Ajker Patrika

আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলায় ১০ আসামি ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলায় ১০ আসামি ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে

ঢাকার আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় ১০ আসামিকে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

 ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ ওই ১০ আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। একই সঙ্গে ফের তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

গত ২০ নভেম্বর এই আসামিদের মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা সন্ত্রাস বিরোধী আইনের একটি মামলায় বিচারের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এদের সঙ্গে ছিনতাই হওয়া দুজনকেও হাজির করা হয়। পরে আসামি ছিনতাই এর ঘটনা ঘটার পর এই দশজনকে আদালতের হাজতখানায় রেখে দেওয়া হয়। 

ওই দিন সন্ধ্যার পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন বিশ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই আবু সাঈদ চৌধুরী প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ১০ দিনই মনজুর করেন। 

ফের যাদের রিমান্ডে দেওয়া হয়েছে তারা হলেন শাহিন আলম, শাহ আলম ওরফে সালাউদ্দিন বিএম মুজিবুর রহমান, সুমন হোসেন পাটোয়ারি, খাইরুল ইসলাম জামিল, মোজাম্মেল হোসেন সাইমন, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ, শেখ আব্দুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে যায়েদ, আব্দুস সবুর ও রশিদ উন নবী ভুইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল। 

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, ‘এই ১০ জনকে ১০ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু তারা রিমান্ডে বিভিন্ন প্রকার বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেন। তাদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হলেও ছিনতাই হওয়া আসামিসহ পলাতক অন্যান্য আসামিদের এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। প্রত্যেককে আরও ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। আরও অভিযান চালানো প্রয়োজন। আরও নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিযান চালানো হলে ছিনতাই হওয়া আসামি এবং পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’ 

গত ২০ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন ওরফে দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবকে ছিনিয়ে নেয় তার সহযোগীরা। এই মামলায় অপর দুই আসামি মেহেদী হাসান অমি ও ইদি আমিনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত