Ajker Patrika

ঢাকা ও চট্টগ্রামে সফলভাবে ফাইভজি ট্রায়াল পরিচালনা করেছে গ্রামীণফোন

আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২২, ১৭: ৪৩
ঢাকা ও চট্টগ্রামে সফলভাবে ফাইভজি ট্রায়াল পরিচালনা করেছে গ্রামীণফোন

ঢাকা ও চট্টগ্রামে ইউজ কেসসহ ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের ট্রায়াল পরিচালনা করেছে গ্রামীণফোন। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) তারা এই ট্রায়াল পরিচালনা করে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি কানেকটিভিটির ভবিষ্যৎ উন্মোচনে প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ফাইভ-জি ট্রায়াল পরিচালনার মাধ্যমে দেশের ডিজিটাল কানেকটিভিটি পার্টনার ও টেক সার্ভিস লিডার এ প্রতিষ্ঠানটি স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণের যাত্রায় ভূমিকা রাখতে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছে। 

যুগান্তকারী ফাইভ-জি প্রযুক্তি বিভিন্ন শিল্প খাত, সমাজের উন্নয়ন এবং মানুষের প্রতিদিনের পথচলার অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করার জন্য এমন সব সম্ভাবনা ও সুযোগ তৈরি করবে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ, সুরক্ষিত ও টেকসই ভবিষ্যৎ তৈরি হবে। 

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমানসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাজধানীর জিপি হাউসে ইনোভেশন ল্যাবে ফাইভ-জি ট্রায়ালের অভিজ্ঞতা নেন। এ ইনোভেশন ল্যাবটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যেখান থেকে ধাপে ধাপে ফাইভ-জি টেস্ট ও এর ব্যবহারিক অভিজ্ঞতার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হবে। এর পাশাপাশি, প্রতিষ্ঠানটির শিগগিরই অন্যান্য বিভাগীয় শহরে ফাইভ-জি ট্রায়াল পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। 

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সম্ভাবনা উন্মোচনের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য পূরণে আমরা ফাইভ-জি কানেকটিভিটি ও এর ইউজ কেসের ট্রায়াল পরিচালনা করছি। আমি বাংলাদেশ সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, নেটওয়ার্ক পার্টনার, ইকোসিস্টেম প্লেয়ার এবং গ্রামীণফোন টিমের সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই। সবাই একসঙ্গে আগামী দিনের কানেকটিভিটিকে (ফাইভ-জি) সম্ভাবনায় পরিণত করেছেন। ফাইভ-জির ট্রায়াল পরিচালনা ও ফাইভজির চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করতে আমরা সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে প্রত্যাশী। বর্তমানে আমরা দেশজুড়ে বিস্তৃত ফোর-জি নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছি; একই সঙ্গে, আমরা ভবিষ্যতের সক্ষমতা তৈরি, ফাইভ-জি ইকোসিস্টেম বিনির্মাণ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, ব্লক চেইন ও রোবোটিকসের মাধ্যমে শিল্প খাতের জন্য বিভিন্ন সলিউশন নিয়ে আসতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ 

ইয়াসির আজমান আরও বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের নির্দিষ্ট চাহিদা অনুযায়ী ইউজ কেস উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে টেলিনর গ্রুপ। টেলিনর গ্রুপের অংশ হিসেবে, উদ্ভাবনী নানা সল্যুশন নিয়ে আসতে আমরা কার্যকরী উপায়ে আমাদের দক্ষতার পূর্ণ ব্যবহার করব। এসব সল্যুশন প্রয়োজন অনুযায়ী বাংলাদেশের ডিজিটাল সমাজ ও অর্থনীতির অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করতে প্রাসঙ্গিক ভূমিকা রাখবে। আমাদের বিশ্বাস, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম এগিয়ে আসবে এবং প্রযুক্তিগত সল্যুশনের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুযোগ উন্মোচন এবং এর সদ্ব্যবহার করবে।’ 

হুয়াওয়ে ও জেডটিইর সঙ্গে পার্টনারশিপে এ ক্ষেত্রে গ্রামীণফোন ডিজিটাল-এনাবলারের ভূমিকা রাখছে, নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করছে এবং বাংলাদেশে ডিজিটাল বিপ্লব ত্বরান্বিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত