Ajker Patrika

রাইড শেয়ার করতে গিয়ে সব খোয়ালেন ব্যাংক কর্মকর্তা 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৩, ১১: ০১
রাইড শেয়ার করতে গিয়ে সব খোয়ালেন ব্যাংক কর্মকর্তা 

অপরিচিতদের সঙ্গে প্রাইভেট কারে যাত্রী হয়ে ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন ট্রাস্ট ব্যাংকের নরসিংদীর মাধবদী শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার সৈয়দ মো. সাইফুল ইসলাম। 

সাইফুল ইসলাম গত ৬ মার্চ খিলক্ষেতের কুড়াতলী বিআরটিসি বাস কাউন্টারের সামনে থেকে ভাড়ায় চালিত একটি সাদা প্রাইভেট কারে উঠেছিলেন। প্রাইভেট কারে আগে থেকেই তিনজন যাত্রী ছিলেন। তিনি প্রাইভেট কারে ওঠার পর কৌশলে মাঝে বসিয়ে মারধর করে সবকিছু কেড়ে নেয় চক্রটি। এ ঘটনায় ১০ মার্চ খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন সাইফুল ইসলামের ছোট ভাই সৈয়দ আজিজুল হাকিম। চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

মামলায় আজিজুল হাকিম অভিযোগ করেন, গত ৬ মার্চ সকাল ৮টা ১০ মিনিটের দিকে তাঁর ভাই সাইফুল ইসলাম নরসিংদীতে তাঁর কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য খিলক্ষেতের কুড়াতলী বিআরটিসি বাস কাউন্টারের সামনে থেকে একটি সাদা প্রাইভেট কারে ওঠেন। গাড়িটিতে আগে থেকেই তিনজন যাত্রী ছিলেন। গাড়িটি কিছু দূর যাওয়ার পর এক যাত্রী সাইফুলকে বলেন, তাঁর বমি করতে হবে, গাড়ির জানালার পাশে বসলে ভালো হয়। এই কৌশলে সাইফুলকে মাঝখানে বসিয়ে দুই ব্যক্তি গলায় চাকু ধরে হাত বেঁধে ফেলেন। এরপর তাঁকে মারধর করন এবং চোখে কালো চশমা পরিয়ে দেন। সাইফুলের পকেটে থাকা ১ হাজার ২০০ টাকা, বিকাশ অ্যাকাউন্টে থাকা ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে নেন। এরপর স্বজনদের কাছে সাইফুলের মোবাইল ফোন থেকে কল করে মুক্তিপণের জন্য ১ লাখ ৪৪ হাজার ৫০০ টাকা নেন। মোট ১ লাখ ৯১ হাজার ২০০ টাকা নিয়ে সাইফুলকে রূপগঞ্জের জলসিঁড়ি প্রজেক্টের বিপরীত পাশে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেন। 

মামলার বাদী আজিজুল হাকিম বলেন, ‘সাইফুল ইসলাম এখনো অসুস্থ। তিনি চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার পর থেকে তিনি খুবই আতঙ্কে আছেন।’ 

গত ১০ মার্চ মামলার পর খিলক্ষেত থানার পুলিশ সোমবার (২৭ মার্চ) পাঁচ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরা হলেন সাখাওয়াত হোসেন রবিন (৩৫), মো. জাহাঙ্গীর জমাদ্দার (৪৪), মো. রাজু (২৯), মো. জামাল উদ্দিন (৪১) ও মো. ইকবাল হোসেন হাওলাদার (৩৫)। 

তাঁদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেট কার, কালো চশমা, গামছা, রশি, ছিনতাই করা ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। 

খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান বলেন, ‘গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে এমন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের পর পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠালে আদালত দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে তাঁরা রিমান্ডে আছেন।’ 

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ আ. আহাদ বলেন, ‘অপরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে রাইড শেয়ার করার আগে নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। কোনো কিছু ঘটার সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত