Ajker Patrika

পণ্য ছাড়ে অনিয়ম: দুদকের মামলায় আসামি আমদানি-রপ্তানি ও কাস্টমস কর্মকর্তাসহ ৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ জুন ২০২৩, ২২: ০২
পণ্য ছাড়ে অনিয়ম: দুদকের মামলায় আসামি আমদানি-রপ্তানি ও কাস্টমস কর্মকর্তাসহ ৭

আমদানি-নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা, আত্মসাৎ ও পণ্য ছাড়ে অনিয়মের অভিযোগে আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের নিয়ন্ত্রকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

আজ সোমবার সংস্থাটির ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থার উপপরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত বাদী হয়ে মামলাটি করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিউল্লাহ আদনান আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

শফিউল্লাহ আদনান জানান, মামলায় আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের নিয়ন্ত্রক মো. আওলাদ হোসেন ছাড়াও ঢাকা কাস্টম হাউসের কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে। 

মামলার অন্য আসামিরা হলেন ঢাকা কাস্টম হাউসের সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা আ. রউফ সরকার ও মো. হারুন-অর-রশীদ, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সহকারী নিয়ন্ত্রক মো. মামুন ইফতেখার রহমান ও মোছা. ফাতেমা খাতুন, উপনিয়ন্ত্রক মনিরুজ্জামান খান এবং আমদানিকারক মামুন হাওলাদার। 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে যাত্রী মামুন হাওলাদারকে দিয়ে আমদানি-নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করেন। তাঁরা অবৈধভাবে আনা মেমোরি কার্ডের ইনভয়েস গোপন করে অতি অল্প সময়ে ২ লাখ ১০ হাজার পিস মেমোরি কার্ড গণনা ছাড়াই গণনা দেখিয়ে খালাসযোগ্য হিসেবে প্রত্যয়ন করেন। 

এজাহারে আরও বলা হয়, যাত্রী মামুন হাওলাদার আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে ক্লিয়ারেন্স পারমিট প্রাপ্তির আবেদন করে পণ্য ছাড় করেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ক্লিয়ারেন্স পারমিট দেন এবং জব্দ ব্যাগেজের মেমোরি কার্ড অবৈধভাবে আত্মসাৎ করে দণ্ডবিধি ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে। 

মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র দত্ত জানান, মামলাটি তদন্ত করা হবে। এ সময় আরও কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাঁদেরও আসামি করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত