন করেছেন, যা তাঁর কর্মক্ষেত্রে কাজে লেগেছে। শুধু তা-ই নয়, এসব ইভেন্টে হুট করে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে সময় উপস্থিত বুদ্ধি ও চিন্তন দক্ষতা কাজে লাগিয়ে সমাধান বের করতে হয়, যেটা হয়তো সাধারণ শিক্ষার্থীদের তুলনায় ক্লাবের সদস্যরা বেশি দ্রুত করতে পারবেন।
ক্লাব কি করতেই হবে
রাইয়ানের মতে, কোনো শিক্ষার্থীর সিজিপিএও ঠিক থাকছে না, ক্লাবেও কাজ করছেন না, আবার পার্টটাইম চাকরিও করছেন না—তাহলে ওই সময়টায় তাঁরা করছেন কী? তিনি বলেন, ‘আমি যখন ক্লাব করিনি, তখন পার্টটাইম চাকরিকে বেছে নিয়েছিলাম। আপনি যদি চাকরি না করেন, তাহলে বাসায় বসে থাকার চেয়ে ক্লাবই একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।’
ক্লাবের নেতিবাচক দিক: সময়ের অপচয়, নাকি ক্লাব পলিটিকস
ক্লাবিং সবসময় শিক্ষার্থীদের জন্য উপকারী নাও হতে পারে। রাইয়ান বলেন, ক্লাবে এমন কিছু কাজ করা হয়, যা প্রোডাকটিভ নয়। যেমন: ঘণ্টার পর ঘণ্টা তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা। মাঝেমধ্যে এ মিটিংগুলোয় রাত ১টাও পেরিয়ে যায়। এ ছাড়াও ক্লাবের পোস্ট শেয়ার করা, কিংবা পোস্টে কমেন্ট করা, আবার কারা এসব করছেন, না সেসবের লিস্ট করাও সবার ক্ষেত্রে সমান গুরুত্ব বহন করে না।
রাইয়ান আরও বলেন, ‘ক্লাবিংয়ের মধ্যে আমি প্রোডাকটিভ কিছু খুঁজে পাইনি। কারণ দ্বিতীয় বর্ষে থাকাকালে আমি একটি ভালো প্রতিষ্ঠানে পার্টটাইম চাকরি পেয়ে গিয়েছিলাম। আর সে চাকরির মাধ্যমেই আমি ইন্ডাস্ট্রির অনেক বড় বড় মানুষের সান্নিধ্যে আসতে পেরেছিলাম। এজন্য আমার মনে হয়েছিল, ক্লাবিংয়ের পেছনে এখন যে সময়টা দিচ্ছি, সেটা চাকরিতে দিলে আমার ক্যারিয়ারে তা আরও ভালো ভূমিকা রাখবে।’
ক্লাবের নেতিবাচক দিক নিয়ে কথা বলতে গেলে এর মধ্যে ক্লাব পলিটিকসও চলে আসে। ক্লাবের সিনিয়রদের গুণগত নেতৃত্বের অভাব, পক্ষপাতিত্ব এবং দলীয় সংকীর্ণতা ক্লাবের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে শিক্ষার্থীরা ক্লাবে কাজ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। এ ছাড়াও এসব রাজনীতি ক্লাবের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করার পরিবর্তে একঘেয়ে হয়ে ওঠে।
তবে রাইয়ানের মতে, এর একটা ইতিবাচক দিকও রয়েছে। তিনি বলেন, ক্লাবের মধ্যে রাজনীতি থাকবেই, কিন্তু করপোরেট জীবনে এর অভাব হবে না। ক্লাবিং আসলে কর্মজীবনের প্রস্তুতি হিসেবেই কাজ করে।
ক্লাব করলেই কি চাকরি নিশ্চিত?
ক্লাব করলেই চাকরি নিশ্চিত, এমন নয়। তবে এটি পেশাগত সম্ভাবনাগুলোকে অনেক বাড়িয়ে দেয়। অনেক শিক্ষার্থী ক্লাবের মাধ্যমে ভালো জায়গায় চাকরি পেয়েছেন, আবার কিছু শিক্ষার্থী চাকরি না পেয়ে বসে আছেন। ক্লাবের মাধ্যমে যোগাযোগ এবং নেটওয়ার্ক তৈরি হলে, এটি অনেক ক্ষেত্রেই কাজে আসে।
বর্তমানে চাকরি পাওয়া বেশ কঠিন, আর সিজিপিএর পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মেহেদি বলেন, মার্কেটিং, ম্যানেজমেন্ট, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের মতো বিষয়গুলো পুঁথিগত শিক্ষার মাধ্যমে শেখা যায় না, এগুলো হাতে-কলমে শিখতে হয়। আর এ কাজগুলোতে ক্লাব একটি বড় ভূমিকা পালন করে।
ক্লাব কখন ছাড়া উচিত যাঁরা এখনো নিশ্চিত নন, ক্লাবে যোগ দেওয়া উচিত কি না, তাঁদের জন্য রাইয়ানের পরামর্শ হলো প্রথমে একবার ক্লাবে যোগ দিয়ে দেখেন, কেমন লাগছে, নতুন কিছু শিখতে পারছেন কি না। যদি দেখেন, ক্লাব আপনার ক্যারিয়ার এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নে তেমন ভূমিকা রাখছে না, তবে সেই ক্লাব থেকে বের হয়ে আসা সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে মেহেদিও একই কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন মানেই নতুন নতুন অভিজ্ঞতা। তবে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী যে জিনিসটার জন্য সবচেয়ে বেশি মুখিয়ে থাকেন, তা হলো একটা ভালো ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ক্লাবিং বেশ পরিচিত একটা সংস্কৃতি। কিছু শিক্ষার্থী ক্লাবে অংশ নিয়ে নিজেদের দক্ষতা বিকাশ করেন, নতুন বন্ধুবান্ধব তৈরি করেন এবং পেশাদার জগতে পা রাখার সুযোগ পান। আবার কিছু শিক্ষার্থী একাডেমিক এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে সামঞ্জস্য ধরে রাখতে পারেন না।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাবগুলো কি শিক্ষার্থীদের জন্য আসলেই লাভজনক, নাকি এটি তাঁদের পড়াশোনা, মানসিক স্বাস্থ্য এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে? এ বিষয়ে জানাচ্ছেন গো জায়ানের ব্র্যান্ড মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ মো. মেহেদি হাসিব এবং টাইগার মিডিয়ার হেড অব মিডিয়া বায়িং রাইয়ান ইহাব শামস।
ক্লাবিং কেন করব?
মেহেদি ও রাইয়ান দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম থেকে ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তাঁদের অভিজ্ঞতা ছিল ভিন্ন ভিন্ন। রাইয়ান দ্বিতীয় বর্ষে এসে ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেন, ‘ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তটা সে সময়ে হুট করে নেওয়া হয়েছিল। তবে পাঁচ বছর পর আজ বুঝতে পারি, সেটি আমার জন্য ভালো সিদ্ধান্ত ছিল।’
তাঁর মতে, ক্লাবের সদস্যরা যখন নতুন শিক্ষার্থীদের ক্লাবে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান, তখন সবাই বলে কীভাবে তাঁদের ক্লাব অন্য ক্লাবগুলো থেকে আলাদা, কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে কেউ কখনো এ প্রশ্নটি তোলেন না, কেন ক্লাবিং করবেন?
রাইয়ান মনে করেন, নেটওয়ার্কিং হলো ক্লাবিংয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধা। ধরা যাক, আপনি প্রথম বর্ষে পড়ছেন। এ সময়ে সিনিয়ররা আপনার সঙ্গে কেন পরিচিত হতে আসবেন? ক্লাসে তো অনেকেই আছেন। তখন ক্লাবই আপনাকে সিনিয়র এবং অ্যালামনাইদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ দেয়।
মেহেদির কথায়ও শোনা গেল একই সুর। তাঁর মতে, ‘স্কুল-কলেজে আমি ক্লাবিংয়ের সুযোগ পাইনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দেখলাম ব্যবসায় অনুষদের জন্য আলাদা কোনো ক্লাব নেই। তাই আমরা কয়েকজন সহপাঠী এবং সিনিয়রদের নিয়ে তৈরি করলাম ‘অস্ট ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ক্লাব’। এই ক্লাবের মাধ্যমে আমি অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পেরেছি, যা অন্যথায় সম্ভব হতো না।’
কর্মজীবনের প্রস্তুতি
ক্লাবে থাকাকালে মেহেদিকে অনেক ইভেন্টে কাজ করতে হয়েছে। এসব কাজ করতে গিয়ে তিনি এমন সব দক্ষতা অর্জন করেছেন, যা তাঁর কর্মক্ষেত্রে কাজে লেগেছে। শুধু তা-ই নয়, এসব ইভেন্টে হুট করে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে সময় উপস্থিত বুদ্ধি ও চিন্তন দক্ষতা কাজে লাগিয়ে সমাধান বের করতে হয়, যেটা হয়তো সাধারণ শিক্ষার্থীদের তুলনায় ক্লাবের সদস্যরা বেশি দ্রুত করতে পারবেন।
ক্লাব কি করতেই হবে
রাইয়ানের মতে, কোনো শিক্ষার্থীর সিজিপিএও ঠিক থাকছে না, ক্লাবেও কাজ করছেন না, আবার পার্টটাইম চাকরিও করছেন না—তাহলে ওই সময়টায় তাঁরা করছেন কী? তিনি বলেন, ‘আমি যখন ক্লাব করিনি, তখন পার্টটাইম চাকরিকে বেছে নিয়েছিলাম। আপনি যদি চাকরি না করেন, তাহলে বাসায় বসে থাকার চেয়ে ক্লাবই একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।’
ক্লাবের নেতিবাচক দিক: সময়ের অপচয়, নাকি ক্লাব পলিটিকস
ক্লাবিং সবসময় শিক্ষার্থীদের জন্য উপকারী নাও হতে পারে। রাইয়ান বলেন, ক্লাবে এমন কিছু কাজ করা হয়, যা প্রোডাকটিভ নয়। যেমন: ঘণ্টার পর ঘণ্টা তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা। মাঝেমধ্যে এ মিটিংগুলোয় রাত ১টাও পেরিয়ে যায়। এ ছাড়াও ক্লাবের পোস্ট শেয়ার করা, কিংবা পোস্টে কমেন্ট করা, আবার কারা এসব করছেন, না সেসবের লিস্ট করাও সবার ক্ষেত্রে সমান গুরুত্ব বহন করে না।
রাইয়ান আরও বলেন, ‘ক্লাবিংয়ের মধ্যে আমি প্রোডাকটিভ কিছু খুঁজে পাইনি। কারণ দ্বিতীয় বর্ষে থাকাকালে আমি একটি ভালো প্রতিষ্ঠানে পার্টটাইম চাকরি পেয়ে গিয়েছিলাম। আর সে চাকরির মাধ্যমেই আমি ইন্ডাস্ট্রির অনেক বড় বড় মানুষের সান্নিধ্যে আসতে পেরেছিলাম। এজন্য আমার মনে হয়েছিল, ক্লাবিংয়ের পেছনে এখন যে সময়টা দিচ্ছি, সেটা চাকরিতে দিলে আমার ক্যারিয়ারে তা আরও ভালো ভূমিকা রাখবে।’
ক্লাবের নেতিবাচক দিক নিয়ে কথা বলতে গেলে এর মধ্যে ক্লাব পলিটিকসও চলে আসে। ক্লাবের সিনিয়রদের গুণগত নেতৃত্বের অভাব, পক্ষপাতিত্ব এবং দলীয় সংকীর্ণতা ক্লাবের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে শিক্ষার্থীরা ক্লাবে কাজ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। এ ছাড়াও এসব রাজনীতি ক্লাবের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করার পরিবর্তে একঘেয়ে হয়ে ওঠে।
তবে রাইয়ানের মতে, এর একটা ইতিবাচক দিকও রয়েছে। তিনি বলেন, ক্লাবের মধ্যে রাজনীতি থাকবেই, কিন্তু করপোরেট জীবনে এর অভাব হবে না। ক্লাবিং আসলে কর্মজীবনের প্রস্তুতি হিসেবেই কাজ করে।
ক্লাব করলেই কি চাকরি নিশ্চিত?
ক্লাব করলেই চাকরি নিশ্চিত, এমন নয়। তবে এটি পেশাগত সম্ভাবনাগুলোকে অনেক বাড়িয়ে দেয়। অনেক শিক্ষার্থী ক্লাবের মাধ্যমে ভালো জায়গায় চাকরি পেয়েছেন, আবার কিছু শিক্ষার্থী চাকরি না পেয়ে বসে আছেন। ক্লাবের মাধ্যমে যোগাযোগ এবং নেটওয়ার্ক তৈরি হলে, এটি অনেক ক্ষেত্রেই কাজে আসে।
বর্তমানে চাকরি পাওয়া বেশ কঠিন, আর সিজিপিএর পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মেহেদি বলেন, মার্কেটিং, ম্যানেজমেন্ট, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের মতো বিষয়গুলো পুঁথিগত শিক্ষার মাধ্যমে শেখা যায় না, এগুলো হাতে-কলমে শিখতে হয়। আর এ কাজগুলোতে ক্লাব একটি বড় ভূমিকা পালন করে।
ক্লাব কখন ছাড়া উচিত যাঁরা এখনো নিশ্চিত নন, ক্লাবে যোগ দেওয়া উচিত কি না, তাঁদের জন্য রাইয়ানের পরামর্শ হলো প্রথমে একবার ক্লাবে যোগ দিয়ে দেখেন, কেমন লাগছে, নতুন কিছু শিখতে পারছেন কি না। যদি দেখেন, ক্লাব আপনার ক্যারিয়ার এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নে তেমন ভূমিকা রাখছে না, তবে সেই ক্লাব থেকে বের হয়ে আসা সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে মেহেদিও একই কথা বলেন।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও বিএসআরএম গ্রুপ অব কোম্পানিজের যৌথ উদ্যোগে বিএসআরএম স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই উপলক্ষে গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে ‘শেপিং টুমরো: ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবিলিটি’ শিরোনামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্কুলটির অফিশিয়াল লোগো এবং
৪ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সিমন্স ইউনিভার্সিটিতে কোটজেন স্কলারশিপ-২০২৫-২৬ এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সম্পূর্ণ অর্থায়িত এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। অনলাইনের মাধ্যমে আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে।
১৩ ঘণ্টা আগেরেকর্ডিং শোনার আগে প্রশ্নপত্র পড়ে তা বিশ্লেষণ করা এবং সম্ভাব্য উত্তর অনুমানের জন্য প্রশ্নপত্রের ওপর যা করণীয়, তার একটি উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো। প্রশ্ন (Cambridge 12/ Test 5/ page 10) অনুযায়ী..
১৩ ঘণ্টা আগেশিক্ষাজীবনের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো এসএসসি পরীক্ষা। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতা, অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের মূল্যায়ন পায়। জীববিজ্ঞান এমন একটি বিষয়, যা শুধু পরীক্ষায় ভালো ফলের জন্য নয়, বরং বাস্তব জীবন ও উচ্চশিক্ষায় বড় ভূমিকা রাখে।
১৩ ঘণ্টা আগে