Ajker Patrika

অপরাধীদের কাছে অবৈধ ওয়াকিটকি বিক্রি, গ্রেপ্তার ২ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অপরাধীদের কাছে অবৈধ ওয়াকিটকি বিক্রি, গ্রেপ্তার ২ 

আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে অবৈধ ওয়াকিটকি সেট মজুত-বিক্রি করে আসছিল একটি চক্র। অবৈধভাবে বিক্রির ফলে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে আসছিল দেশ। গত রোববার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকা থেকে এই অপরাধে চক্রের মূল হোতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—অলেফিল ট্রেড করপোরেশন নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক ও চক্রের মূল হোতা মো. আব্দুল্লাহ আল সাব্বির (৩৩) ও সহযোগী মো. আল মামুন (২৭)। এ সময় ১৬৮টি ওয়াকিটকি সেট, ওয়াকিটকি সেটের ব্যাটারি ৩৫টি, চার্জার ৩২টি, অ্যানটেনা ৬৩টি, মাউথ স্পিকার ৬টি এবং ব্যাক ক্লিপ ৬টি জব্দ করা হয়। 

সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের সাধারণ মানুষ ওয়াকিটকি বহনকারী ব্যক্তিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওয়াকিটকি সেট ব্যবহার করে অপরাধীরা ভুয়া ডিবি, র‍্যাব সদস্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়সহ নানা অপরাধ করে আসছিল একটি চক্র। এতে একদিকে যেমন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে, অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রকৃত সদস্যদের ভুয়া ভেবে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ জানান, আসামিরা তাদের অলেফিল ট্রেড করপোরেশন নামক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজের মাধ্যমে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ওয়াকিটকি সেট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রয় করে আসছিল। কিন্তু আসামিরা ওয়াকিটকি সেট ব্যবহার সংক্রান্ত লাইসেন্স ও কারিগরি গ্রহণযোগ্যতা সংক্রান্ত সনদ বা কোনো ধরনের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এ ছাড়া আসামিরা অপরাধীদের নিকট ওয়াকিটকি সেট বিক্রয় করেছে কি না এই বিষয়ে কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি। 

লে. কর্নেল আরিফ বলেন, ‘আসামি আল সাব্বির ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক। সে দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ অবৈধভাবে ওয়াকিটকি সামগ্রী মজুত রেখে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রয় করে আসছিল। সহযোগী আল মামুন ২ বছর যাবৎ তার সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। এ পর্যন্ত তারা দুই হাজার ওয়াকিটকি বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে অবৈধভাবে বিক্রয় করেছে।’ 

ওয়াকিটকি সেট ব্যবহার সংক্রান্ত লাইসেন্স ও কারিগরি গ্রহণযোগ্যতা সংক্রান্ত সনদ ব্যতীত পরস্পর যোগসাজশে ওয়াকিটকি সেট ব্যবহার করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ (সংশোধনী/ ২০১০) এর ৫৫ (৭) / ৫৭ (৩) / ৭৪ ধারার অপরাধ করায় আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান তিনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত