নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছেলেকে ১৫ লাখ শেয়ার উপহার দেওয়ার ঘোষণার একদিন পর ক্রাউন সিমেন্টের উদ্যোক্তা ও কোম্পানিটির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম স্ত্রী ও মেয়েকে ১৫ লাখ করে ৩০ লাখ শেয়ার উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে তিনি এ ঘোষণা দেন।
তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তার শেয়ার হস্তান্তর অথবা বিক্রির বিষয়টি মূল্য সংবেদনশীল তথ্য। তাই নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়েছে।
ডিএসই জানিয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম তাঁর স্ত্রী মাসুমা বেগম এবং মেয়ে সাদমান সাইকা সেফাকে ১৫ লাখ করে মোট ৩০ লাখ শেয়ার উপহার হিসেবে দেবেন। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এই শেয়ার হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ক্রাউন সিমেন্টের এই উদ্যোক্তা তাঁর ছেলে সালেহীন মুশফিক সাদাফকে ১৫ লাখ শেয়ার উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন। ওই শেয়ারও আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে উপহার হিসেবে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে জাহাঙ্গীর আলমের ভাই এবং ক্রাউন সিমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর কবির গতকাল মঙ্গলবার তাঁর স্ত্রী–সন্তানদের প্রায় ৬০ লাখ শেয়ার উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, আলমগীর কবির তাঁর স্ত্রী কামরুন নাহারকে ১৫ লাখ শেয়ার উপহার দেবেন। দুই ছেলের মধ্যে সোলায়মান কবিরকে ২৯ লাখ ৭০ হাজার ও রায়হানুল কবিরকে ৫ লাখ শেয়ার উপহার দেবেন। এ ছাড়া দুই মেয়ে রাইসা কবির ও নুসাইবা কবিরকে ৫ লাখ করে শেয়ার উপহার দেবেন।
কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, স্ত্রী–সন্তানদের ধীরে ধীরে ব্যবসায় যুক্ত করার অংশ হিসেবে শেয়ার উপহার দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আলমগীর কবিরের চার সন্তানের মধ্যে সোলায়মান কবির এরই মধ্যে ব্যবসায় যুক্ত রয়েছেন, তবে তিনি কোম্পানির পর্ষদে নেই। তাঁকে পর্ষদে যুক্ত করতে ন্যূনতম শেয়ার ধারণের শর্তপূরণে সর্বোচ্চ ২৯ লাখ ৭০ হাজার শেয়ার উপহার দেওয়া হচ্ছে। এই শেয়ার উপহার পেলে ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের শর্ত পূরণ হবে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বিধান অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির পরিচালক হতে হলে ওই ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন অনুপাতে ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হয়। এই শর্ত পূরণ করে স্ত্রী–সন্তানদের ধীরে ধীরে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে যুক্ত করতে শেয়ার উপহার দিচ্ছেন আলমগীর কবির।
শেয়ার উপহারের বিষয়ে আলমগীর কবির বলেন, ‘পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমরা আমাদের কিছু ব্যবসার সঙ্গে উত্তরাধিকারদের যুক্ত করতে চাই। সে জন্য তাদের প্রস্তুত করতে সময় লাগবে। তারই অংশ হিসেবে স্ত্রী ও চার সন্তানকে কিছু শেয়ার উপহার দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ছেলে সোলায়মান কবির আগে থেকেই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তাই তাকে ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার দেওয়া হচ্ছে, যাতে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে যুক্ত হতে আইনি কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকে।’
আলমগীর কবির আরও বলেন, ‘আমরা নতুন নতুন ব্যবসা সম্প্রসারণ করছি। তাই সন্তানদের পুরোনো ব্যবসাগুলো দায়িত্ব দিয়ে আমরা নতুন ব্যবসায় বেশি সময় দিতে চাই।’
বর্তমানে ক্রাউন সিমেন্টের শেয়ারধারীদের মধ্য থেকে পরিচালনা পর্ষদে চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর কবির, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোল্লা মোহাম্মদ মনজু, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান মোল্লা ও পরিচালক আলমাস শিমুল। এই পাঁচজনের মধ্যে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, আলমগীর কবির ও আলমাস শিমুল তিন ভাই। আর মোল্লা মোহাম্মদ মনজু ও মিজানুর রহমান মোল্লা দুই ভাই। আবার সম্পর্কে এই পাঁচজন মামাতো–ফুফাতো ভাই। ক্রাউন সিমেন্ট ২০১১ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
ছেলেকে ১৫ লাখ শেয়ার উপহার দেওয়ার ঘোষণার একদিন পর ক্রাউন সিমেন্টের উদ্যোক্তা ও কোম্পানিটির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম স্ত্রী ও মেয়েকে ১৫ লাখ করে ৩০ লাখ শেয়ার উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে তিনি এ ঘোষণা দেন।
তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তার শেয়ার হস্তান্তর অথবা বিক্রির বিষয়টি মূল্য সংবেদনশীল তথ্য। তাই নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়েছে।
ডিএসই জানিয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম তাঁর স্ত্রী মাসুমা বেগম এবং মেয়ে সাদমান সাইকা সেফাকে ১৫ লাখ করে মোট ৩০ লাখ শেয়ার উপহার হিসেবে দেবেন। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এই শেয়ার হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ক্রাউন সিমেন্টের এই উদ্যোক্তা তাঁর ছেলে সালেহীন মুশফিক সাদাফকে ১৫ লাখ শেয়ার উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন। ওই শেয়ারও আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে উপহার হিসেবে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে জাহাঙ্গীর আলমের ভাই এবং ক্রাউন সিমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর কবির গতকাল মঙ্গলবার তাঁর স্ত্রী–সন্তানদের প্রায় ৬০ লাখ শেয়ার উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, আলমগীর কবির তাঁর স্ত্রী কামরুন নাহারকে ১৫ লাখ শেয়ার উপহার দেবেন। দুই ছেলের মধ্যে সোলায়মান কবিরকে ২৯ লাখ ৭০ হাজার ও রায়হানুল কবিরকে ৫ লাখ শেয়ার উপহার দেবেন। এ ছাড়া দুই মেয়ে রাইসা কবির ও নুসাইবা কবিরকে ৫ লাখ করে শেয়ার উপহার দেবেন।
কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, স্ত্রী–সন্তানদের ধীরে ধীরে ব্যবসায় যুক্ত করার অংশ হিসেবে শেয়ার উপহার দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আলমগীর কবিরের চার সন্তানের মধ্যে সোলায়মান কবির এরই মধ্যে ব্যবসায় যুক্ত রয়েছেন, তবে তিনি কোম্পানির পর্ষদে নেই। তাঁকে পর্ষদে যুক্ত করতে ন্যূনতম শেয়ার ধারণের শর্তপূরণে সর্বোচ্চ ২৯ লাখ ৭০ হাজার শেয়ার উপহার দেওয়া হচ্ছে। এই শেয়ার উপহার পেলে ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের শর্ত পূরণ হবে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বিধান অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির পরিচালক হতে হলে ওই ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন অনুপাতে ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হয়। এই শর্ত পূরণ করে স্ত্রী–সন্তানদের ধীরে ধীরে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে যুক্ত করতে শেয়ার উপহার দিচ্ছেন আলমগীর কবির।
শেয়ার উপহারের বিষয়ে আলমগীর কবির বলেন, ‘পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমরা আমাদের কিছু ব্যবসার সঙ্গে উত্তরাধিকারদের যুক্ত করতে চাই। সে জন্য তাদের প্রস্তুত করতে সময় লাগবে। তারই অংশ হিসেবে স্ত্রী ও চার সন্তানকে কিছু শেয়ার উপহার দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ছেলে সোলায়মান কবির আগে থেকেই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তাই তাকে ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার দেওয়া হচ্ছে, যাতে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে যুক্ত হতে আইনি কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকে।’
আলমগীর কবির আরও বলেন, ‘আমরা নতুন নতুন ব্যবসা সম্প্রসারণ করছি। তাই সন্তানদের পুরোনো ব্যবসাগুলো দায়িত্ব দিয়ে আমরা নতুন ব্যবসায় বেশি সময় দিতে চাই।’
বর্তমানে ক্রাউন সিমেন্টের শেয়ারধারীদের মধ্য থেকে পরিচালনা পর্ষদে চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর কবির, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোল্লা মোহাম্মদ মনজু, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান মোল্লা ও পরিচালক আলমাস শিমুল। এই পাঁচজনের মধ্যে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, আলমগীর কবির ও আলমাস শিমুল তিন ভাই। আর মোল্লা মোহাম্মদ মনজু ও মিজানুর রহমান মোল্লা দুই ভাই। আবার সম্পর্কে এই পাঁচজন মামাতো–ফুফাতো ভাই। ক্রাউন সিমেন্ট ২০১১ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
চতুর্থ প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক ‘ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি’। ২০১৩ সালে লাইসেন্স পাওয়া এই ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ২৭ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। এই ঋণের প্রায় ৬২ শতাংশ অর্থাৎ ১৭ হাজার ২২৯ কোটি টাকাই নামে-বেনামে হাতিয়ে নিয়েছে বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ এস আলম। ঋণের নামে লুট করা এই টাকা সবচেয়ে বেশি নেওয়া হয়েছে
১৮ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের ঋণখেলাপিদের বিষয়ে একের পর এক কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে হালনাগাদ করা হচ্ছে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) ডেটা। এতে বিদেশি ব্যাংকের খেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামও সিআইবির
১৮ ঘণ্টা আগেমাত্র এক বছরের ব্যবধানে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশি ব্যক্তি ও ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ প্রায় ৩২ গুণ বেড়েছে। ২০২৩ সালে যেখানে এই অঙ্ক ছিল ১৮ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, ২০২৪ সালে তা লাফিয়ে গিয়ে পৌঁছেছে ৫৮৯.৫৪ মিলিয়ন ফ্রাঁতে, যার বাংলাদেশি মূল্য প্রায় ৮ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা।
১ দিন আগেকয়েক বছর আগেও গাড়ি আমদানিতে দেশের রেকর্ড গড়েছিল মোংলা বন্দর। ২০২১-২২ অর্থবছরে চট্টগ্রামকেও ছাড়িয়ে এখানে ঢুকেছিল ২১ হাজারের বেশি গাড়ি। তখন সবাই তাকিয়ে ছিল মোংলার দিকে। কিন্তু সেই গতির ছন্দ এখন অনেকটাই ম্লান। টানা তিন অর্থবছর ধরে কমছে আমদানির সংখ্যা। ডলার-সংকট, দাম বেড়ে যাওয়া আর ক্রেতার আগ্রহ কমে...
২ দিন আগে