Ajker Patrika

মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুকে হত্যা, আসামির মৃত্যুদণ্ড 

চাঁদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯: ৪৭
মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুকে হত্যা, আসামির মৃত্যুদণ্ড 

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় অপহরণের পর মুক্তিপণের ১০ লাখ টাকা না পেয়ে শিশু হত্যার ঘটনায় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার আসামি মো. শাহজালাল হোসেন সোহাগকে (২৬) পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাস সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এ ছাড়া দণ্ডবিধি ২০১ ধারায় তাঁকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।

আজ সোমবার দুপুরে মামলার রায় দেন চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী।

এ ঘটনায় নিহত শিশুর নাম নাবিল রহমান ইমন (৬)। সে উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের মদনের গাঁও গ্রামের মুন্সীবাড়ির মো. মিজানুর রহমানের ছেলে এবং স্থানীয় চান্দ্রা বাজার শিশু-কিশোর একাডেমির প্লে গ্রুপের ছাত্র ছিল।

অন্যদিকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. শাহজালাল হোসেন সোহাগ একই ইউনিয়নের খাড়খাদিয়া গ্রামের মো. শাহজাহান মেকারের ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর দুপুরে শিশু নাবিল স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরার পথে আসামি সোহাগ অপহরণ করে চান্দ্রা বাজারে তাঁর দোকানে নিয়ে যান। দোকানে একটি কক্ষে শিশুকে আটকে রাখেন এবং মোবাইল ফোনে শিশুর মায়ের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে ওই দিনই তাঁকে গলায় প্লাস্টিক পেঁচিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে শিশুটিকে কাগজের কার্টনে ঢুকিয়ে বাজারের গলির ময়লার ডাস্টবিনে লুকিয়ে রাখেন।

শিশুকে খুঁজে না পেয়ে ওই দিনই শিশুর বাবা মিজানুর রহমান ফরিদগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এরপর ২ অক্টোবর বাজারের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ডাস্টবিনে শিশু নাবিলের মরদেহ কার্টন থেকে উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

এরপর মুক্তিপণের টাকা দাবি করা মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে আসামি সোহাগকে ১৩ অক্টোবর গ্রেপ্তার করে ফরিদগঞ্জ থানা-পুলিশ। আসামির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের আলামত উদ্ধার করে পুলিশ। ফরিদগঞ্জ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আখতার হোসেন ঘটনাটি তদন্ত করে ওই বছর ২ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সাইয়েদুল ইসলাম বাবু জানান, মামলাটি দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর চলাকালীন ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। সাক্ষ্যপ্রমাণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে এই রায় দেন আদালত। তবে আসামি জামিনের পর পলাতক রয়েছেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে এই রায় দেন বিচারক।

আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মালয়েশিয়ায় স্থায়ী বসবাসের সুযোগ, আবেদন ফি মাত্র ১৪ হাজার টাকা

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় মিলেছে

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাইরান কাজীর বিষয়ে ইলন মাস্কের মন্তব্যে বিস্ময়

অমীমাংসিত বিষয় সমাধানে পাকিস্তানের দাবি নাকচ করল সরকার

১৫ বছর যাদের জন্য লড়াই করলাম, তারা এখন আমাকে ধাক্কা দেয়: রুমিন ফারহানা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত