প্রতিনিধি, সাঁথিয়া (পাবনা)
বিয়ে করে স্ত্রীকে রেখে শ্বশুরের টাকায় বিদেশে গেছেন যুবক। টানা তিন বছর প্রবাসে তিনি। এর মধ্যে স্থানীয় এক চিকিৎসকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর স্ত্রীর। বিষয়টি ধরা পড়ায় সালিস ডেকে জরিমানা আদায় করেছেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান। ওদিকে গৃহবধূর ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।
ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায়। সালিস বৈঠকে উপস্থিত থাকা একাধিক ব্যক্তি ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূর স্বামী বিদেশে। দীর্ঘ তিন বছর ধরে উপজেলার যশোমন্ত দুলিয়া গ্রামের আলাইয়ের ছেলে ডিএমএফ (ডিপ্লোমা) চিকিৎসক শহিদুল্লাহ কায়সারের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক চলছে।
গত ১৫ আগস্ট সকালে ওই প্রবাসীর স্ত্রী সুজানগরের চিনাখড়া বাজারে শহিদুল্লাহ কাওছারের চেম্বারে উপস্থিত হয়ে বিয়ের দাবি করেন। বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দেন। স্থানীয়রা দুজনকে ওই রাতেই উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুনসুর আলম পিনচুর বাড়িতে নিয়ে সালিস বৈঠক বসান।
গভীর রাতে ওই সালিস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুনসুর আলম পিনচু, সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতি কার্তিক চন্দ্র সাহা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান, মজিবর রহমান, লিটন মোল্লা, ওয়াজেদ আলী, ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আয়নাল হক প্রমুখ।
সালিস বৈঠকে শহিদুল্লাহ কায়সারকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বিষয়টি জানাজনি হলে গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন।
গৃহবধূর বাবা বলেন, আমার মেয়ের পেছনে অনেক দিন আগে থেকেই সে (শহিদুল্লাহ কায়সার) লেগে ছিল। চেয়ারম্যান সাহেব রোববার রাতে সালিসে মেয়েকে মারপিট করেছেন। সে এখন অসুস্থ। তিনি শহিদুল্লাহর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু সালিসে উপস্থিত মাতবররা তাতে রাজি হননি।
সালিস সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১৯ সালে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে শহিদুল্লাহকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করা হয়। সেই সময়ও তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সে টাকা গৃহবধূর বাবা পেয়েছিলেন বলে জানা যায়।
সালিস বৈঠাকে উপস্থিত থাকা ইউপি সদস্য আয়নাল হক, মজিবর রহমান জানান, সালিসে ছেলের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর মেয়েকে তাঁর বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আদায়কৃত টাকা চেয়ারম্যানের কাছেই রয়েছে বলে জানান তাঁরা।
ইউপি চেয়ারম্যান মুনসুর আলম পিনচু বৈঠক ও জরিমানা আদায়ের কথা স্বীকার করে বলেন, রাত ১২টার পরে সালিস বৈঠকে ছেলেকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। প্রথমে জরিমানা দিতে রাজি না হওয়ায় মোটরসাইকেল আটকে রেখে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ছেলে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় এই জরিমানা করা হয়েছে বলে দাবি করেন চেয়ারম্যান।
এ ব্যাপারে ফোনে যোগাযোগ করা হলে শহিদুল্লাহ কায়সার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সাঁথিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, গভীর রাতে সালিস বৈঠকের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিয়ে করে স্ত্রীকে রেখে শ্বশুরের টাকায় বিদেশে গেছেন যুবক। টানা তিন বছর প্রবাসে তিনি। এর মধ্যে স্থানীয় এক চিকিৎসকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর স্ত্রীর। বিষয়টি ধরা পড়ায় সালিস ডেকে জরিমানা আদায় করেছেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান। ওদিকে গৃহবধূর ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।
ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায়। সালিস বৈঠকে উপস্থিত থাকা একাধিক ব্যক্তি ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূর স্বামী বিদেশে। দীর্ঘ তিন বছর ধরে উপজেলার যশোমন্ত দুলিয়া গ্রামের আলাইয়ের ছেলে ডিএমএফ (ডিপ্লোমা) চিকিৎসক শহিদুল্লাহ কায়সারের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক চলছে।
গত ১৫ আগস্ট সকালে ওই প্রবাসীর স্ত্রী সুজানগরের চিনাখড়া বাজারে শহিদুল্লাহ কাওছারের চেম্বারে উপস্থিত হয়ে বিয়ের দাবি করেন। বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দেন। স্থানীয়রা দুজনকে ওই রাতেই উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুনসুর আলম পিনচুর বাড়িতে নিয়ে সালিস বৈঠক বসান।
গভীর রাতে ওই সালিস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুনসুর আলম পিনচু, সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতি কার্তিক চন্দ্র সাহা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান, মজিবর রহমান, লিটন মোল্লা, ওয়াজেদ আলী, ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আয়নাল হক প্রমুখ।
সালিস বৈঠকে শহিদুল্লাহ কায়সারকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বিষয়টি জানাজনি হলে গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন।
গৃহবধূর বাবা বলেন, আমার মেয়ের পেছনে অনেক দিন আগে থেকেই সে (শহিদুল্লাহ কায়সার) লেগে ছিল। চেয়ারম্যান সাহেব রোববার রাতে সালিসে মেয়েকে মারপিট করেছেন। সে এখন অসুস্থ। তিনি শহিদুল্লাহর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু সালিসে উপস্থিত মাতবররা তাতে রাজি হননি।
সালিস সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১৯ সালে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে শহিদুল্লাহকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করা হয়। সেই সময়ও তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সে টাকা গৃহবধূর বাবা পেয়েছিলেন বলে জানা যায়।
সালিস বৈঠাকে উপস্থিত থাকা ইউপি সদস্য আয়নাল হক, মজিবর রহমান জানান, সালিসে ছেলের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর মেয়েকে তাঁর বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আদায়কৃত টাকা চেয়ারম্যানের কাছেই রয়েছে বলে জানান তাঁরা।
ইউপি চেয়ারম্যান মুনসুর আলম পিনচু বৈঠক ও জরিমানা আদায়ের কথা স্বীকার করে বলেন, রাত ১২টার পরে সালিস বৈঠকে ছেলেকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। প্রথমে জরিমানা দিতে রাজি না হওয়ায় মোটরসাইকেল আটকে রেখে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ছেলে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় এই জরিমানা করা হয়েছে বলে দাবি করেন চেয়ারম্যান।
এ ব্যাপারে ফোনে যোগাযোগ করা হলে শহিদুল্লাহ কায়সার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সাঁথিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, গভীর রাতে সালিস বৈঠকের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
১৮ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫