Ajker Patrika

সাহিনুদ্দিন হত্যা: স্বীকারোক্তি দেওয়া আসামিদের অব্যাহতি, অভিযোগপত্র প্রত্যাখ্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাহিনুদ্দিন হত্যা: স্বীকারোক্তি দেওয়া আসামিদের অব্যাহতি, অভিযোগপত্র প্রত্যাখ্যান

রাজধানীর পল্লবীতে প্রকাশ্যে সন্তানের সামনে ব্যবসায়ী সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) দেওয়া অভিযোগপত্র প্রত্যাখ্যান করেছেন বাদী। আগামী মাসে নারাজি দেবেন তিনি। 

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নারাজি দেওয়ার জন্য সময় প্রার্থনা করেছেন বাদী। মহানগর হাকিম নুরুল হুদা চৌধুরী আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৮ মার্চ দিন ধার্য করেন। 

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এমএ আউয়ালসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন অন্য যাদের আসামি করেছেন তাঁরা হলেন—সুমন ব্যাপারী, টিটু, কিবরিয়া, মুরাদ হোসেন, আবু তাহের, ইব্রাহিম সুমন, রকি তালুকদার, শফিকুল ইসলাম, তুহিন মিয়া, হারুন অর রশীদ, তারিকুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ, হাসান ও ইকবাল হোসেন। সুমন ও শফিকুল ছাড়া বাকি ১৩ আসামি কারাগারে। তাদের মধ্যে নয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। 

আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদনে বাদী উল্লেখ করেছেন, প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। হত্যাকারীদের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়। বেশ কয়েকজন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন। অথচ তদন্ত কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া কয়েকজনসহ এজাহারনামীয় কয়েকজন আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেছেন। বাদী এ কারণে মামলার অভিযোগপত্র প্রত্যাখ্যান করেছেন। 

গত বছর ১৬ মে বিকেলে জমির বিরোধের মীমাংসার কথা বলে সাহিনুদ্দিনকে পল্লবী থানার ডি-ব্লকের একটি গ্যারেজের ভেতর নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সময় সাহিনুদ্দিনের শিশুসন্তান সেখানেই উপস্থিত ছিল। পরে নিহতের মা আকলিমা বেগম গত ১৭ মে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করেন। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৬ মে বিকেল ৪টার দিকে সুমন ও টিটু নামের দুই যুবক সাহিনুদ্দিনকে জমির বিরোধ মেটানো হবে জানিয়ে ফোন করে ডেকে নেন। শাহীন মোটরসাইকেলে পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে গেলে, সুমন ও টিটুসহ ১৪-১৫ জন মিলে তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে ওই বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে যান। এ সময় শাহীনের ছয় বছরের ছেলে মাশরাফি গেটের বাইরে ছিল। গ্যারেজে ঢুকিয়ে শাহীনকে চাপাতি, চায়নিজ কুড়াল, রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন তারা। এরপর তাকে ওই গ্যারেজ থেকে বের করে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে আবার কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যান। ঘটনাস্থলেই শাহীনের মৃত্যু হয়। 

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, পল্লবীর সেকশন-১২ বুড়িরটেকের আলীনগর আবাসিক এলাকার হ্যাভেলি প্রোপার্টিজ ডেভেলপার লিমিটেডের এমডি আউয়ালের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাড়া করা স্থানীয় সন্ত্রাসীরা সাহিনুদ্দিনকে হত্যা করেছে। আনুমানিক ৫ কোটি টাকা মূল্যের ১০ একর জমি জবরদখলে বাধা দেওয়ায় তাঁকে খুন করা হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চাকরির নামে মিরপুর-শেওড়াপাড়ায় বাসায় ডেকে নারীর সঙ্গে ভিডিও ধারণের পর টাকা হাতিয়ে নিত ‘হানি ট্র্যাপ’ চক্র

তথ্য যাচাইয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করবেন—ইউটিউব চ্যানেলে সিইসির বার্তা

দুস্থদের ৩৪ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা মোহনগঞ্জ সমাজসেবা কর্মকর্তা

ফরিদপুরে চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে সেবা বন্ধের ঘোষণা

দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ছাত্রদলের বহিষ্কৃত ২ নেতাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত