মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা
ছোটবেলা থেকে সেলাইয়ের প্রতি আগ্রহী ছিলেন নুসরাত ফারজানা। হাতে সময় পেলেই বসে পড়তেন সেলাইয়ের কাজে। টুক টুক করে সুই সুতা দিয়ে সেলাই করতেন ফুল, পাখি, গ্রামের দৃশ্যসহ আরও অনেক কিছু। একপর্যায়ে পড়ালেখার চাপে দূরত্ব বাড়ে সুই সুতার সঙ্গে। মাঝে কেটে যায় অনেক বছর। ২০২০ সালের প্রথম দিকে জীবনের এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে মায়ের দেওয়া ২০০০ টাকা দিয়ে শুরু করেন অনলাইন ব্যবসা। ফিরে আসে আবার সুই-সুতার সংসার।
নুসরাত ফারজানা ক্যামব্রিয়ান কলেজ থেকে এইচএসসি পাসের পর আর লেখাপড়া করেননি। উদ্যোক্তা হিসেবে শুরুটা কীভাবে করলেন জানতে চাইলে নুসরাত বলেন, ‘কাজটা শুরু করি ২০১৮ সালে শখের বসে। তখন টুকটাক কাজের অর্ডার আসত এবং তা একা হাতেই করতে থাকি। ২০২০ সালের প্রথম দিকে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ে। এ সময় আমার স্বামীর চাকরি চলে যায়। এই ঘটনায় আমি হতাশ হয়ে পড়ি। আমার ছোট একটা মেয়ে আছে। সবকিছু মিলিয়ে কীভাবে সংসার চালাব ঠিক বুঝতে পারছিলাম না।’
অনেক ভেবে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ১০ জন নারীকে সঙ্গে নিয়ে নতুন করে কাজ শুরু করেন নুসরাত। কী কাজ? নুসরাত বলেন, ‘তাঁরা প্রতিদিন কুশিকাটার সোয়েটার, ফ্রক, টুপি, জুতা, টেবিল রানার, মেট বানিয়ে জমা দিতেন। আমি প্রতিদিন এগুলো কুরিয়ারে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে দিতাম। একপর্যায়ে কুশিকাটা পণ্যের অর্ডার বেশি আসতে শুরু করে। তখনই অনলাইনভিত্তিক কেনাকাটার প্ল্যাটফর্ম ‘নকশি লাইফস্টাইল’-এর যাত্রা শুরু হয়।’
বর্তমানে নুসরাত নিজের সন্তানসহ বাবার বাড়ির মা, ভাইবোন আর শ্বশুরবাড়ির দেবর, ননদ সবাইকে নিয়ে একত্রে বসবাস করছেন। নুসরাতের উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা পেয়েছেন তাঁর মায়ের কাছ থেকে। এর পর ছায়ার মতো পাশে ছিলেন তাঁর স্বামী। মা আর স্বামীর বিষয়ে বলতে গিয়ে নুসরাত বলেন, ‘আমার মা জানতেন আমার অনেক প্রতিভা। ছোটবেলা থেকে মা আমার সেলাইয়ে আগ্রহের বিষয়টি জানতেন। তাই মা নিজের অর্থ এবং শ্রম দুটিই আমার পেছনে ব্যয় করেছেন। আর আমার স্বামী চাকরিজীবী হওয়া সত্ত্বেও “নকশি লাইফস্টাইল”-এর বিভিন্ন পণ্যের ডেলিভারি দিতে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। আমার বাবা-মায়ের আমাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। এখন আমি নিজেকে নিয়ে গর্বিত। বন্ধুদের অনেকেই যেখানে পড়ালেখা শেষে বেকার জীবন কাটাচ্ছে, সেখানে আমি ১৫-২০ জনের মতো কর্মীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পেরেছি।’
‘নকশি লাইফস্টাইল’-এর কর্মীরা নিজেদের মেধা দিয়ে কুশিকাটার মাধ্যমে তৈরি করেন বিভিন্ন পণ্য। তাঁরা মূলত কুশিকাটার পণ্য, বাচ্চাদের ড্রেস (জামা, জুতা, টুপি, হেয়ার বেন্ড, শীতের পোশাক), নারীদের জন্য ডিজাইন করা কুর্তি ইত্যাদি তৈরি করেন।
একজন নারী হিসেবে উদ্যোক্তা হওয়ার পথটা আর দশজনের মতো নয়। বেশ কঠিন একটা পথ পাড়ি দিতে হয়েছে নুসরাতকে। এখনো হচ্ছে। এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমাকে আমার পোশাক নিয়ে বেশি কথা শুনতে হয়। যেহেতু আমি বোরকা পরি, তাই ব্যবসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কথা শুনতে হয় বোরকা নিয়ে। বোরকা পরে, পর্দা করে ব্যবসা করার কারণে অনেকের অনেক রকম কথা শুনতে হয়। তবে যারা আমাকে নিয়ে একসময় কটূক্তি করেছেন, তাঁরা এখন “নকশি লাইফস্টাইল”-এ কাজ করতে চান।’
বর্তমানে ‘নকশি লাইফস্টাইল’-এ ২০ জন কর্মী যুক্ত। কারিগর মজুরি এবং অন্যান্য খরচ মিটিয়েও মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ থাকে। করোনাকালীন ‘নকশি লাইফস্টাইল’ প্রায় ২০-২৫টি পরিবারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে।
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন নুসরাত। ‘নকশি লাইফস্টাইল’-কে তিনি নিয়ে যেতে চান অনেক দূর। নিজের স্বপ্নের বিষয়ে নুসরাত বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠান আমার সন্তান। সন্তানকে নিয়ে সবার কিছু একটা চাওয়া-পাওয়া থাকে। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। আমি আমার পেজ ‘নকশি লাইফস্টাইল’-কে একটা দেশীয় ব্র্যান্ড হিসেবে দেখতে চাই। সেই লক্ষ্যে ১৫-২০ জন কর্মী নিয়ে গুটিগুটি পায়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলছি।’
ছোটবেলা থেকে সেলাইয়ের প্রতি আগ্রহী ছিলেন নুসরাত ফারজানা। হাতে সময় পেলেই বসে পড়তেন সেলাইয়ের কাজে। টুক টুক করে সুই সুতা দিয়ে সেলাই করতেন ফুল, পাখি, গ্রামের দৃশ্যসহ আরও অনেক কিছু। একপর্যায়ে পড়ালেখার চাপে দূরত্ব বাড়ে সুই সুতার সঙ্গে। মাঝে কেটে যায় অনেক বছর। ২০২০ সালের প্রথম দিকে জীবনের এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে মায়ের দেওয়া ২০০০ টাকা দিয়ে শুরু করেন অনলাইন ব্যবসা। ফিরে আসে আবার সুই-সুতার সংসার।
নুসরাত ফারজানা ক্যামব্রিয়ান কলেজ থেকে এইচএসসি পাসের পর আর লেখাপড়া করেননি। উদ্যোক্তা হিসেবে শুরুটা কীভাবে করলেন জানতে চাইলে নুসরাত বলেন, ‘কাজটা শুরু করি ২০১৮ সালে শখের বসে। তখন টুকটাক কাজের অর্ডার আসত এবং তা একা হাতেই করতে থাকি। ২০২০ সালের প্রথম দিকে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ে। এ সময় আমার স্বামীর চাকরি চলে যায়। এই ঘটনায় আমি হতাশ হয়ে পড়ি। আমার ছোট একটা মেয়ে আছে। সবকিছু মিলিয়ে কীভাবে সংসার চালাব ঠিক বুঝতে পারছিলাম না।’
অনেক ভেবে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ১০ জন নারীকে সঙ্গে নিয়ে নতুন করে কাজ শুরু করেন নুসরাত। কী কাজ? নুসরাত বলেন, ‘তাঁরা প্রতিদিন কুশিকাটার সোয়েটার, ফ্রক, টুপি, জুতা, টেবিল রানার, মেট বানিয়ে জমা দিতেন। আমি প্রতিদিন এগুলো কুরিয়ারে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে দিতাম। একপর্যায়ে কুশিকাটা পণ্যের অর্ডার বেশি আসতে শুরু করে। তখনই অনলাইনভিত্তিক কেনাকাটার প্ল্যাটফর্ম ‘নকশি লাইফস্টাইল’-এর যাত্রা শুরু হয়।’
বর্তমানে নুসরাত নিজের সন্তানসহ বাবার বাড়ির মা, ভাইবোন আর শ্বশুরবাড়ির দেবর, ননদ সবাইকে নিয়ে একত্রে বসবাস করছেন। নুসরাতের উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা পেয়েছেন তাঁর মায়ের কাছ থেকে। এর পর ছায়ার মতো পাশে ছিলেন তাঁর স্বামী। মা আর স্বামীর বিষয়ে বলতে গিয়ে নুসরাত বলেন, ‘আমার মা জানতেন আমার অনেক প্রতিভা। ছোটবেলা থেকে মা আমার সেলাইয়ে আগ্রহের বিষয়টি জানতেন। তাই মা নিজের অর্থ এবং শ্রম দুটিই আমার পেছনে ব্যয় করেছেন। আর আমার স্বামী চাকরিজীবী হওয়া সত্ত্বেও “নকশি লাইফস্টাইল”-এর বিভিন্ন পণ্যের ডেলিভারি দিতে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। আমার বাবা-মায়ের আমাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। এখন আমি নিজেকে নিয়ে গর্বিত। বন্ধুদের অনেকেই যেখানে পড়ালেখা শেষে বেকার জীবন কাটাচ্ছে, সেখানে আমি ১৫-২০ জনের মতো কর্মীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পেরেছি।’
‘নকশি লাইফস্টাইল’-এর কর্মীরা নিজেদের মেধা দিয়ে কুশিকাটার মাধ্যমে তৈরি করেন বিভিন্ন পণ্য। তাঁরা মূলত কুশিকাটার পণ্য, বাচ্চাদের ড্রেস (জামা, জুতা, টুপি, হেয়ার বেন্ড, শীতের পোশাক), নারীদের জন্য ডিজাইন করা কুর্তি ইত্যাদি তৈরি করেন।
একজন নারী হিসেবে উদ্যোক্তা হওয়ার পথটা আর দশজনের মতো নয়। বেশ কঠিন একটা পথ পাড়ি দিতে হয়েছে নুসরাতকে। এখনো হচ্ছে। এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমাকে আমার পোশাক নিয়ে বেশি কথা শুনতে হয়। যেহেতু আমি বোরকা পরি, তাই ব্যবসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কথা শুনতে হয় বোরকা নিয়ে। বোরকা পরে, পর্দা করে ব্যবসা করার কারণে অনেকের অনেক রকম কথা শুনতে হয়। তবে যারা আমাকে নিয়ে একসময় কটূক্তি করেছেন, তাঁরা এখন “নকশি লাইফস্টাইল”-এ কাজ করতে চান।’
বর্তমানে ‘নকশি লাইফস্টাইল’-এ ২০ জন কর্মী যুক্ত। কারিগর মজুরি এবং অন্যান্য খরচ মিটিয়েও মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ থাকে। করোনাকালীন ‘নকশি লাইফস্টাইল’ প্রায় ২০-২৫টি পরিবারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে।
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন নুসরাত। ‘নকশি লাইফস্টাইল’-কে তিনি নিয়ে যেতে চান অনেক দূর। নিজের স্বপ্নের বিষয়ে নুসরাত বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠান আমার সন্তান। সন্তানকে নিয়ে সবার কিছু একটা চাওয়া-পাওয়া থাকে। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। আমি আমার পেজ ‘নকশি লাইফস্টাইল’-কে একটা দেশীয় ব্র্যান্ড হিসেবে দেখতে চাই। সেই লক্ষ্যে ১৫-২০ জন কর্মী নিয়ে গুটিগুটি পায়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের ধাক্কায় টালমাটাল বিশ্ববাণিজ্য, বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলো। এশিয়ার অধিকাংশ দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি হয়ে থাকে। আর শুল্কের কারণে এ খাতে শঙ্কার জন্ম হয়েছে। গত ২০ এপ্রিল লিবারেশন ডে ঘোষণা করে যে শুল্ক আরোপ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার প্রভাবের
১৫ ঘণ্টা আগেভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এর বড় ধাক্কা লেগেছে ভারতের তৈরি পোশাক খাতে। ট্রাম্পের এই শুল্ক ঘোষণার পর থেকে প্রতিদিন আতঙ্কে কাটছে এই খাতের উদ্যোক্তাদের।
১৭ ঘণ্টা আগেব্যাংক খাতে লুণ্ঠন, অর্থ পাচার, শেয়ারবাজার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নড়বড়ে করে ফেলা, বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে চাপ ইত্যাদি কারণে আওয়ামী লীগ আমলের শেষের দিকে অর্থনীতি মহাসংকটে পড়েছিল। এর সরাসরি প্রভাব পড়ে জনজীবনেও। মূল্যস্ফীতিতে দেশবাসীর নাভিশ্বাস ওঠে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের...
১ দিন আগেচীনা প্রতিষ্ঠান চুয়ানচিং ড্রিলিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিডিসি) সঙ্গে দুটি কূপ খননের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)। ৫৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাখরাবাদ ও তিতাস এলাকায় গভীর অনুসন্ধানে এ দুটি কূপ খনন করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে...
১ দিন আগে