Ajker Patrika

ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা: ডান হাত কেটে ফেলতে হতে পারে, বলছেন চিকিৎসক

ঢামেক প্রতিবেদক
ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা: ডান হাত কেটে ফেলতে হতে পারে, বলছেন চিকিৎসক

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার নান্দুরা গ্রামে ধর্ষণ ও পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার শিকার মাদ্রাসা ছাত্রীর ডান হাতের অবস্থা গুরুতর। হাতটি কেটেও ফেলতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। 

আজ সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এ কথা বলেন। 

ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘মেয়েটার অবস্থা খুবই খারাপ। তার শরীরের ২৪ শতাংশ পুড়ে গেছে। ডান হাত ও পায়ে বেশি পুড়েছে। কয়েক দিন গেলে চিকিৎসার গেলে তার সঠিক অবস্থা জানা যাবে। গতকাল রোববার তার ডান হাতে একটি অপারেশন হয়েছে।’ 

হাতের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় পোড়ার কারণে হাতে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। ডান হাত রাখা যাবে কি না বা রাখা গেলেও কাজ করতে পারবে কি না, এখনই বলা সম্ভব না।’ 

আজ বিকেলে বার্ন ইউনিটে ভর্তি ওই শিক্ষার্থীর বাবা মাসুদুর রহমানের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের জীবন শেষ করে দিয়েছে ওই আসামি সাইফুল। আমি তার ফাঁসি চাই, ফাঁসি না হলে সে জেল থেকে ছাড়া পেলে তাকে আমি মেরে ফেলব।’ এ সময় ক্ষোভে ফুঁসছিলেন মাসুদুর রহমান। 

বাবা মাসুদ আরও জানান, তাঁর পেশা রাজমিস্ত্রি। স্ত্রী গৃহিণী। তাঁর দুই মেয়ে। ভুক্তভোগী বড় মেয়ে নান্দুরা ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা আলিম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। 

মাসুদুর রহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকালে ছোট মেয়েকে নিয়ে তিনি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে যান। এ সময় তার বড় মেয়ে (১৮) বাড়িতে একা ছিল। পরদিনই তাঁদের বাড়ি ফিরে আসার কথা ছিল। শুক্রবার জুমার নামাজের পর চাচা কামরুজ্জামান বাড়িতে বড় মেয়ের খেতে যাওয়ার কথা ছিল। চাচা যেতে বললে তিনি বলেন, গোসল করে যাবেন। এমন সময় বৃষ্টি শুরু হয়। বারান্দায় বসে ছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী সাইফুল (২২) দেয়াল টপকে বাড়িতে ঢোকেন। মেয়ে তখন চিৎকার করলে গলা টিপে ধরেন সাইফুল। তখন তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় সাইফুল তাঁকে ধর্ষণ করেন। 

মাসুদুর আরও বলেন, ‘ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে সাইফুল চটের বস্তা ও কয়েকটি জামা–কাপড় মেয়ের ওপর দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। মেয়ের চিৎকারে প্রতিবেশী ও চাচা কামরুজ্জামান ছুটে এসে আগুন নিভিয়ে দ্রুত বগুড়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সবাই মিলে সাইফুলকে বেঁধে নিয়ে আসে এবং পুলিশে দেয়।’ 

মাসুদুর জানান, এক বছর আগে সাইফুল লুকিয়ে মেয়ের গোসল করতে দেখার সময় ধরা পড়েন। তখন তাঁকে ধরে বেদম মারধর করা হয়। এলাকাবাসীর মাধ্যমে বিচারও করা হয়। মাসুদুরের ধারণা, সেই ক্ষোভ থেকেই সাইফুল তাঁর মেয়ের ওপর এভাবে প্রতিশোধ নিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অরকার আক্রমণে তরুণী প্রশিক্ষকের মৃত্যু, ভাইরাল ভিডিওটি সম্পর্কে যা জানা গেল

জি এম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা ও মামলা প্রত্যাহার

ভারতকে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

প্লট–ফ্ল্যাট বরাদ্দে সচিব, এমপি, মন্ত্রী, বিচারপতিসহ যাঁদের কোটা বাতিল

জর্ডান-মিসরকে নিয়ে বৃহত্তর ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা করতে চান নেতানিয়াহু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত