অনলাইন ডেস্ক
বেশির ভাগ আমেরিকান এখন মুদিসামগ্রীর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্যে ‘বাই নাও, পে লেটার’ (বিএনপিএল) অর্থাৎ ‘এখন কিনুন, পরে পরিশোধ করুন’ ঋণ পরিষেবা ব্যবহার করছেন। একই সঙ্গে এই ঋণ পরিশোধে দেরি করছেন এমন গ্রাহকের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। অনলাইন ঋণ পরিষেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান লেন্ডিং ট্রির সাম্প্রতিক একটি গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
লেন্ডিং ট্রির এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যাচ্ছে, মার্কিন ভোক্তারা অনিশ্চিত অর্থনৈতিক চাপে হিমশিম খাচ্ছেন। স্থায়ী মূল্যস্ফীতি, উচ্চ সুদের হার এবং শুল্কসংক্রান্ত উদ্বেগের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে নগদ অর্থ দিয়ে মুদিসামগ্রীর মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার সামর্থ্যও তাঁদের কমে আসছে।
গত ২-৩ এপ্রিল, ১৮ থেকে ৭৯ বছর বয়সী ২ হাজার মার্কিন ভোক্তার ওপর একটি জরিপ করে লেন্ডিং ট্রি (Lending Tree)। জরিপে দেখা গেছে, প্রায় অর্ধেকই বাই নাও, পে লেটার পরিষেবা ব্যবহার করছেন। লেন্ডিং ট্রি জানিয়েছে, এই ব্যবহারকারীদের মধ্যে ২৫ শতাংশ উত্তরদাতা মুদিসামগ্রী কেনার জন্য বিএনপিএল ঋণ ব্যবহার করছেন।
জরিপে আরও দেখা গেছে, গত বছর ৪১ শতাংশ উত্তরদাতা বিএনপিএল ঋণের বিল পরিশোধে দেরি করেছেন, যা পূর্ববর্তী বছরে ছিল ৩৪ শতাংশ।
লেন্ডিং ট্রির প্রধান ভোক্তা অর্থ বিশ্লেষক ম্যাট শুলজ জানান, যাঁরা বিএনপিএল বিল পরিশোধে দেরি করেছেন, তাঁদের বেশির ভাগই এক সপ্তাহ বা তার বেশি সময় নেন। শুলজ বলেন, ‘অর্থনৈতিক চাপে অনেক মানুষ কঠিন সংগ্রাম করছে এবং তাদের বাজেট বাড়ানোর উপায় খুঁজছে। মূল্যস্ফীতি এখনো একটি সমস্যা। সুদের হারও অনেক বেশি। শুল্ক ও অন্যান্য অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে অনেক অনিশ্চয়তা রয়েছে এবং সবকিছু মিলিয়ে অনেক মানুষ তাদের বাজেট বাড়ানোর উপায় খুঁজছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে মনে করেন, এটা ভালো হোক বা খারাপ হোক, বাই নাও, পে লেটারই তাদের একমাত্র সম্বল।’
তবে তিনি এই অবস্থাকে আসন্ন মন্দার সূচক বলতে রাজি নন। কিন্তু শুলজের আশঙ্কা, অবস্থা ভালো হওয়ার আগে অন্তত স্বল্প মেয়াদে হলেও পরিস্থিতি খারাপ হবে। শুলজ বলেন, ‘আমি মনে করি, এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। স্বল্প মেয়াদে হলেও খারাপ হবে। আর আমি জানি না, নিকট ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় আছে কি না।’
বিএনপিএল ঋণ ভোক্তাদের কেনাকাটাকে ছোট ছোট কিস্তিতে বিভক্ত করে এবং সেভাবেই পরিশোধের সুযোগ দেয়। ব্যবহারকারীরা প্রায়শই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এই বিল পরিশোধ করেন, তাই খুব বেশি সুদ চার্জ করা হয় না। কিন্তু গ্রাহকেরা যদি দেরিতে ঋণ পরিশোধ করেন, তবে তাঁদের উচ্চ ফি লাগতে পারে এবং তাঁরা যদি একাধিক ঋণ গ্রহণ করেন, তখন আরও বড় সমস্যায় পড়তে পারেন।
লেন্ডিং ট্রির জরিপ অনুযায়ী ৬০ শতাংশ বিএনপিএল ব্যবহারকারী বলেছেন, তাঁরা একসঙ্গে একাধিক ঋণ নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় এক-চতুর্থাংশই একসঙ্গে তিনটি বা তারও বেশি ঋণ নিয়েছেন।
বিশ্লেষক ম্যাট শুলজ বলেন, ‘এগুলো ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকা খুব জরুরি। সুদবিহীন বা অল্প সুদ হওয়ায় এগুলো আপনাকে এই মাসে বেতন পাওয়ার পর, পরের মাস পর্যন্ত কেনাকাটায় সাহায্য করে। কিন্তু এটি ভুলভাবে ব্যবহার করলে অনেক ঝুঁকিও আছে। তাই এসব ব্যবহারে মানুষের সাবধান হওয়া উচিত।’
লেন্ডিং ট্রির এই জরিপের ফল প্রকাশের কিছুদিন আগে আরেকটি তথ্য প্রকাশ করে বিলবোর্ড। বিলবোর্ডের জরিপে দেখা গেছে, আগামী ২ মে কোচেলা কনসার্টের টিকিটধারীদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশই ‘বাই নাও, পে লেটার’ ঋণের মাধ্যমে তাঁদের টিকিট কেটেছেন।
লেন্ডিং ট্রি ও বিলবোর্ডের সাম্প্রতিক এসব জরিপ যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা এবং সাধারণ মানুষ তাঁদের জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ন্ত্রণে কীভাবে ঋণ ব্যবহার করছেন, তা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সম্প্রতি খাবার ডেলিভারি সার্ভিস দেওয়া প্রতিষ্ঠান ডোর ড্যাশ ঘোষণা করেছে, তারা ডেলিভারির জন্য ক্লারনা (Klarna) থেকে বিএনপিএলের মাধ্যমে পেমেন্ট নেওয়া শুরু করবে। এটি নিয়ে ব্যাপক উপহাস এবং হাস্যরসিকতা হয়েছে। অনেকে বলছেন, মার্কিনরা এতটাই সংগ্রাম করছে যে তারা এখন চিজ বার্গার এবং বুরিটো খেতেও ঋণ নিচ্ছে!
কয়েক বছর ধরে চাকরির বাজার শক্তিশালী থাকায় এবং মজুরি বৃদ্ধির সঙ্গে মূল্যস্ফীতির সামঞ্জস্য থাকায় সাধারণ ভোক্তাদের তেমন সমস্যা হয়নি। তবে চলতি বছরের শুরুতে ওয়ালমার্ট, ডেলটা এয়ারলাইনসসহ বড় কোম্পানিগুলো সতর্ক করে বলেছে, পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে। সামনে আরও খারাপ সময় আসতে পারে।
বেশির ভাগ আমেরিকান এখন মুদিসামগ্রীর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্যে ‘বাই নাও, পে লেটার’ (বিএনপিএল) অর্থাৎ ‘এখন কিনুন, পরে পরিশোধ করুন’ ঋণ পরিষেবা ব্যবহার করছেন। একই সঙ্গে এই ঋণ পরিশোধে দেরি করছেন এমন গ্রাহকের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। অনলাইন ঋণ পরিষেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান লেন্ডিং ট্রির সাম্প্রতিক একটি গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
লেন্ডিং ট্রির এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যাচ্ছে, মার্কিন ভোক্তারা অনিশ্চিত অর্থনৈতিক চাপে হিমশিম খাচ্ছেন। স্থায়ী মূল্যস্ফীতি, উচ্চ সুদের হার এবং শুল্কসংক্রান্ত উদ্বেগের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে নগদ অর্থ দিয়ে মুদিসামগ্রীর মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার সামর্থ্যও তাঁদের কমে আসছে।
গত ২-৩ এপ্রিল, ১৮ থেকে ৭৯ বছর বয়সী ২ হাজার মার্কিন ভোক্তার ওপর একটি জরিপ করে লেন্ডিং ট্রি (Lending Tree)। জরিপে দেখা গেছে, প্রায় অর্ধেকই বাই নাও, পে লেটার পরিষেবা ব্যবহার করছেন। লেন্ডিং ট্রি জানিয়েছে, এই ব্যবহারকারীদের মধ্যে ২৫ শতাংশ উত্তরদাতা মুদিসামগ্রী কেনার জন্য বিএনপিএল ঋণ ব্যবহার করছেন।
জরিপে আরও দেখা গেছে, গত বছর ৪১ শতাংশ উত্তরদাতা বিএনপিএল ঋণের বিল পরিশোধে দেরি করেছেন, যা পূর্ববর্তী বছরে ছিল ৩৪ শতাংশ।
লেন্ডিং ট্রির প্রধান ভোক্তা অর্থ বিশ্লেষক ম্যাট শুলজ জানান, যাঁরা বিএনপিএল বিল পরিশোধে দেরি করেছেন, তাঁদের বেশির ভাগই এক সপ্তাহ বা তার বেশি সময় নেন। শুলজ বলেন, ‘অর্থনৈতিক চাপে অনেক মানুষ কঠিন সংগ্রাম করছে এবং তাদের বাজেট বাড়ানোর উপায় খুঁজছে। মূল্যস্ফীতি এখনো একটি সমস্যা। সুদের হারও অনেক বেশি। শুল্ক ও অন্যান্য অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে অনেক অনিশ্চয়তা রয়েছে এবং সবকিছু মিলিয়ে অনেক মানুষ তাদের বাজেট বাড়ানোর উপায় খুঁজছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে মনে করেন, এটা ভালো হোক বা খারাপ হোক, বাই নাও, পে লেটারই তাদের একমাত্র সম্বল।’
তবে তিনি এই অবস্থাকে আসন্ন মন্দার সূচক বলতে রাজি নন। কিন্তু শুলজের আশঙ্কা, অবস্থা ভালো হওয়ার আগে অন্তত স্বল্প মেয়াদে হলেও পরিস্থিতি খারাপ হবে। শুলজ বলেন, ‘আমি মনে করি, এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। স্বল্প মেয়াদে হলেও খারাপ হবে। আর আমি জানি না, নিকট ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় আছে কি না।’
বিএনপিএল ঋণ ভোক্তাদের কেনাকাটাকে ছোট ছোট কিস্তিতে বিভক্ত করে এবং সেভাবেই পরিশোধের সুযোগ দেয়। ব্যবহারকারীরা প্রায়শই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এই বিল পরিশোধ করেন, তাই খুব বেশি সুদ চার্জ করা হয় না। কিন্তু গ্রাহকেরা যদি দেরিতে ঋণ পরিশোধ করেন, তবে তাঁদের উচ্চ ফি লাগতে পারে এবং তাঁরা যদি একাধিক ঋণ গ্রহণ করেন, তখন আরও বড় সমস্যায় পড়তে পারেন।
লেন্ডিং ট্রির জরিপ অনুযায়ী ৬০ শতাংশ বিএনপিএল ব্যবহারকারী বলেছেন, তাঁরা একসঙ্গে একাধিক ঋণ নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় এক-চতুর্থাংশই একসঙ্গে তিনটি বা তারও বেশি ঋণ নিয়েছেন।
বিশ্লেষক ম্যাট শুলজ বলেন, ‘এগুলো ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকা খুব জরুরি। সুদবিহীন বা অল্প সুদ হওয়ায় এগুলো আপনাকে এই মাসে বেতন পাওয়ার পর, পরের মাস পর্যন্ত কেনাকাটায় সাহায্য করে। কিন্তু এটি ভুলভাবে ব্যবহার করলে অনেক ঝুঁকিও আছে। তাই এসব ব্যবহারে মানুষের সাবধান হওয়া উচিত।’
লেন্ডিং ট্রির এই জরিপের ফল প্রকাশের কিছুদিন আগে আরেকটি তথ্য প্রকাশ করে বিলবোর্ড। বিলবোর্ডের জরিপে দেখা গেছে, আগামী ২ মে কোচেলা কনসার্টের টিকিটধারীদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশই ‘বাই নাও, পে লেটার’ ঋণের মাধ্যমে তাঁদের টিকিট কেটেছেন।
লেন্ডিং ট্রি ও বিলবোর্ডের সাম্প্রতিক এসব জরিপ যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা এবং সাধারণ মানুষ তাঁদের জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ন্ত্রণে কীভাবে ঋণ ব্যবহার করছেন, তা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সম্প্রতি খাবার ডেলিভারি সার্ভিস দেওয়া প্রতিষ্ঠান ডোর ড্যাশ ঘোষণা করেছে, তারা ডেলিভারির জন্য ক্লারনা (Klarna) থেকে বিএনপিএলের মাধ্যমে পেমেন্ট নেওয়া শুরু করবে। এটি নিয়ে ব্যাপক উপহাস এবং হাস্যরসিকতা হয়েছে। অনেকে বলছেন, মার্কিনরা এতটাই সংগ্রাম করছে যে তারা এখন চিজ বার্গার এবং বুরিটো খেতেও ঋণ নিচ্ছে!
কয়েক বছর ধরে চাকরির বাজার শক্তিশালী থাকায় এবং মজুরি বৃদ্ধির সঙ্গে মূল্যস্ফীতির সামঞ্জস্য থাকায় সাধারণ ভোক্তাদের তেমন সমস্যা হয়নি। তবে চলতি বছরের শুরুতে ওয়ালমার্ট, ডেলটা এয়ারলাইনসসহ বড় কোম্পানিগুলো সতর্ক করে বলেছে, পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে। সামনে আরও খারাপ সময় আসতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের ধাক্কায় টালমাটাল বিশ্ববাণিজ্য, বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলো। এশিয়ার অধিকাংশ দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি হয়ে থাকে। আর শুল্কের কারণে এ খাতে শঙ্কার জন্ম হয়েছে। গত ২০ এপ্রিল লিবারেশন ডে ঘোষণা করে যে শুল্ক আরোপ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার প্রভাবের
১৫ ঘণ্টা আগেভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এর বড় ধাক্কা লেগেছে ভারতের তৈরি পোশাক খাতে। ট্রাম্পের এই শুল্ক ঘোষণার পর থেকে প্রতিদিন আতঙ্কে কাটছে এই খাতের উদ্যোক্তাদের।
১৭ ঘণ্টা আগেব্যাংক খাতে লুণ্ঠন, অর্থ পাচার, শেয়ারবাজার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নড়বড়ে করে ফেলা, বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে চাপ ইত্যাদি কারণে আওয়ামী লীগ আমলের শেষের দিকে অর্থনীতি মহাসংকটে পড়েছিল। এর সরাসরি প্রভাব পড়ে জনজীবনেও। মূল্যস্ফীতিতে দেশবাসীর নাভিশ্বাস ওঠে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের...
১ দিন আগেচীনা প্রতিষ্ঠান চুয়ানচিং ড্রিলিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিডিসি) সঙ্গে দুটি কূপ খননের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)। ৫৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাখরাবাদ ও তিতাস এলাকায় গভীর অনুসন্ধানে এ দুটি কূপ খনন করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে...
১ দিন আগে