প্রতিনিধি, বান্দরবান
বান্দরবানে অনেক দিন সন্ত্রাসীদের তৎপরতা তেমন ছিল না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে জেলার রুমা ও থানচি উপজেলায় সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বেড়ে গেছে। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্বনিষ্ঠা ও জোর তৎপরতার কারণে সন্ত্রাসীদের নানা চেষ্টা ভন্ডুল করে দিয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
এরই অংশ হিসেবে গত এক সপ্তাহে পৃথক তিনটি অভিযানে সন্ত্রাসীদের ৪৪টি মর্টার শেল ও দুটি রকেট লাঞ্চার উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। এর মধ্যে রুমায় ১২টি মর্টার শেল উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। অন্যদিকে দুই দফায় অভিযান চালিয়ে ৩২টি মর্টার শেল ও দুটি রকেট লাঞ্চার উদ্ধার করে বিজিবি।
বান্দরবান রিজিয়ন (৬৯ পদাতিক ব্রিগেড) সূত্রে জানা যায়, গত ২২ আগস্ট দিবাগত রাতে সেনাবাহিনীর রুমা জোনের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৮২ মিলিমিটার বিশিষ্ট ১২টি মর্টার শেল উদ্ধার করে। রুমা জোনের সদস্যরা উপজেলা সদর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে গালেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের কাছাকাছি এলাকায় অভিযান চালিয়ে মর্টার শেলগুলো উদ্ধার করা হয়।
এ দিকে গত ১৯ আগস্ট বিজিবি এর বলিপাড়া ৩৮ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লে. কর্নেল আশরাফ উল আলম এর নেতৃত্বে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৯টি মর্টার শেল উদ্ধার করে। বিজিবি সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গ্যালেঙ্গা এলাকায় মাটিতে পুতে রাখা অবস্থা থেকে এসব মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট রাতে বলিপাড়া বিজিবি জোনের অধিনায়কের নেতৃত্বে অপর একটি অভিযানে ৩টি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মর্টার শেল ও ২টি রকেট লাঞ্চার উদ্ধার করে। এসব মর্টার শেল ও রকেট লাঞ্চারও মাটিতে পুতে রাখা হয়েছিল। পরদিন ১৮ আগস্ট বিজিবি সদস্যরা থানচির তিন্দুর দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে বোম নিষ্ক্রিয়করণ দলের মাধ্যমে এগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, নিরাপত্তা বাহিনী ধারণ করছে সন্ত্রাসীরা বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড চালানোর লক্ষ্যে অবস্থান নেয়। এ সময় তাঁরা এসব মর্টার শেল ও রকেট লাঞ্চার মজুদ করে। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতার কারণে সন্ত্রাসীরা এসব মর্টার শেল মাটির নিচে পুতে রেখে পালিয়ে যায়।
বলিপাড়া ৩৮ বিজিবি জোন কমান্ডার লে. কর্নেল খন্দকার মুহাম্মদ শরীফ-উল আলম সাংবাদিকদের বলেন, পাহাড়ে এখনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম রয়েছে। তাঁরা এলাকার জনমনে ভীতি সৃষ্টির জন্য হয়তো এসব মর্টার শেল মজুত করেছে। তবে নিরাপত্তা বাহিনী বান্দরবানে সব সময় সক্রিয় ও যে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নির্মূলে বদ্ধপরিকর। এরই অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে এসব মর্টার শেল উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয় করা হয়।
তিনি বলেন, এসব মর্টার শেল উদ্ধার করতে না পারলে ওই সব এলাকায় বসবাসরত স্থানীয়দের বড় ধরনে দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। এসব উদ্ধার করায় ক্ষয়ক্ষতি থেকে লোকজন রক্ষা পেয়েছে।
এই সেনা কর্মকর্তা সাংবাদিকদের আরও বলেন, পাহাড়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধিসহ ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তবে সন্ত্রাসীদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড ও মর্টার শেল উদ্ধারের খবরে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে উদ্বেগ বিরাজ করছে।
বান্দরবানে অনেক দিন সন্ত্রাসীদের তৎপরতা তেমন ছিল না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে জেলার রুমা ও থানচি উপজেলায় সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বেড়ে গেছে। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্বনিষ্ঠা ও জোর তৎপরতার কারণে সন্ত্রাসীদের নানা চেষ্টা ভন্ডুল করে দিয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
এরই অংশ হিসেবে গত এক সপ্তাহে পৃথক তিনটি অভিযানে সন্ত্রাসীদের ৪৪টি মর্টার শেল ও দুটি রকেট লাঞ্চার উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। এর মধ্যে রুমায় ১২টি মর্টার শেল উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। অন্যদিকে দুই দফায় অভিযান চালিয়ে ৩২টি মর্টার শেল ও দুটি রকেট লাঞ্চার উদ্ধার করে বিজিবি।
বান্দরবান রিজিয়ন (৬৯ পদাতিক ব্রিগেড) সূত্রে জানা যায়, গত ২২ আগস্ট দিবাগত রাতে সেনাবাহিনীর রুমা জোনের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৮২ মিলিমিটার বিশিষ্ট ১২টি মর্টার শেল উদ্ধার করে। রুমা জোনের সদস্যরা উপজেলা সদর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে গালেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের কাছাকাছি এলাকায় অভিযান চালিয়ে মর্টার শেলগুলো উদ্ধার করা হয়।
এ দিকে গত ১৯ আগস্ট বিজিবি এর বলিপাড়া ৩৮ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লে. কর্নেল আশরাফ উল আলম এর নেতৃত্বে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৯টি মর্টার শেল উদ্ধার করে। বিজিবি সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গ্যালেঙ্গা এলাকায় মাটিতে পুতে রাখা অবস্থা থেকে এসব মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট রাতে বলিপাড়া বিজিবি জোনের অধিনায়কের নেতৃত্বে অপর একটি অভিযানে ৩টি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মর্টার শেল ও ২টি রকেট লাঞ্চার উদ্ধার করে। এসব মর্টার শেল ও রকেট লাঞ্চারও মাটিতে পুতে রাখা হয়েছিল। পরদিন ১৮ আগস্ট বিজিবি সদস্যরা থানচির তিন্দুর দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে বোম নিষ্ক্রিয়করণ দলের মাধ্যমে এগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, নিরাপত্তা বাহিনী ধারণ করছে সন্ত্রাসীরা বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড চালানোর লক্ষ্যে অবস্থান নেয়। এ সময় তাঁরা এসব মর্টার শেল ও রকেট লাঞ্চার মজুদ করে। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতার কারণে সন্ত্রাসীরা এসব মর্টার শেল মাটির নিচে পুতে রেখে পালিয়ে যায়।
বলিপাড়া ৩৮ বিজিবি জোন কমান্ডার লে. কর্নেল খন্দকার মুহাম্মদ শরীফ-উল আলম সাংবাদিকদের বলেন, পাহাড়ে এখনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম রয়েছে। তাঁরা এলাকার জনমনে ভীতি সৃষ্টির জন্য হয়তো এসব মর্টার শেল মজুত করেছে। তবে নিরাপত্তা বাহিনী বান্দরবানে সব সময় সক্রিয় ও যে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নির্মূলে বদ্ধপরিকর। এরই অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে এসব মর্টার শেল উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয় করা হয়।
তিনি বলেন, এসব মর্টার শেল উদ্ধার করতে না পারলে ওই সব এলাকায় বসবাসরত স্থানীয়দের বড় ধরনে দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। এসব উদ্ধার করায় ক্ষয়ক্ষতি থেকে লোকজন রক্ষা পেয়েছে।
এই সেনা কর্মকর্তা সাংবাদিকদের আরও বলেন, পাহাড়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধিসহ ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তবে সন্ত্রাসীদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড ও মর্টার শেল উদ্ধারের খবরে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে উদ্বেগ বিরাজ করছে।
রাজধানীর মিরপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইমরান খান সাকিব ওরফে শাকিল (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ। ডিএমপি জানায়, শাকিল পেশাদার ছিনতাইকারী। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে গাজীপুরের পুবাইল থানার কুদাব পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়...
১২ দিন আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলায় ‘আপন কফি হাউসে’ তরুণীকে মারধরের ঘটনায় কফি হাউসের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আল আমিন ও কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান এ আদেশ দেন।
১৫ দিন আগেক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ল অমানবিক দৃশ্য— মেয়েটিকে বেশ কিছুক্ষণ ধমকানো হলো। এরপর ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। সে যেন মানুষ নয়, পথের ধুলো। এর মধ্যেই এক কর্মচারী হঠাৎ মোটা লাঠি নিয়ে আঘাত করে তাঁর ছোট্ট পায়ে। শিশুটি কাতরাতে কাতরাতে পাশের দুটি গাড়ির ফাঁকে আশ্রয় নেয়। কিন্তু নির্যাতন থামে না, সেই লাঠি আব
১৬ দিন আগেটিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন। তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপরাধকে লঘু করার কোনো...
১৬ মার্চ ২০২৫