অনলাইন ডেস্ক
ভারতীয় বিলিয়নিয়ার গৌতম আদানির গ্রুপ ইসরায়েলের টাওয়ার সেমিকন্ডাক্টরের সঙ্গে চিপ তৈরির প্রকল্প নিয়ে আলোচনা চলছিল। আলোচনা অনেকখানি এগিয়েও গিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত বনিবনা না হওয়ায় ১০ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পটি স্থগিত হয়ে গেল।
সংশ্লিষ্ট দুজন ব্যক্তির বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আদানি গ্রুপ মনে করছে, এই মুহূর্তে এই প্রকল্পে কৌশলগত ও বাণিজ্যিক সুবিধা নেই। গত সেপ্টেম্বরে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্র আদানি ও টাওয়ারকে প্রতি মাসে ৮০ হাজার ওয়াফার উৎপাদন এবং ৫ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি কারখানা স্থাপনের অনুমোদন দেয়। এই উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতকে চিপ তৈরির কেন্দ্রে পরিণত করার উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে সহায়তা করত।
আদানি গ্রুপ আগে বলেছিল, প্রকল্পটি মূল্যায়ন করা হচ্ছে, কিন্তু এখন ভারতীয় এই সংস্থার অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে দেখা গেছে, এই ব্যবসা থেকে কতটা চাহিদা তৈরি হবে, বিশেষ করে ভারতের বাজারে, সে সম্পর্কে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। এরপরই টাওয়ারের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে বলে একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে।
সূত্রটি জানায়, এটি মূলত একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত ছিল। আদানি মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আরও কিছু দিন অপেক্ষা করা যাক।
তবে ভবিষ্যতে আলোচনা আবার শুরু হতে পারে বলেও জানায় সূত্রটি।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত দ্বিতীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি কোম্পানি টাওয়ার এই অংশীদারত্বে যে পরিমাণ আর্থিক অবদান রাখতে রাজি ছিল, আদানি গ্রুপ তাতে সন্তুষ্ট ছিল না। তবে সূত্রটি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
ওই ব্যক্তি আরও জানান, চুক্তি অনুযায়ী টাওয়ারের প্রযুক্তিগত দক্ষতা সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু আদানি চেয়েছিল টাওয়ার আর্থিক দিক থেকেও ‘আরও বেশি যুক্ত হোক’।
এ ব্যাপারে জানতে আদানি ও টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স, তবে উভয়ই সাড়া দেয়নি।
সিদ্ধান্ত এখনো প্রকাশ করা হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নাম প্রকাশ করতে রাজি হয়নি।
ইসরায়েলি চিপ প্রস্তুতকারক সংস্থাটি মূলত অটোমোবাইল শিল্পে ব্যবহৃত অ্যানালগ ও মিক্সড সিগন্যাল সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করে।
বিশ্বমঞ্চে উল্লেখযোগ্য উপস্থিতিসহ একটি বিশাল ব্যবসা পরিচালনাকারী আদানি এই পরিকল্পনা থেকে সরে যাওয়ায় মোদির সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে উন্নীত করার ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ পরিকল্পনা আরেকটি বড় ধাক্কা খেল।
নরেন্দ্র মোদি ইলেকট্রনিকস উৎপাদনে বৃহত্তর ভূরাজনৈতিক সুবিধা অর্জনের লক্ষ্যে চিপ তৈরিকে ভারতের অর্থনৈতিক কৌশলের একটি প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করছেন। তিনি ভারতকে সেমিকন্ডার হাব তৈরির স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। কিন্তু ভারতে এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর চিপ তৈরির কারখানা নেই।
ভারতীয় সংস্থা বেদান্ত ও তাইওয়ানের ফক্সকনের ১৯ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রস্তাবিত যৌথ উদ্যোগ অনেকখানি এগিয়েছিল। কিন্তু প্রকল্প ব্যয় নিয়ে নয়াদিল্লির উদ্বেগ ও প্রণোদনা অনুমোদনে বিলম্বের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সেটি ভেস্তে যায়।
বর্তমানে আলোচনার পর্যায়ে থাকা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে টাটা গ্রুপের ১১ বিলিয়ন ডলারের চিপ তৈরি এবং আরেকটি চিপ টেস্টিং প্ল্যান্ট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মাইক্রনের ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের একটি চিপ প্যাকেজিং ইউনিটও আলোচনায় রয়েছে।
প্রথম সূত্রটি রয়টার্সকে জানায়, আদানি এই খাতের দৃষ্টিভঙ্গি মূল্যায়ন করে দেখেছে যে চিপ তৈরি করার পর তা চূড়ান্ত ব্যবহারের জন্য প্যাকেজিং করা এবং এরপর সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই চিপ স্থানীয়ভাবে ততটা চাহিদা তৈরি করতে নাও পারে। যেখানে চীনের মতো বড় উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক স্থানীয় চাহিদা রয়েছে।
সূত্রটি আরও জানায়, আদানি গ্রুপের মত ছিল, এই প্রকল্পের জন্য আরও মূল্যায়ন প্রয়োজন। উৎপাদিত চিপগুলো ভারতেই বিক্রি হবে, এটি ভারত কীভাবে নিশ্চিত করবে সে বিষয়টি নিয়ে আরও পর্যালোচনার দরকার আছে।
সূত্রটি জানায়, বাজার এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। চলতি মাসে বহুজাতিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইউবিএস অনুমান করেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টরের (ব্যবহারের দিক থেকে) সবচেয়ে বড় বাজার। এই দুই দেশ একত্রে ৫৪ শতাংশ বাজার দখল করে আছে। চলতি বছর ভারতের অংশ হবে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
ভারতীয় বিলিয়নিয়ার গৌতম আদানির গ্রুপ ইসরায়েলের টাওয়ার সেমিকন্ডাক্টরের সঙ্গে চিপ তৈরির প্রকল্প নিয়ে আলোচনা চলছিল। আলোচনা অনেকখানি এগিয়েও গিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত বনিবনা না হওয়ায় ১০ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পটি স্থগিত হয়ে গেল।
সংশ্লিষ্ট দুজন ব্যক্তির বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আদানি গ্রুপ মনে করছে, এই মুহূর্তে এই প্রকল্পে কৌশলগত ও বাণিজ্যিক সুবিধা নেই। গত সেপ্টেম্বরে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্র আদানি ও টাওয়ারকে প্রতি মাসে ৮০ হাজার ওয়াফার উৎপাদন এবং ৫ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি কারখানা স্থাপনের অনুমোদন দেয়। এই উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতকে চিপ তৈরির কেন্দ্রে পরিণত করার উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে সহায়তা করত।
আদানি গ্রুপ আগে বলেছিল, প্রকল্পটি মূল্যায়ন করা হচ্ছে, কিন্তু এখন ভারতীয় এই সংস্থার অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে দেখা গেছে, এই ব্যবসা থেকে কতটা চাহিদা তৈরি হবে, বিশেষ করে ভারতের বাজারে, সে সম্পর্কে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। এরপরই টাওয়ারের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে বলে একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে।
সূত্রটি জানায়, এটি মূলত একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত ছিল। আদানি মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আরও কিছু দিন অপেক্ষা করা যাক।
তবে ভবিষ্যতে আলোচনা আবার শুরু হতে পারে বলেও জানায় সূত্রটি।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত দ্বিতীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি কোম্পানি টাওয়ার এই অংশীদারত্বে যে পরিমাণ আর্থিক অবদান রাখতে রাজি ছিল, আদানি গ্রুপ তাতে সন্তুষ্ট ছিল না। তবে সূত্রটি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
ওই ব্যক্তি আরও জানান, চুক্তি অনুযায়ী টাওয়ারের প্রযুক্তিগত দক্ষতা সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু আদানি চেয়েছিল টাওয়ার আর্থিক দিক থেকেও ‘আরও বেশি যুক্ত হোক’।
এ ব্যাপারে জানতে আদানি ও টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স, তবে উভয়ই সাড়া দেয়নি।
সিদ্ধান্ত এখনো প্রকাশ করা হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নাম প্রকাশ করতে রাজি হয়নি।
ইসরায়েলি চিপ প্রস্তুতকারক সংস্থাটি মূলত অটোমোবাইল শিল্পে ব্যবহৃত অ্যানালগ ও মিক্সড সিগন্যাল সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করে।
বিশ্বমঞ্চে উল্লেখযোগ্য উপস্থিতিসহ একটি বিশাল ব্যবসা পরিচালনাকারী আদানি এই পরিকল্পনা থেকে সরে যাওয়ায় মোদির সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে উন্নীত করার ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ পরিকল্পনা আরেকটি বড় ধাক্কা খেল।
নরেন্দ্র মোদি ইলেকট্রনিকস উৎপাদনে বৃহত্তর ভূরাজনৈতিক সুবিধা অর্জনের লক্ষ্যে চিপ তৈরিকে ভারতের অর্থনৈতিক কৌশলের একটি প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করছেন। তিনি ভারতকে সেমিকন্ডার হাব তৈরির স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। কিন্তু ভারতে এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর চিপ তৈরির কারখানা নেই।
ভারতীয় সংস্থা বেদান্ত ও তাইওয়ানের ফক্সকনের ১৯ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রস্তাবিত যৌথ উদ্যোগ অনেকখানি এগিয়েছিল। কিন্তু প্রকল্প ব্যয় নিয়ে নয়াদিল্লির উদ্বেগ ও প্রণোদনা অনুমোদনে বিলম্বের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সেটি ভেস্তে যায়।
বর্তমানে আলোচনার পর্যায়ে থাকা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে টাটা গ্রুপের ১১ বিলিয়ন ডলারের চিপ তৈরি এবং আরেকটি চিপ টেস্টিং প্ল্যান্ট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মাইক্রনের ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের একটি চিপ প্যাকেজিং ইউনিটও আলোচনায় রয়েছে।
প্রথম সূত্রটি রয়টার্সকে জানায়, আদানি এই খাতের দৃষ্টিভঙ্গি মূল্যায়ন করে দেখেছে যে চিপ তৈরি করার পর তা চূড়ান্ত ব্যবহারের জন্য প্যাকেজিং করা এবং এরপর সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই চিপ স্থানীয়ভাবে ততটা চাহিদা তৈরি করতে নাও পারে। যেখানে চীনের মতো বড় উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক স্থানীয় চাহিদা রয়েছে।
সূত্রটি আরও জানায়, আদানি গ্রুপের মত ছিল, এই প্রকল্পের জন্য আরও মূল্যায়ন প্রয়োজন। উৎপাদিত চিপগুলো ভারতেই বিক্রি হবে, এটি ভারত কীভাবে নিশ্চিত করবে সে বিষয়টি নিয়ে আরও পর্যালোচনার দরকার আছে।
সূত্রটি জানায়, বাজার এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। চলতি মাসে বহুজাতিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইউবিএস অনুমান করেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টরের (ব্যবহারের দিক থেকে) সবচেয়ে বড় বাজার। এই দুই দেশ একত্রে ৫৪ শতাংশ বাজার দখল করে আছে। চলতি বছর ভারতের অংশ হবে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
দেশের শিল্পকারখানায় চরম গ্যাস-সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাস না থাকায় অনেক স্থানে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও উৎপাদন নেমে এসেছে তিন ভাগের এক ভাগে। শুধু শিল্প নয়, বাসাবাড়ি ও সিএনজি স্টেশনেও চলছে গ্যাসের জন্য হাহাকার। গ্রীষ্মে লোডশেডিং কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোয় এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে
৩ ঘণ্টা আগেহংকংয়ের একটি বিউটি সেলুনের মালিক ক্রিস্টাল এনজি এইচএসবিসি ও ডাহ সিং ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদন করলে তা প্রত্যাখ্যাত হয়। তিনি জানান, ২০২৩ সালের শেষদিকে যখন তিনি নতুন অফিসে স্থানান্তর করেন, তখন ব্যাংকগুলোর একটির মাধ্যমে জানতে পারেন, তার নতুন ঠিকানাটি যুক্তরাষ্ট্রের এনটিটি তালিকাভুক্ত। ওই ঠিকানার..
১২ ঘণ্টা আগেতিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সংকুচিত হওয়ার খবর প্রকাশের পর বিশ্ববাজারে তেলের দামে বড় ধরনের ধস নেমেছে। সৌদি আরবের সরবরাহ বৃদ্ধির ইঙ্গিতও এই দরপতনে প্রভাব ফেলেছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
২ দিন আগেকর দিতে গিয়েও দিতে হয় ঘুষ—শিল্পমালিকদের এই বিস্ফোরক ক্ষোভ এখন আর কানে কানে বলা গুঞ্জন নয়, বরং অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে প্রকাশ্য প্রতিবাদ। নিয়মিত করদাতারা পাচ্ছেন না ন্যায্য সম্মান, বরং তাঁদের ঘাড়ে চাপছে অতিরিক্ত বোঝা। উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাস-বিদ্যুৎ নেই, অথচ কর চাই নিরবচ্ছিন্নভাবে। বিনিয়োগ থমকে...
২ দিন আগে