Ajker Patrika

আদালত চত্বর থেকে জঙ্গি ছিনতাই: মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১৪ জুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ মে ২০২৩, ১৪: ৫১
আদালত চত্বর থেকে জঙ্গি ছিনতাই: মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১৪ জুন

ঢাকার আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলার তদন্তের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৪ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ সোমবার  ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এই দিন ধার্য করেন।
আজ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।

গত বছর ২০ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনার পর রাতে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এস আই জুলহাস উদ্দিন আকন্দ এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছিনতাই হওয়া দুই আসামিসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২১ জনকে আসামি করা হয়।

ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলার শুনানি শেষে কারাগারে থাকা ১২ জন আসামিকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে দুজনকে ছিনিয়ে নেয় সহযোগীরা। মামলায় ওই ১২ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলায় জামিনপ্রাপ্ত দুজনকেও আসামি করা হয়। এ ছাড়া পলাতক আরও ৬ জনকে আসামি করা হয়।

যাঁদেরকে আসামি করা হয়েছে তাঁরা হলেন শাহিন আলম, শাহ আলম ওরফে সালাউদ্দিন, বিএম মুজিবুর রহমান, সুমন হোসেন পাটোয়ারী, খাইরুল ইসলাম জামিল, মইনুল হাসান শামীম, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হোসেন সাইমন, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ, শেখ আব্দুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে যায়েদ, আব্দুস সবুর, রশিদ উন নবী ভুইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল, ইদি আমিন, মেহেদী হাসান অমি, সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হাসান ওরফে মেজর জিয়া ওরফে বড় ভাই, আয়মান, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে কনিক, তানভীর ওরফে শামসেদ মিয়া, রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ও ওমর ফারুক ওরফে নোমান।

মামলায় বলা হয়, প্রথম ১২ জন আসামিকে কারাগার থেকে সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছিল। তাঁরা প্রত্যেকে দুর্ধর্ষ জঙ্গি মেজর জিয়া ও অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। তাঁদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে দুই আসামি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। মোহাম্মদপুর থানার মামলায় জামিনপ্রাপ্ত আসামি ইদি আমিন ও মেহেদী হাসান ট্রাইব্যুনালে বসেই এই পরিকল্পনা সফল করার প্রস্তুতি নেন। ট্রাইব্যুনালে হাজিরা দিয়ে তাঁরা আগে আগে বের হয়ে আসেন এবং অন্যান্য জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হামলার পরিকল্পনা সফল করার দায়িত্ব পালন করেন।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিরা পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। চারজন পুলিশকে চোখে স্প্রে করে এবং দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবকে ছিনিয়ে নেয়। ওই দুই জঙ্গিকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত