Ajker Patrika

‘কুত্তা কালাম’ বলায় ৬ জনকে কামড়ে জখম!

পটুয়াখালী ও দুমকি প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২২, ১৩: ০৮
‘কুত্তা কালাম’ বলায় ৬ জনকে কামড়ে জখম!

জমিজমা নিয়ে অনেক দিনের বিরোধ। সেই বিরোধের জেরে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে ‘কুত্তা কালাম’ বলে গালি দেওয়ায় প্রতিপক্ষের ছয়জনকে কামড়ে দিয়েছেন কালাম সর্দার নামে এক ব্যক্তি।

ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ঝাঁটরা গ্রামে।

ঘটনার পর তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আর কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার নুরুল মোমিন। এ ঘটনায় দুমকি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। 

আহত ব্যক্তিরা হলেন পশ্চিম ঝাঁটরা গ্রামের সত্তার শিকদারের স্ত্রী মাসুদা বেগম (৫০), মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (২০), ছেলে আল-আমিনের ছয় মাসের শিশুপুত্র রাইয়ান, সাইদুল শিকদারের ছেলে শাকিল (১৪), আনোয়ার শিকদারের স্ত্রী লাভলী (২৭) ও সুলতান শিকদারের ভাগনে কাজল হোসেনের মেয়ে তাসমিম (১২)। 

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন— একই এলাকার কাদের সরদারের ছেলে মো. কালাম সর্দার (৫০), তাঁর স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৪৫), মেয়ে সীমা বেগম (৩০), সুখী বেগম (২০), ছোট জামাই মো. মাইদুল ইসলাম (৩০), সালাম সরদার (৬০), তাঁর স্ত্রী হাসিনা বেগম (৫০), মেয়ে মানসুরা বেগম (২২) ও মনি আক্তার (১৫)। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালাম সর্দার ও আনোয়ার শিকদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। শুক্রবার বিকেলে কালাম সর্দার বাড়ির পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষের ১০ বছরের একটি ছেলে কালাম সর্দারকে ‘কুত্তা কালাম’ বলে ডাক দেয়। কালাম সর্দার এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর স্ত্রী-সন্তানসহ লোকজন নিয়ে প্রতিপক্ষ আনোয়ার শিকদার ও সত্তার শিকদারের বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর চালান। প্রতিবেশী আরও কয়েকটি পরিবার মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। ধস্তাধস্তি ও মারামারি শুরু হয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে একে অপরের মধ্যে কামড়া-কামড়ি করে ছুটে যায়। 

আনোয়ার শিকদারের স্ত্রী লাভলী বেগম বলেন, ‘আমাদের পাশের বাড়ির একটা ছেলে তাঁকে (কালাম সর্দার) কুত্তা কালাম বলে ডাক দিলে সে ক্ষিপ্ত হয়। তাঁর ধারণা আমরা ওই ছেলেকে দিয়ে তাঁকে (কালাম) কুত্তা বলে ডাকা শিখিয়ে দিয়েছি। তাই আমাদের বসতঘর ভাঙচুরসহ আমাদের ছয়জনকে কামড়ে আহত করেছে।’ 

তবে কালাম সর্দারের ভাতিজি মানসুরা আক্তার কামড় দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলছে। দুপক্ষেই মারামারি হয়েছে। কামড়ের বিষয়টি বানোয়াট। কিছুদিন আগে আমার বাবা ও কাকাকে ওরা সন্ত্রাসী দিয়ে মেরেছে এবং আমাদের জমি দখল করে নিয়েছে।’ 

দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার নুরুল মোমিন বলেন, ‘আসলে এটি জমিজমা বিরোধ। ধস্তাধস্তি ও মারামারির একপর্যায়ে ছুটে যেতে একে অপরকে কামড় দিয়ে ছুটে গেছে। এ ঘটনায় কামড়ে আহত হয়ে উভয় পক্ষের তিনজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আহত অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’ 

দুমকি থানার ওসি তদন্ত মো. মাহাবুব আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় সত্তার শিকদার আটজনের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত