নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাহালমকে আবু সালেক হিসেবে চিহ্নিত করার যে ভুলটি হয়েছে তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কারণেই ঘটেছে। আর তাঁদের ভুল পথে চালিত করতে সহায়তা করেছে ব্র্যাক ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংকের কর্মকর্তা এবং অ্যাকাউন্টের ভুয়া ব্যক্তিকে পরিচয়দানকারীরা।
তবে সত্য উদ্ঘাটন করে আদালতের কাছে তা উপস্থাপন করাটাই তদন্তকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তা বা অন্য কারও ওপর এই দায়িত্ব অর্পণ করার কোনো সুযোগ নেই। আসামি না হয়েও তিন বছর কারাবাস করা জাহালমের রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ওই রায় দেন। সম্প্রতি ওই রায়ের ৮৬ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। রায় পাওয়ার এক মাসের মধ্যে জাহালমকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৫ লাখ পরিশোধ করতে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আর টাকা পরিশোধ সংক্রান্ত প্রতিবেদন এক সপ্তাহের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে আদালতকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, জাহালম তাঁর জায়গায় ঠিক ছিলেন। ভুলের কারণে তিনি তিন বছর কারাবরণ করেছেন, চাকরি হারিয়েছেন। তাঁর পরিবার ভুক্তভোগী হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন একটি জাতীয় স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। আইন অনুযায়ী দুর্নীতি প্রতিরোধে যে কোনো মামলা বা ব্যক্তির বিষয়ে তদন্তের ক্ষেত্রে তাদের নীতিমালা থাকা দরকার এবং ভবিষ্যতে তাদের আরও সতর্ক থাকা দরকার।
আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তাদের এটা লক্ষ্য করা উচিত ছিল যে, প্রথমে কিন্তু ব্যাংক কর্মকর্তারা কিংবা অ্যাকাউন্টের শনাক্তকারীরা আবু সালেককে শনাক্ত করতে কিংবা তাঁকে খুঁজে বের করতে তৎপর হয়নি। যখন তিনটি মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয় এবং সেখানে ব্যাংক কর্মকর্তাদের আসামি করা হয় তখন তাঁরা বুঝতে পারেন যে, মূল আসামি আবু সালেককে খুঁজে বের করে দিতে না পারলে তাঁরা নিশ্চিতভাবেই বাকি মামলাগুলোতে আসামি হয়ে যাবে। তখন তাঁরা যেভাবেই হোক আবু সালেককে খুঁজে বের করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন।
আদালত পর্যবেক্ষণে আরও বলেন, যে কাজটি তদন্তকারী কর্মকর্তাদের করা উচিত ছিল সে কাজটি করতে মাঠে নেমে পড়েন ব্যাংক কর্মকর্তারা। তাঁরা যেনতেন প্রকারে একজন আবু সালেককে (জাহালম) দুদকের সামনে হাজির করে ও তাঁকে আবু সালেক রূপে শনাক্ত করেন। ব্যাংক কর্মকর্তারা নিজেদের বাঁচাতে যে কোনো ব্যক্তিকে আবু সালেক হিসেবে শনাক্ত করতে পারেন— এই সম্ভাবনাটাই তদন্তকারী কর্মকর্তারা ভেবে দেখেননি। তদারককারীও আইওদের এ বিষয়ে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই ৩৩টি মামলার আইওরা সঠিকভাবে মামলার তদন্ত করেননি। প্রত্যেকেই একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন।
সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১২ সালে ৩৩টি মামলা করে দুদক। ওই মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাদের ভুলে সালেকের বদলে গ্রেপ্তার করা হয় টাঙ্গাইলের জাহালমকে। তাঁকে ‘আবু সালেক’ হিসেবে শনাক্ত করেছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা। পরে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের নির্দেশে কারাগার থেকে মুক্তি মেলে জাহালমের।
জাহালমকে আবু সালেক হিসেবে চিহ্নিত করার যে ভুলটি হয়েছে তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কারণেই ঘটেছে। আর তাঁদের ভুল পথে চালিত করতে সহায়তা করেছে ব্র্যাক ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংকের কর্মকর্তা এবং অ্যাকাউন্টের ভুয়া ব্যক্তিকে পরিচয়দানকারীরা।
তবে সত্য উদ্ঘাটন করে আদালতের কাছে তা উপস্থাপন করাটাই তদন্তকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তা বা অন্য কারও ওপর এই দায়িত্ব অর্পণ করার কোনো সুযোগ নেই। আসামি না হয়েও তিন বছর কারাবাস করা জাহালমের রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ওই রায় দেন। সম্প্রতি ওই রায়ের ৮৬ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। রায় পাওয়ার এক মাসের মধ্যে জাহালমকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৫ লাখ পরিশোধ করতে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আর টাকা পরিশোধ সংক্রান্ত প্রতিবেদন এক সপ্তাহের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে আদালতকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, জাহালম তাঁর জায়গায় ঠিক ছিলেন। ভুলের কারণে তিনি তিন বছর কারাবরণ করেছেন, চাকরি হারিয়েছেন। তাঁর পরিবার ভুক্তভোগী হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন একটি জাতীয় স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। আইন অনুযায়ী দুর্নীতি প্রতিরোধে যে কোনো মামলা বা ব্যক্তির বিষয়ে তদন্তের ক্ষেত্রে তাদের নীতিমালা থাকা দরকার এবং ভবিষ্যতে তাদের আরও সতর্ক থাকা দরকার।
আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তাদের এটা লক্ষ্য করা উচিত ছিল যে, প্রথমে কিন্তু ব্যাংক কর্মকর্তারা কিংবা অ্যাকাউন্টের শনাক্তকারীরা আবু সালেককে শনাক্ত করতে কিংবা তাঁকে খুঁজে বের করতে তৎপর হয়নি। যখন তিনটি মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয় এবং সেখানে ব্যাংক কর্মকর্তাদের আসামি করা হয় তখন তাঁরা বুঝতে পারেন যে, মূল আসামি আবু সালেককে খুঁজে বের করে দিতে না পারলে তাঁরা নিশ্চিতভাবেই বাকি মামলাগুলোতে আসামি হয়ে যাবে। তখন তাঁরা যেভাবেই হোক আবু সালেককে খুঁজে বের করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন।
আদালত পর্যবেক্ষণে আরও বলেন, যে কাজটি তদন্তকারী কর্মকর্তাদের করা উচিত ছিল সে কাজটি করতে মাঠে নেমে পড়েন ব্যাংক কর্মকর্তারা। তাঁরা যেনতেন প্রকারে একজন আবু সালেককে (জাহালম) দুদকের সামনে হাজির করে ও তাঁকে আবু সালেক রূপে শনাক্ত করেন। ব্যাংক কর্মকর্তারা নিজেদের বাঁচাতে যে কোনো ব্যক্তিকে আবু সালেক হিসেবে শনাক্ত করতে পারেন— এই সম্ভাবনাটাই তদন্তকারী কর্মকর্তারা ভেবে দেখেননি। তদারককারীও আইওদের এ বিষয়ে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই ৩৩টি মামলার আইওরা সঠিকভাবে মামলার তদন্ত করেননি। প্রত্যেকেই একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন।
সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১২ সালে ৩৩টি মামলা করে দুদক। ওই মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাদের ভুলে সালেকের বদলে গ্রেপ্তার করা হয় টাঙ্গাইলের জাহালমকে। তাঁকে ‘আবু সালেক’ হিসেবে শনাক্ত করেছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা। পরে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের নির্দেশে কারাগার থেকে মুক্তি মেলে জাহালমের।
মেয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে ঘুম থেকে তুলে ধর্ষণ করেন বাবা। ৮ বছর আগের ওই ঘটনায় মামলা হয়েছিল। ওই ঘটনার আগেও আসামি একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে যায়। ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল।
২ দিন আগেমুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে ডাকাতদের হামলার ঘটনায় ডাকাত দলের প্রধান রিপনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা ও গাজীপুর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৬ দিন আগেনরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫