শ্রীপুর প্রতিনিধি
সরকারের বরাদ্দ দেওয়া (কাবিখা) চাল প্রকল্পের কাজ শেষ না করে নিয়মবহির্ভূতভাবে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের শ্রীপুরে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এদিকে ভুয়া রেজুলেশনে চাল কিনে জেলহাজতে রয়েছেন দোকানি।
জানা গেছে, গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের স্মারক নম্বর ৪১২ এবং শ্রীপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার স্মারক নম্বর ৩৩৮-এ ওই বছরের ১০ নভেম্বর শ্রীপুরের পটকা দাখিল সিনিয়র মাদ্রাসার খেলার মাঠ ভরাটের জন্য দেড় টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। তখন প্রকল্পের কাজের জন্য মাদ্রাসার সুপার রফিকুল ইসলাম পাঁচ সদস্যের একটি প্রকল্প কমিটি গঠন করেন। কমিটির সভাপতি হন মাদ্রাসার সুপার মো. রফিকুল ইসলাম নিজে। আর মো. সোহরাব হোসেন, মো. আবুল হোসেন, মো. আবুল হাসেম ও মো. হাবিবুর রহমানকে কমিটির সদস্য বানানো হয়।
কমিটির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম গত বছরের ২৩ নভেম্বর বিলি আদেশের (ডিও লেটার) মাধ্যমে উপজেলা সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে ৫০ বস্তা চাল উত্তোলন করেন। এরপর সেদিনই তিনি সব চাল বিক্রি করে দেন। খবর পেয়ে গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বিদ্যুতের নেতৃত্বে ওই দোকানে অভিযান চালিয়ে চাল জব্দ করা হয়। অবৈধভাবে সরকারি চাল রাখার অপরাধে মুদি দোকানি মো. মাসুম আকন্দের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মো. মাসুম আকন্দ পার্শ্ববর্তী কাপাসিয়া উপজেলার খোদাদিয়া গ্রামের মো. আব্দুর রশিদ আকন্দের ছেলে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
মাদ্রাসার সুপার মো. রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পটকা দাখিল সিনিয়র মাদ্রাসার নামে কোনো ধরনের সরকারি বরাদ্দ আমি পায়নি। এ বিষয়ে আমার জানা নেই।’ বরাদ্দ পাননি, তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে আপনার স্বাক্ষর কীভাবে গেল—এমন প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, ‘আমার স্বাক্ষর জাল করে যারা সরকারের বরাদ্দ হাতিয়ে নিয়েছেন, আমি তাঁদের বিচার চাই।’
শ্রীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মুয়ীদুল ইসলাম বলেন, ‘মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের সুপার সব কাগজপত্র দাখিল করে রেজুলেশনের মাধ্যমে সরকারি বরাদ্দ নিয়েছেন, যার সব কাগজপত্র আমাদের অফিসে জমা রয়েছে। বরাদ্দ নিয়ে কী কারণে সুপার অস্বীকার করছেন তা বলতে পারছি না। বরাদ্দের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অবগত রয়েছেন।’
গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, এর সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
কারাগারে থাকা মুদি দোকানির বাবা মো. আব্দুর রশিদ আকন্দ বলেন, ‘দোকান থেকে চাল জব্দের পরপরই মাদ্রাসা সুপার রফিকুল ইসলামের কাছে চালের বৈধ কাগজপত্র দিতে বলি, কিন্তু তিনি তা দিতে পারেননি। এরপর আমার ছেলে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট থেকে নির্দেশনা নিয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন নিতে গেলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠান। আমার নিরপরাধ ছেলে প্রতারকদের জন্য কারাবাস করছে।’
সরকারের বরাদ্দ দেওয়া (কাবিখা) চাল প্রকল্পের কাজ শেষ না করে নিয়মবহির্ভূতভাবে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের শ্রীপুরে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এদিকে ভুয়া রেজুলেশনে চাল কিনে জেলহাজতে রয়েছেন দোকানি।
জানা গেছে, গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের স্মারক নম্বর ৪১২ এবং শ্রীপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার স্মারক নম্বর ৩৩৮-এ ওই বছরের ১০ নভেম্বর শ্রীপুরের পটকা দাখিল সিনিয়র মাদ্রাসার খেলার মাঠ ভরাটের জন্য দেড় টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। তখন প্রকল্পের কাজের জন্য মাদ্রাসার সুপার রফিকুল ইসলাম পাঁচ সদস্যের একটি প্রকল্প কমিটি গঠন করেন। কমিটির সভাপতি হন মাদ্রাসার সুপার মো. রফিকুল ইসলাম নিজে। আর মো. সোহরাব হোসেন, মো. আবুল হোসেন, মো. আবুল হাসেম ও মো. হাবিবুর রহমানকে কমিটির সদস্য বানানো হয়।
কমিটির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম গত বছরের ২৩ নভেম্বর বিলি আদেশের (ডিও লেটার) মাধ্যমে উপজেলা সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে ৫০ বস্তা চাল উত্তোলন করেন। এরপর সেদিনই তিনি সব চাল বিক্রি করে দেন। খবর পেয়ে গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বিদ্যুতের নেতৃত্বে ওই দোকানে অভিযান চালিয়ে চাল জব্দ করা হয়। অবৈধভাবে সরকারি চাল রাখার অপরাধে মুদি দোকানি মো. মাসুম আকন্দের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মো. মাসুম আকন্দ পার্শ্ববর্তী কাপাসিয়া উপজেলার খোদাদিয়া গ্রামের মো. আব্দুর রশিদ আকন্দের ছেলে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
মাদ্রাসার সুপার মো. রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পটকা দাখিল সিনিয়র মাদ্রাসার নামে কোনো ধরনের সরকারি বরাদ্দ আমি পায়নি। এ বিষয়ে আমার জানা নেই।’ বরাদ্দ পাননি, তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে আপনার স্বাক্ষর কীভাবে গেল—এমন প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, ‘আমার স্বাক্ষর জাল করে যারা সরকারের বরাদ্দ হাতিয়ে নিয়েছেন, আমি তাঁদের বিচার চাই।’
শ্রীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মুয়ীদুল ইসলাম বলেন, ‘মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের সুপার সব কাগজপত্র দাখিল করে রেজুলেশনের মাধ্যমে সরকারি বরাদ্দ নিয়েছেন, যার সব কাগজপত্র আমাদের অফিসে জমা রয়েছে। বরাদ্দ নিয়ে কী কারণে সুপার অস্বীকার করছেন তা বলতে পারছি না। বরাদ্দের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অবগত রয়েছেন।’
গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, এর সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
কারাগারে থাকা মুদি দোকানির বাবা মো. আব্দুর রশিদ আকন্দ বলেন, ‘দোকান থেকে চাল জব্দের পরপরই মাদ্রাসা সুপার রফিকুল ইসলামের কাছে চালের বৈধ কাগজপত্র দিতে বলি, কিন্তু তিনি তা দিতে পারেননি। এরপর আমার ছেলে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট থেকে নির্দেশনা নিয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন নিতে গেলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠান। আমার নিরপরাধ ছেলে প্রতারকদের জন্য কারাবাস করছে।’
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫