Ajker Patrika

মুহিবুল্লাহকে হত্যার জন্য ফতোয়া দেওয়া আরসার ওলামা কাউন্সিলের প্রধান গ্রেপ্তার

উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি  
আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২২, ১৪: ৩৯
মুহিবুল্লাহকে হত্যার জন্য ফতোয়া দেওয়া আরসার ওলামা কাউন্সিলের প্রধান গ্রেপ্তার

রোহিঙ্গাদের প্রথম সারির নেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহকে হত্যার জন্য ফতোয়া দেওয়া মৌলভি জকোরিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন (এপিবিএন)। তিনি রোহিঙ্গাদের কথিত উগ্রপন্থী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (আরসা) ওলামা কাউন্সিলের প্রধান। 

আজ রোববার দুপুরে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক নাঈমুল হক। 

এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে উখিয়ার কুতুপালংস্থ লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জকোরিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১-ইস্ট, ব্লক ডি/৮-এর বাসিন্দা আব্দুল করিমের ছেলে, যার এফসিএন নম্বর ১৪৭৯৬৭।

অধিনায়ক নাঈমুল হক বলেন, ‘মৌলভি জকোরিয়ার সঙ্গে নিহত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর মতবিরোধ ছিল। মুহিবুল্লাহকে হত্যার ফতোয়া দিয়ে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের পর জকোরিয়া আত্মগোপনে চলে যান। দীর্ঘ চার মাসের প্রচেষ্টায় আমরা তাঁকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।’

তাঁকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিরতা তৈরির মদদদাতাদের একজন শীর্ষ পরামর্শক হিসেবে বিবেচনা করা হয় বলে জানান নাঈম। তিনি বলেন, পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের জন্য আটক জকোরিয়াকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের মংডু জেলার বাসিন্দা মৌলভি মোহাম্মদ জকোরিয়া ২০১৫ সালে বাংলাদেশে এলেও পরে মিয়ানমারে ফিরে যান। ২০১৭ সালের আগস্টে নতুন করে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিলে জকোরিয়াও ফিরে এসে লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্র‍য় নেন।

২০১৯ সালে তাঁকে নিজেদের ফতোয়া বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব দেয় আরসা। এরপর ২০২০ সাল থেকে আরসার ধর্মীয় শাখা ওলামা কাউন্সিলের কুতুপালং এলাকার প্রধান কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন জকোরিয়া।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরসার সাবেক এক সদস্য জানান, জকোরিয়ার সঙ্গে সরাসরি আরসাপ্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির যোগাযোগ ছিল। তাঁর নির্দেশনায় ওলামা কাউন্সিল পরিচালনা করতেন জকোরিয়া।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট-ওয়েস্ট (ডি ব্লকে) নিজের সংগঠন ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউম্যান রাইটস’ এর অফিসে অবস্থানের সময় মুহিবুল্লাহকে বন্দুকধারীরা গুলি করে হত‌্যা করে। 

পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ। এ মামলায় এখন পর্যন্ত সরাসরি মুহিবুল্লাহ কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া আজিজুল হকসহ জড়িত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ১৪ এপিবিএন। যাদের চারজন এরই মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিলেটের ডিসি হলেন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শাস্তি পাওয়া সারওয়ার আলম

শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাত্রদল নেতার পোস্ট, শোকজ পেয়ে নিলেন অব্যাহতি

আলাস্কা বৈঠকে পুতিনের দেহরক্ষীর হাতে ‘মলমূত্রবাহী স্যুটকেস’ কেন

অপারেশন সিঁদুরে নিহত প্রায় দেড় শ সেনার তালিকা প্রকাশ করে মুছে ফেলল পাকিস্তানি টিভি

ঢাবিতে পাঁচ প্যানেলে ভোটের যুদ্ধ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত