মাত্র ২১ বছর বয়সে দাদির কাছ থেকে টাকা ধার করে চীনের মধ্যাঞ্চলীয় ঝেংঝু শহরে গোলা আইসক্রিমের ব্যবসা শুরু করেছিলেন ঝেং হংচাও। কিন্তু সেই ব্যবসাটি আর এগোয়নি। দুই বছর পর বরফজাত খাবারেরই দ্বিতীয় আরেকটি দোকান খোলেন তিনি। দোকানের নাম দেন ‘মিক্সু বিংচ্যাং’, যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় ‘মিষ্টি বরফের প্রাসাদ’। প্রথমে আইসক্রিম ও পরে কম দামে এক ধরনের ফেনা চা (বাবল টি), লেবুমিশ্রিত শরবত এবং কফি বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছিল দোকানটি।
বর্তমানে ফেনা চায়ের সমার্থক হয়ে ওঠা সেই ‘মিক্সু বিংচ্যাং’ দোকানটির অন্তত ৩২ হাজার শাখা চীনজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। চীনের বাইরেও এর ৪ হাজার শাখা রয়েছে। বর্তমানে ৪৭ বছর বয়সী ঝেং হংচাও এবং তাঁর ৩৯ বছর বয়সী ছোট ভাই হংফু এই সবগুলো দোকানের মালিক।
সম্প্রতি ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাত্র একটি চায়ের দোকান থেকেই ব্যবসার বিপুল সাম্রাজ্য গড়েছেন দুই ভাই। সম্পদের হিসেবে তাঁরা দুজনই এখন বিলিয়নিয়ার।
নিজেদের ব্যবসাকে পাবলিক করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সম্প্রতি বিশ্বের প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলো চীনা ওই দুই ভাইকে নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যবসায় দুই ভাইয়ের প্রত্যেকে ৪২.৮ শতাংশ করে মোট ৮৩.৬ শতাংশ নিজেদের দখলে রেখে বাকি অংশ শেয়ারবাজারে উন্মুক্ত করে দেবেন।
চায়না ইনসাইটস ইন্ডাস্ট্রি কনসালটেন্সির তথ্য অনুসারে, দুই ভাইয়ের মালিকানাধীন মিক্সু স্টোরগুলো ২০২৩ সালের প্রথম ৯ মাসেই বিশ্বজুড়ে ৫৮০ কোটি কাপ পানীয় বিক্রি করেছে। যা কাপের মধ্যে পানীয় পরিবেশন করা ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে মিক্সুকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিক্রেতা করেছে। এই তালিকায় এক নম্বর বিক্রেতা হলো স্টারবাকস।
মিক্সু দোকানগুলোতে বর্তমানে সেই বুদ্বুদ চা ছাড়াও পাওয়া যায়, তাজা লেবুর শরবত, নরম-সার্ভ আইসক্রিম, ফলের চা এবং কফি। মার্কিন মুদ্রার হিসেবে এই পানীয়গুলোর দাম ৩ সেন্ট থেকে ১ ডলারের মধ্যে। হংকংয়ে বুদ্বুদ চায়ের বিখ্যাত ব্র্যান্ড নায়োকি চেইন শপের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়—মিক্সুর চা এবং অন্যান্য পানীয় অনেক কম দামে সরবরাহ করা হয়। মিক্সু কর্তৃপক্ষ দাবি করে, পানীয়র দাম কম রাখার জন্য তারা বিভিন্ন পর্যায়ে গবেষণাও পর্যন্ত করে।
মিক্সু স্টোরগুলোর উত্থানের সেই গল্পটি শুরু হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। হংচাও তখন চীনের হেনান ইকোনমিকস অ্যান্ড ফিন্যান্স কলেজের (বর্তমানে হেনান ইউনিভার্সিটি অব ইকোনমিকস অ্যান্ড ল) ছাত্র ছিলেন। সেই বছরেরই গ্রীষ্মে একটি পানীয়র দোকানে খণ্ডকালীন চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। সেখানে কাজ করতে গিয়েই নিজের হাতে আইস মেশিন তৈরি এবং বরফজাত খাবার ও পানীয় বিক্রির একটি দোকান খোলার চিন্তা মাথায় এসেছিল। আর এ ধরনের পানীয় সেই সময় প্রতিবেশী শাংকিউতে জনপ্রিয় হলেও তখন পর্যন্ত ঝেংঝুতে পৌঁছায়নি। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়েই দাদির কাছ থেকে ৩ হাজার ইউয়ান ধার করেছিলেন হংচাও।
চীনা গণমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুসারে, ব্যবসায় নেমেই কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হন হংচাও। কারণ শীতের সময়টিতে বরফের ট্রিট বিক্রি করতে তাঁকে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ব্যবসাই বন্ধ করে দিতে হয়। তবে দুই বছর পর ১৯৯৯ সালে নতুন পণ্য হিসেবে চিনিযুক্ত পানীয় ও নরম-সার্ভ আইসক্রিম নিয়ে আবারও ব্যবসায় নামেন হংচাও। এবারে কাজ হলো। ঘুরে গেল ব্যবসার চাকা!
হংচাওয়ের ছোট ভাই হংফু ২০০৭ সালে মিক্সু দোকানগুলোর প্রধান নির্বাহী বা সিইও হিসেবে কাজ শুরু করেন। তাঁর হাত ধরে আরও ফুলে-ফেঁপে ওঠে মিক্সু। বর্তমানে যা একটি ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সাম্রাজ্যের চেয়ারম্যান হলেন হংচাও। দোকানগুলোর কাঁচামাল সরবরাহের জন্য নিজস্ব কারখানাও রয়েছে তাঁদের। সেখানে রান্নাঘরের যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে সিরাপ, দুধ, চা, কফি সহ সব উপাদান তৈরি হয়।
দুই ভাই বছরের পর বছর ধরে নতুনত্ব অব্যাহত রেখেছেন। তাদের স্টোর এখন ভিয়েতনাম, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশেও রয়েছে।
মাত্র ২১ বছর বয়সে দাদির কাছ থেকে টাকা ধার করে চীনের মধ্যাঞ্চলীয় ঝেংঝু শহরে গোলা আইসক্রিমের ব্যবসা শুরু করেছিলেন ঝেং হংচাও। কিন্তু সেই ব্যবসাটি আর এগোয়নি। দুই বছর পর বরফজাত খাবারেরই দ্বিতীয় আরেকটি দোকান খোলেন তিনি। দোকানের নাম দেন ‘মিক্সু বিংচ্যাং’, যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় ‘মিষ্টি বরফের প্রাসাদ’। প্রথমে আইসক্রিম ও পরে কম দামে এক ধরনের ফেনা চা (বাবল টি), লেবুমিশ্রিত শরবত এবং কফি বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছিল দোকানটি।
বর্তমানে ফেনা চায়ের সমার্থক হয়ে ওঠা সেই ‘মিক্সু বিংচ্যাং’ দোকানটির অন্তত ৩২ হাজার শাখা চীনজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। চীনের বাইরেও এর ৪ হাজার শাখা রয়েছে। বর্তমানে ৪৭ বছর বয়সী ঝেং হংচাও এবং তাঁর ৩৯ বছর বয়সী ছোট ভাই হংফু এই সবগুলো দোকানের মালিক।
সম্প্রতি ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাত্র একটি চায়ের দোকান থেকেই ব্যবসার বিপুল সাম্রাজ্য গড়েছেন দুই ভাই। সম্পদের হিসেবে তাঁরা দুজনই এখন বিলিয়নিয়ার।
নিজেদের ব্যবসাকে পাবলিক করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সম্প্রতি বিশ্বের প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলো চীনা ওই দুই ভাইকে নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যবসায় দুই ভাইয়ের প্রত্যেকে ৪২.৮ শতাংশ করে মোট ৮৩.৬ শতাংশ নিজেদের দখলে রেখে বাকি অংশ শেয়ারবাজারে উন্মুক্ত করে দেবেন।
চায়না ইনসাইটস ইন্ডাস্ট্রি কনসালটেন্সির তথ্য অনুসারে, দুই ভাইয়ের মালিকানাধীন মিক্সু স্টোরগুলো ২০২৩ সালের প্রথম ৯ মাসেই বিশ্বজুড়ে ৫৮০ কোটি কাপ পানীয় বিক্রি করেছে। যা কাপের মধ্যে পানীয় পরিবেশন করা ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে মিক্সুকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিক্রেতা করেছে। এই তালিকায় এক নম্বর বিক্রেতা হলো স্টারবাকস।
মিক্সু দোকানগুলোতে বর্তমানে সেই বুদ্বুদ চা ছাড়াও পাওয়া যায়, তাজা লেবুর শরবত, নরম-সার্ভ আইসক্রিম, ফলের চা এবং কফি। মার্কিন মুদ্রার হিসেবে এই পানীয়গুলোর দাম ৩ সেন্ট থেকে ১ ডলারের মধ্যে। হংকংয়ে বুদ্বুদ চায়ের বিখ্যাত ব্র্যান্ড নায়োকি চেইন শপের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়—মিক্সুর চা এবং অন্যান্য পানীয় অনেক কম দামে সরবরাহ করা হয়। মিক্সু কর্তৃপক্ষ দাবি করে, পানীয়র দাম কম রাখার জন্য তারা বিভিন্ন পর্যায়ে গবেষণাও পর্যন্ত করে।
মিক্সু স্টোরগুলোর উত্থানের সেই গল্পটি শুরু হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। হংচাও তখন চীনের হেনান ইকোনমিকস অ্যান্ড ফিন্যান্স কলেজের (বর্তমানে হেনান ইউনিভার্সিটি অব ইকোনমিকস অ্যান্ড ল) ছাত্র ছিলেন। সেই বছরেরই গ্রীষ্মে একটি পানীয়র দোকানে খণ্ডকালীন চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। সেখানে কাজ করতে গিয়েই নিজের হাতে আইস মেশিন তৈরি এবং বরফজাত খাবার ও পানীয় বিক্রির একটি দোকান খোলার চিন্তা মাথায় এসেছিল। আর এ ধরনের পানীয় সেই সময় প্রতিবেশী শাংকিউতে জনপ্রিয় হলেও তখন পর্যন্ত ঝেংঝুতে পৌঁছায়নি। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়েই দাদির কাছ থেকে ৩ হাজার ইউয়ান ধার করেছিলেন হংচাও।
চীনা গণমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুসারে, ব্যবসায় নেমেই কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হন হংচাও। কারণ শীতের সময়টিতে বরফের ট্রিট বিক্রি করতে তাঁকে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ব্যবসাই বন্ধ করে দিতে হয়। তবে দুই বছর পর ১৯৯৯ সালে নতুন পণ্য হিসেবে চিনিযুক্ত পানীয় ও নরম-সার্ভ আইসক্রিম নিয়ে আবারও ব্যবসায় নামেন হংচাও। এবারে কাজ হলো। ঘুরে গেল ব্যবসার চাকা!
হংচাওয়ের ছোট ভাই হংফু ২০০৭ সালে মিক্সু দোকানগুলোর প্রধান নির্বাহী বা সিইও হিসেবে কাজ শুরু করেন। তাঁর হাত ধরে আরও ফুলে-ফেঁপে ওঠে মিক্সু। বর্তমানে যা একটি ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সাম্রাজ্যের চেয়ারম্যান হলেন হংচাও। দোকানগুলোর কাঁচামাল সরবরাহের জন্য নিজস্ব কারখানাও রয়েছে তাঁদের। সেখানে রান্নাঘরের যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে সিরাপ, দুধ, চা, কফি সহ সব উপাদান তৈরি হয়।
দুই ভাই বছরের পর বছর ধরে নতুনত্ব অব্যাহত রেখেছেন। তাদের স্টোর এখন ভিয়েতনাম, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশেও রয়েছে।
বাংলাদেশের হালাল পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হতে চলেছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) চুক্তি দুই দেশের মধ্যে হালাল পণ্য আমদানি-রপ্তানি সহজ করবে এবং বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
১৬ মিনিট আগেবাংলাদেশে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ এবং দেশীয় শিল্প সম্প্রসারণে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দাতা সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। গতকাল সোমবার রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধা’ (বিওএস) শীর্ষক সেমিনারে এডিবির পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সেমিনারে মূল উপস্থাপনা দেন সংস্থাটির...
৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে কার্যক্রম চালাতে চায় চীনের প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান টেনসেন্ট। সোমবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানিয়েছেন।
১৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ দুই বছর ধরে বিশ্বব্যাংকের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ঝুঁকির ‘লাল শ্রেণি’তে রয়েছে। এই শ্রেণি মানে হচ্ছে, দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৫ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে, যা বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী বাংলাদেশে খাদ্যনিরাপত্তার জন্য এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশের পাশাপাশি লাল শ্রেণিতে রয়েছে
১৭ ঘণ্টা আগে